Breaking News

ব্ল্যাকভাইরাস || পর্ব-০৫

রাজের SEক্স ভিডিও তুমি ভাইরাল করছো, আসলে তুমি কে রিয়াদ?
মাইশার কথা শুনে রিয়াদ বলল,
তুমি এই সব কি কইতাছো আমি দুদু মিয়া,তোমার কথার আগা মাথা কিছু বুঝতাছি না,
আর সেক্স ভিডিও কি?
মাইশা চোখ দুটো বন্ধ করে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে নিয়ে বলল সরি সরি আসলে আমার মাথা ঠিক নেই,
রিয়াদ; আমি এখন কি করব?
মাইশা; কি করবা মানে?
রিয়াদ ; মাইশা তুমি কি আমাকে সন্দেহ করো,
মাইশা চুপ করে আছে কোন কথা বলছে না,
রিয়াদ বলল, আমি তোমাকে ভালবাসি কিন্ত সেটা আমার মনেই থাকে গোপনে,
তাই বলে আমি এই রকম কিছু করব না,আর আমার এত সাহস নাই,
আমি তোমাকে ভালবাসি,তোমাকে বাসতে হবে না,আর এটাও জানি তুমি কোন দিন ভালবাসবে না,তাই আমি একাই নিরবে ভালবেসে যাবো,
কথা গুলো মাইশা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুনলো কিন্ত কোন রেসপন্স নাই,
রিয়াদের মত রিয়াদ কথা বলে উঠে চলে গেলো,
এই দিকে রাজের খুন নিয়ে কলেজে হইচই পড়ে গেছে,,,
সবাই বলছে কাজ টা কলেজের কেউ করেছে,আবার নাকি কয়েকজন কে ধরেছে,,,,
আর যদি ঐ ল্যাপটপ টা না থাকতো আরও অনেক ধরাধরি হতো,
ল্যাপটপ টা থাকার জন্য আসল সত্যি টা সবার সামনে এসেছে,
যার মাইশাও বেঁচে গিয়েছে,কারন মাইশাও রাজের শিকার ছিলো,
রাজ খুন হওয়ার পর সারা কলেজে
সিসিক্যামেরা লাগানো হয়,
৫দিন পর,,,,
৫দিন দুদু মিয়া কলেজে আসে,
ক্লাসে ঢুকতেই,,
কিছু বখাটে ছেলে দুদু মিয়া কে ডাকে
--এই যে দুধ দুধ,
--ভাইয়া আমার নাম দুধ দুধ না,আমার দুদু মিয়া,
আরেকজন বলে,,,, তা ছোট ভাই তুমি কি জানো কলেজে সিসি ক্যামেরা লাগলো হয়েছে,,
দুদু মিয়া; না তো ভাইয়া,,
সবাই ঐ সিসি ক্যামেরায় সামনে যেয়ে নিজের পরিচয় বলতে হয় আর চোখ মারতে হয়,আর একটা পাসওয়ার্ড বলতে হয়,
দুদু মিয়া; এ ভাই আমালে বোকা বানাবেন না,ফেসবুকে যাইতে পাসওয়ার্ড লাগে আমি, এখানে কিসের পিন,
এক বখাটে বলল,,আরে ছোটভাই তুমি যে দুদু মিয়া সেটার পাসওয়ার্ড,
দুদু মিয়া ; না আমি বলমু না,
না হলে সবাই বলবে তুমি ব্ল্যাক ভাইরাস,,
দুদু মিয়া; আল্লাহ তাই নাকি, ভাই আগে
আমার পরিচয় টা দিয়া আসি,ভাই পাসওয়ার্ড টা কি
---- পাসওয়ার্ড হল i love you,
বোকা দুদু মিয়া কি জানতো, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কোন ম্যাডাম,,
সিসি ক্যামেরার সামনে গিয়ে,,
হাই, আমি দুদু মিয়া,আমি অনেক চালাক একটা পোলা,,, কিন্ত সবাই বোকা বলে,,,
তখন দুদু মিয়া মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল i Love you,আমি কিন্ত ব্ল্যাক ভাইরাস না,
এমন সময় একটা চশমা পড়া ছেলে এসে বলল,সরি ম্যাম এটা রাগিং ছিলো,
আর ছেলে টা বখাটেদের বলল, ব্ল্যাক ভাইরাস নিয়ে মজা করো না,এর ফল কিন্ত ভাল হবে না,।
ব্ল্যাক ভাইরাসের কথা শুনে সবাই চুপ করে চলে যায়,
আর ছেলে টা দুদু মিয়া কে ধমক দিয়ে
বলল তুমি তো আসলেই গাধা একটা,
তুমি জানো কি হতো যদি এখন না আসতাম,
এই ব্ল্যাক ভাইরাসের কথা আর একবারও উচ্চারণ করবে না,
এখন যাও,
দুদু মিয়া; আচ্ছা ভাইয়া আপনার নাম কি?
--আমার নাম পলাশ,,,যাও তুমি এখন,
পলাশ ছেলেটি কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে,কিন্ত কেউ বলতে পারে না পলাশ কে সারাদিন ফোন নিয়ে পড়ে থাকে,
কারো সাথে তেমন কোন কথাও বলে না,
দুদু মিয়া একা ক্লাসে বসে মাইশা কে ছাড়া ভাল লাগছে না,
কিন্ত কিছুদিন হল মাইশাও আসছে না,ফোন টাও অফ,
দুদু মিয়া ক্লাস না করে বেরিয়ে যায়,
যেখানেই যায় ভালো লাগে না,
এই ভাবে ৪-৫দিন কেটে গেলো মাইশার কোন খবর নেই,
রিয়াদ ক্যাম্পাসে বসে ফোনে কথা বলছিলো এমন সময় পিছন থেকে মাইশা এসে বলল কি gf এর সারহে কথা হচ্ছে,
মাইশার উপস্থিতে রিয়াদের মুখ ফেকাসে হয়ে গেলো,
মাইশা; কি ব্যাপার এমন হা করে কি দেখছো,ভূত দেখার মত,
রিয়াদ মনে মনে ফোনে কি কথা বললাম হয়তো শুনতে পায়নি,
মাইশা; কি ব্যাপার বলছো না কেনো কার সাথে কথা বলছিলে,
রিয়া; ওই তো মা মায়ের সাথে কথা বলছিলাম,
রিয়াদ কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত আছে তা মাইশা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে,
কারন অনেক দিন পর দেখা হল রিয়াদের কোন রেসপন্স নেই,
মাইশা বলল রিয়াদ কোন কিছু বলছো না কেনো, আমি কি তোমাকে বিরক্ত করলাম আমি চলে যাবো,
রিয়াদ; একটু বসো আমি ফোনে কথা বলে আসছি,বলে রিয়াদ চলে গেলো ফোনে কথা বলতে,
মাইশা কিছুই বুঝতে পারলো না,
রিয়াদ কেমন জানি হয়ে গেছে এই কয়দিনে নাকি রাগ করে আছে,
যাক কিছুক্ষন পর আসলো রিয়াদ,
এসে বলল,
এত দিন কই ছিলা মাইশা,
মাইশা; আমার একটা কাজ ছিলো তাই আসতে পারি নাই,
রিয়াদ; ফোন অফ ছিলো কেনো,
মাইশা; এমনি,
রিয়াদ ; আমি আজ একটা কথা বলতে চাই,
--কি বলো,
--আমি তোমাকে ভালবাসি আর তোমাকেও ভালবাসতে হবে আমি আর পারছি না,তোমাকে ছাড়া,
--রিয়াদ তুমি কি পাগল, এটা তো আমাদের কথা ছিলো না,
--কথা ছিলো না,কিন্ত আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি,(মাইশার হাত ধরে বলল)
--রিয়াদ হাত ছাড়ো, ক্যাম্পাসে কোন হাঙামা করো না,পুলিশ আছে পাশেই,
রাজের ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে সব সময় পুলিশ থাকে,
মাইশা খুব রেগে বলল,তুমি ভাবলে কি করে তোর মত বোকা আবুল মার্কা ছেলের সাথে আমি প্রেম করব,তোর সাথে আমার যায়,তোর দিকে তাকিয়ে দেখ আর আমার দিকে তাকিয়ে দেখ,রিয়াদ তখন উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকে,
এক সময় দুজনের কথা কাটাকাটির মাঝখানে পুলিশ এসে যায়,
পুলিশ আসতেই মাইশা বলে বসলো স্যার এই ছেলেটা আমাকে ইফটিচিং
করছে,রিয়াদ কে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়,
পরেরদিন,,,
ইউনিভার্সিটিতে একটা ফাংশন ছিলো,
রিয়াদ ডিপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে কানে মিনি ব্লুটুথ হেডফোন লাগানো,
নীল রঙের শাড়ি পড়ে একটা মেয়ে ঘুরাঘুরি করছে দেখতে অনেক স্মার্ট সুন্দরী, কিন্ত সেদিকে রিয়াদের কোন নজর নেই,
মেয়েটি এক সময় রিয়াদের সামনে এসে দাঁড়ায়,কি ব্যাপার রিয়াদ তোমাকে না কাল পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো,
রিয়াদ; আপনি কে?
--আরে আমাকে চিনতে পারছো না,আমি মাইশা,।
রিয়াদ শুধু পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো,
মাইশা আবার কিছু বলতে যাবে এমন স্যার মাইকে বলতে লাগলো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের সকল স্টুডেন্ট ৫মিনিট এর মধ্যে তোমরা তোমাদের ক্লাস রুমে উপস্থিত হও,
সবাই ৫মিনিটের মধ্যে হাজির, রিয়াদের পাশে মাইশা বসেছে আঙুল দিয়ে খুচাচ্ছে,
স্যার এসে বলল সবাই সাইলেন্ট আমি কিছু কথা বলব,ক্লাস রুম।একদম নিরব,এমন সময় রিয়াদ একাই বলছে মিশন start, সবাই এলাট, প্লান A and B,
স্যার এমন বললেন কে কথা বলে,কার এত বড় সাহস,পাশ থেকে মাইশা বলল,চুপ স্যার আসছে রিয়াদ,
কিন্ত যা ঘটলো তা দেখে সবাই অবাক, রিয়াদ নিজের কোমর থেকে একটা
রিভালবার বের করে দিলো এক দৌড়,,,,,,,,,
.
আগের এবং পরের পবগুলো খুজে পেতে সমস্যা হলে আমার প্রোফাইল থেকে পড়ে নিতে পারেন ।
.
চলবে..............................

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com