Breaking News

ধর্ষিতা বউ

আজকে আবিরের জন্য মেয়ে দেখতে যাবে সবাই।আবির সবে মাত্র ভার্সিটি শেষে করে একটা কম্পানিতে জয়েন করেছে।আবিরের মা,বাবা আর ছোট বোন তিশা অবশ্য আগেই মেয়ে দেখে এসেছিলো কিন্তু অফিস ট্যুর থাকার কারনে আবিরের সেই সৌভাগ্য হয়নি।
আজকে পাকা কথা হবে দুই পরিবারে মধ্যে আর আবিরেরও আয়াতকে দেখার সৌভাগ্য হবে।আবিরের হবু বৌটির নাম আয়াত।
আয়াতদের বাসায় গিয়ে আবির কিছুটা নার্ভাস আর এক্সাইটেড হয়ে বসে আছে।আবিরের পাশে বসে তিশা চুপি চুপি বললো
-কিরে ভাইয়া, মন উড়ু উড়ু করতেছে ভাবিকে দেখার জন্য(ব্যঙ্গ করেই বললো কথাটা)
-আমার হবু বউকে দেখার জন্য আমার মন উড়ু উড়ু করবেনা তো কি তোর মন উড়ু উড়ু করবে?
-বাব্বাহ এখন থেকেই বউ বউ করতেছিস!
-হ্যাঁ, এতবছর তো বোন বোন করে আসলাম এবার ইক্টু বউ বউ করি(কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললো আবির)
আবিরের মা আয়াতকে আনতে বললো।আয়াত ওর মায়ের হাত ধরে ড্রয়িং রুমে আসলো।আবির কিছুটা নার্ভাস ছিলো।কিন্তু আয়তকে দেখে মনে হলো পরীস্তানের কোনো পরী হয়তো নেমে এসেছে আবিরের সাথে দেখা করতে।আবিরের চোখের পলক যেনো পরতেই চায়না অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আয়াতের দিকে।আয়াত একটু লাজুক হেসে আবিরের মায়ের পাশে গিয়ে বসলো।দুই পরিবারের মধ্যে পাকা কথা হয়ে গেলো আগামী মাসের ২৫ তারিখ আবির আর আয়াতের বিয়ে।
রাতে ডিনার সেরে আয়াত সবে মাত্র বিছানায় শুয়েছে হঠাৎ তার ফোনে একটা কল আসলো।খানিকটা দিধা নিয়েই কল রিসিভ করলো -আয়াত…
-হ্যালো…কে বলছেন?
-আয়াত….আমি!
-আরে বাবা আমি টা কে?
-ইয়ে মানে আমি আবির….
– অহ আপনি..!
-হ্যাঁ.. আমি!
-ডিনার হয়েছে আপনার?
-হ্যাঁ, হয়েছে…আচ্ছা আমরা কি আপনি থেকে তুমি তে নামতে পারিনা!
-হ্যাঁ পারি!
-আচ্ছা আয়াত তোমাকে একটা প্রশ্ন করি?
-হ্যাঁ, করো!
-আচ্ছা তোমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করিও তো তোমায় কি পরীস্তান থেকে কুড়িয়ে এনেছিলো নাকি…
-কেনো বলোতো!
-কারন পরীস্তানের একটি পরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা??
-হাহাহা….ফ্লার্ট করা হচ্ছে তাইনা!
-নিজের হবু বউয়ের সাথেই করতেছি ফ্লার্ট অন্যের বউয়ের সাথে করিনিতো?
-হিহিহিহিহি….
-এভাবে হেসোনা..আমি খুব তাড়াতাড়ি বরলোক হয়ে যাবো!
-কিভাবে!!
-তোমার হাসি থেকে ছড়িয়ে পরা মুক্তো গুলো কুড়িয়ে নিয়ে
-যাহহহ,কি যে বলোনা(একটু লজ্জা পেয়ে)
-উম্ম।এখন ঘুমিয়ে যাও কেমন।কালতো তোমার কলেজ আছে।
-হুম।তুমিও ঘুমিয়ে যাও..বাই।
-বাই!
আয়াত ঘুমিয়ে গেলো।কিন্তু আবির ঘুমোতে পারলো না।আয়াতের চোখ,তার সরল হাসি আবির কে আর ঘুমোতে দিলোনা……..
রজনীগন্ধা আর বেলি আয়াতের প্রিয় ফুল।তাই রজনীগন্ধা আর বেলি ফুলেই বাসর সাজানো হয়েছে।আবির রুমে ঢুকলো।দরজা আটকিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো আয়াতের দিকে।আজকে আয়াত কে অপূর্ব লাগছে।মনে হচ্ছে চাঁদ যেনো তার সব জোস্না আয়াতের গায়ে ঢেলে দিয়েছে।রূপ ঠিকরে পরছে শরীর থেকে!আজ আবিরের মনে হচ্ছে চাঁদকে দেখিয়ে দিতে যে চাঁদ দেখ তোর চেয়েও আমার বউটা বেশি সুন্দর!আবির আয়াতে কে প্রথম স্পর্শ করতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে তিশার ডাকে আবিরের ঘুম ভেঙে গেলো
-ডাকার আর সময় পেলিনা?
-এই পরে পরে মাতালদের মতো ঘুমোচ্ছিস আর ওইদিকে আয়াত ভাবিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
-কিহ!কি বলছিস এসব!
-হ্যাঁ ঠিকি বলছি…উনার হবু বউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা আর উনি পরে পরে ঘুমোচ্ছেন।
আবির তড়িঘড়ি করে উঠে রেডি হয়ে আয়াতদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছালো।দেখতে পেলো আয়াতের মা বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে আর আয়াতের বাবা পুলিশের সাথে কথা বলছেন।আবির কে দেখে আয়াতের বাবা বললো
-বাবা তুমি এসেছো…
-হ্যাঁ আংকেল…কি হয়েছে? আয়ত কোথায়?কখন থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা?
-সকালে কলেজ যাবো বলে বেড়িয়ে গেলো তারপর সন্ধ্যে হয়ে গেলো মেয়েটা আমার বাড়ি ফিরলো না!
-কিহ!পুলিশ কি বলছে?
-পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে কিন্তু এখনো কোনো খোঁজ পায়নি….(বলেই আয়াতের বাবা কান্নায় ভেঙে পড়লো)
আবির কি করবে বুঝতে পারছিলো না।আবির নিজে বেড়িয়ে এদিক সেদিক আয়াতকে খুজতে লাগলো।মাঝরাত অব্দি আয়াতের কোনো হদিস না পেয়ে আবির বাড়ি ফিরে গেলো।রাতে কোনোভাবেই ঘুমোতে পারলো না আবির।শুধু মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে লাগলো যেনো আয়াত ঠিক থাকে।সকালে আয়াতের বাসায় থেকে ফোন দিয়ে জানানো হলো আয়াত কে খুজে পাওয়া গেছে এবং সে হসপিটালে!……..
চলবে…..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com