গল্পঃ আত্বীয়তা রক্ষা | পর্ব -২
বাড়ীতে সবার সাথে বসে বসে গল্প করছি তখনি তসিবা এসে হাত বাড়িয়ে বলে। হ্যালো সৌরভ আমার সাথে ফ্রেন্ডশীপ করবে? আমি হাত বাড়াবো কি বাড়াবোনা ভাবছি তখনি লিজা এসে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তসিবা চেহারাটা কালো করে নিয়েছে।
সৌরভ:- লিজা কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?
লিজা:- আমি একটু টেলার্সের দোকানে যাবো আমার জামা গুলি আনতে। আমি একা একা যাবো তাই ভাবছি আপনাকে সাথে নিয়ে যাই।
সৌরভ:- বাড়ীতে এত মানুষ থাকতে আমাকে নিয়ে যাচ্ছো কেনো?
লিজা:- আমি তো একাই যেতে চাইছি কিন্তু বাবা বলছে আপনাকে সাথে নিয়ে যেতে। এখন কথা কম বলে আসেন!
সৌরভ:- হ্যা যাচ্ছি। লিজা আমার হাতটা ধরে রাখছে আমি হাটতেছি সন্ধা সন্ধা হয়ে যাচ্ছে। কিছুটা হাটার পর টেলার্সের দোকানে গেলাম। লিজা স্লিপ দিছে ওরা কাপড় গুলি বের করে দিচ্ছে। এর মধ্যে একজন বলে উঠে।
লিজা ছেলেটা কেরে?
লিজা:- আমার মামাত ভাই তবে আমার বর হবে।
সৌরভ:- লিজা কি বলছো? তখন লিজা চোখ টিপ দিছে। আমি চুপ করে থাকলাম। কাপড় গুলি নিয়ে বেরুলাম। আচ্ছা লিজা তোমার সমস্যা কি?
লিজা:- সরি। সত্যি বলতে যে ছেলেটা আমার কাপড় গুলি বের করে দিছে ঐ ছেলেটা আমাকে অনেক ডিসট্রাভ করে তাই বলেছি যে আপনি আমার বর হবেন।
সৌরভ:- মমিন ভাইকে বলো তাহলে তো ছেলেটা আর ডিসট্রাভ করবে না।
লিজা:- ছেলেটা ভালোই আর তাছাড়া ভাইয়া পড়ে ছেলেটা মেরে এখান থেকে বিদায় করে দিবে। তাই আজকেই আপনাকে নিয়ে নাটক করেছি প্লিজ কিছু মনে করো না।
সৌরভ:- ঠিক আছে। লিজা আমার সাথে হাটছে সন্ধার পড়ে বাড়ীতে এসেছি। সবাই বসে বিয়ের কেনা কাটার জন্য প্লান করছে। আর মাত্র পাঁচ(৫) দিন বাকী বিয়ের। আমাকে আর লিজাকে এক সাথে দেখে চাচি বলে।
চাচি:- সৌরভের সাথে লিজাকে বিয়ে দিয়ে দেন। দুজনে যেখানে যাই সে খানে এক সাথে যাই। আর তাছাড়া ওদের দুজনকে মানিয়েছে বেশ ভালো।
ফুপা:- ভাবিজান আপনি আমার মনের কথাটা বলছেন। জশিম ভাই আসলে আমি প্রস্তাবটা দিবো। সৌরভের মত ছেলের কাছে মেয়ে দিতে পারলে আমি তো ধন্য হয়ে যাবো। ফুপার কথা শুনে চাচির হাসি মাখা মুখ কালো করে নিয়েছে।
মমিন:- সৌরভ শোন আগামীকাল থেকে তুই আমার সাথে থাকবি। আমার কেনা কাটা যা যা আছে সব তুই আর আমার বন্ধুরা মিলে কিনবো।
সৌরভ:- আচ্ছা।
লিজা:- ভাইয়া তোর এত বন্ধু থাকতে সৌরভ ভাইয়াকে কেনো সাথে নিবি? ভাবির জন্য কত কিছু কেনা কাটা করতে হবে। এসব কেনার দ্বায়িত্ব তো আমাদের তাই একটা ছেলে দরকার আমাদের সাথে যাবার জন্য।
মমিন:- এত পেচাল না করে সোজা বলে দে সৌরভকে তোরা সাথে নিয়ে যাবি।
লিজা:- হ্যা সৌরভ ভাইয়া আমাদের সাথে যাবে। তার বিনময়ে তসিবা আপু আর আঁকাশ ভাইয়া তোর সাথে যাবে কেমন?
তসিবা:- আরে আমি এত ছেলেদের সাথে গিয়ে কি করবো? আমি লিজার সাথে যাবো আঁকাশ মমিন ভাইয়ার সাথে যাক কেমন?
মমিন:- ঠিক আছে তাহলে সৌরভ তোদের সাথে যাবে আর আঁকাশ আমাদের সাথে থাকবে কেমন?
ফুপা:- আচ্ছা এবার সবাই খেতে এসো! সবাই খেতে গেলাম আমার এক পাশে লিজা আরেক পাশে তসিবা বসেছে। তসিবার পাশে আঁকাশ বসেছে।
তসিবা:- সৌরভ আমি কিন্তু আমার উত্তর পায়নি?
সৌরভ:- কিসের উত্তর?
তসিবা:- ফ্রেন্ডশীপ করবে কিনা? তখনি লিজা তসিবাকে বলে।
লিজা:- আপু তোমার বর তো অনেক কিউট ওনাকে নিয়ে থাকো না। অন্য ছেলের সাথে কেনো ফ্রেন্ডশীপ করতে যাচ্ছো?
তসিবা:- লিজা তুমি কি বলছো? আমি মাঝে বসে চিন্তা করতে লাগলাম এখন তো ঝগড়া তৈরি হয়ে যাবে। তখনি আমি বলি।
সৌরভ:- লিজা তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে আর তোমাকে চোখে কাজল দিলে আরো বেশী সুন্দর লাগবে।
লিজা:- আমার তো কাজল নেই!
সৌরভ:- আগামীকাল মার্কেটে গেলে আমি কিনে দিবো কেমন? আমার আর লিজার খুনসুটি দেখতেছে সবাই। ফুপি অনেকটা খুশি হয়েছে। খাবার শেষ করেছি আমি উঠে যাবো তখনি তসিবা পায়ে লাথি মেরেছে। কি হলো লাথী দিলে কেনো?
ফুপি:- সৌরভ কে লাথী দিছে?
সৌরভ:- তসিবা আমাকে টেবিলের নিচ দিয়ে লাথী দিছে?
তসিবা:- আপনাকে লাথী দিতে যাবো কেনো? আমি তো উঠে যাচ্ছিলাম তখন পা লেগেছে।
ফুপি:- ঠিক আছে হইছে এখন যা ঝগড়া করে কি হবে?
সৌরভ:- ঠিক আছে শুধু ফুপি আপনার জন্য কিছু বলিনি। চাচি আঁকাশ আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি চলে এসেছি। রুমে এসে মোবাইলটা বের করে ফেসবুকিং করেছি কতক্ষণ। মোবাইলটা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছি সকালে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়তে গেলাম। ফুপা আর আমি নামায পড়ে কিছুক্ষণ বাহিরে হাটলাম।
ফুপা:- সৌরভ তসিবার থেকে কিছুটা দুরে থাকবি। আমি তোমার বাবাকে বলেছি যে ভাইয়া বিয়েটা পড়িয়েন না কিন্তু আত্বীয়তা রক্ষার জন্য বিয়েটা পড়িয়েছে। এখন কিছু টাকার মালিক হইছে তাই বিয়েটা মেনে নেইনি।
সৌরভ:- ফুপা আমি তো এখন এসব ভুলে গেছি। বাবা মা যাকে বিয়ে করতে বলবে বিয়ে করে নিবো। তবে আমার এখন স্বপ্ন হচ্ছে পড়া লেখাটা আগে শেষ করবো। এরপর একটা ভালো দেখে চাকরি খোঁজে নিবো তারপর বিয়ে করবো।
ফুপা:- হ্যা এটাই ভালো হবে। সৌরভ দেখ এই জমিটা আমরা কিনেছি সামনের পুকুরটা ও আমাদের।
সৌরভ:- হ্যা ভালো করেছেন। ফুপার সাথে কথা বলতে বলতে আমরা বাড়ীতে এসেছি।
ফুপি:- সকাল সকাল দুজনে কোথায় গেছিলে?
ফুপা:- সৌরভকে নিয়ে একটু হেটে আসলাম। সৌরভ তো নিয়মিত নামায পড়ে আমি তো ওকে মসজিদে দেখে অবাক এত সকালে আজকাল ছেলেরা ঘুমে ভিবোর থাকে আর সৌরভ নামায পড়তে গেছে। ছেলেটা সত্যি অনেক ভালো।
ফুপি:- হ্যা আমার ভাতিজা বলে কথা। সৌরভ আয় নাস্তা করবি।
সৌরভ:- হ্যা যাচ্ছি! নাস্তা করতে গেলাম দেখি সবাই নাস্তা করতে বসেছে। ফুপা গিয়ে সব বড়দের সাথে বসেছে। তসিবার আর লিজার মাঝের চেয়ারটা খালি। আমাকে দেখে তসিবা নরে চরে বসেছে। আমি কাছে গিয়ে লিজাকে বলি। লিজা তুমি এদিকে চলে এসো আমি তোমার চেয়ারে বসি।
লিজা:- কেনো? তখনি ইশারা করেছি তখন লিজা এসে বসেছে আমি লিজার পাশে। তসিবা চোখ মুখ রাগে লাল করে নিচ্ছে। সৌরভ ভাইয়া এই তরকারীটা ট্রাই করো এটা অনেক ভালো।
সৌরভ:- এটা ভালো না হলেও আমি ট্রাই করবো কারন তুমি কতটা ভালোবেসে আমাকে খেতে বলছো? তসিবা আমার দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে আমি খানা শেষ করেছি উঠে গেলাম। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাহিরে এসেছি।
মমিন:- সৌরভ তোকে তো অনেক সুন্দর লাগছে।
সৌরভ:- ধন্যবাদ ব্রো।
মমিন:- সৌরভ শোন তোর ভাবির জিনিস গুলি সব দামী চেয়ে কিনতে বলবি কেমন?
সৌরভ:- ঠিক আছে তাই হবে। ভাইয়া আঁকাশকে সাথে নিয়ে চলে গেছে। আমি দাঁড়িয়ে দেখছি সবাই রেডি হচ্ছে। মেয়েদের সাজগুজ করতে যা সময় লাগে ঠিক তাই লাগছে। তসিবা একটা শাড়ী পড়েছে আর লিজা চুড়িদার। ফুপি চাচি তসিবা আর ফুপির ননদ মিলিয়ে মোট দশজন মেয়ের সাথে আমি একা ছেলে। সবাইকে নিয়ে একটা গাড়ীতে উঠেছি সবার পেচাল শুনতে শুনতে আমার কান জ্বালাফালা। ঘন্টা খানেকের মধ্যে একটা শপিং মলে এসেছি।
ফুপি:- সৌরভ তুই একটু লিজাকে চোখে চোখে রাখিস আর ও কিন্তু লিফটে উঠলে ভয় পায়।
সৌরভ:- ঠিক আছে আমি ওকে চোখে চোখে রাখবো। সবাই মিলে ভিতরে যাচ্ছি তসিবা আমার সাথে হাঠছে। আমি তো তসিবার দিকে তাকায়না তসিবা আমাকে আর চোখে তাকায়। সিড়ি লিফটে উঠতে যাচ্ছি লিজার হাত ধরে ওকে উঠালাম। একটা বড় কাপড়ের দোকানে সবাইকে নিয়ে ঢুকলাম। প্রথমে সবাই কনের শাড়ী কিনতে আরম্ভ করেছে।
ফুপি:- সৌরভ মমিনকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে বউ লেহেঙা পড়বে নাকী শাড়ী?
সৌরভ:- ভাইয়া বলছে লেহেঙা তবে ম্যারোন কালারের মধ্যে সবচেয়ে দামীটা নিতে বলছে।
ফুপি:- ঠিক আছে। সবচেয়ে দামী লেহাঙা দেখান। দোকানদার ম্যারোন কালার অনেক গুলি লেহেঙা দেখিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরটা ভাবির জন্য চয়েজ করা হইছে। সবাই কাপড় কেনায় ব্যস্ত আমি দেখছি। ভাবি তোমার আর তসিবার জন্য কিছু নিয়ে নাও।
চাচি:- নাহ নাহ আমাদের তো কাপড় আছে আর তাছাড়া কিছুদিন পরে তো তসিবার বিয়ে তখন অনেক কাপড় কেনাকাটা করতে হবে।
ফুপি:- ভাবি না নিলে মমিনের বাবা রাগ করবে আমাকে বলেছেন সবার জন্য কাপড় কিনে নিতে। সৌরভ তুই আর লিজা গিয়ে বউয়ের আর কি কি লাগবে ঐ গুলি কিনে নিয়ে আয়।
সৌরভ:- ঠিক আছে। তখনি তসিবা বলে!
তসিবা:- আমি ওয়াশ রুমে যাবো সৌরভ আমার সাথে যাবে? আমি বারণ করে দিতে ছিলাম তখনি ফুপি বলে।
ফুপি:- সৌরভ তসিবাকে ওয়াশ রুমে নিয়ে যা। তোরা এলেই লিজাকে সাথে নিয়ে যাস এখন আমরা ব্যবহারিক কিছু কাপড় কিনে নেই কেমন?
সৌরভ:- ঠিক আছে। তসিবা আমার সাথে আসছে। এক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করেছি ওনি বলেছে ওয়াশ রুম পাঁচ তলা। তসিবাকে নিয়ে যাচ্ছি লিফটের জন্য অপেক্ষা করছি। তসিবা কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলার সুযোগ দিচ্ছি না। লিফট এসেছে লিফটের ভিতরে দুই তিনটা মেয়ে মানুষ আছে। আমি ভিতরে ঢুকছি এর পর তসিবা ভিতরে গেছে তসিবা একদম দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। যেই লিফট উপরের দিকে যাচ্ছে তখনি খেয়াল করলাম দরজার সাথে তসিবার শাড়ীর আচল আটকিয়ে গেছে। অবশেসে যা হবার তাই হলো তসিবার শাড়ীটা সবটা খুলে ফেলেছি আমি টেনে। দুই তলা উঠার পরেই লিফট আটকা পরে গেছি। তসিবা দুই হাত দিয়ে নিজেকে কিছুটা ডাকার চেষ্টা করছে। আমি আমার ব্যালেজারটা খুলে ওকে দিয়েছি।
তসিবা:- ধন্যবাদ।
সৌরভ:- একটু সাবধানে চলা চল করবে তো? মেয়ে গুলি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের মাঝে একটা মেয়ে বলে।
মেয়ে:- ভাইয়া আপনাদের নতুন বিয়ে হইছে তাইনা? আপু তো মনে হয় নিজেকে সামলাতে কষ্ট হচ্ছে তারপরে শাড়ী পড়িয়ে আনছেন কেনো?
সৌরভ:- আসলে আমাদের তো বিয়ে তখনি তসিবা বলে।
তসিবা:- ওর কোনো দোষ নেই আমি নিজেই বাইনা ধরে পড়েছি।
মেয়ে:- আপনাদের দুজনকে কাপল হিসাবে অনেক সুন্দর মানিয়েছে। যেমন সুন্দর বর ঠিক তেমন সুন্দর বর। মেয়েরা আরো কিছু বলছে ১৫ মিনিটির বেশী সময় ওদের বক বক শুনতেছি তখনি রাগান্বিত হয়ে বলি।
সৌরভ:- দেখুন না যেনে কেনো এত মন্তব্য করছেন? আমরা স্বামী স্ত্রী নই এক দিকে আমরা খালাত ভাই বোন আবার অন্য দিক দিয়ে আমরা চাচাত ভাই বোন। তখন মেয়ে গুলি চুপ করে গেছে। তসিবা রাগ দেখিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। চার তলা এসে কোনো মতে লিফট থেকে বেড়িয়েছি। তবে তসিবার দিকে অনেকে তাকাচ্ছে। আমার কাছে কেনো জানি খারাপ লাগছে। আপনি মনে হচ্ছে অনেক ফেমাস?
তসিবা:- আমি ফেমাস হতে যাবো কেনো?
সৌরভ:- সবাই তাহলে এমন ভাবে তাকাচ্ছে কেনো?
তসিবা:- তাকাবে না তো কি করবে? আমার যে অবস্থা হয়ে আছে সেই জন্য সবাই তাকাচ্ছে। একটা কাজ করবেন আমাকে কোনো একটা শাড়ীর দোকানে নিয়ে চলেন।
সৌরভ:- আগে ওয়াশ রুমে চলেন এরপর দেখা যাবে?
তসিবা:- সত্যি বলতে আমি ওয়াশ রুমে যাবার বাহানা ধরেছি। লিজা সবসময় তোমাকে নিয়ে ঘুরে আর ফুপি কেমন লিজাকে তোমার পিছু ছেড়ে দিয়েছে।
সৌরভ:- লিজা আমার সাথে থাকলে আপনার কি? আর তাছাড়া আপনার জন্য তো ভালোই তাইনা?
তসিবা:- সবাই দেখছে আগে শাড়ীটা কিনে পড়ি তারপর বলছি আমার কি? তসিবাকে নিয়ে একটা শাড়ীর দোকানে গেলাম।
সৌরভ:- তাড়াতাড়ি করেন অনেক কেনাকাটা করতে হবে।
তসিবা:- আমি শাড়ী পড়তে পারি না। আমাকে আম্মু শাড়ী পড়িয়ে দেয় আমাকে।
সৌরভ:- ঠিক আছে তাহলে চুরিদার কিনে নেন। আপনার ড্রেসের সাথে মানাবে বেস। তসিবা রাগি চোখে তাকিয়ে অবেশেষে চুড়িদার পড়েছে হ্যা সত্যি নেবিব্লু কালার চুড়িদারে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনাকে মানিয়েছে বেশ এবার টাকাটা দিয়ে দেন? তখনি আমার দিকে তাকিয়েছে।
তসিবা:- আমার সাথে তো কোনো টাকা নেই।
সৌরভ:- ঠিক আছে দার দিচ্ছি বাড়ীতে গিয়ে দিয়ে দিবেন। তসিবা মাথা নেড়ে হ্যা সূচক বলেছে। আমি টাকা দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে এসেছি। তসিবাকে চুড়িদার পড়া দেখে সবাই জিজ্ঞেস করছে ওর শাড়ী কোথায়? তসিবা চুপ করে আছে।
চাচি:- কিরে চুপ করে আছিস কেনো তোর শাড়ী কোথায়? তখন তসিবা সবটা বলছে। সবাই সব শুনে আমাকে অনেক ধন্যবাদ দিছে।
ফুপি:- সৌরভ এবার যা তোরা গিয়ে বাকী কেনা কাটাটা করে নে কেমন?
সৌরভ:- হ্যা যাচ্ছি। লিজাকে সাথে নিয়ে যাচ্ছি তখনি তসিবা এসেছে। আমি কিছু বলিনি মেয়েলি যত আবি যাবি আছে সব কিছু লিজা আর তসিবা মিলে কিনছে। সেই সকাল থেকে কেনাকাটা শুরু করেছে এখন সন্ধায় শেষ হইছে। সবাই গাড়ীতে বসেছে আমি ড্রাইভারের সাথে বসেছি রাত ৯টার দিকে বাড়ীতে এসেছি। বাড়ীতে এক এক করে সবাই গেছে আমি লিজা আর তসিবা ব্যাগ গাড়ী থেকে নিচ্ছি। আমি দুই হাতে ব্যাগ নিয়েছি সাথে লিজা তসিবা ব্যাগ নিছে। আমরা বাড়ীর সামনে চলে এসেছি তখনি লিজা তসিবাকে বলে।
লিজা:- আচ্ছা তসিবা আপু সৌরভ ভাইয়ার সাথে আমার বিয়েটা হলে কেমন হবে?
তসিবা:- সৌরভের সাথে তোকে মানাবে না?
লিজা:- কেনো? তসিবা কিছু বলতে যাবে তখনি একজন এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। তসিবা আর লিজা দুজনে সহ বাড়ীর সবাই তাকিয়ে আছে। To be continue,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com