নিস্তব্ধ প্রেমাবেগ |পর্ব -২৪
দু’ঘন্টা হলো জয় জানতে পেরেছে সে বাবা হবে!প্রথমে খুব খুশি হলেও কিছু সময় পর থেকেই সে গম্ভীর হয়ে বসে আছে!কেনো তা বুঝতে পারছে না শ্রেয়া!গ্রাম থেকে এসেই কয়েকদফা বমি করেছে!তারপর সেন্সলেস হয়ে যায়!ডক্টর কল করলে সে এসে শ্রেয়াকে চেকাপ করে জানায় সে মা হবে!
ঝর্ণা বেগম তো খুব খুশি তার দুই ছেলের বউই পোয়্যাতি!তার খুশি ধরে রাখে কে?সবাইকে মিষ্টি বিলাচ্ছেন একে একে!পাড়াপ্রতিবেশিদের বাড়িতেও পাঠিয়েছেন!
এ বাড়িতে বউ হয়ে আসা অব্ধি জুঁই শ্রেয়ার সাথে তেমন কথা বলে নি!একটু আধটু হু হা তেই কথা সেরেছে!আজ নিজে থেকে এক বয়াম আচর এনে হাসোজ্জল মুখে শ্রেয়ার পাশে পা তুলে বিছানায় বসে! দুজনেই শুতি শাড়ি পরা..
আচারের বয়ামটা এগিয়ে দিয়ে বলল নাও ভাবী!আজ থেকে তোমার আমার সব কিছু হাপ হাপ!
মুচকি হেসে হাত পেতে আচার নিলো শ্রেয়া!জুঁই বেশ খানিক আচার মুখে পুরে বলল জানো তো তোমার আগে মা হওয়ার দরকার ছিলো..
কেনো বলো তো!জিভে আচার নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ল শ্রেয়া!
আমাদের আগে তো তোমাদের বিয়ে হয়েছে!আর মাস খানে আগে!তাহলে সে হিসেবে তুমি আগে আদর পেয়েছো..
খুকখুক করে কেশে উঠলো শ্রেয়া!চোখমুখ খানিকেই লাল হয়ে গেলো!জুঁই আচারের বয়ামটা কোল থেকে সরিয়ে ব্যস্ত কন্ঠে স্থীর হতে বলল শ্রেয়াকে!মাথায় হাত বুলিয়ে ফুল দিলো!
নাক চেপে কিছু সময় চুপ থেকে স্বাভাবিক হলো শ্রেয়া!প্রসঙ্গে পাল্টাতে শ্রেয়া বললো তুমি তো ইউএস থাকতে জুঁই তাহলে তোমার মধ্যে বাঙালি আনা কি করে?
মৃদু হেসে জুঁই বলল জন্ম তো বাংলাদেশেই!এখানেই বেড়ে ওটা!১৭ বছর বয়সে মারা গেলে আমি বাবা ইউএস চলে যাই তাছাড়া প্রত্যেক বছরই এখানে আসা হতো!
ওহ আচ্ছা..
হন্তদন্ত হয়ে রুমে ডুকে জয়!জয়কে আসতে দেখে জুঁই উঠে পড়ে!দাদাভাই এসে গেছে..আমি তাহলে এখন যাই পরে আসবো..
বসো..
না পরে আসবো নি!বলেই দ্রুত রুম ত্যাগ করল জুঁই!
সাদা শার্ট টা খুলতে খুলতে জয় বললো শ্রেয়া এ বাবুটা না রাখলে হয় না?
চমকে উঠলো শ্রেয়া!বিমূঢ় কন্ঠে জিজ্ঞেস করল কি বলছেন?
শ্রেয়ার পাশে বসলো জয়!শ্রেয়া দেখো আমার খুব ভয় হচ্ছে! এক দুই একদিনেই তোমার শরীরে পানি এসে গেছ!তা উপর প্রথম বাবু!যদি সিজার করতে হয়?আর বিয়ে তো হলে কয়েকদিন এখন না নিলেও তো ক্ষতি নেই!একটু বুঝো
আপনি কি পাগল?কি অদ্ভুত ভিত্তিহীন যুক্তি!হাজার হাজার নারীরা মা হচ্ছে তাদের হাজবেন্ডরা খুশি হয় বাবা হবে বলে আর আপনি বাবা হয়ে মেরে ফেলতে বলছেন?
শ্রেয়াকে আলতো করে বুকে জড়িয়ে নিলো জয়! ভয় হচ্ছে শ্রেয়া মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল জয়!
শ্রেয়া চুপ করে জয়ের শরীরের ঘ্রাণ নিতে ব্যস্ত!চোখের কোনা ভিজে উঠেছে!
সকাল হতেই সব রান্না হাতে হাতে করলো শ্রেয়া জুঁই হেল্প করলো তাকে!
সব খাবার টেবিলে ঘুছিয়ে দিতেই জুঁই সবাইকে খেতে ডাকল!একে সবাই খেতে বসল!হঠাৎ জয়ের ফোনে কল আসতেই সে দাঁড়িয়ে পড়লো!দুচোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো! যা কারোই চোখ এরালো না!হাত না ধুয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো!
চলবে_
জানি ছোট হইছে!খুবই ছোট!দিতে চাই নি!কাল বলেছিলাম দিবো আহমেদ_রিপা আপুর কথায় এটুকুই দিলাম!অসম্ভব দাঁতের ব্যাথার যন্ত্রণায় আছি!একের পর এক ঔষধ খাচ্ছি! চারবার ডক্টর ও দেখাছি!পরিবর্তন হচ্ছে না!কাল এক্স-রে করাবো!
সুস্থ থাকলে দিবো নয়ত জিজ্ঞেস করবেন না প্লিজ!একটু দোয়া করবেন!
বানান ভুল হলে কষ্ট করে ঠিকভাবে পড়ে নিবেন! দেরী করে দেয়ার জন্য দুঃখিত। ইডিট করা হয়নি বানান ভুল হলে কষ্ট করে বুঝে নিয়েন?
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com