গল্পঃ লাভ চ্যালেঞ্জ
প্রতিটা স্টুডেন্টেরই একটা স্বপ্ন থাকে যে, সে সুন্দর করে পরিক্ষা দিয়ে, সুন্দর একটা রেজাল্ট করে তাঁর বাবা মা এর মুখ আলোক উজ্জল করবে।সে দেশ ও জাতীর গর্ব হবে।
সেই স্বপ্নটা পুরন হয়েছে নাফিজ, রাজ আর ওদের কয়জন বন্ধুর।
সবাই Ssc পরিক্ষায় অনেক সুন্দর রেজাল্ট করে তার বাবা মা এর সম্মানটা রেখেছে।পরিক্ষার পরে ওরা সব সময় দুষ্টুমিতে লিপ্ত থাকে।তবে মাঝে মধ্যে কিছু গল্প উপন্যাসের বই পড়ে সময় কাটায়।
ঐতো নাফিজ আর ওর বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছে।চলেনতো দেখি ওরা কি করতেছে।।
রাজ:-আচ্ছা নাফিজ! কলেজে তো ভর্তি হলাম। কিন্তু এখন ক্লাস কবে থেকে শুরু হবে তুইকি জানিস??
নাফিজ:-আবে ঐ কসকি?আমি জানিনা মানে? আজ থেকেই তো আমাদের ক্লাস শুরু হবে। আর তুই এখন আমাকে জিজ্ঞাস করতেছিস যে ক্লাস কবে থেকে শুরু হবে?? তোরনা সেই বাচ্চা কালের অভ্যাসটা এখন গেলনা।
রাজ:-কি করব বল? আমিত জানিনা তাই বললাম। জানলে কি আর তোরে জিজ্ঞাস করতাম।
আমার না দোস্ত! অনেক ভয় লাগতেছে রে,জীবনে প্রথম কলেজে উঠলাম। ওখানে নাকি বিভিন্ন স্কুলের স্টুডেন্ট থাকে।
কে কেরকম সেটাতো আর আমি জানিনা।তাই খুবই ভয় পাচ্ছি।
নাফিজ:-এই যে বাচ্চা ছেলে! তুই কার বন্ধু বলতো?
রাজ:-কার আবার সাঈদ নাফিজের বন্ধু।
নাফিজ:-নো টেনশন।ভয় পেলে চলবেনা।মনযোগ সহকারে পড়া শুনা করতে হবে। এস এস সি পরিক্ষায় যেমন আমরা A+ পেয়েছি।তেমনি ইন্টার পরিক্ষায়ও পাব।তাই আমাদের উচিত মন মানসিকতা ঠিক করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া।।
রাজ:-রাইট।
নাফিজ:-আচ্ছা দোস্ত! তাহলে বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে।আর হ্যাঁ! বাসা থেকে বের হবার সময় আমাকে একটা মিসকল দিস।রাকিব সালাতো বেড়াইতে গিয়েছে। কবে আসবে আল্লাহই জানে।
রাজ:-রাকিব আছে ওর লামিয়াকে নিয়ে বিজি।ওর কাজ ও করতে থাক।আমরা আমাদের কাজ করতে থাকি।
নাফিজ:-ঠিকআছে দোস্ত! বায়।
রাজ:- ঠিকআছে বায়।।
নাফিজ:-তাহলে আমি চলি বাসায়।
-ওহহো পরিচয় তো দিলাম না। পরিচয় কি দিতে হবে? সবাই তো চিনেনই আমাদের।তারপরেও সামাজীকতা রক্ষার্থে পরিচয় তো একটু দিতেই হয়।।
আমি হলাম সাঈদ নাফিজ,বাসা ফরিদপুর।আর ও হচ্ছে আমার দুষ্টু মিষ্টি হারামি বন্ধু রাজ। আর বললাম না রাকিব,ওটাও আমার হারামি বন্ধু।সব সময় প্রেম নিয়ে পড়ে থাকে।তাই আমরা তাকে প্রেম রাকিব বলেই ডাকি।
আচ্ছা পরিচয়তো দিলামই, এবার না হয় গল্পে ফিরে জাই।।আপনাদের সাথে পরিচিত হতে হতে আমার বাসায় চলে আসছি।
ঐতো আমার মা আসতেছে দেখি খাবার রেডি হইছে নাকি জিজ্ঞাস করি গিয়ে।
-মাগো! ওমা! কইগো তুমি।আমার আদরের কলিজার টুকরা মা টা কই তুমি।
মা:-কিরে এত ঢং করে ডাকতেছিস কেন??নিশ্চয় ভোগ (ক্ষুধা) লেগেছে।
নাফিজ:-একদম রাইট।আমার না প্রচন্ড ভোগ (ক্ষুধা) লেগেছে। রান্নাটা কি হয়েছে??
মা:-ওরে আমার বাজান রে। সারাদিন টো টো করে বেড়াবে আর খাবার সময় এসে ঢং করে বলবে যে মাগো!রান্নাটা কি হয়েছে।।
নাফিজ:-কি বলো মা! এতদিনতো স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল, তাই টো টো টো করে বেড়াইছি।
কিন্তু আজ থেকে তো আমার কলেজ শুরু, তাই দ্রুত খেয়ে কলেজে যেতে চাচ্ছি।।তোমার যেহেতু রান্না হয়নি তাহলে থাক, আমি কলেজ থেকে এসে না হয় খেয়ে নিব।
মা:-কি বলছিস? আজ তোর কলেজ শুরু??আমিতো জানিইনা।আগে বলবিতো।
নাফিজ:-হুম। আমি তাহলে জাই ফ্রেশ হয়ে নেই।তারপর কলেজে যাব।কলেজ থেকে এসে খেয়ে নিব।
মা:-আরে বোকা ছেলে।আমার রান্নাতো শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। আয় তোরে খাবার দেই।।
নাফিজ:-আচ্ছা ঠিকআছে, তুমি খাবার দাও,আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।।
-নাফিজ ওর রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলেন।তারপর খানা পিনা করে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলেন।।
রাস্তার পাসে দাড়িয়ে রাজের আসার অপেক্ষা করতে লাগলেন।।নাফিজদের বাসা থেকে রাজদের বাসার দ্রুত্ব হল ৬-৮ মিনিটের।
তারপর রাজ ঘর থেকে বের হলে ওরা দুজনে কলেজের দিকে হাটতে আরম্ভ করলেন।।
নাফিজ আজকে পোশাক পড়েছে হল সাদা একটা টি শার্ট, আর সাদা একটা ট্রাউজার। চোখে কালো ফ্রেমের একটা চশমা। এক কথায় বলতে পারেন যে, যে কেউ দেখলে ক্রাস খাবে।
রাজ:-আচ্ছা দোস্ত! তুই কি সব চাইতে সাদা রংটাই পছন্দ করিস??
নাফিজ:-সেটাতো আমার সমস্ত বন্ধুরাই জানে।। আমার পছন্দের রং হলো সাদা।আমি সাদা পোশাক পড়তে পছন্দ করি।
রাজ:-হুম সেটাতো আমি জন্মের পর থেকেই দেখে আসতেছি।এবং হয়ত মৃত্যু পর্যন্ত দেখব তোকে এই সাদা পোশাকে।
নাফিজ:-বেশি কথা বলিস না। কলেজে কিন্তু চলে আসছি।
রাজ:-ঠিকআছে চল।
-তারপর ওরা দুজন কলেজের গেইটের ভিতরে প্রবেশ করে সামনের দিকে হাটতে লাগলেন।
আজকে কলেজে অনেক স্টুডেন্ট। বিভিন্ন স্হান থেকে বিভিন্ন রকমের স্টুডেন্টের আগমন হয়েছে ।
হয়ত আজ কারো প্রথম কলেজ আর হয়ত কারো দ্বিতীয় বৎসরের প্রথম দিন ।তাই সকলেই এসেছেন আজ প্রথম হাজিরা দিতে।। নাফিজ ওদের ক্লাস রুমটা সন্ধান করতে লাগলেন।
হঠাৎ করে রাজ বলে উঠল যে….
রাজ:-দোস্ত! ঐ দিকে মনে হয় কোন গোন্ডো গোল লেগেছেরে।
নাফিজ:-কোথায়?
রাজ:-ঐতো হাতের ডানদিকের একটা গাছের পাসে কিছু বখাটে ছেলেরা হয়ত কোন ঝামেলা করতেছে।তা না হলে ওখানে এত ভিড় কেন।
নাফিজ:-চলতো দেখি কি হইছে।
রাজ:-ঠিকআছে চল।
নাফিজ আর রাজ ঐ গাছটির নিকটে গেলেন।এবং সেখানে উপস্হিত হয়ে দেখলেন যে, ৪-৫জন বখাটে ছেলে মিলে একটা মেয়েকে ডিষ্টার্ব করতেছে।। নাফিজ ঐদৃশ্যটা পিছন থেকে দেখে তারপর ওখানের একটা মেয়েকে জিজ্ঞাস করল যে,কি গয়েছে। মেয়েটা বলল যে ছেলে গুলো নাকি প্রতিদিনই এরকম করে নতুন নতুন মেয়েদের কে ডিস্টার্ব করে।নাফিজ এটা শুনে ওদের কে বললেন যে…..
নাফিজ:-কিরে ভাই,এখানে কি হচ্ছে??
বখাটে:-১:–কিরে তুই কেরে?? এখানে কি জন্য এসেছিস??
-নাফিজের কথা শুনে মেয়েটা ওর দিকে তাকাল। কি মায়াবী চোখ। চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়তেছে।
নাফিজ মেয়েটাকে কাঁদতে দেখে তারপর ওর হাত ধরে বললেন যে…
নাফিজ:-এই মে এদিকে আস??
তারপর মেয়েটা নাফিজের পাসে এসে দাড়ালেন।
বখাটে-২:- ঐ ছেলে,কেরে তুই?
ওর হাত ধরলি কেন???
নাফিজ:-বারে আমি ধরবোনা তো কে ধরবে।আমার মুরগি আর অন্যজন করবে ফ্রাই? এটা কি করে হয় বল??
বখাটে-৩:-তোর মুরগি মানে??
নাফিজ:- দেখ ভাই। বেশি কথা বলিসনা। বেশি কথা বললে কিন্তু খবর আছে।
বখাটে:-২ :- মেয়েটাকে ছেড়ে দে বলছি।। তুই কি জানিস ও কার মেয়ে??
নাফিজ:-আর তুইকি জানিস মেয়েটা আমার কে??
বখাটে:-১ :মেয়েটা কি হয় তোর??
নাফিজ:- আপনি চুপচাপ থাকবেন। যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিতে হবে।আর আমি যা বলব আপনি হ্যাঁ বা না বলবেন। (মেয়েটার কানে ফিসফিস করে বলল)
মেয়েটা:-মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সুচক সম্মতি জানালেন।
বখাটে:২:- কিরে তোরা কি প্লান করতেছিস আবার??
নাফিজ:- এই যে বখাটে ১, তুমি যেন কি বলেছিলে? মেয়েটা আমার কে তাইনা??
বখাটে ১:-হুম তাইতো জানতে চেয়েছি।মেয়েটা তোর কে হয় যে জার জন্য তুই আমাদের সাথে তর্ক করতে আসছিস।
নাফিজ :-ইনি হচ্ছে আমার হবু বৌ।মানে তোর হবু ভাবি বুঝলি?
মেয়েটা:-কি??? (আস্তে করে বলল)
নাফিজ:-উসকুতততত? (চুপ)
রাজ:-নাফিজ!ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে।ঝামেলার দরকার নেই।চল ক্লাসে জাই??
নাফিজ:-শোন ভাই তোদের কে একটা কথা বলি? তোরাকি কথাটা শুনবি??
বখাটে:-৪:-ঠিকআছে বলেন।
নাফিজ:-তোরাকি সব সময় এরকম করিস?
বখাটে গুলো:-হাহাহা এটাইতো আমাদের কাজ।
সুন্দরি মেয়ে দেখলে ডিস্টার্ব করা,তাদেরকে কিস করা, শিষ বাজানো এগুলোইতো আমাদের পেশা।
নাফিজ:- ওহ তাই।।
আচ্ছা ভাই শোন । মনে কর আমি একজন বখাটে।
রাস্তা ঘাটে তোদের মত আমিও মেয়েদের কে ডিষ্টার্ব করি সারাক্ষণ।
মনেকর প্রতিদিন এরকম ডিস্টার্ব করতে করতে হঠাৎ করে একদিন তোদের মধ্যে থেকে মনে কর বখাটে ১এর বোনকে এরকম ডিস্টার্ব করলাম।
তাকে একটা রুমে নিয়ে আমি নির্জাতন করলাম।
তারপর তাকে আমি ছেড়ে দিলাম।
মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে তোর কাছে গিয়ে সমস্ত ঘটনা বলল।
তুই যখন তোর বোনের চোখে নোনা জল দেখবি তখন তোর কেমন লাগবে??
তখন তোর মনেরভাবটা কেমন হবে?ঐ কথা শুনে তুই কি করবি তখন?
বখাটে:১:-আমিত তাহলে ঐ ছেলেটাকে জানেই মেরে ফেলব।
নাফিজ:-একটু থামেন।। আচ্ছা আপনি ছেলেটাকে কেন মারতে চাইবেন?
বখাটে ১:-কারন,আমার বোনকে সে নির্জাতন করেছে আর আমি কি করে বসে থাকি বল।
নাফিজ:-এই রোগেইতো গরুটা মরছে।
বখাটে ৩:-যেমন।
নাফিজ:-এই যে দেখ,তুই তোর বোনের নির্জাতনের কথা শুনে বসে থাকতে পারিসনা।
তার প্রতিবাদ করার জন্য তুই উঠে পড়ে লাগিস।
নিজের বোনের ডিস্টার্ব এর কথা শুনে কোন ছেলেই সুস্হ থাকতে পারেনা।।
যেমন তুইও প্রতিবাদ করতে চাচ্ছিস।
আর তোরা যে এই মেয়েটাকে এরকম করে কলেজে হাজারো স্টুডেন্টের মাঝে তাকে ডিস্টার্ব করতেছিস।
তাকে সকলের সামনে অপমান,অপদস্ত,লাঞ্ছনা করতেছিস,
এখন এই মেয়েটার ভাইয়ের কানে যদি এসব কথা শুনতে পায় তাহলে তার কেমন লাগবে???
তার মনে কি প্রতিবাদের আগুন জলে উঠবেনা??
সে কি চায়বেনা যে তার বোনের অপমান কারির প্রতিশোধ নিতে??
পৃথিবীর বুকে কি একমাত্র বোনকি শুধু তোদেরই আছে??
তোদের বোন ব্যাতিত অন্য যে সকল মেয়েরা আছে তারাকি কারো বোননা???
প্রতিটা মেয়েকে যদি নিজের বোনের মত করে দেখতে পারিস তাহলেকি আজ এরকম মা বোনেরা রাস্তা ঘাটে নির্জাতনের সম্মুখিন হত??তোদের কি কোন ক্ষতি করেছে এই মেয়ে গুলো? নিজের বোন মনে করে সম্মান করলেকি তোদের কারোকি কোন ক্ষতি হবে??প্রতিটা মেয়েই আমার বোন।তারা আমার মায়ের জাত।
আমি যদিও একজন বখাটে কিন্তু তোদের মত এরকম করে কোন মেয়েকে অসম্মান করিনা।তাদেরকে সম্মান করতে জানি।এটা আমার মা শিখিয়েছে।
তোরা একটু ভাল হয়ে চল দেখবি সমাজটা কত সুন্দর হয়ে যায়।
-নাফিজের কথা গুলো শুনে কলেজের অনেক স্টুডেন্টের আগমন ঘটেছে।সবাই কান দুটো উঁচু করে ওর বক্তব্য শুনতেছে।আর সবাই তাকে মনেমনে স্যালুট জানাচ্ছে।
বখাটেরা:-আসলে ভাই আমাদের ভুল হয়ে গেছে।প্লিজ ভাই আমাদের ক্ষমা করে দিন।
জীবনে আর কখন কোন মেয়েকে রাস্তা ঘাটে এভাবে ডিস্টার্ব করবোনা।
আমরা কখন এরকম চিন্তা করিনি।প্রতিটা মেয়েকেই বোনের চোখে দেখব আজ থেকে।
আপনার কথায় আমাদের চোখ খুলে গেছে।জিবনের ভুল গুলো এখন সামনেনে ভেষে আসছে।
নাফিজ:-ক্ষমা আমার কাছে চাইতে হবেনা।ক্ষমা এই মেয়েটার কাছে চাইবি।
তারপর প্রতিটা স্টুডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইবি।
-নাফিজের কথা শুনে বখাটে গুলো মেয়েটার পাঁ ধরে বলল যে….
বখাটেরা:- প্লিজ ভাবি আমাদের ক্ষমা করে দিন।আমাদের ভুল হয়ে গেছে।আমরা আর কখন এরকম কোন মেয়েকে ডিস্টার্ব করবোনা।
মেয়েটা:-(ভাবি! আমি আবার ভাবি হলাম কবে)
এই যে ভাইয়েরা।আমার পাঁ ছাড়ুন বলছি।
বখাটেরা:-ক্ষমা করেদিন, তা না হলে পাঁ ছাড়বোনা।
মেয়েটা:-ক্ষমা করে দিয়েছি।।কিন্তু আমাকে ভাবি বললেন কেন?
বখাটে:-স্যরি ভুল হয়ে গেছে।আর বলবনা।আবেগের ঠেলায় বলে ফেলছি।
নাফিজ:-এইযে বখাটেরা।এখানে অনেক স্টুডেন্ট উপস্হিত হয়েছে।তাদের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নাও।
বখাটেরা:-স্যরি ভাই।আমাদের ভুল হয়ে গেছে।প্লিজ ভাই তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দাও। আমরা কখন রাস্তা ঘাটে মেয়েদের কে ডিস্টার্ব করবোনা।তোমাদের কে প্রত্যক্ষদর্শী (সাক্ষি) রেখে বলে গেলাম।
প্লিজ ক্ষমা করে দিবা?
স্টুডেন্টরা’-ঠিকআছে ভাই,ক্ষমা করে দিলাম।আর যেন কখন এরকম কাউকে ডিস্টার্ব করতে দেখিনা।
স্যালুট নাফিজ ভাই। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাফিজ:-ধন্যবাদ।
আপনারা তাহলে ক্লাসে চলে যান।
স্টুডেন্টরা:-ঠিকআছে বস্ যাচ্ছি।
তারপর স্টুডেন্ট গুলো ক্লাসে চলে গেল।আর নাফিজ ঐ ছেলে গুলোকে বলল যে…..
এই যে বখাটে ভাইয়েরা! তোমাদের নাম বল?
আমি মুহাঃ সাঈদ নাফিজ।
বখাটেরা, আমি মফিজ,আমি মোকছেদ,আমি জয়নাল আমি রুস্তুম।
নাফিজ:-ধন্যবাদ।ভাল থাকিও। আর আমাদের জন্য দোয়া করিও
বখাটেরা:-ঠিকআছে ভাই ভাল থাকবেন।
-তারপর বখাটে গুলো চলে গুলো। আর নাফিজ তার পাসে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে বললেন যে….
নাফিজ:-এই যে LED হবু বৌ আপনার নামতো জানিনা। সেটা পরে জান্তে পারবো।এখন আপাতত আপনি আপনার ক্লাসে চলে যান।
আমিও চলে যাচ্ছি ক্লাসে।আর হ্যাঁ! নিজের জত্ন নিবেন।
মেয়েটা:-এইযে হ্যাঁলো! আপনার সাহসতো দেখছি কমনা।আমাকে হবুু বৌ বলার সাহস কে দিল আপনাকে।
নাফিজ:-রাজ ক্লাসে চল,অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে মনে হয়।
এই বলে নাফিজ সামনের দিকে হাটতে লাগলেন।
আর রাজ পিছনে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে বললেন যে…….
রাজ:-কিছু মনে কইরেন না।
ও এরকমই, এটা ওর ছোট বেলার অভ্যাস।আপনার নাম কি আপি।
মেয়েটা:-সুমাইয়া জান্নাত বিথী
রাজ:-সুন্দর নাম। ভাল থাকবেন।
ঐ যে আমার বস্ চোখ বড় করে তাকিয়ে
আছে।দেরি হলে আমার খবর আছে।।
এই বলে রাজ সামনের দিকে হাটতে আরম্ভ করলেন।
তারপর নাফিজের সামনে গিয়ে ওরে বললেন যে……..
রাজ:-এই নাফিজ!এ তুইকি ওরে চিনিস?
নাফিজ:-হুম চিনিত।
রাজ:-কবে থেকে চিনিস?আমারেতো জানালিনা।
নাফিজ:-এইত ৭মিনিট আগের থেকে চিনি।
রাজ:-এই ৭মিনিটের মধ্যেই তুই তাকে হবু বৌ বানিয়ে ফেল্লি??
নাফিজ:-হুমম।বাংলায় একটা প্রবাদ আছেনা?? ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা।তাই আমিও ভাবিয়া কাজ করতেছি।আর তুইতো জানিস আমার টার্গেট কখন বিফলে জায়না।যেটাকে টার্গেট করি ওটার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত আমি চুপ থাকিনা।
আমি তাকে বৌ বানাব ইনশাল্লাহ।এটা আমার চ্যালেঞ্জ।
রাজ:-হুম বুঝছি সব।এবার ক্লাসে চল।অনেক লেইট হয়ে গেছে মনে হয়।
নাফিজ:-এখন সময় হয়নি।আরো ৫-৭ মিনিট আছে।চল ক্লাসে গিয়ে সবার সাথে পরিচিত হয়ে নেই।
রাজ:-পরিচিত আর কি হবি।একটু আগে যে কাজ করলি তাতেই তো তোকে সবাই চিনে গেছে।
নাফিজ :- তারপরেও সবাইতো আমাকে চিনল কিন্তু আমিতো কাউরে চিননা।
তাই সবারবার পরিচয় নিব এখন।
(প্রিয় পাঠক! তোমার পরিচয় দিও কমেন্টে।)
রাজ:-ঠিকআছে চল।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com