সার্থপর
আজকে মায়ার বিয়ে ।কিন্তু এই বিয়ে টা অদ্ভুত ।কেননা মায়া নিজের শশুর বাড়িতে ।মায়ার শশুড় শাশুড়ি মায়ার বিয়ে দিচ্ছে ।মায়া কে বিয়ের সাজে দেখে মায়ার শাশুড়ি বলে
শায়লা বেগম:রাজকন্যা টা আমার অনেক অপরূপ দেখা যাচ্ছে তোকে ।
মায়া নিচের দিকে তাকিয়ে আছে ।মায়ার মন টা খারাপ ।
শায়লা বেগম:জানি মা ,আমার ছেলেকে ভুলতে পারবি না কিন্তু তোকে তো আর এইভাবে মরা লাশ এর মতো দেখতে পারছি না ।
মায়া:মা তুমি এত ভালো কেন?? আমাকে কি কোন দিন মাফ করতে পারবে ।আমি যে ,,,,,,,,,
কথাটা বলে মায়া আটকে গেল ।কিছু বলতে পারল না।মায়ার শাশুড়ি বলছে
শায়লা বেগম:চলবে মা ।বাদল তোর জন্য অপেক্ষা করছে ।
মায়া কে নিচে নিয়ে গেল ।বাদল বর সেজে বসে আছে। কাজী বিয়ে পরাচ্ছে।
ঠিক এই সময় ই কেউ বলল
,,,,,,,,,,:এই বিয়ে হবে না ।
সবাই সামনে তাকিয়ে বড় একটা শক খেল ।মায়ার নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না ।মায়া টিকতে না পেরে জ্ঞান হারায় ।জ্ঞান ফেরার পর মায়া উঠে দেখে সে আবিরের রুমে শুয়ে আছে ।এক লাফে উঠে যায় ।এদিক ওদিক তাকাতে থাকে। কি দেখল আজকে মায়া ।নিজেই বিশ্বাস করতে পারছে না ।হঠাৎ বেলকনি থেকে একটা কন্ঠ শোনা যায় ।কেউ গান গাইছে ।মায়া সামনে গিয়ে দেখে আবির গিটার বাজিয়ে গান গাইছে
.
মায়ার হাত পা কাঁপছে ।গিটার টা রেখে আবির মায়ার কাছে আসছে ।মায়া পুরো জমে শক্ত হয়ে আছে ।এক চুল ও লড়ছে না ।আবির মায়ার এত কাছে এসে পড়েছে যে মায়া কপালে আবিরের গরম নিশ্বাস পড়ছে ।আবির মায়া কে বলল
আবির:তোমাকে বউ সাজে কি অপরূপ লাগছে ।তোমাকে যত দেখি তত তোমার প্রতি পাগল আর উন্মাদ হয়ে পড়ি । এই বলে আবির মায়ার ঘাড়ে চুমু দিতে থাকে।এক সময় আবির মায়ার ঘাড়ে জোরে একটা কামড় দেয় ।মায়া তখন ও কিছু বলছে না ।এক ঘোরের মধ্যে আছে ।আবির যখন মায়ার ঠোঁটে কিস করবে তখন মায়া আবিরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ।মায়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলে
মায়া:কে তুমি ।?? তুমি আবির না ।আবিরকে তো আমি,,,,,,,,,
আবির:গুলি করে মেরে ফেলেছ ।
এই কথা বলে আবির নিজের শার্ট টা খুলে ফেলে ।মায়া দেখে দুইটা গুলির দাগ ।আবির মায়ার হাত ধরে তার বুকের দাগ এর সামনে নিয়ে যায় ।আর বলে
আবির:অনেক ব্যথা করছে জান ।একটু আদর করে দিবে ।করো না ।তুমি যদি একটু আদর করে দাও আমার ব্যথা চলে যাবে ।
.
মায়া কিছু বুঝছে না ।মায়া যেতে নিলেই আবির মায়া কে কমড় ধরে নিজের কাছে মিশিয়ে নেয় আর বলে
আবির:কি মনে করছিলি।আমি মরে গেছি ।তুই আমার সব সম্পত্তি নিয়ে তোর আশিক বাদল কে বিয়ে করবি ।এখন থেকে তোর জীবন জাহান্নুম বানিয়ে দিব ।
তুই মরতে চাবি কিন্তু মরতে পারবি না ।
এই বলে আবির মায়া কে বিছানায় ছুড়ে ফেলল আর মায়া র দিকে তাকিয়ে থাকে ।মায়া একটু আনইজি ফিল করে ।মায়া আবিরকে ধাক্কা দেয় কিন্তু আবির সরে না ।
মায়া:আমাকে ছেড়ে দাও ।আমি তোমাকে মেরেছি ।আমাকে পুলিশে দাও ।তোমার সাথে থাকতে চাই না আমি।ঘৃনা করি তোমাকে ।অনেক ঘৃনা করি
এই কথা বলতে বলতে
.
আবির মায়ার ঠোঁটে দুটি নিজের আয়ত্তে নেয় ।আবির মায়া কে কিস করছে না এক এক টা কামড় দিচ্ছে ।মায়া ব্যথায় বার বার চিৎকার করছে ।আবির এক টানে মায়া শাড়ি খুলে ফেলে ।মায়া ব্লাউজ টেনে ছিড়ে ফেলে। আবির আজকে হিংস্র রুপে আছে ।মায়ার ঘাড়ে গলায় আবির কামড় বসাচ্ছে ।ভোরের দিকে আবির ক্লান্ত হয়ে মায়ার বুকে ঘুমিয়ে পড়ে ।মায়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।মায়া মনে মনে ভাবছে আবির বেঁচে গেল কীভাবে?? মায়া পুরনো সময়ের কথা মনে করছে
আবির আর মায়ার বিয়ের পরের দিন কক্সবাজারে বেড়াতে আসে ।মায়া আবিরকে বলে যে স্প্রিডবোর্ডে উঠবে ।আবির একটা স্প্রিডবোর্ড ভাড়া করে ।সমুদ্রের মাঝখানে আসতেই মায়া স্প্রিডবোর্ড থামাতে বলে আবির কে ।মায়া আবিরকে জিজ্ঞেস করে
মায়া :আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই না??
আবির:হ্যাঁ, আল্লাহ র পরে যদি আমি কাউকে জীবনের চেয়ে ও বেশি ভালোবাসি সেটা হল তুমি।
মায়া:আমার জন্য মরতে পারবে ??
আবির:তোমার জন্য মরলে আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করব।
মায়া:তাই?
আবির:হুমম জান।
মায়া :তাহলে মরো
মায়া আবির থেকে দূরে সরে একটা বন্ধুক বের করে আবিরকে গুলি করে ।আবিরের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।নিজেকে সামলাতে না পেরে আবির সমুদ্রের পানিতে পড়ে যায় ।যতক্ষণ না আবির ডুবে যাচ্ছে মায়া এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে ।পানি থেকে একটু সাঁতরিয়ে উঠে আবির মায়া কে বলে
আবির:মায়া বাঁচাও ।
মায়া পৈশাচিক হাসি দিয়ে পানির মধ্যে ই আবিরকে আরেকটা গুলি করল ।
পানির কিছু অংশ আবিরের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছে ।
মায়া বুক ভরা নিশ্বাস নিয়ে স্প্রিডবোর্ড চালিয়ে
সমুদ্রের মাঝখান থেকে তীরে আসছে ।
মায়া আবিরের মাকে শায়লা বেগমকে ফোন করে বলে মায়া:মা,আবির কে পাওয়া যাচ্ছে না ।
শায়লা বেগম:কী বল ?? কোথায় গেল আবির??তোমরা না হানিমুন করতে কক্সবাজার এসেছে ।তাহলে আবির কোথায় গেল??
মায়া কান্না কান্না ভাব এনে বলে
মায়া:আমি জানি না মা ।আবির সেই সকালে বের হয়েছে ।এখন সন্ধ্যা হয়েগিয়েছে কিন্তু আবিরের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি ।
শায়েলা বেগম:আমি আর আবিরের বাবা এখনই আসছি ।
এই বলে ফোন রেখে দেয় ।মায়া চোখের পানি মুছে ফেলেছে । আর এক টা বিকট শব্দ করে বলে
মায়া:i am successful. আবির চৌধুরী কে মেরে ফেলেছি ।আমার রাস্তার কাঁটা সরে গেছে ।পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠল
.
,,,,,,,,,,,,,:তুই সত্যি ই করে দেখিয়েছিস।
মায়া:তুই না থাকলে আমি কিছু তেই এই কাজ করে পারতাম না বাদল।আমার পাশে সব সময় থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ বাদ ।
বাদল:ধন্যবাদ কিসের আমার বেস্টফ্রেন্ডের জন্য কি এইটুকু ও করতে পারব না ।
মায়া:এখন আবির চৌধুরীর সব সম্পত্তি আমার ।
হঠাৎ আবিরের ডাকে মায়ার খেয়াল আসে ।আবির মায়ার শরীরে চাদর মুড়ি দিয়ে বলে
আবির:কষ্ট হচ্ছে ?
মায়া :তুমি বাঁচলে কিভাবে?
চলবে
কেমন লাগল জানাবেন |
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com