গল্পঃ চুক্তির সংসার | পর্ব -০২
বাসর ঘরে ঢোকার পরেই আমার ভমি ভমি ভাব হচ্ছে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা কোনো কিছু না ভেবেই সোজা বাথরুমে চলে গেলাম। বাথরুমে গিয়ে হাত মুখ দুয়ে কিছুটা শান্তি পেলাম। নাকে মুখে কাপড় পেচিয়ে রুমে আসলাম। কি অবস্থা করে রাখছে রুমটাকে? এই রুমে কি কোনো মানুষ থাকতে পারে?
বিচানার চাদরটার কি অবস্থা কাপড় আর জুতা মুজা এদিক সেদিকে ছিটানো। শাড়ীর আচলটাকে কমড়ে গুজে নিলাম। আগে এই ঘরটাকে মানুষ করতে হবে তারপর রাক্ষুসটাকে। কাজে লেগে পড়েছি ঘর গুচানো শেষে ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে এসেছি।
এখন তো পচন্ড খিদা লাগছে সেই কখন খেয়েছি এখন কি করবো আমার তো খিদা একদম সহ্য হয়না। আস্তে আস্তে সারা শরীর কাপতে আরম্ভ করেছে এখন কি করবো? নাহ শুয়ে থাকি দেখি ঘুম আসে কিনা শুয়ে শুয়ে ঘুমানোর জন্য চেষ্টা করছি কিন্তু ঘুম তো আর আসছে না। আলের কথা ভিষন মনে পড়ছে এমন একটা কাজ কেনো করবে? আজকে তো আমাদের বিয়ের প্রথম দিন আর বাসর রাত ছিলো?
এই রাতটা আমাকে সময় দিলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতো? এসব চিন্তা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম ভাঙছে একদম সকাল ১০টা। এত দেরী হয়ে গেছে এখনো আমাকে কেউ ডাকতে আসতেনি আর আল ও আসেনি নাকী নিচে এসেছে। যাই ফ্রেশ হয়ে নিচে যাই। যেই কথা সেই কাজ ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখি সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত আল এখনো আসেনি। আমাকে দেখে শ্বাশুরী মা বলে।
শ্বাশুরী:- নিরা তুমি এতক্ষন কোথায় ছিলে?
নিরা:- আমার ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেছে।
শ্বাশুরী:- শোনো আমাদের বাড়ীতে কেউ এত বেলা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমায় না। আর শোনো যাও গিয়ে নাস্তা করে দুপুরবেলার খাবার তৈরি করে নাও।
শ্বশুড়:- মা নিরা তোকে তো আজ অনেক সুন্দর লাগছে। তা আল কি বাসায় এসেছিলো রাতে?
নিরা:- নাহ বাবা আসেনি।
শ্বশুড়:- আল গেছে কোথায়? নিরা তুমি ওকে ফোন করো তো কোথায় আছে?
নিরা:- বাবা আমার তো মোবাইল নেই।
ভাবি:- বাবা আলকে ফোন করলে কি হবে আল যেখানে যাবার সেখানে গেছে।
শ্বশুড়:- কি আল আবার গেছে ঐখানে তাও আবার আজকেই।
ভাবি:- হ্যা আজকেই গেছে। আমি আগেই বলেছি আলকে আর বিয়ে করারনোর কোনো দরকার নেই। কিন্তু আপনারা আমার কথা শুনেন নাই।
শ্বাশুরী:- নিরা তুমি এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? যাও গিয়ে নাস্তা করে নাও।
নিরা:- হ্যা যাচ্ছি মা। নিরা চলে গেছে নাস্তা করতে তখনি আলের মা বলে।
শ্বাশুরী:- বড় বউ তোমাকে কতবার বারণ করেছি নিরার সামনে এসব কিছু না বলতে তাও কেনো বলো?
ভাবি:- কতদিন এসব সত্য লুকিয়ে রাখবেন একদিন তো সবকিছু নিরা জানতে পারবে তখন কি করবেন?
শ্বশুড়:- যখন জানতে পারবে তখন দেখা যাবে তুমি আর কোনো সময় নিরার সামনে এসব কিছুই বলবে না। ভাবি চলে গেছে মুখ ভাকিয়ে। আলকে ওর মা ফোন করেছে কিন্তু রিসিভ করেনি। কিছুটা রাগ কর ওরা যার যার মত করে চলে গেছে। ঐদিকে নিরার নাস্তা করা হয়ে গেছে। নিরা দুপুরবেলার রান্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তখনি আলের ছোট ভাই রানা এসেছে।
রানা:- হাই নিরা কেমন আছো?
নিরা:- রানা এখন আমি তোমার ভাবি তোমাদের বাড়ীর টিচির নয় সুতুরাং আমাকে ভাবি বলেই ডাকবে।
রানা:- হাসালে আমাকে! যার সাথে তোমার বিয়ে হইছে সে তোমাকে কোনো দিন বউ হিসাবে মেনে নিবে বলে তো আমার মনে হচ্ছে না! আর আমি তোমাকে ভাবি মেনে নিবো কি করে?
নিরা:- রানা তোমার ভাই আমাকে কি মেনে নিবে আর না নিবে সেটা আমাদের ব্যপার আর তোমার যদি মেনে নিতে কষ্ট হই তাহলে নিওনা কিন্তু আমার সাথে যখনি কথা বলবে তখনি ভাবি বলে ডাকবে কথাটা মনে রেখেই আমার সাথে কথা বলতে এসো।
শ্বাশুরী:- রানা তুই এখনো এখানে কেনো?
রানা:- মা দেখোনা মেজু ভাবি আমার সাথে কি সব খারাপ আচরন করছে। আমি বলেছি আমি তো কলেজে যাবো আমার নাস্তাটা একটু তাড়াতাড়ি দাও আর তখনি ওনি বলে নিজেরটা নিজেই নিয়ে খেতাম ওনি দিতে পারবে না।
নিরা:- রানা তুমি এতবড় মিথ্যা কথা বলছো কি করে?
শ্বাশুরী:- নিরা মুখ সামলিয়ে কথা বলো কাকে তুমি বলছো মিথ্যা বাদী? রানা কোনো দিন মিথ্যা বলে না। তুমি রানার কাছে স্যরি বলো আর ও যা যা চাচ্ছে তা তা দিয়ে দাও।
নিরা:- আমি যা করিনি তার জন্য কেনো স্যরি বলবো?
রানা:- দেখছো মা মেয়েটা কত খারাপ তোমার মুখে মুখে তর্ক করছে!
শ্বাশুরী:- নিরা আমার ধৈর্য্যের বাহিরে যাবার আগেই তুমি আমি যা বলেছি করো। নিরার চোখ টলমল করছে কি করবে কিছু না ভেবেই স্যরি বলে সোজা উপরে চলে গেছে। রুমে গিয়ে কান্না করছে।
নিরা:- আল তো আমার সাথে খারাপ আচরন করবে সেটা আগেই থেকে জানতাম। কিন্তু ওর পরিবারের মানুষ গুলি যদি এমনটা করে তাহলে তো আমি বেচে থাকতেই কষ্ট হয়ে যাবো। তখনি কেউ একজনকে রুমে ঢোকার শব্দ পেলাম। ঘুরে তাকিয়ে দেখি আল এসেছে।
আল:- নিরা তুমি আম্মুর সাথে খারাপ আচরন করেছো কেনো?
নিরা:- আসতে না আসতেই আমার নামে বিচার দেওয়া হয়ে গেছে?
আল:- তোমাকে যা বলছি তার উত্তর দাও আম্মুর সাথে খারাপ আচরন করার মত সাহোস তুমি কোথায় পেয়েছো?
নিরা:- আমি আপনার মায়ের সাথে খারাপ আচরন করিনি।
আল:- আমার মা মানে তোমার প্রথম কথায় বুঝা যাচ্ছে তুমি এখনো আমার পরিবারকে নিজের পরিবার মনে করোনি। তুমি এসো আমার সাথে বলেই আল আমার হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে ধাক্কা মেরে শ্বাশুরীর পায়ের কাছে ফেলে বলে। আম্মার পা ছুয়ে ক্ষমা চাও আর বলো আজকের পর আর কোনো দিন আপনার কথার অবাধ্য হবোনা।
শ্বাশুরী:- আল কি করছিস কেনো বউমাকে এমন ভাবে ফেলেছিস? দেখি দেখি উঠো বউমা বলেই নিরাকে টেনে তোলেছে। আল বউ মা আমার মেয়ের মত আমার সাথে একটু রাগ করতেই পারে। আর তাছাড়া এখনো এই বাড়ীর কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারেনি তুই যা আমি বুঝিয়ে দিবো।
আল:- দেখছো নিরা আমার মা কেমন আর তুমি কিনা ওনার সাথে খারাপ আচরন করেছো?
শ্বাশুরী:- বউ মা তুমি যাও আমি রান্না করে নিচ্ছি। আল কিছু না বলেই চলে গেছে সাথে বাড়ীর সবাই যার যার মত নিরা একাই দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরে আল এসে বলে।
আল:- আম্মু আমার রুমটাকে এমন ভাবে গুচিয়ে দিছে কে?
নিরা:- আমি গুচিয়ে দিছি।
আল:- তুমি গুচিয়েছো? কিন্তু কেনো তোমাকে কি বলেছি রুমটা গুচাতে?
নিরা:- যেহেতু ঐরুমটাতে আমিও থাকবো সেহেতু রুমটাকে কিছুটা মানুষের থাকার মত করে নিলাম। আর যদি খারাপ লাগে তাহলে সে যেনো সব কিছু এলোমেলো করে দেয়। আল কিছু বলেনি চুপচাপ রুমের দিকে চলে গেছে। আমিও ওর পিছু পিছু রুমে গেলাম। আল রুমে গিয়ে কি যেনো খোঁজ করছে তখনি আমি বলি। আচ্ছা আপনি সারা রাত কোথায় ছিলেন?
আল:- এই জন্য তোমাকে বলেছি চুক্তির কাগজটা পড়ে তারপর সাইন করতে। এই নাও এক কপি তোমাকে দিলাম তুমি এটা ভালো করে পড়ে তারপর আমার সাথে কথা বলতে আসবে।
নিরা:- স্ত্রী হিসাবে তো এই টুকু জিজ্ঞেস করতে পারি তাইনা কি?
আল:- যেদিন তোমাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিবো সেইদিন তুমি যা বলবে তারই উত্তর দিবো। এখন আমাকে বিরক্ত না করে গিয়ে নিজের কাজ করো।
নিরা:- আমার তো কোনো কাজ নেই আর যা আছে সেইটা তো আম্মা নিয়ে গেছে। আচ্ছা আপনি কি খোঁজতেছেন?
আল:- নিরা তোমার সমস্যা কি? আমার এখন ভালো লাগছে না তুমি যাও সামনে থেকে।
নিরা:- আপনার সমস্যা কোনো দিন শেষ হবে বলে আমার মনে হইনা। সব সমস্যা তো আপনি নিজেই নিয়ে রাখছেন কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য আমার উপরে ছেড়ে দিন। তখনি আল এসে আমার গলা টিপে ধরেছে। আমিও রাগ দেখিয়ে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
আল:- তোমাকে বলেছিনা এখান থেকে যেতে তাও কেনো তুমি দাঁড়িয়ে আমাকে বিরক্ত করছো? হঠাত করে খেয়াল করেছি আমার নিশ্বাসের সাথে আলের নিশ্বাস বারী খাচ্ছে। এই প্রথম আলের এতটা কাছে এসেছি তাই আমিও বান করে চোখ বন্ধ করে ডলে পড়ে যেতে লাগলাম। আল বার বার আমাকে জিজ্ঞেস করছে। নিরা তোমার কি হইছে এই নিরা বলেই আমাকে কোলে করে নিয়ে খাঠের উপরে শুয়ে দিছে। আপনারা ভাবছেন এমনটাই করবে তাইনা? আরে দুর এসব কিছুইনা বরং আমাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের মত করে কাজ করতে চলে গেছে আমি ফ্লোরে শুয়ে আছি। কিছুক্ষণ পর আল এক গ্লাস পানি আমার মুখের উপরে দিছে।
নিরা:- আরে কি করছেন?
আল:- তোমাকে জ্ঞান ফিরাতে চাচ্ছি। তুমি যে বান করেছো সেটা আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি।
নিরা:- আপনার মনে দয়া মায়া বলতে কিছুই নেই।
আল:- হাসালে আমাকে। তোমার প্রতি দয়া মায়া আমার থেকে কখনো আশা করো না। তখনি আলের বাবা এসে দরজায় কন্ক করছে। বাবা আসেন ভিতরে।
শ্বশুড়:- আল আজকেই নিরাকে সাথে নিয়ে ওদের বাড়ী থেকে ঘুরে আয়!
আল:- বাবা আমার অনেক কাজ আছে আমি যেতে পারবোনা। কারো যদি যেতে মন চাই তাহলে সে যেনো একা চলে যাই বলেই আল বেড়িয়ে গেছে।
নিরা:- বাবা আমরা দুজনে পরেই যাবো এখন থাক যেতে হবে না।
শ্বশুড়:- মা নিরা আল কিন্তু এমন ছিলোনা দিন দিন কষ্ট পেতে পেতে এমনটাই হয়েছে। আচ্ছা আর যাই হোক তুই আলকে একটু বুঝার চেষ্টা করিস কেমন?
নিরা:- ঠিক আছে বাবা। শ্বশুড় মসায় চলে গেছে আমি ঘরটা গুচিয়ে নিচে গেলাম। সবাই মিলে দুপুরবেলার খাবার খাচ্ছে আলের বড় ভাইটাকে বেশী একটা বাড়ীতে দেখা যাইনা ওনি বেশীর ভাগ সময় কাজে দুরে দুরে থাকেন।
শ্বাশুরী:- নিরা তুমি এসে খেতে বসে যাও। নিরা গিয়ে আলের পাশে বসে পড়েছে। আল কিছু বলেনি নিরা ইচ্ছে করেই আলের পায়ে পা লাগাচ্ছে। অনেকক্ষণ যাবৎ পা লাগাচ্ছে কিন্তু আলের মধ্যে কোনো রাগ ভাব দেখা যাচ্ছেনা হঠাত খেয়াল করেছে নিরার পায়ে পা লাগাচ্ছে তখনি নিরা একটু নিচে তাকিয়ে দেখে আলের ছোট ভাইয়ের পায়ের সাথে নিরার পা ঘসা খাচ্ছে। নিরা সাথে সাথেই পাটা সরিয়ে নিছে। রানা ঐদিকে নিরাকে চোখ টিপ দিছে নিরা চোখ লাল করে নিছে।
শ্বশুড়:- আল এভাবে আর কতদিন অফিসে না গিয়ে খাকবি?
আল:- বড় ভাইয়া আর তুমি তো দেখাশোনা করছো তাও কেনো আমাকে ডাকছো?
শ্বাশুরী:- হ্যা আল ঠিকই বলছে ওর যতদিন ইচ্ছে ততদিন একা একা থাকুক তুমি ওকে জোর করবে না। আল কিছু বলেনি খাবার শেষ করে উঠে পড়েছে।
আল:- মা আমি বেরুলাম আমার রাতে বাড়ী ফিরতে দেরী হবে।
নিরা:- শুনেন আপনি এখন কোথাও যেতে পারবেন না আমার কিছু কাজ আছে আমি আপনার সাথে যাবো।
আল:- রানাকে সাথে নিয়ে যেয়ো আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারবোনা বলেই আল বেড়িয়ে গেছে। নিরা কিছু না বলে সোজা রুমে চলে এসেছে। নিরা মনে মনে চিন্তা করছে আল কেনো আমাকে এত কিছু করে বিয়ে করেছে? আর কেনোই বা আমার সাথে এমনটা করছে? আচ্ছা আল কি তাহলে ওর আগের স্ত্রীর কাছে যাই? তখনি চিন্তার অবসান হলো রানা কোনো কিছু না বলেই রুমে ভিতরে চলে এসেছে।
নিরা:- রানা তুমি এসেছো?
রানা:- নিরা তুমি বলেছো বের হবে আর ভাইয়া তো বলছে আমাকে সাথে নিয়ে যেতে চলো আমি রেডি আছি।
নিরা:- তুমি আমার রুম থেকে বের হও কি হলো বের হও।
রানা:- আরে এখানে তো কেউ নেই এমন করে কথাবার্তা বলছো কেনো? খাবার টেবিলে তো তুমি আমার পায়ে পা লাগিয়ে রাখছো। তবে যানো নিরা আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাইছি কিন্তু আল ভাইয়া তোমাকে বিয়েটা করে নিছে। তুমি যদি রাজি থাকো তাহলে আমরা এখন সব কিছু করতে পারবো।
নিরা:- তোর এত বড় সাহোস বলেই রানাকে কশিয়ে একটা থাপ্পড় দিছে নিরা। এই মুহূর্তে তুই আমার রুম থেকে বেড়িয়ে যাবি।
রানা:- এই থাপ্পড়টা তোলা রইলো সময় মত তার প্রতিশোধ নিবো বলে রানা বেড়িয়ে গেছে। নিরা কিছুটা ভেঙে পড়ছে। তাও নিজের মনকে শক্ত করে নিছে। নিরা দরজাটা লাগিয়ে রুমে বসে বসে প্লান করছে কি করে আলকে নিরার প্রতি দূর্বল করবে। হ্যা প্লান গুলি কাজে লাগাতে হবে এক মাত্র এই প্লানটা কাজে আসবে। অনেক চিন্তার পর কিছুটা রেস্ট নেওয়ার জন্য শুয়ে পড়েছে আর কখন যে চোখ লেগে গেছে বলতেও পারবোনা। ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত ৯টা বাজে তাড়াতাড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে।
ভাবি:- নিরা সব কাজ গুলা কি আমি করবো আর তুমি ঘুমাবে?
নিরা: আসলে ভাবি আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছে তাই শুয়ে ছিলাম।
ভাবি:- মনিকে তো একটা পড়াটা পড়িয়ে দিতে পারো নাকী? তুমি তো মনিকে পড়াতে আর এখন পড়াওনা কেনো?
শ্বশুড়:- বড় বউ নিরা আগে মনির টিচার ছিলো এখন সে এই বাড়ীর বউ। তোমার যতটুকু অধিকার নিরাও অধিকার আছে। নিরা সময় পায়লে পড়াবে। নিরা তুমি খেয়ে রুমে যাও।
নিরা:- বাবা আমি পড়ে খাবো ওনি আসলে ওনার সাথে খাবো।
শ্বাশুরী:- আল রাতে বাড়ী ফিরবে না তুমি খেয়ে নাও।
নিরা:- আজকে ফিরবে।
শ্বাশুরী:- এতটা কনফিডেন্স কি করে?
নিরা:- কনফিডেন্স তো থাকা দরকার তাইনা? তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বসে আছি আলের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতেও পারবো না। যখন ঘুম ভাঙছে তখন চেয়ে দেখি আমি খাঠের উপর শুয়ে আছি। লাফ মেরে বসে গেছি এই আমি রুমে আসলাম কি করে? তার চেয়ে বেশী অবাক যখন আমার পাশে তাকালাম।
!!
চলবে,,,
!!
চলবে,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com