গল্পঃ গার্লফ্রেন্ড |লেখাঃ সাঈদ নাফিজ
এই ছেলে এই একটু শোননা,একটা কথা আছে,আরে শুনিস না কেন?? আরে আমি তোকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছিস না!!(একটা মেয়ে)
-এই যে মিস!! আমাকে ডেকেছেন??(আমি)
-আরে এখানেতো শুধু তুই আছিস তাইনা?? তোকে ডাকবোনা তো কাকে ডাকবো বল??(মেয়ে)
-কি অশব্য মেয়েরে বাবা।
আমার মতো এতো সুন্দর একটা ব্রান্ডের ভদ্র ছেলেকে তুই করে বলতেছে।(গুনগুনিয়ে)
-কিরে কিছু ভাবতেছিস নাকি?? (মেয়েটা)
-নাহ কিছুনা, বলেন কি বলবেন।কি জন্য আমাকে ডেকেছেন?? দ্রুত বলেন আমার তাড়া আছে। (আমি)
-আরে এতো ব্যস্ত হচ্ছিস কেন,
আচ্ছা একটা উপকার করতে পারবি?? (মেয়ে)
-উপকার!! নাহ আমি উপকার করতে পারবনা, জীবনে অনেক উপকার করেছি তার বিনিময়ে পেয়েছে বাঁশ।। এখন আর কাউকে উপকার করতে মনচায়না।আর আপনি তো একটা মেয়ে,মেয়েদের বিশ্বাস করাটাতো কেয়ামতের আলামত।সো,দ্রুত কেটে পড়ুন এখান থেকে। (আমি)
-আরে আরে ভয় পাচ্ছিস কেন,আমি বাশ দিবনা প্রমিস করলাম।প্লীজ উপকারটা করনা,কথা দিলাম তোর কোন ক্ষতি করবনা। (মেয়ে)
কি করব বুঝতেছিনা,মেয়েটা যেহেতু এতো করে বলছে একটা উপকার না হয় করি,বাশতো জীবনে কম খেলাম না।আজকে না হয় আরেকটা খাই।
তারপর মেয়েটাকে বললাম,
-আচ্ছা ঠিকআছে,আমি আপনাকে উপকার করতে পারি তবে আমারও কিন্তু একটা উপকার করতে হবে।।যদি করে দেন তাহলে আমিও করতে পারি।।(আমি)
-আচ্ছা ঠিকআছে আমিও তোর উপকার করবো।তবে আগে আমার টা করে দে তারপর তোরটা।(মেয়ে)
-ঠিকআছে বলুন, কি করতে হবে?? (আমি)
-দেখ,আমি এই ঢাকার শহরে পালিয়ে আসছি।বাসা থেকে কেউ আমাকে ঢাকায় পড়তে দিবেনা।তাই আমি পালিয়েই আসছি।এখানে এসে কোথাও বাসা খুজে পাচ্ছিনা।।তাই ভাবছি তোরে বিয়ে করে দুজন মিলে একটা বাসা নিয়ে থাকবো।তুই কি বলিস??(মেয়ে)
-হায় হায় এই পেত্নিটা বলে কি??
এই আপনার কি মাথা খারাপ হ্যাঁ!! আমি আসছি এখানে পড়া শুনা করতে।
বিয়ে করতে আসিনি বুঝলেন?? (নাফিজ)
-ঐ দেখ!! বেশি প্যাক প্যাক করবিনা।
বিয়ে যদি না করিস, সালা তোর অবস্হা কি করি তখন বুঝবি।(মেয়ে)
-দেখেন দুলা বোইন।আপনার মতো এরকম গুন্ডি, পেত্নিকে আমি বিয়ে করতে পারবোনা।(নাফিজ)
-এই কি বললি?? দুলা বোইন?? আমারে দুলা বোইন বললি কেন?? (মেয়ে)
-বারে তাহলে কি বলবো?? আম্মু বলছে যে,রাস্তা ঘাটে কেউ যদি সালা বলে তাহলে যেন তাকে দুলা ভাই বলে চলে আসি।।এখনতো আমাকে কোন ছেলে সালা বলেনি যে তাকে দুলাভাই বলবো।
সালাতো বলেছে একটা পেত্নি।আর পেত্নিতো মেয়ে।তাই দুলাবোইন বললাম।(নাফিজ)
-কি??? তবেরে তোরে যে কি মাইর দিবনা সালা, একবার মাইর দিলেই বুঝবি আমি কি জিনিস।।তোকে এমন মাইর দিব,একটা লাথি মেরে চান্দে পাঠাই দিবো।।(মেয়ে)
-আপনার মতো গুন্ডিকেই দরকার।।আমাকে এতো সুন্দর উপকার না করে ফিরিয়ে দিবেন না প্লীজ!! প্রয়োজনে আমি আপনার স্বামি হবো।তবুও এই উপকারটুক করুন। (নাফিজ)
-এইতো লাইনে আসছিস, এবার বল তোর কি উপকার করতে হবে।।(মেয়ে)
-আমাকে একটা লাথি মেরে মঙ্গলে পাঠাই দিলেই হবে।।গরিব মানুষ।
টাকা পঁয়সা নেই যে মঙ্গলে যাব।
আপনি যেহেতু বিনা মূল্যে লাথি মেরে চাঁন্দে পাঠাতে পারেন,তাহলেতো নিশ্চয় মঙ্গলেও পাঠাতে পারবেন।তাই বলছি কি আমারে একটু মঙ্গলে পাঠিয়ে দিন! (নাফিজ)
-এতো দেখছি আমার চাইতে ডাবল ড্যাঞ্জারাস। এর সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে হবে বুঝছি।। আমার চাইতে কোন দিক দিয়ে কমনা।(মেয়ে)(মনেমনে)
-কি হলো দুলাবোইন।মঙ্গলে পাঠাবেন না??(নাফিজ)
-ঐ দেখ।।দুলাবোইন বলবিনা বুঝলি?? এখন শোন, তোর সাথে আমার কিছু জরুরী কথা আছে।(মেয়ে)
-আমি শুনতে পারবোনা।রাস্তায় অনেক লোক আছে,তাদের সাথে কথা বলুন গিয়ে।।আমার সময় নেই আপনার সাথে পেচাল পারার। আমার বাসা খুঁজতে হবে।অনেক কাজ রয়েছে।(নাফিজ)
-আরে আমারোতো বাসা খুঁজতে হবে।।চলোনা দুজনে মিলে একটা বাসা খুঁজি (মেয়ে)
-একটা অপরিচিত ছেলের সাথে এভাবে রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা ঠিকনা।।আমি যদি কোন বাজে বখাটে হই তাহলে….
-হাহাহা এসব নিয়ে আমার কোন টেনশন নেই বুঝলি।এরকম বাজে বখাটে ছেলেকে আমি শায়েস্হা করতে পারি।।এবার চল আমরা একটা বাসা খুঁজি।বাড়ি ওয়ালা যদি জিজ্ঞাস করে যে আমরা সমপর্কে কি হই,তাহলে বলবা যে আমরা স্বামি স্ত্রী
।(মেয়ে)
-ধুর!! এতো বড় ডাহা মিছাকথা আমি কইতে পারবোনা।তার চাইতে ভালো তুমি তোমার পথ দেখ আমি আমার পথ দেখি। (নাফিজ)
-দেখ!! আমি কিন্তু তোর নামে থানায় মামলা দিবো যে তুমি আমাকে তুলে নিয়ে আসছিস নির্যাতন করার জন্য ।
তখন বুঝবা কি জ্বালা।।(মেয়ে)
-এইরে এবারতো মরছি।।(মনেমনে)
নাগো!! এসব করতে যেওনা।তাহলে আমও যাবে ছালা ও যাবে।তারচাইতে ভালো চলো দুজন মিলেই একটা বাসা ঠিক করি।।(বিপদে পরলে কি করার আছে।।)
-হিহিহি লাইনে আসছে।আচ্ছা চলো??(মেয়ে)
(চলবে)
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com