Breaking News

গল্পঃ আত্বীয়তা রক্ষা

আর মাত্র দশ(১০) দিন বাকী আমার স্ত্রীকে ওদের বাড়ী থেকে আমাদের বাড়ীতে আনার জন্য। যদিও আমাদের বিয়েটা হইছে আজ থেকে দশ(১০) বছর আগেই। এতদিন আমরা আলাদা ভাবে আলাদা শহরে থেকেই বড় হয়েছি। বিয়েটা হইছে এক প্রকার আত্বীয়তা রক্ষার জন্য। আমি আমার বিয়ের ছবি গুলি দেখছি এমনি দাদি এসেছে।
দাদি:- কিরে সৌরভ এত মনোযোগ দিয়ে কি দেখছিস?
সৌরভ:- দাদি আমার পিচ্চি বউটাকে দেখছি ওকে দেখতে কত কিউট আর সুন্দর লাগছে তাইনা? দাদি আমার পাশে বসেছে।
দাদি:- হ্যা সুন্দর তো লাগবেই পাশে যে আমার কিউট নাতী বসে আছে তাই আরো সুন্দর লাগছে। আজ হঠাত এলবাম খুলে বসেছিস কেনো? তখনি ভাবি এসেছে।
ভাবি:- দাদি আম্মা আপনি বুঝতেছেন না আর মাত্র দশ(১০) দিন পরেই তো তসিবাকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে আসবো। তাই আজ সকাল থেকেই তসিবার ছবি গুলি দেখে যাচ্ছে।
দাদি:- তাই বলো আমার নাতীর মুখটা দেখো কেমন চাঁদের মত উজ্জল হয়ে গেছে। হ্যা সৌরভ আমরা তসিবাকে নিয়ে আসবো তবে তার আগে তোর বাবা গিয়ে ওদের দাওয়াত দিয়ে আসবে।
সৌরভ:- দাদি বাবা যেতে রাজি হবেন তো?
দাদি:- কেনো হবে না আর তাছাড়া তোর বাবা তো তোদের বিয়েটা পড়িয়েছে। আমি তোর বাবাকে বলবো আগামীকাল গিয়ে দিনক্ষন ঠিক করে আসতে।
ভাবি:- হ্যা দাদি আম্মা ঠিকই বলছেন আমাদের তো অনেক কিছু কেনা কাটা করতে হবে। সব আত্বীয় স্বজনদের দাওয়াত দিতে হবে। আমাদের বাড়ীতে শেষ বিয়ে এই বিয়েটা অনেক দুমদাম করে হবে।
দাদি:- হ্যা তাই হবে তখন বাবা মা এসেছেন। দাদি বাবাকে বলে জশিম শোন।
বাবা:- হ্যা মা বলো?
দাদি:- আগামীকাল রাজাদের বাড়ীতে ঢাকা যাবি আর গিয়ে ওদের বলে আসবি এক সাপ্তাহ আগেই আমাদের বাড়ীতে চলে আসতে। সৌরভ আর তসিবার বিয়েটা গ্রামে আর ইসলামীক নিয়ম মেনেই বিয়ে হবে।
বাবা:- ঢাকা যাবার কি দরকার আমি ফোন করে বলে দিবো।
দাদি:- ফোন করে বলা একটা আর গিয়ে দাওয়াত দিলেই একটা। তাই গিয়ে দাওয়াত দিয়ে আসবি আর শোন যাবার সময় সাথে বড় নাতী সাহেদকে নিয়ে যাস কেমন?
বাবা:- ঠিক আছে আজ রাতেই যাবো। বাবার কথা শুনে আমি অনেক খুশি হয়েছি। এলবামটা সাথে নিয়ে রুমে চলে এসেছি তসিবার হাত পা কি ছোট ছোট এখন তো মনে হয় অনেক বড় বড় হইছে। চিন্তা করছি তখনি ভাবি এসে বলে।
ভাবি:- তা মিষ্টার আজকে কি বউয়ের ছবি দেখে দিন পার করে দিবে নাকী কলেজে যাবে?
সৌরভ:- হ্যা ভাবি যাচ্ছি বলে উঠে ফ্রেশ হয়ে সোজা কলেজে। আমার বন্ধুরা সবাই যানে আমার বিয়েটা হয়ে গেছে আজ থেকে দশ(১০) বছর আগেই। তাই তো আমার সাথে কোনো মেয়ে লাইন মারতে আসেনা আর আমিও যাইনা। বন্ধুদের সাথে আজকে অনেক হাসি ঠাট্টাতামাসা করে বাড়ীতে এসেছি বিকালের দিকে। আমি খাবার খেতে বসেছি তখনি বাবা এসেছে।
বাবা:- সৌরভ শোন!
সৌরভ:- হ্যা বাবা বলেন?
বাবা:- এই ছবি গুলির মধ্যে দেখ যেটাকে পছন্দ করবি সেই মেয়েটার সাথে তোর বিয়ে দিবো। কিন্তু রাজার মেয়ের সাথে তোর বিয়েটা এখন আর হচ্ছে না।
দাদি:- জশিম কেনো কি হইছে?
ভাইয়া:- দাদি রাজা আঙ্কেলের কাছে বাবা আজকে ফোন করে বলছে আগামীকাল আমি আর বাবা ওনাদের বাড়ীতে যাচ্ছি কিন্তু রাজা আঙ্কেল এমন কথা বলছে শুনে তো আমরা অবাক হয়ে গেছি।
দাদি:- কি বলছে?
বাবা:- রাজা বলছে আমরা নাকী ওর টাকা আর সম্পত্তির জন্য ওর মেয়ের সাথে সৌরভকে দিয়ে চালাকী করে বিয়েটা করিয়েছি। আর তাছাড়া তসিবা নাকী সৌরভকে স্বামী হিসাবে মানে না। ওরা নাকী এই পুতুল খেলার বিয়েটা মনে রাখেনি।
দাদি:- রাজা এমনটা বলতে পারছে?
বাবা:- শুধু রাজা নয় সাথে তসিবা আর তসিবার মা রাজিয়া সহ বলছে। এখন ওরা তসিবার বিয়ে সৌরভের সাথে দিবে না। তসিবা বলছে কিছু দিনের মধ্যে ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিবে।
সৌরভ:- আমার বিশ্বাস হচ্ছে না তোমরা মিথ্যা বলছো? তখন ভাইয়া মোবাইলের রেকডিং ছেড়েছে। বাবা আর ভাইয়া যা বলছে সব কিছু ঠিক ঠিক শুনা যাচ্ছে। আমি খাবার রেখে উঠে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে যাকে দশ(১০) বছর যাবৎ ভালোবেসে এসেছি সেই আজ হঠাত করে এমনটা করবে? তসিবার স্মৃতি গুলি ভাবছি আর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। ভাবি এসে বার বার আমাকে বুঝাচ্ছে।
ভাবি:- সৌরভ তুমি দেখো অনেক সুন্দর আর ভালো মেয়ে পাবে। ভাবির কোলের উপর শুয়ে রইলাম ভাবি মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে। ভাবি আমাকে ওর ছোট ভাইয়ের মত আদর যত্ন করে আর আমিও বড় বোনের মত করে দেখি। কিছুদিন কেটে গেছে এখনো আমি সাভাবিক হতে পারিনি আমি বসে আছি এমনি আমার ফুপাত ভাই মমিন এসেছে সাথে ফুপা আর ফুপি।
ফুপা:- দেখো ভাই সাহেব আমি তোমার একমাত্র বোন আর আমার দিকে তাকিয়ে হলেও তোমরা সবাই বিয়েতে অংশগ্রহন করবে।
দাদি:- হ্যা যাবে।
ফুপি:- তা সৌরভের বিয়েটা নাকী ভেঙে গেছে! তাই আমরা আগামী শুক্রবার বিয়েটা ফেলেছি।
দাদি:- তুই কি করে জানলি বিয়েটা ভেঙে গেছে?
ফুপি:- রাজা ভাই আমাকে বলেছে আমি গেছিলাম দাওয়াত দিতে তখনি ওনি বলছে।
দাদি:- হ্যা সৌরভের দিকে তো তাকানো যাচ্ছে না। আমি বুঝিনা কেনো ওরা এমনটা করছে। আচ্ছা তোরা যাবার সময় সৌরভকে সাথে নিয়ে যাস। তোদের সাথে গেলে অনেক মানুষের সাথে থাকলে কিছুটা কষ্ট ভুলে থাকতে পারবে।
মমিন ভাই:- নানী তুমি কোনো চিন্তা করোনা আমি সৌরভকে একদম সব কিছু ভুলিয়ে দিবো। সৌরভ চল?
সৌরভ:- নাহ আমি যাবো না আমার ভালো লাগছে না। ভাবি আর দাদি জোর করে আমাকে রাজি করিয়েছে। আমি রাজি হয়ে গেলাম। আজকের দিনটা থেকে পরের দিন সকালে চট্রগামের উদ্দেশ্য রওনা হলাম। যেতে যেতে আমাদের বিয়েটা কি ভাবে হইছে আর আমার সবটা পরিচয় দিয়ে দেয় কেমন? আমি আল মুহাম্মদ সৌরভ! আমরা দুই ভাই কোনো বোন নেই তবে ভাবি কিন্তু আমার বড় বোনের মত। বাবা আর ভাই মিলে আমাদের গ্রামে একটা বড় দোকান আছে ঐটা ওনারা দেখা শুনা করে।
আমি অর্নাসে তয় বর্ষে পড়ি আমাদের থানায় পর্যায়ে একটা সরকারি কলেজে। বড় ভাইয়া বিয়ে করেছে আর আমার বিয়েটা হইছে তসিবার সাথে মানে আমার খালাত চাচাত বোনের সাথে। খালাত চাচাত বোন বললাম কারণ আমার চাচা বিয়ে করেছে আমার খালাম্মাকে তাও আবার পালিয়ে। অনেক ঝগড়া ঝাটির পর বাবা মা দুজনে মেনে নেই শুধু মাত্র দাদির জন্য। আমার ছোট মামার বিয়ের সময় আমরা সবাই এক সাথে হয় তখন আমার বয়স বারো(১২) আর তসিবার বয়স আট(৮)। তসিবা আর আমি খেলা করছি তখনি হঠাত করে আমি তসিবাকে সবার সামনে এসে গলাই মালা পড়িয়ে কিস করে বলি আজ থেকে তুই আমার বউ। দাদি তো এমন কান্ড দেখে মহা খুশি আর দাদির কারণেই বাবা চাচা মিলেই আমাদের কাবিন করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। চাচা আগেই থেকে ঢাকা গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন আর দিন দিন ব্যবসা বড় হতে থাকে আর আস্তে আস্তে যোগাযোগ কমতে থাকে। এখন তো চাচারা অনেক বড় লোক তবে আমাদেরও জমি জমা মিলিয়ে অনেক আছে শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। হঠাত মমিন ভাইয়ার ডাকে বাস্তবে ফিরে এসেছি।
মমিন:- সৌরভ আমরা এসে গেছি নামো। আমি ওনাদের সাথে নেমেছি। ওনাদের গাড়ি করে ওনাদের বাড়ীতে এসেছি প্রায় সন্ধা হয়ে গেছে। আমাকে ফুপি একটা রুমে থাকতে দিয়েছি আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসেছি।
ফুপা:- সৌরভ শুনেছি তোমার বিয়েটা নাকী ভেঙে গেছে তোমাদের মধ্যে নাকী ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে?
সৌরভ:- হ্যা।
ফুপা:- এই জন্য মন খারাপ করার কোনো দরকার নেই। তুমি তো ছেলে মানুষ তোমার কি? তুমি মজা করো মাস্তি করো দেখবে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
ফুপি:- মা লিজা সৌরভকে একটু চোখে চোখে রাখিস কেমন? ওর মনটা এখন ভালোনা। (লিজা হচ্ছে আমার ফুপাত বোন)
লিজা:- ঠিক আছে মা। আমি কিছু না বলে রুমে এসে শুয়ে পড়েছি রাতটা চলে গেছে ঘুমে ঘুমে। সকালে উঠে নামায পড়তে গেলাম। নামায পড়ে এসে বসে আছি তখনি লিজা এসে বলে। ভাইয়া চলো তোমাকে নিয়ে একটু রেলষ্টশনে যাবো।
সৌরভ:- আমার ভালো লাগছেনা তুমি যাও। লিজা তাও আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে সাথে করে। লিজা গাড়ী চালাচ্ছে আর আমার সাথে কথা বলছে।
লিজা:- আচ্ছা ভাইয়া তসিবা আপু যদি তোমাকে ছাড়া ভালো থাকে তাহলে তুমি কেনো পারবে না?
সৌরভ:- ঠিক আছে আজকের পর থেকে আর কোনো সময় ওকে নিয়ে চিন্তা করবো না। আচ্ছা এত সকাল সকাল কাকে নিতে এসেছো?
লিজা:- ভিতরে গেলেই দেখবেন! লিজা নেমে ভিতরে যাচ্ছে আমি ওর সাথে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখি চাচি আর সাথে একটা মেয়ে আর ছেলে। মেয়েটাকে তো তসিবার মত লাগছে কিন্তু সুন্দর ছেলেটা কে? লিজা গিয়ে তসিবাকে জড়িয়ে ধরে বলে তসিবা আপু কেমন আছো?
তসিবা:- হাই লিজা ভালো! চাচিকে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে লিজার সাথে ছেলেটাকে তসিবা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। লিজা আমার উটবি মিষ্টার আঁকাশ চৌধুরী। তখনি লিজা আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে বলে।
লিজা:- আমার হুব বর ভাইয়ার বিয়ের পরেই আমাদের বিয়েটা হবে। আমার সাথে কেমন মানিয়েছে?
তসিবা:- হ্যা অনেক সুন্দর মানিয়েছে।
সৌরভ:- লিজা কি হচ্ছে এসব? তখনি লিজা আমাকে চোখ টিপ দিয়েছে আমি মুচকি হেসে গাড়ীতে এসেছি। লিজা ড্রাইভ করছে আমরা বাড়ীতে এসেছি। চাচি আঁকাশের সাথে সবাইকে পরিচয় করে দিচ্ছে তসিবার হুব বর বলে।
চাচি:- আচ্ছা বড় আপুরা কেউ আসেনি?
ফুপি:- ওরা বিয়ে আগের দিন আসবে! তবে সৌরভ এসেছে।
চাচি:- সৌরভ এসেছে কোথায় সৌরভ? তখনি ফুপি আমাকে ডাক দিয়েছে। সৌরভ এদিকে আয় তো।
সৌরভ:- হ্যা ফুপি বলেন! আমি কাছে গেলাম। তখন ফুপি আমাকে দেখিয়ে বলে।
ফুপি:- ভাবি এই হচ্ছে আমাদের সৌরভ। তসিবা আর চাচি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবি চিন্তে পারছেন? সৌরভ ওনি হচ্ছে তোর খালাম্মা আবার চাচি আর ও হচ্ছে তসিবা।
সৌরভ:- হ্যা চিন্তে পারছি। তা কেমন আছেন চাচি? তখনি চাচি বলে।
চাচি:- ভাবি শুনেছি লিজার সাথে নাকী সৌরভের বিয়ে দিচ্ছেন?
ফুপি:- কে বলছে?
চাচি:- লিজা নিজেই বলছে। তখন লিজা বলে।
লিজা:- মামি আমি তো মজা করে বলছি। আসলে সৌরভ ভাইয়ার মনটা খারাপ তো তাই এমনটা বলেছি। তখন সবাই চুপচাপ হয়ে গেছে। আমি লক্ষ করছি তসিবা যেখানে যাই আঁকাশ ওর পিছু পিছু যাচ্ছে। আজকের দিনটা তো কোনো মতে কাটছে। আমার তো তসিবাকে দেখে বুকের ভিতর আরো কষ্ট হচ্ছে।
মমিন:- সৌরভ চল আমরা ঘুরতে যাবো আজকেই তোকে নিয়ে ঘুরে আসি আগামী কাল থেকে তো আর সময় পাবোনা। আমি রাজি হয়নি কিন্তু ভাইয়া জোর করে নিয়ে গেছেন। সারাটা দিন ঘুরে কাটালাম সন্ধার একটু আগেই ভাইয়া আর আমি বাড়ীতে এসেছি। আমি চেয়ে দেখি লিজা তসিবা পুকুরপাড়ের দিকে যাচ্ছে পেছনে চেয়ে দেখি আঁকাশ যাচ্ছে। ভাইয়া তাড়াতাড়ি ভিতরে চলে গেছে আমি ভীতরে ঢুকবো তখনি লিজার ডাক।
লিজা:- সৌরভ ভাইয়া একটু তাড়াতাড়ি এদিকে এসো। আমি দৌরে গেলাম চেয়ে দেখি তসিবা পানির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে আর আঁকাশ চেয়ে চেয়ে দেখছে। সৌরভ ভাইয়া প্লিজ আপুকে পানি থেকে উঠাও।
সৌরভ:- যার বউ সেই উঠাবে আমি কেনো সন্ধা বেলা পানিতে নামতে যাবো? আর তাছাড়া আমি সাতার জানি না।
লিজা:- আঁকাশ ভাইয়া আপুকে যান গিয়ে বাচান?
আঁকাশ:- তসিবা তো সাতার জানে নিজেই উঠে যাবে। তখন চেয়ে দেখছি তসিবা একদম ডুবে যাচ্ছে আর আমি গিয়ে পানিতে যাপিয়ে পড়েছি। তসিবাকে কি বাচাবো আমি নিজেই ডুবে যাচ্ছি লিজার চিল্লাচিল্লিতে বাড়ীর সবাই এসে ঝরো হয়ে গেছে। শেষে ফুপা আর মমিন ভাই আমাদের পানি থেকে উজানে টেনে তোলেছে।
মমিন ভাইয়া:- এই সৌরভ লিজা বলছে তুই সাতার জানিস না তাহলে পানিতে ঝাপ দিতে গেলি কেনো?
সৌরভ:- কি করবো চোখের সামনে তো একটা মেয়েকে মরে যেতে দিতে পারিনা? তখনি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আমার কাছে আসতেছে আর আমি উঠে বাড়ীর দিকে হাটা দিয়েছি। To be continue,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com