তারে আমি চোখে দেখিনি | পর্ব - ১৫
মায়ার কথা শুনে মাহির একটা মুচকি হাসি দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়। আর মায়া পা টিপে টিপে উঠে এসে ওয়াশরুমের বাইরে থেকে দরজায় লক লাগিয়ে দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাষ ছাড়ে।তারপর চুপিচুপি আবিরের ফোন নাম্বার মনে করে ফোন লাগায়। আবির ফোনটা রিসিভ করতেই মায়া ইচ্ছা মতো বকা দিতে থাকে।
মায়াঃ বার বার ফোন করে বিরক্ত করছেন কেন হুমমম? ঘড়ে কি মা বোন নেই?
আবিরঃ আরে আরে কে আপনি? আমি আপনাকে কখন ফোন করলাম? আমি তো আপনার নাম্বারটাই চিনি না।
মায়াঃ তাই বুঝি? কাল থেকে ফোন দিয়ে জ্বালিয়ে যাচ্ছেন।আর এখন বলছেন আমাকে আপনি চিনেনই না।ফাজলামো করেন?
আবিরঃ দেখুন আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। আমি এসব করি না!
মায়াঃ একদম ভালো সাজবেন না আপনারই তো ফোন না…ম্বার…
আবিরঃ কি বললেন?
মায়াঃ ছরি ভুল হয়ে গেছে
আবিরঃ মানে?
মায়াঃ আসলে আমার যেই সিমে আন-নন নাম্বারটা থেকে বার বার ফোন আসছিলো সেটা বিরক্ত হয়ে চেঞ্জ করে ফেলেছি।আর তাই এই সিমে নাম্বারটা উঠাতে গিয়ে ছয়ের জায়গা নয় বসে গেছে।মাত্র চোখে পরলো প্লিজ কিছু মনে করবেন না।
আবিরঃ দেখেছেন বলেছিলাম না আমি না?
মায়াঃ হুমমম। সত্যিই ভুলটা আমার। তারজন্য আমি লজ্জিত।
আবিরঃ নাহ নাহ ঠিকাছে। আপনি যে ভুলটা বুঝতে পেরেছেন এটাই বেশি।
ওদিকে ওয়াশরুমের ভেতর থেকে মাহির দরজায় নক করতে থাকে।আর চিৎকার করে জোড়ে জোড়ে মায়াকে ডাকে।মায়া ঝটপট আবিরের কলটা কেটে দিয়ে ওয়াশরুমের লকটা খুলে দেয়।
মায়াঃ কি শুরু করেছেন আপনি? চিৎকার করে সারা বাড়িশুদ্ধ লোককে জানাবেন নাকি?
মাহিরঃ দরজা কেন লক করেছিলে?
মায়াঃ আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই।
কথাটা বলেই মাহিরকে একটা ভেংচি কেটে চলে যেতে লাগে মায়া। আর মাহির মায়ার হাতটা টেনে ধরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। তারপর মায়ার মুখের কাছে নিজের মুখটা এগিয়ে আনে।তারপর বলে,
মাহিরঃ তুমি সবসময় শুধু মনে যা আসে তাই করো। তোমার এসব ছেলেমানুষী যে কখনো শুধরাবে না তা আমার বেশ ভালোভাবে বোঝা হয়ে গেছে।
মাহিরের এতো কাছে আসাতে মায়ার অসহ্য লাগতে থাকে।
মায়াঃ ছাড়ুন আমাকে।
মায়া নিজেকে মাহিরের থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেস্টা করে।
মায়াঃ ছাড়ুন আমাকে।
মায়া নিজেকে মাহিরের থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেস্টা করে।
মাহিরঃ কি ছাড়বো?
একটু মুচকি হেসে মাহির আরও শক্ত করে মায়াকে চেপে ধরে।আর মায়া নিজেকে মাহিরের থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার নিরালশ চেস্টা চালিয়ে যায়।কিন্তু পারে না।মাহির মায়াকে নিজের সাথে জোড়িয়ে দেয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে, মায়ার গলায়, মুখে আর কপালে ঠোঁটের আলতো স্পর্শ ছুইয়ে দেয়।তারপর মাহির নিজের ঠোঁটজোড়া মায়ার ঠোঁটের কাছে আনতেই দেখে মায়ার চোখে পানি।যেটা দেখে মাহির হাত ছেড়ে দিয়ে এবার মায়ার গালটা আঁকড়ে ধরে।তারপর মায়ার কাছে জানতে চাই।
মাহিরঃ কাঁদছো কেন তুমি?
মায়াঃ দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার ছাড়ুন।
কথাটা শুনেই মাহির মায়াকে ছেড়ে দেয়। আর মায়া বিরক্তিকর দৃষ্টিতে মাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ।কিছুক্ষণ পর নিরাবতা ভেঙে মাহিরই প্রশ্ন করে মায়াকে।
মাহিরঃ ওভাবে কেন তাকিয়ে আছো?
মায়াঃ একটা ছোটলোক! লুচ্চা! লজ্জা করে না আপনার? আবার জিজ্ঞাসা করেন! আপনি না স্নিগ্ধাকে ভালোবাসেন? ছিঃ ইচ্ছে তো করছে আপনাকে!
মাহিরঃ কি?
মায়াঃ ঝাড়ু পেটা করতে।
মায়ার কথা শুনে আর রাগি দৃস্টিতে তাকাতে দেখে মাহির তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।কারণ মায়া যে রকম মেয়ে বলছে যখন করেও বসতে পারে।এখানে আর এক মুহূর্ত থাকলেই কুরুক্ষেত্র বেধে যাবে।তার চেয়ে বরং কেটে পরি।মনে মনে কথাটা বলতে বলতে বেড়িয়ে যায় মাহির।আর মায়া বসে বসে কাঁদতে থাকে।কান্নার মাঝে মাঝে থেমে থেমে বলে,
মায়াঃ আবার ছুয়ে দিলো।
দুপুর ১টার কাছাকাছি সময়,,,,
সারাটা সকাল ধরেই মাহির আজ মায়ার জন্য সারপ্রাইজ প্লানিং করেছে।স্নিগ্ধা বারবার কল করলেও আজ কেটে দিয়েছে। শুধুই মায়াকে নিয়ে ভাবছে। আর মায়াকে কি কি বলবে, কিভাবে বলবে তাই ভেবে চলেছে।আর এদিকে মায়া বারবার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আবিরকে অনুভব ভেবে ফোন করেছে।কথা বলতে বলতে আবিরের সাথে মায়ার সম্পর্কটাও গভীর হয়ে গিয়েছে এইটুকু সময়ের মধ্যে। সন্ধ্যার পর আবিরের সাথে মায়ার দেখা হবার টাইম ফিক্সড।
চলবে,,,,,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com