গল্পঃ পাপ । পর্ব - ০১
মিতু কিছুটা ভয় পেয়ে আমাকে বলল, রাকিব আমার কাছের বান্ধবিদের কাছে শুনেছি প্রথমবার নাকি অনেক কষ্ট হয়। তাই বলছি বিয়ের আগে এসব না করলে হয়না।
আমি মিতুকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
– দেখো সোনা তোমার কোনো কষ্ট হবেনা, আমি তোমাকে কষ্ট দিতে পারি।
— আমরা কবে বিয়ে করছি রাকিব?
– এইতো সোনা আর দুই মাস পর, চাকরির ইন্টারভিউ বেশ কয়েকটা দিলাম, তবে এটা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
চাকরিটা পেয়ে গেলেই দুই মাসের মধ্যেই আমি তোমাকে বিয়ে করবো। এই বলে আমি মিতুর ঘাড়ে কিস করতেই মিতু কেপে উঠল,
মিতু আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আমাকে,
– আমি আস্তে আস্তে মিতুর সব কাপড় খুলে ফেলাম, মিতু খুব লজ্জা পেয়ে ওড়না দিয়ে তার শরীর ঢাকার চেষ্টা করছে।
আমি আমার কাপড় খুলে মিতুর শরীর থেকে ওড়নাটা সরিয়ে ফেললাম, অতঃপর মিতুর উপরে ঝাপিয়ে পড়লাম হিংস্র পশুর মতো।
– রাকিব আর কতক্ষন, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
— এইতো জান হয়ে গেছে আরেকটু ধৈর্য ধরো।
– আহা রাকিব আমার লাগছে খুব…
.
সবশেষে বিছানায় শুয়ে আছি মিতু আমার বুকের উপর।
আমি মিতুর বুকে হাত বুলাতে বুলাতে মিতুর ঠোটে একটা কিস করলাম।
মিতু অনেকটা বিরক্ত হয়ে উঠে জামা কাপড় পড়ে নিল, আমিও উঠে কাপর পড়ে নিলাম।
– হোটেল রুম থেকে বের হয়ে মিতুকে একটা রিক্সায় উঠিয়ে দিলাম, মিতুর চোখে পানি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছালো কিন্তু সেদিকে আমার কোন খেয়াল নেই।
-আমি একটা ঢং দোকানে বসে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট খাচ্ছি।
মিতুর সাথে রুম ডেট করতে পারায় খুশিতে যেন বুকটা চারচার হয়ে আছে।
-আমি রকিব, এইতো সবেমাত্র অনার্সে উঠলাম। আর মিতু ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী, ছাত্রী হিসেবে যেমন ভালো দেখতেও খুব সুন্দর।
কলেজের প্রতিটা ছেলেই মিতুর জন্য পাগল, তেমন বড়লোক না মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মিতু।
অনেক ছেলেই মিতুকে প্রপোজ করেছিল কিন্তু সে কাউকেই পাত্তা দেয়না।
.
-একদিন বন্ধুদের সাথে চ্যালেন্জ করি মিতুকে পটানোর, এবং আমি চ্যালান্জে জিতে যাই।
মিতু বাইরের গোল চশমা পড়া রাকিবকে ভালোবেসেছে, কিন্তু ভিতরের রাকিব সম্পর্কে মিতুর একটুও ধারনা নেই।
– মিতুর সাথে রুমডেট করার ইচ্ছা ছিলো, আর আজ সেটাও করে ফেললাম,
হটাৎ ফোনের রিংটান বেজে ওঠায় ফোনটা বের করে হাতে নিয়ে দেখি মিতু ফোন করেছে,
মিতু ফোন করায় কেমন যেন বিরক্তবোধ হতে লাগল, তাই ফোন কেটে দিলাম।
আমার যেটা দরকার ছিলো আমি সেটা পেয়ে গেছি, মিতুর থেকে আরো কতো ভালো মেয়ে আমি পাবো।
-এদিকে মিতু বারবার ফোন দিয়েই যাচ্ছে তাই রাগ করে ফোন রিসিভ করলাম,
– দেখতেইতো পাচ্ছ ফোন কেটে দিচ্ছি, তারপরেও বারবার ফোন দিচ্ছো কেন?
— কি হয়েছে রাকিব তোমার তুমি এরকম করছো কেন?
– কই কিছু হয়নি তো, (মিতুর সাথে আরেকবার রুমডেট করতে হবে তাই ভালোভাবে কথা বলতে হবে।)
— তহলে তুমি তো এরকম ছিলেনা, যতোই ব্যাস্ত থাকনা কেন একবার কল দিলেই রিসিভ করতা।
– আসলে চাকরির জন্য প্রয়োজনিয় কিছু কাগজ পত্র জমা দিতে গেছিলামতো তাই রিসভ করতে পারিনি, আচ্ছা আর এরকম হবেনা এই যে কান ধরছি।
— আচ্ছা ঠিক আছে
– আর সোনো তুমি কি পিল খেয়েছো?
— হু খেয়েছি
– হু ভালো করেছো, আচ্ছা এখন রাখি পরে কথা বলবো, চাকরির জন্য কিছু কাগজ জগার করতে হবে, বাই।
— ঠিক আছে, বাই।
.
কিছুদিন পর ফোন দিয়ে আরকেবার রুমডেট করার জন্য মিতুকে বললাম, মিতু কিছুতেই রাজি হচ্ছেনা।
– প্লীজ মিতু শুধু আর একবার,
— না রাকিব বিয়ের আগে আর একবারো না, অমার খুব ভয় হয় যদি কেউ দেখে ফেলে তখন কি হবে?
ঠান্ডা মাথায় মিতুকে অনেক্ষণ থেকে বোঝালাম, শুধু আরেকবার। তাতেও কাজ হলোনা।
মিতুর সাথে রুমডেট করার সময় লুকিয়ে ক্যামেরা সেট করে রিখেছিলাম।
সেই ভিডিওয়াটা মিতুকে মেসেজ করে দিয়ে ভিডিওটা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্লাকমেইল করলাম, তাতেই মিতু রাজি হলোনা।
উলটা আমাকে খারাপ, শয়তান, বিশ্বাসঘাতক আরো অনেক কিছু বলে আমার বাবা মাকে তুলে গালি দিল, তাই রাগ করেই ভিডিওটা Facebok, internet এ ভাইরাল করে দিলাম।
.
আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে ভাইরাল করা ভিডিওটি দেখছি আর হাসছি,
নিমিষেই কিছুদিনের মধ্যে যেনা ভিডিওটি সারা বাংলাদেশ ছেয়ে গেলো।
আর এদিকে মিতুর ফেসবুকে মেসেজ আসতে লাগল,
– ডার্লিং তুমিতো সানিলিওন এর থেকে কম না, তোমার ফিগারটা সেই।
– এই হট বেবি, একরাতের জন্য কত নিবা?
– ভিডিওতে তোমাকে খুলামেলা দেখে আমি একদম পাগল হয়ে গেছি।
– তোমার ঠিকানা দাও, বেশিনা একরাত দিলেই হবে।
আরো অনেক মেসেজ এসেছে এইসব মেসেজের থেকেও বেশি নোংরা নোংরা।
মিতু বিছানার একটা কোনে বসে বসে চোখের জল ফেলছে, রাকিব তার বিশ্বাসের এই মূল্য দিবে ভাবতে পারেনি।
কিছুক্ষণ পর মিতুর বাবা ও তার ভাই মিতুর রুমের দরজা ধাক্কাতে লাগল,
মিতু ভাবছে তার এই মুখ কিভাবে তার বাবাকে দেখাবে, বাবার যে অনেক স্বপ্ন ছিলো আমাকে নিয়ে।
আমি এই সমাজেই বা মুখ দেখাবো কি করে,
দরজা ধাক্কানো আর মিতুকে রাগী সুরে ডাকার আওয়াজ বেড়ে যেতে লাগল….
চলবে..??
❤
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com