Breaking News

পিচ্চি ছাত্রীর পাগলামী

স্যার, এই নেন চকলেট,
– হঠাৎ চকলেট কেন?
– আরে স্যার আজকে তো চকলেট ডে তাই, আর আমার
আম্মু বলে, যে কোন শুভ কাজ করার আগে মিষ্টিমুখ করিয়ে নিতে হয়।
– ও, আচ্ছা! তা তুমি কি শুভ কাজ করতে যাচ্ছো?
– ভাবছি, আপনাকে বিয়ে করে ফেলবো।
– কি! দাড়াও তোমার আম্মুকে ফোন দিয়ে বলতেছি।
– আরে, আরে …আম্মুরে বলে কি লাভ? ওনি তো সিঙ্গেল
নাই, আমি সিঙ্গেল আছি। ভেবে দেখুন!
– লাগবে না, এই নাও তোমার চকলেট,

– আরে রাগ করছেন কেন? আমি তো জাস্ট ফান
করছিলাম। এই নেন চকলেটটা রাখেন অন্তত চকলেট ডে
হিসেবে রাখেন। প্লীজ …..আপনাকে রাগ করলে না
অনেক কিউট লাগে জানেন! তাই একটু রাগালাম।
আচ্ছা স্যার এই যে চকলেট ডে টা আসলো কোথা থেকে?
– এটা আসলে একটা পাগলদের কাজ কারবার। তবে
চকলেট ডে নামক প্রথার উৎপত্তি ইউরোপ আমেরিকার
মতো দেশগুলো থেকে। তারা বিশ্বাস করে ভালোবাসার
সাথে চকলেটের নাকি একটা আধ্যাত্মিক সম্পর্ক আছে।
তাছাড়া চকলেটে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডে
ন্টস যা উদ্দীপক, দুশ্চিন্তা নিরোধক হিসেবে কাজ করে।
তাই ওইসব দেশে ছেলেরা তাদের প্রিয়তমাকে এক বাক্স
চকলেট দিয়ে এই দিনটি উইশ করে।

– দেখলেন স্যার সব ছেলেরা চকলেট দেয় আর আমি
মেয়ে হয়ে আপনাকে দিলাম।
– আরে, আস্তে আস্তে! জাপানের নিয়ম হয়তো তুমি
জানোনা। কারন এই দিনটাতে ওখানে মেয়েরা ই
ছেলেদেরকে চকলেট দেয়। যদি চকলেট টা হয় গিরি চকো
তাহলে বুঝতে হবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আর যদি চকলেট
হয় হোনমেই চকো তাহলে বুঝে নিতে হবে তাদের মধ্যে
শুধু বন্ধুত্ব না আরো একটু বেশি গভীর।
এটাতো শুধু চকলেট ডে, একটা মজার কথা বলি,
ঠিক এই দিনটাতে ১৯৭৫ সালে অস্ট্রিয়ায় একটা অদ্ভুত প্রথা চালু ছিল জানো!

সেদিন চকলেট ডে কে আপেল ডে হিসেবে পালন করা
হতো। যেখানে একটা মেয়ে এক টুকরো আপেল নিজেদের
বগলতলায় অনেকক্ষণ রেখে তার পছন্দের ছেলেটাকে
আপেলের টুকরোটা খেতে দিতো। এবং এর উপর ই
ভালোবাসার পরীক্ষা নেয়া হতো। ভেবে দেখো এরকম
একটা অদ্ভুত প্রথা আজও অব্দি চালু থাকলে তোমরা
মেয়েরা কখনো কোন ছেলে খুঁজে পেতে না বিয়ে করার
জন্য।
– স্যার তাহলে বাসা থেকে আপেল নিয়ে আসবো?
– চুপ! একদম চুপ!

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com