Breaking News

অর্নব ও লাবনীর কথপোকথোন || -অর্ণব মাহমুদ

-হোম-ওয়ার্ক করছ?
- না, করিনি।
-কেন?
-আম্মুর সাথে কাজ করছি তাই।
-একদিন তো বন্ধ ও পাইছ, তবুও?
-জ্বি।
-তোমার না সামনে জেএসসি পরীক্ষা, তুমি তো
পড়াশুনায় করো না।
-লাবনী উঠে চলে গেল, অর্ণব রাগ রাগতে না পেরে
পড়াব না বলে চলে আসে।
পরেরদিন
-স্যার আসবেন না?
-তুমি কে? কেন ফোন দিছ? আর কেনই বা যাব?
-স্যার কানে ধরছি, আপনি যা পড়া দিবেন সবই দিব।
-অন্য কারো থেকে পড়ো। তুমি অনেক অহংকারী, প্রায়
সময় আমার মুখে মুখে কথা বলো!
-(কাদো কাদো কন্ঠে) স্যার আর করব না।
- আচ্ছা! কাল আসব। ওকে? কাদবা না।
-স্যার ফোন রাইখেন না প্লিজ।
- কিছু বলবা?
- জ্বি স্যার, স্যার আপনি কি কাউকে ভালবাসেন?
-রাখছি, অন্য কথা বললে বলো।
-লাবনী আবার রেগে বলে অহংকারী কে?
-তুমি তো ছাত্রী! প্রেম নিয়ে কি বুঝবা?
রাখছি বলে ফোনটা রেখে দেয় অর্ণব।
লাবনী অর্ণবের ছাত্রী। দুজনের মাথা অনেক গরম, রাগ
অনেক বেশি। যেমন শিক্ষক তেমন ছাত্রী। অর্নব মাঝে
মাঝে বকে লাবনী সহ্য করে অনেক কষ্ট করে। অর্ণব
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে অনেক কষ্টের পরে এই
টিউশন টাই পেয়েছিল। মেয়ে টিউশন মানেই ভয় পাই।
প্রথম দিন থেকেই লাবনী অর্ণবকে চাপে রাখে। অর্ণব
আরেক ঘাড়ত্যাড়া। লাবণীকে চাপে নিয়ে আসে।
একপর্যায়ে লাবনী দুর্বল হয়ে যায় অর্নবের কাছে। তবুও
ঘাড়ত্যাড়ামি কমে না।
পরেরদিন অর্ণব গিয়ে লাবনীকে লম্বা পড়া দিয়ে আসে
লাবনীর সাথে কথা না বলে বের হওয়ার আগে নাস্তা
করবেন না?
-না।
-চলচল চোখে লাবনী বলে অনেক দোষ করে ফেলছি!
ক্ষমা করে দিয়েন।
-অর্নবের মনটা নরম হয়ে যায়। বসে, নাস্তা করে, অর্ধেক
চা রেখে বিস্কুট খাওয়ার সময় লাবনী বাকি চা টা
খেয়ে নেয়। অর্ণবের পা'য়ের উপর পা রাখে লাবনী,
লজ্জায় অর্ণব মাথা নিচু করে থাকে।
একদিন অর্নব লাবনিকে ডেকে বলে, প্লিজ তুমি আমার
সব পাড়াগুলো দিও। তোমার কথার বাইরে যাব না আমি।
লাবনি খুশি হয়ে বলে ঠিক আছে।
আজ লাবনীর বার্থডে, লাবনীর বাবা অর্নব কে দাওয়াত
দেয়। সবাই নানা রকম গিফট আনে। অর্ণব ও আনে। অর্নব
লাবনীকে হাতে দিয়ে বলে এটা একা খুলবা। লাবনী
বার্থডে শেষ করার পর রাতে গিয়ে বক্স টা খোলে দেখে
তার নিজের ছবি খুব সুন্দর ভাবে আকা একটা ফ্রেমে
বাঁধানো। লাবনী অবাক হয়ে অর্নবকে ফোন দেয়
-এই ছবিটা কে একেছে?
-যিনি গিফট করেছে তিনিই।
-আপনি ছবি আকতে পারেন?
-হু, গিফট টা কেমন হলো?
-অনেক সুন্দর।
-ঠিক আছে, কাল ট্রিট দিও।
-না দিব না।
-আচ্ছা দেখি দিবা কিনা!
এইভাবে চলতে চলতে লাবনীর ফাইনাল এক্সাম সামনে
চলে আসে। লাবনীর বড় ভাই নাই, বাবা ব্যস্ত, পরীক্ষার
কেন্দ্র দূরে হওয়ায় লাবনীর বাবা অর্নব কে বলে
প্রতিদিন দিয়ে আসতে। অর্নব প্রথমে কাচুমাচু করলে
(দেখানোর জন্য) পরে মেনে নেয়। শেষ পরীক্ষার আগের
দিন অর্নব অঝোরে কাদে কাল টিউশন টা চলে যাবে
তেমন দেখতে পারবে না লাবনীকে। লাবনীও
কান্নাকাটি করে।
পরীক্ষার শেষে ২ দিন পর লাবনীর বাবার ফোন,
-অর্ণব, লাবনী তো ভর্তি পরীক্ষা দিবে যদি তুমি আবার
কন্টিনিউ করতা তাহলে ভাল হতো।
-অর্ণবের চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে, এমন খুশির
সংবাদে অর্নব আবার দেখতে পাবে লাবনীকে।।
আবার পথ চলা হবে..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com