ফ্যামিলি কান্ড | ২য় পর্ব
ফৌজিয়া চায়ের কাপ রাখতেই হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকলো জয়৷ যে কি না নুপুরের বড় ভাই আবার রাসেলের বেষ্ট ফ্রেন্ড ওরফে ঝামেলা ফ্রেন্ড। জয়কে ওভাবে ঢুকতে দেখেই রাসেল সোজা হয়ে দাঁড়ালো। জয় কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওর চোখ পড়লো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ফৌজিয়ার দিকে। রাসেল তখন ফৌজিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
___ ” ফৌজি তুই যা এখন”।
___ ” ফৌজি তুই যা এখন”।
.
ফৌজিয়া নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। রাসেল এবার জয়ের দিকে তাকাতেই জয় এগিয়ে এসে ওর হাত দুটো ধরল চাপ দিয়ে। রাসেল বেশ অবাক হয়ে গেল জয়কে বলল,
___ ” কি রে কি হইছে? কোন সমস্যা?”
___ ” দোস্ত আমার তো মেয়ে পছন্দ হয়ে গেছে।”
___ ” কি? সত্যিই তোর মেয়ে পছন্দ হইছে? ”
রাসেল এবার বিস্ময়ের চূড়ান্ত সীমায়। গত দুই বছরে জয়ের জন্য মিনিমাম শখানেক মেয়ে দেখা হয়েছে। কোন মেয়ের নাক খাটো কোন মেয়ে স্বয়ং খাটো আরো হাজারো অযুহাত দিয়ে নাকোচ করে দিয়েছে প্রস্তাব গুলো। আর আজকে সে নিজে সেঁধে বলতেছে মেয়ে পছন্দ হয়েছে। রাসেল জয়ের কাঁধ ধরে ঝাকি দিয়ে বলল,
” তুই চিন্তা করিস না আন্টিরে আমি বলতেছি এক্ষুনি যে মেয়ে তোর পছন্দ হয়েছে।”
” দাঁড়া রে দাঁড়া এখানেও কাহিনী আছে “।
জয় হাল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে বলল। রাসেল চোখ মুখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ফুটিয়ে তুলতেই জয় কাঁদো কাঁদো চেহারা নিয়ে বলল,
ফৌজিয়া নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। রাসেল এবার জয়ের দিকে তাকাতেই জয় এগিয়ে এসে ওর হাত দুটো ধরল চাপ দিয়ে। রাসেল বেশ অবাক হয়ে গেল জয়কে বলল,
___ ” কি রে কি হইছে? কোন সমস্যা?”
___ ” দোস্ত আমার তো মেয়ে পছন্দ হয়ে গেছে।”
___ ” কি? সত্যিই তোর মেয়ে পছন্দ হইছে? ”
রাসেল এবার বিস্ময়ের চূড়ান্ত সীমায়। গত দুই বছরে জয়ের জন্য মিনিমাম শখানেক মেয়ে দেখা হয়েছে। কোন মেয়ের নাক খাটো কোন মেয়ে স্বয়ং খাটো আরো হাজারো অযুহাত দিয়ে নাকোচ করে দিয়েছে প্রস্তাব গুলো। আর আজকে সে নিজে সেঁধে বলতেছে মেয়ে পছন্দ হয়েছে। রাসেল জয়ের কাঁধ ধরে ঝাকি দিয়ে বলল,
” তুই চিন্তা করিস না আন্টিরে আমি বলতেছি এক্ষুনি যে মেয়ে তোর পছন্দ হয়েছে।”
” দাঁড়া রে দাঁড়া এখানেও কাহিনী আছে “।
জয় হাল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে বলল। রাসেল চোখ মুখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ফুটিয়ে তুলতেই জয় কাঁদো কাঁদো চেহারা নিয়ে বলল,
.
___ ” যে মেয়ে দেখতে গেছিলাম তাকে পছন্দ হয় নাই পছন্দ হয়েছে মেয়ের ফুফাতো বোনকে।”
জয়ের কথা শুনে রাসেল বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। এতো মহা মুসিবতের কাহিনী। জয় আবার রাসেলের হাত চেপে ধরল শক্ত করে, তারপর বলল,
___ ” রাসেল আমার শেষ ভরসা তুই। প্লীজ কিছু কর।”
___ ” তুই সব সময় এমন এমন ক্যারখাম বাঁধাইস না। কি যে এক ঝামেলায় পড়ি আমি। আচ্ছা দেখি কি করা যায়।”
রাসেল বিরক্তির স্বরে বলল। তারপর ফোন হাতে নিয়ে ওদের আরেক ফ্রেন্ড শিহাবকে কল দিল। পর পর চার বার রিং হওয়ার পরে শিহাব ফোন রিসিভ করে ঘুম ঘুম স্বরে বলল,
___ ” হ্যালোওওও, কেএএএ?”
___ ” তোর সৎ শালা, মুরগির মত সন্ধ্যার আজানের সাথে সাথেই মরে পড়েছিস?”
রাসেল কটাক্ষ করে বলল। শিহাব হাই তুলতে তুলতে বলল,
___ ” মাত্র উঠলাম ঘুম থেকে “।
রাসেল এবার বোমার মত ফাটলো,
___ ” সারাদিন তুই ঘুমাইছিস? আমার হইছে যত জ্বালা একজন মাইয়া দেখতে যাইয়া মাইয়ার বইনরে পছন্দ করে আরেক জন সারাদিন রাত ২৪ ঘন্টা গিনেজ বুকে নাম তোলার জন্য ঘুমায়……”
___ ” কে কার মায়েরে পছন্দ করছে? ”
ঘুমের ঘোরে শিহাব রাসেলের পুরো কথা না শুনতে পেরে আবার প্রশ্ন করল। রাসেল হিসহিসিয়ে বলল,
___ ” আমার মায়েরে আমার বাপে পছন্দ করছে সালা। তোরে পনেরো মিনিট সময় দিলাম এর মধ্যে যেন তোরে জয়দের বাসার নিচে দেখি।”
___ ” যে মেয়ে দেখতে গেছিলাম তাকে পছন্দ হয় নাই পছন্দ হয়েছে মেয়ের ফুফাতো বোনকে।”
জয়ের কথা শুনে রাসেল বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। এতো মহা মুসিবতের কাহিনী। জয় আবার রাসেলের হাত চেপে ধরল শক্ত করে, তারপর বলল,
___ ” রাসেল আমার শেষ ভরসা তুই। প্লীজ কিছু কর।”
___ ” তুই সব সময় এমন এমন ক্যারখাম বাঁধাইস না। কি যে এক ঝামেলায় পড়ি আমি। আচ্ছা দেখি কি করা যায়।”
রাসেল বিরক্তির স্বরে বলল। তারপর ফোন হাতে নিয়ে ওদের আরেক ফ্রেন্ড শিহাবকে কল দিল। পর পর চার বার রিং হওয়ার পরে শিহাব ফোন রিসিভ করে ঘুম ঘুম স্বরে বলল,
___ ” হ্যালোওওও, কেএএএ?”
___ ” তোর সৎ শালা, মুরগির মত সন্ধ্যার আজানের সাথে সাথেই মরে পড়েছিস?”
রাসেল কটাক্ষ করে বলল। শিহাব হাই তুলতে তুলতে বলল,
___ ” মাত্র উঠলাম ঘুম থেকে “।
রাসেল এবার বোমার মত ফাটলো,
___ ” সারাদিন তুই ঘুমাইছিস? আমার হইছে যত জ্বালা একজন মাইয়া দেখতে যাইয়া মাইয়ার বইনরে পছন্দ করে আরেক জন সারাদিন রাত ২৪ ঘন্টা গিনেজ বুকে নাম তোলার জন্য ঘুমায়……”
___ ” কে কার মায়েরে পছন্দ করছে? ”
ঘুমের ঘোরে শিহাব রাসেলের পুরো কথা না শুনতে পেরে আবার প্রশ্ন করল। রাসেল হিসহিসিয়ে বলল,
___ ” আমার মায়েরে আমার বাপে পছন্দ করছে সালা। তোরে পনেরো মিনিট সময় দিলাম এর মধ্যে যেন তোরে জয়দের বাসার নিচে দেখি।”
.
এইটুকু বলেই রাসেল ফোন কেটে দিল। শিহাব বিছানায় বসে ভাবতে লাগল বলল কি এসব রাসেল। ওর আম্মুরে রাসেলের আব্বু কেন পছন্দ করবে। বিশাল কনফিউশানের ব্যাপার। তাড়াতাড়ি ও গেল ফ্রেশ হয়ে রেডি হতে।
এইটুকু বলেই রাসেল ফোন কেটে দিল। শিহাব বিছানায় বসে ভাবতে লাগল বলল কি এসব রাসেল। ওর আম্মুরে রাসেলের আব্বু কেন পছন্দ করবে। বিশাল কনফিউশানের ব্যাপার। তাড়াতাড়ি ও গেল ফ্রেশ হয়ে রেডি হতে।
ওদিকে রাসেল আর জয় দুজনে জয়েদের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিল৷ জয়ের মুখ টেনশনে শুকিয়ে আমচুরের মত হয়ে গেছে কি কি বলবে ও হাওয়া বেগমকে। কি যে এক মুসিবতে পড়েছে ও। রাসেল ঠোঁটে এক নাগাড়ে চিমটি কেটেই যাচ্ছে। এত কিছু ম্যানেজ করবেটা কি করে। দরজায় বেল বাজাতেই মানহা দরজা খুলে দিল। রাসেল আর জয় বাসায় ঢুকেই দেখলো নুমা মানহা মিলি জিমি চারটা বসে টিভিতে কি যেন দেখকছে আর হাহাখিখি করছে। রাসেল বুঝলো যে নুপুর রুমে একা। ওদিকে জয় নুমাকে জিজ্ঞেস করল,
.
___ ” নুমা আম্মা কইরে? ”
___ ” খালা ছোট খালামনিদের বাসায় গেছে! কোন দরকার ছিল ভাইয়া?”
নুমা উওর দিল। মানহা জয়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
___ ” ভাইয়া তুমি না মেয়ে দেখতে গেছিলে? মেয়ে পছন্দ হয়েছে?”
জয় মনে মনে এই ভয়টাই পেয়েছিল। চোখ বড় বড় করে মানহার দিকে তাকিয়ে বলল,
____ ” এত কথা বলতে পারে এই মেয়ে মানুগুলো।”
এ কথা বলেই জয় বুঝলো ভীষণ ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু কি আর করার বন্দুকের গুলি আর মুখের বুলি একবার বেরিয়ে গেলে তো আর ফিরাবার উপায় নাই। নুমা বলল,
___ ” ভাইয়া মুখ সামলায়ে কথা বলবা কিন্তু…. “!
___ ” সবাইরে নিজের মত ভাবো তো তুমি তাই না? ”
মিলি সমানে ঝাড়ি দিয়ে বলে উঠলো। মানহা মুখ ভেঙচি দিয়ে বলল,
___ ” মাইয়া দেখায় সেঞ্চুরি করতেছে আর আমি জিগাইলেই দোষ”।
____ ” আহারে বেচারা মাইয়া দেখতে দেখতে পাগল প্রায় কেউ তার জন্য বদনা ভর্তি সমবেদনা দেখাও “।
টিভি দেখতে দেখতে বলল জিমি। জয় হাল ছেড়ে দিল। কারণও ও ভাল করেই জানে ওরা যখন এক সাথে থাকে ওদের সাথে ঝগড়া করে আর মৌমাছির চাকে হাত ঢুকানো একই কথা। নিজেরা নিজেরা মারামারি করে শহীদ হয়ে যাবে সেটা চলবে কিন্তু কেউ যদি একটারেও কিছু বলেছে তখন সবগুলো মিলে সেটারে আট্যাক করে।
___ ” নুমা আম্মা কইরে? ”
___ ” খালা ছোট খালামনিদের বাসায় গেছে! কোন দরকার ছিল ভাইয়া?”
নুমা উওর দিল। মানহা জয়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
___ ” ভাইয়া তুমি না মেয়ে দেখতে গেছিলে? মেয়ে পছন্দ হয়েছে?”
জয় মনে মনে এই ভয়টাই পেয়েছিল। চোখ বড় বড় করে মানহার দিকে তাকিয়ে বলল,
____ ” এত কথা বলতে পারে এই মেয়ে মানুগুলো।”
এ কথা বলেই জয় বুঝলো ভীষণ ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু কি আর করার বন্দুকের গুলি আর মুখের বুলি একবার বেরিয়ে গেলে তো আর ফিরাবার উপায় নাই। নুমা বলল,
___ ” ভাইয়া মুখ সামলায়ে কথা বলবা কিন্তু…. “!
___ ” সবাইরে নিজের মত ভাবো তো তুমি তাই না? ”
মিলি সমানে ঝাড়ি দিয়ে বলে উঠলো। মানহা মুখ ভেঙচি দিয়ে বলল,
___ ” মাইয়া দেখায় সেঞ্চুরি করতেছে আর আমি জিগাইলেই দোষ”।
____ ” আহারে বেচারা মাইয়া দেখতে দেখতে পাগল প্রায় কেউ তার জন্য বদনা ভর্তি সমবেদনা দেখাও “।
টিভি দেখতে দেখতে বলল জিমি। জয় হাল ছেড়ে দিল। কারণও ও ভাল করেই জানে ওরা যখন এক সাথে থাকে ওদের সাথে ঝগড়া করে আর মৌমাছির চাকে হাত ঢুকানো একই কথা। নিজেরা নিজেরা মারামারি করে শহীদ হয়ে যাবে সেটা চলবে কিন্তু কেউ যদি একটারেও কিছু বলেছে তখন সবগুলো মিলে সেটারে আট্যাক করে।
.
ভাই বোনদের এই হৈহৈঝৈঝৈ এর মধ্যে রাসেল আস্তে করে সরে এলো।
ও ধীর পায়ে নুপুরদের রুমের দিকে এগোলো।
ড্রইংরুম পার হতেই বিশাল এক ডাইনিং স্পেস তারপর শুরু হয় সবার বেড রুম।
নুপুর মিলি আর নুমার বেডরুম একটাই।
কিন্তু মানহা আর জিমি প্রায় সময়ই এখানেই থাকে তাই বলা যায় ওদের পাঁচ বোনের বেড রুম এটাই।
রাসেল রুমের মধ্যে উঁকি দিয়ে দেখলো নুপুর ফোনে গেম খেলায় বিশাল বিজি।
পাশেই বেডের সাইড টেবিলে এক বোল সুপ আর দুধের গ্লাস পড়ে আছে মানে নুপুর এখনও খায় নি।
এবার রাসেলের মেজাজের পারদ ১০০ তে উঠে গেল।
কারো তোয়াক্বা না করে সোজা নুপুরের রুমে ঢুকে পড়ল। রাসেলকে রুমে ঢুকতে দেখেই নুপুর আশ্চর্য হয়ে গেল।
একটু আগেই ড্রেস চেঞ্জ করে বেবি পিংক কালারের লং টিশার্টের সাথে ঢোলা প্লাজু পরেছে রাতে ঘুমানোর জন্য।
এমন সময় রাসেলকে দেখে ও বেশ অবাকই হয়েছে। রাসেল গম গম করে বলল,
” কি রে তোর খাবার এখানে পড়ে আছে কেন? তুই খাস নাই? “
.
নুপুরের ভয়ের ঠেলায় তখন পেটের মধ্যে আম পাক আর জাম পাক দেওয়া শুরু হয়েছে। ওর ভাইয়ার এত এত বন্ধু আছে কিন্তু কেন জানি না নুপুর রাসেলকে মাত্রাতিরিক্ত ভয় পায়। রাসেল আবারও হাঁক দিয়ে বলল,
___ ” চুপ করে আছিস কেন এই উওর দে কেন খাস নাই?”
___ ” মনে ছিল না।”
নুপুর কোন মতে মিনমিনিয়ে উওর দিল। রাসেল চোখ দিয়ে পারে না ড্রাগনের মত আগুন বের করে এমন দৃষ্টিতে বলল,
___ ” মনটা থাকে কই ক্যান্ডি ক্রাশ গেমের মধ্যে?”
এই বলেই রাসেল বেড সাইড টেবিল থেকে সুপের বাটিটা হাতে নিয়ে বিছানায় নুপুরের পাশে বসল। চামচে স্যুপ উঠিয়ে নুপুরের মুখের কাছে ধরতেই নুপুর কিছু বলতে গেল, কিন্তু রাসেলের চোখ রাঙানীতে হাঁ করে স্যুপটুক মুখে নিয়ে কোঁত করে গিলে ফেলল। নুপুর মনে মনে রাসেলকে হাইসা তারা বকা শুরু করল। রাসেল ঘুরে টিস্যু বক্স থেকে টিস্যু পেপার বের করে নুপুরের হাতে দিতে দিতে বলল,
নুপুরের ভয়ের ঠেলায় তখন পেটের মধ্যে আম পাক আর জাম পাক দেওয়া শুরু হয়েছে। ওর ভাইয়ার এত এত বন্ধু আছে কিন্তু কেন জানি না নুপুর রাসেলকে মাত্রাতিরিক্ত ভয় পায়। রাসেল আবারও হাঁক দিয়ে বলল,
___ ” চুপ করে আছিস কেন এই উওর দে কেন খাস নাই?”
___ ” মনে ছিল না।”
নুপুর কোন মতে মিনমিনিয়ে উওর দিল। রাসেল চোখ দিয়ে পারে না ড্রাগনের মত আগুন বের করে এমন দৃষ্টিতে বলল,
___ ” মনটা থাকে কই ক্যান্ডি ক্রাশ গেমের মধ্যে?”
এই বলেই রাসেল বেড সাইড টেবিল থেকে সুপের বাটিটা হাতে নিয়ে বিছানায় নুপুরের পাশে বসল। চামচে স্যুপ উঠিয়ে নুপুরের মুখের কাছে ধরতেই নুপুর কিছু বলতে গেল, কিন্তু রাসেলের চোখ রাঙানীতে হাঁ করে স্যুপটুক মুখে নিয়ে কোঁত করে গিলে ফেলল। নুপুর মনে মনে রাসেলকে হাইসা তারা বকা শুরু করল। রাসেল ঘুরে টিস্যু বক্স থেকে টিস্যু পেপার বের করে নুপুরের হাতে দিতে দিতে বলল,
.
” মনে মনে বকিস না ব্রেনে চাপ পড়বে। চিল্লায়ে চিল্লায়ে বকা দে যাতে আমিও শুনতে পারি।
” মনে মনে বকিস না ব্রেনে চাপ পড়বে। চিল্লায়ে চিল্লায়ে বকা দে যাতে আমিও শুনতে পারি।
যারে বকতেছিস সে যদি না শোনে তাহলে কেমনে কি”?
নুপুর এবার খাবি খেতে লাগল কি ডেঞ্জারাস মানুষ বাবা গো বাবা।
নুপুর এবার খাবি খেতে লাগল কি ডেঞ্জারাস মানুষ বাবা গো বাবা।
মনে মনে বকলেও ধরে ফেলে। ” আমি আপনারে কই বকা দিছি “।
মিনমিনিয়ে বলল নুপুর। রাসেলের ঠোঁটের কোনে মুচকি এক হাসি ফুটে উঠল।
মিনমিনিয়ে বলল নুপুর। রাসেলের ঠোঁটের কোনে মুচকি এক হাসি ফুটে উঠল।
কিছু না বলেই দুধের গ্লাসটা নুপুরের মুখের কাছে ধরল।
নুপুর একটা জিনিস খেয়াল করেছে এই রাসেল নামক প্রানীটা কাছে এলেই অদ্ভুত এক সুন্দর ঘ্রান পায়।
কি পারফিউম ইউজ করে জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করেও পারে নি।
নুপুর দুধের গ্লাসে মুখ দিয়েই মুখ সরিয়ে নিল।
এই মেয়েটার ঠোঁট চোখ সবই কেন জানি না রাসেলকে পাগল করে দেয়।
সাদা সাদা চোখের মণি মুখের নিচে বিশাল এক তিল এসব যেন রাসেলকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করে।
এত এত মেয়ে দেখে কিন্তু নুপুরের জন্য ওর ফিলিংটা যেন অন্য রকম।
এটাকে যে কি বলে সেটা ও নিজেই জানে না।
খুব ইচ্ছা করছিল ওর নুপুরের ঠোঁটের কোণায় লেগে থাকা দুধের হালকা রেখাটা নিজের হাতে মুছে দিতে।
কিন্তু কিছু ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ করার সময় লাগে তাই মনের ইচ্ছা মনেই চাপা দিল।
রাসেল কিছু বলবে ঠিক এমন সময় হাওয়া বেগম এসে হাজির পিছে পিছে নুমা আর মানহাও এসেছে।
রাসেল থ খেয়ে গেল। যদি প্রশ্ন করে ও নুপুরের রুমে কি করে তখন তো মহা বিপদে পড়ে যাবে। কিন্তু..
.
চলবে….
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com