Breaking News

গল্প: এক টুকরো বিশ্বাস || পর্ব:০৪

হঠাৎ দরজায় কলিং বেল বেজে উঠল ।খুলে দেখলাম রাশেদ দাড়িয়ে আছে ।আমি কিছুটা আশ্চর্য হয়ে বলি
আমি : রাশেদ তুমি???
রাশেদ:হ্যাঁ, মায়া আমি,,,,,
আমি:এখানে কেন এসেছ?? 
রাশেদ:মায়া আমাকে মাফ করে দাও।অনেক বড় ভুল করছি ।আমার ভুলের শাস্তি আমি পেয়েছি ।আমার সাথে চল মায়া ।
আমি:মানে কি ।?? তুমি জানো না আমি এখন বিবাহিত ।আমি আবির এর স্ত্রী ।কোন মুখে তুমি এইসব কথা বলছ?
রাশেদ:আমি জানি ।কিন্তু আমি তোমাকে আর আমার মেয়ে ছাড়া থাকতে পারব না ।অনেক মনে পড়ে তোমাদের কথা।প্লিজ আমার সাথে চল ।
আমি:তুমি পাগল হয়ে গেছো ।আর তনয়া আমার আর আবিরের মেয়ে তোমার না ।
রাশেদ:এই কথা বলো না ।
এই বলে রাশেদ আমার হাত ধরে ফেলে। আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করি এই সময় আবির এসে পড়ে ।আবিরের দুই চোখ রেগে লাল হয়ে আছে ।আবির রাশেদ কে আচ্ছা মত মারল ।রাশেদ মার থেকে বাচার জন্য পালিয়েছে ।আবির এমন মার দিসে আর জীবনে ও রাশেদ এই বাড়িতে আসার সাহস পাবে না ।আবির আমার হাত ধরে বাসায় ভিতরে ঢুকে আমার বলল
আবির:ও এখানে কেন এসেছিল??
আমি:আমার থেকে মাফ চাইতে 
আবির:না কি তোমাকে ফিরিয়ে নিতে ।
আমি :আবির ও বললেই তো আমি আর ওর কাছে যাব না ।
আবির :যাবে না কেন ও তো তোমার আগের স্বামী ।আবার আমাকে ছেড়ে যেতে চাইছ ?? 
আমি:আবির কি বলছ তুমি?? 
আবির:অনেক হয়েছে আর না ।আজকে এমন কিছু করব যাতে তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে না পার।
আমি:মানে কি আবির ?? 
আবির আমাকে টানতে টানতে রুমে নিয়ে যায় আর খাটে ছুড়ে ফেলল ।আমার শাড়ির আঁচল খুলে ফেলে আর এলোপাথুরি চুমু দিচ্ছে ।আমি আবিরকে বাঁধা দেওয়ায় চেষ্টা করছি 
আমি:আবির ,প্লিজ ।আমি এখন তৈরি না আমার কিছু সময় লাগবে 
আবির:যাতে তুমি রাশেদ এর কাছে যেতে পার।
আবির আমার আর কোন কথা না শুনে ই আমার উপর হিংস্র হায়নার মতো কামড়া দিচ্ছে ।আমি ব্যথায় ছটফট করছি ।কিন্তু আবিরের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই ।আবির ওর মত কাজ করে যাচ্ছে ।এক সময় আবির ক্লান্ত হয়ে আমার পাশে শুয়ে পড়ে ।আবির আমার ঘাড়ে চুমু দিয়ে বলে 
আবির:মায়া আমাকে মাফ করে দিও ।আমি এই দিনটা অন্য ভাবে করতে চেয়েছিলাম।রাশেদ কে দেখার পর থেকেই আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল ।আমার মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমি তোমাকে হাড়িয়ে ফেলব ।
আমি:এক টুকরো বিশ্বাস যদি আমার প্রতি তোমার থাকত তাহলে আমার সাথে এমন করতে পারতে না । 
আমি উঠে সাওয়ার নিলাম এসে দেখি আমার শাশুড়ি মা আর তনয়া চলে এসেছে ।তনয়া আবিরের সাথে খেলছে ।এই দিনের পর থেকে আমি আবিরের সাথে কোন কথা বলি না। আবির অনেক চেষ্টা করে ।কিন্তু আমাকে মানাতে পারে নি ।একদিন আবির অফিস থেকে বাসায় আসতে দেরি করছে ।আমার চিন্তা হতে লাগল ।একটা বেজে গেছে আবিরের কোন খোঁজ নেই ।হঠাৎ আমার নাম্বারে ফোন আসে 
......:দেখুন মি আবির এর একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে ।
আমি:কী??
......:তাড়াতাড়ি এই ঠিকানায় আসুন।
আমি শাশুড়ি মাকে বলে ।সেই জায়গায় চলে আসি ।দেখি কেউ নেই ।হঠাৎ করে কে জানো আমাকে পিছনে জড়িয়ে ধরে ।স্পর্শ টের পেয়ে যাই আবিরের ।আবির আমার কানে ফিসফিস করে বলে 
আবির:Happy anniversary my jaan 
আমি পিছনে ফিরে আবির কে একটা ঠাপ্পর দিলাম আর বললাম 
আমি:পাগল তুমি।জানো তোমার চিন্তায় আমি মরিয়া হয়ে উঠেছি ।কত খারাপ খারাপ কল্পনা আসছিল আমার মাথায় ।তোমার যদি কিছু হয়ে যেত ।তাহলে আমার কি হত ।মা ,তনয়া ওদের কি হত ।
কথা বলার মধ্যে ই আমির আমার ঠোট কে নিজের দখলে নিয়ে আসল ।অনেকক্ষণ পর ছেড়ে দিল ।আমি হাঁপাতে লাগলাম। আবার কিছু বলতে নিলে আবির আমার ঠোঁট গুলো নিজের দখলে নিয়ে আসল ।এবার ও অনেকক্ষণ পর ছাড়ল ।আবির বলল
আবির:আর যদি একটা কথা ও বল তাহলে এই ঠোট ঠিক মত থাকবে না ।
আবির আমার হাত ধরে গাড়ি করে একটা হোটেলে উঠল ।আমি:আবির এখানে আমরা। বাসায় তনয়া আর মা অপেক্ষা করছে ।
আবির :আমি না বলছি তোমাকে কোন কথা বলতে না। আবার কিস করব ।আর মা কে সব বুঝিয়ে দিয়ে আসসি ।
আমি :এর মানে এই সব কিছুর মধ্যে মা ও জড়িত ?? 
আবির আমাকে একটা রুমে নিয়ে আসল ।রুমটি ছিল ফুলে সাজানো ।এখন আবিরের সামনে তাকাতে আমার লজ্জা করছে।আবির আমার পিঠে মুখ ডুবিয়ে বলে 
আবির :আজকে কি আমি আমার ভালোবাসা কে আমার করে পাব ।দিবে আমায় সেই অধিকার যেখানে শুধু আমার ইচ্ছা না তোমার ইচ্ছা তা ও থাকবে ।দিবে আমাকে। 
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছি ।আমি বললাম 
আমি:আবির ,আমি কি তোমাকে করতে পারব এক টুকরো  বিশ্বাস ।
আবির:ঠকবে না কথা দিচ্ছি ।
আমি আবিরের ঠোঁট এর সাথে ঠোট মিলিয়ে দেই ।আবির অনুমতি পেয়ে গেছে ।আজকের রাত আমাদের এক ভালোবাসার রাত ।আমরা একজন আরেকজন কে উসর্গ করে দিচ্ছি ।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার গায়ে পাতলা একটা কাপড় আর আবির আমার দিকে তাকিয়ে  ডেভিল মার্কা হাসি দিচ্ছে।লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে আছে ।তখনি আবির বলল
আবির :কাল রাতে কি তোমাকে ভূতে ধরেছিল ।
আমি ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করি 
আমি:মানে ।
আবির:না মানে ।তোমাকে কালকে নতুন রুপে দেখলাম ।জানো আমার শরীর ব্যথা করতাছে ।
আমি কোন কথা না বলে এক দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে গেলাম ।আর হাসতে লাগলাম ।কিন্তু হঠাৎ আমার মনে একটা ভয় আসল এই সুখ যদি আমার কপালে না সয় ।হোটেল থেকে বের হয়ে আমরা বাসায় পৌছালাম। কয়েকদিন পর হঠাৎ আমি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাই আর বমি বমি ও হয় ।আবির আমাকে ডাক্তার কাছে নিয়ে গেলে আবির আর আমার কিছু টেস্ট করানো হয় ।বাসায় আসার সময় আবির আমাকে বলে 
আবির:আমার মনে হয় তনয়ার খেলার সাথী দরকার ।
আবিরের কথা শুনে আমার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আছে ।
পরের দিন রিপোট দিল ।আবিরের কাজ থাকায় আমি যাই ।ডাক্তার বলল আপনার শরীর দুর্বল ।এর জন্য এমনটি হয়েছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল ।ডাক্তার কে বললাম 
আমি:আমার হাসব্যান্ড এর রিপোর্ট টা 
ডাক্তার:ও আপনি কি জানেন আপনার হাসব্যান্ড কখনো বাবা হতে পারবে না ।
আমি:কি ??
ডাক্তার:হ্যাঁ, উনি অক্ষম ।উনি কখনো বাবা হতে পারবে না ।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল ।মনে মনে বলতে লাগলাম এর জন্য ই কি আবির আমাকে বিয়ে করেছে ।এত বড় সত্যি কথা আবির আমার কাছ থেকে লুকায় কি করে
 

চলবে 
সব রহস্য ফাঁস ।আপনারা তো আমাকে ভয় ই পাওয়াইয়া দিলেন ।আচ্ছা sad ending এর ব্যপারটা skip করছি ।কারণ আজকে যেই ধাক্কা খাইসেন এর জন্য একটু সময় দরকার। 
আর আপনারা আমার গল্পে এত ভালো রিয়েক্ট করছেন এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com