গল্পঃ হুজুরের বউ | তৃতীয় পর্ব
কোন এক নরম শরীরের গরমে মাঝ রাতে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, তাকিয়ে দেখি তামান্না আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে, আমি তো অবাক মাঝ খানের কোল বালিশ কই?
আর থাকতে পরলাম না, তাকিয়ে দেখি তামান্না গিডগিড করে কাঁপছে আর বিড়বিড় করে কি জানি বলছে, ওর কপালে হাত দিয়ে দেখি প্রচুর জর এসেছে, ওকে অস্তে করে আমার বুক থেকে নেমে গায়ে কম্বল টেনে দিয়ে, মাথায় পানি ও কপালে পট্টি দিয়ে দিলাম।
,
সকাল বেলা তামান্নার ডাকে ঘুম ভেঙ্গে দেখি ও চা নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
তামান্নাঃ থ্যাংক ইউ, রাতে সেবা করার জন্য, উঠে চা খাও।
আমিঃ thanks বলে ধন্যবাদ দোয়াতে কোন ফায়দা নেই, তুমি যদি thanks এর জাগায় জাঝাকাল্লাহ বলো তা হলে পৃথিবীর সর্ব উত্তম বদলা দেয়া হবে, জাঝাকাল্লাহ এর অর্থ আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দ্বান করুন।
আমিঃ আগে এক। গ্লাস পানি খাওয়াবে?
তামান্না কোন কথা না বলে পনি নিয়ে এলো।
আমিঃ এখন তোমার শরীর কেমন লাগছে?
তামান্নাঃ ভালো।
.
আমি যোহরের নামায পড়ে বাসায় এসে দোখি তামান্না খাবার নিয়ে বসে আছে।
আমি ঃ সালাম দিয়ে বললাম এখন কেমন লাগছে?
তামান্নাঃ ভালো। এসো এক সাথে খানা খাই আজ আমি রান্না করেছি।
আমিঃ আব্বু আম্মু খেয়েছে?
তামান্নাঃ না। তমি বসো আমি ডাকতেছি।
,
খাওয়ার ফাকে কিছু আলোচনা করা যাক
( সালাম দ্বারা একে অপরের প্রতি মোহাব্বত সৃষ্টি হয়)
সালাম দেয়ার ব্যাপারে হাদীসে অনেক উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, সালাম সুধু বড়দের কিংবা মুরুব্বিদের দিতে হয় এমনটা নয় সালাম ছোট বড়, চেনা অচেনা, আত্বিয় অনাত্বিয় সবাই কে দিতে হয় এব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে যে,
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত যে কোন এক ব্যাক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাই ওয়া সাল্লম কে জিঙ্গাস করলেন মোসলমানের উত্তম সভাব কোনটি তখন হুজুর সল্লা্ল্লাহু আলাইহিসালাম বললেন মানুষ কে খানা খাওয়ানো এবং চেনা অচেনা সবাই কে সালাম দেয়া।
( বোখারী হাদীস নং ৬২৩৬)
(মেশকাত নং ৪৫১৮)
ছোটদের কেও যে সালাম দিতে হয় তা বুঝাযায় রাসুলের এই হাদিস দ্বারা,
হযরত। আনাছ রা. থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লহ সল্লল্লাহু আলাইহিসালাম যখন ছোট বাচ্চাদের নিকট দিয়ে যতেন তখন। তিনি বাচ্চাদের সালাম দিতেন।
( সহীহ বোখারী হাদীস নং ৬২৩৭)
(সহীহ মুসলিম ২১৬৯)
(মেশকাত ৪৫২৩)
আবু উসামা রা. থেকে বর্ণিত নবী (সা) ফরমাইয়াছেন যে আল্লাহ তালার সব থেকে নিকটবর্তী ঐ বেক্তি যে আগে সালাম করে।
( আবু দাউদ হাদীস নং ৫১৯৭)
তিরমিযি ২৬৯৪
(মেশকাত ৪৫৩৫)
,
,
আমিঃ বিকেল বেলা তামান্না কে বললাম রেডি হও নীল সাগর বেড়াতে যাবো।
তামান্নাঃ সত্যি নিয়ে যাবে বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো, আমিতো পুরোটাই অবাক, মনে হলো জান্নাতের কোন এক হুর আমাকে জড়িয়ে ধড়লো কিন্তু সেটা স্থায়ী হলো না। দই সেকেন্ডের মাথায় আমাকে ছেড়ে দিয়ে অপরাধির কন্ঠে বললো,,, সরি,,
তামান্নাঃ কিন্তু আমি একটা স্মাট মেয়ে হয়ে তোমার মতো হুজুরের সাথে বেড়াতে যাবো তা হতে পরে না।
আমিঃ না গেলে নাই আমি একাই যাবো।
তামান্নাঃ বিড়বিড় করে বললো কেমন মানুষ রে বাবা একবার বললাম যাবো না এজন্য আরেক বার যাওয়ার জন্য জোরও করলো না।
আমিঃ কি হলো যাবে?
তামান্নাঃ শুধু মাথা নেড়ে হাঁ সূচক জবাব দিলো।
আমিঃ তবে যাওয়ার জন্য শর্ত আছে
তামান্নাঃ কি?
আমি ঃ বোরকা পরে যেতে হবে তোমার জন্য একটা কলো বোরকা বানিয়েছি, আমি তো হুজুর আমার সাথে বোরকা ছারা যেতে পারবে না। আর বোরকা ছাড়া কোন। মেয়ে কে কোন হুজুরের সাথে ঘুরে বেড়ানো মানায় না ।
( পর্দাবিহিন চলাফেরা করা বৈধ নয়)
তামান্নাঃ বোরকা কি ভাবে বানালে তুমি তো আমার মাপ জানো না?
আমিঃ যখন তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তখন তোমার মাপ নিয়েছি।
তামান্নাঃ কিছু না বলে বোরকা পড়ে রেডি হয়ে এলো।
,
বাহ কি সুন্দর লাগছে তাকে বোরকায়।
মনে হয় কোন কোহিনুর হিরা কালো পর্দার ভিতর ঝলমল করছে।
নদীর ধারে নরম ঘাসের উপর দিয়ে দুজন হাটছি, আমি মনে মনে ভাবছি যদি তামান্নার হাত ধরা যেত! তার অনুমতি নিয়ে ধরবো না হুট করে ধরে ফেলবো।
ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তে ওর হাত ধরে ফেললাম,
তারপর যা ঘটলো আসলে তা অবাক করা কান্ডো।
,,
চলবে ইনশাআল্লাহ………… ।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com