ভালোবাসার নীল জোছনা | পর্ব ৪
– আপনার মোবাইলটা একটু দিবেন প্লিজ, একটা ফোন করবো। (দিয়া)
– কেন মোবাইল নেই আপনার? (রাহুল)
– ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে। (দিয়া)
রাহুল আর কিছু না বলে মোবাইলটা এগিয়ে দিলো। দিয়া কথা বললো এরপর ফোনে। কাকে যেনো ও কোথায় আছে তার লোকেশন জানালো, এরপর মোবাইলটা রাহুলকে ফিরিয়ে দিলো। রাহুল কিছু না বলে আবার গেম খেলতে লাগলো।
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেল। রাহুল দিয়ার সাথে কথা তো বললোই না, তাকালো না একবারও। দিয়াও দূরে চুপচাপ বসে রইল। কিছুক্ষণ পর একটা সিএনজি আসলো বাইরে। দিয়া সিএনজিতে উঠে চলে গেল, কিছু বললো না রাহুলকে। রাহুলও কিছু বললো না। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে একটু বৃষ্টি কমলে সেও বাড়ি চলে গেল।
পরেরদিনও কাজে যাবার সময় ওদের মধ্যে কোনো কথা হলো না। কিন্তু যখন ওরা কলেজে রিপোর্ট জমা দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে সেসময় দিয়া রাহুলকে ডাক দিলো।
– রাহুল একটু শুনবেন।
– বলুন। (রাহুল)
– কালকে আপনার মোবাইলটা দেয়ার জন্য থ্যাংকস। (দিয়া)
– ওকে। আমি থ্যাংকস আশাও করিনি আপনার কাছে। (রাহুল)
– কেন? (দিয়া একটু অবাক হয়ে)
– যে মানুষটা একটু ভুল করে ধাক্কা দেয়ার পর সরি বলার পরও গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে তার কাছ থেকে কোনো সৌজন্যবোধ আশা করি না আমি। (রাহুল)
– আপনি সেদিনের কথা নিয়ে এখনো বসে আছেন? (দিয়া)
– সেদিনের কথা বাদ দিন, কালকেই বা আপনি কি করলেন? যে বৃষ্টির মধ্যে পুরো সময় আপনার সাথে ছিলো, তাকে একা ফেলে চলে গেলেন, যাওয়ার আগে বলেও গেলেন না একবারও কিছু? আমি আপনার বন্ধু না হতে পারি, মানুষতো। মানুষ হিসেবে সামান্য সৌজন্যবোধটুকু পাবো না। নাকি ছেলে হয়েছি বলে ওসব পেতে নেই আমাদের। (রাহুল)
দিয়ার মুখটা কালো হয়ে গেলো। ও রাহুলের দিকে তাকিয়ে বললো- আমার গল্পটা জানলে এ কথা বলতেন না আপনি।
– কি গল্প? (রাহুল)
– থাক শুনে কি করবেন? (দিয়া)
– না আমি শুনবোই। (রাহুল)
– আচ্ছা শুনুন তবে। ক্লাস নাইনে থাকতে প্রেমে পড়ি আমি, আমাদের ক্লাসের এক ছেলের উপর। ওকে অনেক ভালোবাসতাম, নিজের চাইতেও বেশি। একদিন আমাকে ওদের বাসায় ডাকলো। ওদের বাসায় সেদিন কেউ ছিলো না, কিন্তু আমি তা জানতাম না। ও খালি বাসাতে জোড় খাটাতে চায় আমার ওপর।
চলবে……..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com