গল্পঃ ছাত্রী এখন বউ | লেখা- পলাশ ইসলাম | পার্ট -৪
=> আন্টি আমাকে ডেকেছেন?
=> হ্যা বসো। কি শুনছি আমি এসব?
=> কি শুনেছেন আন্টি?
=> তুমি কি আমাদের নিজের লোক মনে করোনা?
=> কেনো আন্টি করিতো।
=> আচ্ছা বাদ দাও ওসব। কোথায় এখন থাকছো তুমি?
=> জ্বি আন্টি এইতো পাশেই একটা ম্যাসে।
=> ম্যাসে থাকতে যাবে কেনো আমাদের ওপরের রুমটাতো ফাকা আছে ওখানেইতো থাকতে পাড়ো আর এখানে পড়াটাও ভালো হবে।
=> থাক আন্টি তার প্রয়োজন,,,,,,,
=> তোমার কোনো কথা শুনছিনা। কাল তুমি আমাদের বাসাতেই উঠবা।
'
বুঝতে পারছিনা হঠাৎ এসব কি হচ্ছে। পাশেই মিতুকে দেখলাম হাসছে। ও তারমানে এসব মিতুর কাজ।
'
=> এসব তোমার কাজ তাইনা?
=> আমি কিছু করিনি।
=> তোমাকে আর আমি কিছুই বলবোনা।
=> সেটা পরে দেখা যাবে।
'
আমি ম্যাসে চলে গেলাম, কি করবো বুঝতে পারছিনা। আন্টি বলেছে সেটাও আবার মানা করতে পারিনা। না ওখানেই থাকি, এতে আমারো নাভ হবে। যা ভাবা সেই কাজ, পরদিন সব জিনিস নিয়ে মিতুদের বাসার উদ্দ্যেশে রহনা দিলাম। মিতু আমাকে নিচে দেখেই দৌড়ে গেটে আসলো।
'
=> ধীরে আসতে পারোনা, কিসের এতো তারা তোমার?
=> ও তুমি বুঝবেনা। এটা খুশির তারা।=> হয়েছে আর বলতে হবেনা। তুমি বাসায় কেনো স্কুলে যাওনি?
=> না, আজকে আপন একজন কাছে আসবেতো তাই যেতে ইচ্ছা করেনি।
=> কে সে?
=> তোমার জানতে হবেনা তুমি আসো।
=> হ্যা চলো।
'
মিতু আমাকে হেল্প করলো। আমি রুমে গিয়ে প্রবেশ করলাম কিন্তু রুমটা কি সুন্দর করে সাজানো।
'
=> মিতু এখানে কেউ থাকে নাকি?
=> কেনো বলতো?
=> না রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানোতো তাই বললাম।
=> আরে না আমিতো পরশুদিন ,,,,, ,,,,,,,
=> ও তারমানে তুমি পরশুদিন না পড়ে এগুলো করেছো।
=> আরে না তেমন কিছু না। বাদ দাওতো তুমি ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নাও তারপর নিচে এসে আম্মুর সাথে দেখা করিও।
=> আচ্ছা ঠিক আছে যাও।
'
আমি ফ্রেস হয়ে একটা ঘুম দিলাম। বিকেলে উঠে মিতুদের ফ্লাটে গেলাম।
'
=> আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
=>ওয়ালাইকুম সালাম। বাবা রুমের সব দেখে নিয়েছো।
=> জ্বি আন্টি
=> আচ্ছা ঠিক আছে, কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাইও?
=> আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি।
'
আমি আন্টির সাথে কথা বলে মিতুকে পড়াতে গেলাম।
'
=> কি স্যার কেমন লাগছে।
=> এই আমি কিন্তু তোমার টিচার, কিভাবে কথা বলছো তুমি?
=> আমরা কিন্তু ফ্রেন্ড হয়েছি তাই এভাবে কথা বলতেই পারি।
=> তোমার কিন্তু সব অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে।
=> এখনোতো কিছু দেখোনি এখন দেখবা অতিরিক্ত কাকে বলে।
=> কথা কম পড়তে বসো।
'
আমি মিতুকে পড়িয়ে চলে আসলাম। এই মেয়েকে পড়াচ্ছি শুধু এর রেজাল্টটা ভালো করে দেয়ার জন্য না হলে এতোদিন,,,,,,,,,।আমি রুমে এসে পড়তেছি কিছুক্ষন কলিং বাজছে। দরজা খুলে দেখি ভেজাল দারিয়ে আছে।
'
=> হ্যা বলো কি হয়েছে।
=> আম্মু খেতে ডাকছে।
=> আরে আমিতো বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।
=> কেনো, আসো আবার খাবে।
=> না,আমি খাবোনা আর তুমি যাও।
'
মিতু চলে গেলো। আমিও রুমের দরজা বন্ধ করে পড়তে বসলাম। আমি কিন্তু বাইরে খাইনি। আর মিথ্যা বললাম কারন আন্টি মিতুকে পড়ার জন্য প্রয়োজনের চেয়েও বেশি টাকা দেয় তারওপর আবার এই রুমটা দিয়েছে থাকতে। এতোকিছু যদি ওদের কাছ থেকে নেই তাহলে নিজের কাছেই জানি কেমন লাগে তাই না বলে দিলাম। এসব ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষন পর আবার কলিং বাজলো। দরজা খুলতেই আবার ভেজাল।
'
=> আবার কি?
=> খাবার এনেছি খেয়ে নাও।
=> বলেছিতো যে আমি খেয়ে এসেছি।
=> আমি ভালো করেই জানি তুমি খাওনি। আসো খাবে।
'
ভালোভাবেই জানি এই মেয়ে যা যেদি না খাইয়ে এখান থেকে যাবেনা তাই খেতে বসলাম।
'
=> আমি যে খাইনি তুমি কিভাবে জানো?
=> কাছের মানুষের কিছু কথা মুখ ফুটে বলার প্রয়োজন হয়না এমনিতেই বোঝা যায় ।
=> মানে?
=> কিছুনা তুমি খাও।
'
আমার খাওয়া শেষে কিছু না বলেই মিতু চলে গেলো।যাক ভালোই হলো,আমিও শুয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা কে যেনো কলিং বেল বাজাচ্ছে। আমি ঘুম চোখে নিয়ে দরজা খুললাম।
'
=> কে?
=> আমি আন্টি, চোখটা একটু ফোটাও দেখতে পারবা।
=> ও আন্টি আপনি, হ্যা বলুন।
=> ফ্রেস হয়ে নিচে আসো নাস্তা করবো একসাথে।
=> সমস্যা নেই আন্টি আমি নিজে করে নেবো।
=> তোমাকেতো বলছি আসতে, আর তোমার সাথে আমার কিছু কথাও আছে।
=> আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি আসতেছি।
'
আমি ফ্রেস হয়ে নিচে চলে গেলাম। আমাকে দেখে মিতু হাসতেছে, আমি ভালোভাবেই জানি যখন পারেনা তখন আন্টিকে পাঠিয়ে দেয় আমার কাছে। ওর হাসি দেখে মনে হচ্ছে একটা লাঠি দিয়ে দাতগুলো ভেংগে দেই। আমি বসলাম নাস্তা করতে।
'
=> বাবা তোমাকে যেটা বলতে চেয়েছিলাম,
=> জ্বি আন্টি বলুন।
=> আসলে মিতুর পরীক্ষা এসে গেছে আর ও বাসায় পড়তেও চায়না তাই বলছিলাম তোমার কোনো সমস্যা না থাকলে ওকে একটু সন্ধাতেও দেখিয়ে দিতে।
=> না আন্টি আমার কোনো সমস্যা নেই আমি ওকে দেখিয়ে দেবো।
=> আমি ভালোভাবেই জানি এগুলো সব মিতুর সাজানো।
'
আমি নাস্তা করে কলেজে গেলাম। কলেজ থেকে ফিরে একটু রেস্ট নিয়ে মিতুকে পড়াতে গেলাম। মিতুকে পড়িয়ে আমি আসতেছি মিতুও আমার পিছে আসতেছে।
'
=> কি ব্যাপার কই যাও?
=> আম্মুনা বললো যে সন্ধায় আমায় দেখিয়ে দিতে। সামনে পরিক্ষা তাই ফাকি দেয়া যাবেনা, পড়তে যাচ্ছি।
=> ভুতের মুখে রাম নাম। তোমার এসব অভিনয় আন্টিকে দেখাইও আমাকে না। আমি ভালোভাবেই জানি এসব তোমার অভিনয়।
=> হয়েছে হয়েছে চলো।
'
কি আর করার গেলাম। ওকে একটু দেখিয়ে দিচ্ছি,
'
=> থাক আজ এই পর্যন্ত।
=> এই পর্যন্ত থাক মানে কেবলতো শুরু করলা।
=> বেশি পড়া ভালোনা তাহলে আগের গুলা ভুলে যাবো।
=> বুঝতে পারছি এর মাথায় শয়তান ভর করছে। আচ্ছা ঠিক আছে যাও তাহলে।
=> যাবো মানে একটু গল্প করোনা।
=> কি গল্প করবো?
=> তোমার জীবনের গল্প।
=> আমার জীবনের কোনো গল্প নেই, সব ব্লাংক। আচ্ছা মিতু তোমাকে একটা প্রশ্ন করি।
=> হ্যা বলো,
=> এই যে তুমি আমায় জ্বালাও, আর কয়েকদিন পর যখন আমি থাকবোনা তখন কাকে জ্বালাবা।
=> থাকবানা মানে তুমি আবার কই যাবা?
=> আরে তোমার পরিক্ষা শেষ হলেতো আমি চলে যাবো তাইনা।
=> সেটা পরের বিষয় পরে দেখা যাবে।
'
কিছুক্ষন পর মিতু চলে গেলো। এভাবেই যাচ্ছে দিনগুলো। আর দেখতে দেখতে মিতুর পইক্ষাও শুরু হয়ে গেলো। আমি এখন অনেকটা ফ্রি। তাই ভাবলাম অনেকদিন গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়না একটু গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। আর আজকে মিতুর শেষ পরিক্ষাও, হয়তো আন্টি ওকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবে। গ্রামের বাড়ি থেকে এসে আবার ম্যাস ঠিক করতে হবে। তাই আন্টিকে বলে বেরিয়ে পড়লাম গ্রামের উদ্দ্যেশে। গ্রামে বাবা মা আমাকে দেখেতো অনেক খুশি। আমি বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নিলাম। একটু পর মা রান্না করে ডাক দিলো। আমি খেতে গেলাম অনেক দিন পর মায়ের হাতের রান্না খেলাম, অনেক মিস করি মায়ের হাতের রান্না। আমি খেয়ে গ্রামটা ঘুরতে বের হলাম। সমস্যা হয়েছে আসার সময় আমার ফোনের চার্জার আনতে ভুলে গেছি তাই ফোনটাও বন্ধ হয়ে আছে কারো সাথে কথা বলতে পারছিনা। কি আর করার, আমি গ্রামে প্রায় পনেরোদিন ঘুরলাম। তারপর আবার শহরের দিকে রহনা দিলাম। আমি বাসায় গিয়ে ফোনটা চার্জে দিয়ে একটু রেস্ট নিলাম। হটাঠ মনে পড়লো আন্টির দেখা করা হয়নি। আমি মিতুদের বাসায় গিয়ে কলিং দিলাম। একটুপর আন্টি দরজা খুলে দিলো।
'
=> আরে বাবা তুমি কখন আসলা?
=> এইতো আন্টি একটু আগে।
=> এসে ভালোই করেছো, মিতু পরিক্ষা দিয়ে এসে তোমাকে দেখেনি তাই এই কয়েকদিনে যে ওর কি অবস্থা হয়েছে। তুমি ওর সাথে একটু দেখা করতো বাবা।
=> আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি কিন্তু মিতু কোথায়।
=> মনে হয় ছাদে আছে।
=> আচ্ছা আমি ছাদে যাচ্ছি।
'
আমি ছাদে চলে গেলাম। মিতু ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে শুধু একবার মিতু বললাম পেছনে ঘুরে আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে।
'
=> আরে আমার পিচ্ছি ফ্রেন্ডের কি হয়েছে কান্না করতেছে কেনো?
=> কোথায় গেছো আমাকে রেখে তুমি।(কান্না করে)
=> আমিতো একটু গ্রামের বাড়িতে গেছিলাম।
=> আমাকে বলোনি কেনো? তোমার ফোন বন্ধ কেনো?
=> আচ্ছা ঠিক আছে বলতেছি আগে কান্না থামাও।
=> না,
=> আচ্ছা তাহলে আমায় ছেড়ে দাও এখন।
=> না ছড়বোনা, তুমি আবার চলে যাবে।
=> আরে বাবা তোমাকে আমি কথা দিলাম আর কোথাও যাবো না তোমাকে না বলে।
=> সত্যিতো?
=> হ্যা সত্যি, তুমি কি এখনো কান্না করবে? আচ্ছা ঠিক আছে তুমি কান্না করলে আমি চলে যাই।
=> এই তুমি আমি আর কান্না করবোনা।
'
আমাকে ছেড়ে দিয়ে বসে আছি দুজনে। জড়িয়ে ধরা ছেড়ে দিলেও আমার হাতটা এখনো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। ভেবেছিলাম আমি চলে গেলে ও একটু রিয়েক্ট করবে কিন্তু এতোটা রিয়েক্ট করবে আমি ভাবিনি।
'
=> এখন বলো তুমি না বলে গেছো কেনো আর তোমার বন্ধ কেনো?
=> তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো আগে তুমি আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দাওতো,
=> বলো কি বলবে।
=> হ্যা বসো। কি শুনছি আমি এসব?
=> কি শুনেছেন আন্টি?
=> তুমি কি আমাদের নিজের লোক মনে করোনা?
=> কেনো আন্টি করিতো।
=> আচ্ছা বাদ দাও ওসব। কোথায় এখন থাকছো তুমি?
=> জ্বি আন্টি এইতো পাশেই একটা ম্যাসে।
=> ম্যাসে থাকতে যাবে কেনো আমাদের ওপরের রুমটাতো ফাকা আছে ওখানেইতো থাকতে পাড়ো আর এখানে পড়াটাও ভালো হবে।
=> থাক আন্টি তার প্রয়োজন,,,,,,,
=> তোমার কোনো কথা শুনছিনা। কাল তুমি আমাদের বাসাতেই উঠবা।
'
বুঝতে পারছিনা হঠাৎ এসব কি হচ্ছে। পাশেই মিতুকে দেখলাম হাসছে। ও তারমানে এসব মিতুর কাজ।
'
=> এসব তোমার কাজ তাইনা?
=> আমি কিছু করিনি।
=> তোমাকে আর আমি কিছুই বলবোনা।
=> সেটা পরে দেখা যাবে।
'
আমি ম্যাসে চলে গেলাম, কি করবো বুঝতে পারছিনা। আন্টি বলেছে সেটাও আবার মানা করতে পারিনা। না ওখানেই থাকি, এতে আমারো নাভ হবে। যা ভাবা সেই কাজ, পরদিন সব জিনিস নিয়ে মিতুদের বাসার উদ্দ্যেশে রহনা দিলাম। মিতু আমাকে নিচে দেখেই দৌড়ে গেটে আসলো।
'
=> ধীরে আসতে পারোনা, কিসের এতো তারা তোমার?
=> ও তুমি বুঝবেনা। এটা খুশির তারা।=> হয়েছে আর বলতে হবেনা। তুমি বাসায় কেনো স্কুলে যাওনি?
=> না, আজকে আপন একজন কাছে আসবেতো তাই যেতে ইচ্ছা করেনি।
=> কে সে?
=> তোমার জানতে হবেনা তুমি আসো।
=> হ্যা চলো।
'
মিতু আমাকে হেল্প করলো। আমি রুমে গিয়ে প্রবেশ করলাম কিন্তু রুমটা কি সুন্দর করে সাজানো।
'
=> মিতু এখানে কেউ থাকে নাকি?
=> কেনো বলতো?
=> না রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানোতো তাই বললাম।
=> আরে না আমিতো পরশুদিন ,,,,, ,,,,,,,
=> ও তারমানে তুমি পরশুদিন না পড়ে এগুলো করেছো।
=> আরে না তেমন কিছু না। বাদ দাওতো তুমি ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নাও তারপর নিচে এসে আম্মুর সাথে দেখা করিও।
=> আচ্ছা ঠিক আছে যাও।
'
আমি ফ্রেস হয়ে একটা ঘুম দিলাম। বিকেলে উঠে মিতুদের ফ্লাটে গেলাম।
'
=> আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
=>ওয়ালাইকুম সালাম। বাবা রুমের সব দেখে নিয়েছো।
=> জ্বি আন্টি
=> আচ্ছা ঠিক আছে, কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাইও?
=> আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি।
'
আমি আন্টির সাথে কথা বলে মিতুকে পড়াতে গেলাম।
'
=> কি স্যার কেমন লাগছে।
=> এই আমি কিন্তু তোমার টিচার, কিভাবে কথা বলছো তুমি?
=> আমরা কিন্তু ফ্রেন্ড হয়েছি তাই এভাবে কথা বলতেই পারি।
=> তোমার কিন্তু সব অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে।
=> এখনোতো কিছু দেখোনি এখন দেখবা অতিরিক্ত কাকে বলে।
=> কথা কম পড়তে বসো।
'
আমি মিতুকে পড়িয়ে চলে আসলাম। এই মেয়েকে পড়াচ্ছি শুধু এর রেজাল্টটা ভালো করে দেয়ার জন্য না হলে এতোদিন,,,,,,,,,।আমি রুমে এসে পড়তেছি কিছুক্ষন কলিং বাজছে। দরজা খুলে দেখি ভেজাল দারিয়ে আছে।
'
=> হ্যা বলো কি হয়েছে।
=> আম্মু খেতে ডাকছে।
=> আরে আমিতো বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।
=> কেনো, আসো আবার খাবে।
=> না,আমি খাবোনা আর তুমি যাও।
'
মিতু চলে গেলো। আমিও রুমের দরজা বন্ধ করে পড়তে বসলাম। আমি কিন্তু বাইরে খাইনি। আর মিথ্যা বললাম কারন আন্টি মিতুকে পড়ার জন্য প্রয়োজনের চেয়েও বেশি টাকা দেয় তারওপর আবার এই রুমটা দিয়েছে থাকতে। এতোকিছু যদি ওদের কাছ থেকে নেই তাহলে নিজের কাছেই জানি কেমন লাগে তাই না বলে দিলাম। এসব ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষন পর আবার কলিং বাজলো। দরজা খুলতেই আবার ভেজাল।
'
=> আবার কি?
=> খাবার এনেছি খেয়ে নাও।
=> বলেছিতো যে আমি খেয়ে এসেছি।
=> আমি ভালো করেই জানি তুমি খাওনি। আসো খাবে।
'
ভালোভাবেই জানি এই মেয়ে যা যেদি না খাইয়ে এখান থেকে যাবেনা তাই খেতে বসলাম।
'
=> আমি যে খাইনি তুমি কিভাবে জানো?
=> কাছের মানুষের কিছু কথা মুখ ফুটে বলার প্রয়োজন হয়না এমনিতেই বোঝা যায় ।
=> মানে?
=> কিছুনা তুমি খাও।
'
আমার খাওয়া শেষে কিছু না বলেই মিতু চলে গেলো।যাক ভালোই হলো,আমিও শুয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা কে যেনো কলিং বেল বাজাচ্ছে। আমি ঘুম চোখে নিয়ে দরজা খুললাম।
'
=> কে?
=> আমি আন্টি, চোখটা একটু ফোটাও দেখতে পারবা।
=> ও আন্টি আপনি, হ্যা বলুন।
=> ফ্রেস হয়ে নিচে আসো নাস্তা করবো একসাথে।
=> সমস্যা নেই আন্টি আমি নিজে করে নেবো।
=> তোমাকেতো বলছি আসতে, আর তোমার সাথে আমার কিছু কথাও আছে।
=> আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি আসতেছি।
'
আমি ফ্রেস হয়ে নিচে চলে গেলাম। আমাকে দেখে মিতু হাসতেছে, আমি ভালোভাবেই জানি যখন পারেনা তখন আন্টিকে পাঠিয়ে দেয় আমার কাছে। ওর হাসি দেখে মনে হচ্ছে একটা লাঠি দিয়ে দাতগুলো ভেংগে দেই। আমি বসলাম নাস্তা করতে।
'
=> বাবা তোমাকে যেটা বলতে চেয়েছিলাম,
=> জ্বি আন্টি বলুন।
=> আসলে মিতুর পরীক্ষা এসে গেছে আর ও বাসায় পড়তেও চায়না তাই বলছিলাম তোমার কোনো সমস্যা না থাকলে ওকে একটু সন্ধাতেও দেখিয়ে দিতে।
=> না আন্টি আমার কোনো সমস্যা নেই আমি ওকে দেখিয়ে দেবো।
=> আমি ভালোভাবেই জানি এগুলো সব মিতুর সাজানো।
'
আমি নাস্তা করে কলেজে গেলাম। কলেজ থেকে ফিরে একটু রেস্ট নিয়ে মিতুকে পড়াতে গেলাম। মিতুকে পড়িয়ে আমি আসতেছি মিতুও আমার পিছে আসতেছে।
'
=> কি ব্যাপার কই যাও?
=> আম্মুনা বললো যে সন্ধায় আমায় দেখিয়ে দিতে। সামনে পরিক্ষা তাই ফাকি দেয়া যাবেনা, পড়তে যাচ্ছি।
=> ভুতের মুখে রাম নাম। তোমার এসব অভিনয় আন্টিকে দেখাইও আমাকে না। আমি ভালোভাবেই জানি এসব তোমার অভিনয়।
=> হয়েছে হয়েছে চলো।
'
কি আর করার গেলাম। ওকে একটু দেখিয়ে দিচ্ছি,
'
=> থাক আজ এই পর্যন্ত।
=> এই পর্যন্ত থাক মানে কেবলতো শুরু করলা।
=> বেশি পড়া ভালোনা তাহলে আগের গুলা ভুলে যাবো।
=> বুঝতে পারছি এর মাথায় শয়তান ভর করছে। আচ্ছা ঠিক আছে যাও তাহলে।
=> যাবো মানে একটু গল্প করোনা।
=> কি গল্প করবো?
=> তোমার জীবনের গল্প।
=> আমার জীবনের কোনো গল্প নেই, সব ব্লাংক। আচ্ছা মিতু তোমাকে একটা প্রশ্ন করি।
=> হ্যা বলো,
=> এই যে তুমি আমায় জ্বালাও, আর কয়েকদিন পর যখন আমি থাকবোনা তখন কাকে জ্বালাবা।
=> থাকবানা মানে তুমি আবার কই যাবা?
=> আরে তোমার পরিক্ষা শেষ হলেতো আমি চলে যাবো তাইনা।
=> সেটা পরের বিষয় পরে দেখা যাবে।
'
কিছুক্ষন পর মিতু চলে গেলো। এভাবেই যাচ্ছে দিনগুলো। আর দেখতে দেখতে মিতুর পইক্ষাও শুরু হয়ে গেলো। আমি এখন অনেকটা ফ্রি। তাই ভাবলাম অনেকদিন গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়না একটু গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। আর আজকে মিতুর শেষ পরিক্ষাও, হয়তো আন্টি ওকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবে। গ্রামের বাড়ি থেকে এসে আবার ম্যাস ঠিক করতে হবে। তাই আন্টিকে বলে বেরিয়ে পড়লাম গ্রামের উদ্দ্যেশে। গ্রামে বাবা মা আমাকে দেখেতো অনেক খুশি। আমি বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নিলাম। একটু পর মা রান্না করে ডাক দিলো। আমি খেতে গেলাম অনেক দিন পর মায়ের হাতের রান্না খেলাম, অনেক মিস করি মায়ের হাতের রান্না। আমি খেয়ে গ্রামটা ঘুরতে বের হলাম। সমস্যা হয়েছে আসার সময় আমার ফোনের চার্জার আনতে ভুলে গেছি তাই ফোনটাও বন্ধ হয়ে আছে কারো সাথে কথা বলতে পারছিনা। কি আর করার, আমি গ্রামে প্রায় পনেরোদিন ঘুরলাম। তারপর আবার শহরের দিকে রহনা দিলাম। আমি বাসায় গিয়ে ফোনটা চার্জে দিয়ে একটু রেস্ট নিলাম। হটাঠ মনে পড়লো আন্টির দেখা করা হয়নি। আমি মিতুদের বাসায় গিয়ে কলিং দিলাম। একটুপর আন্টি দরজা খুলে দিলো।
'
=> আরে বাবা তুমি কখন আসলা?
=> এইতো আন্টি একটু আগে।
=> এসে ভালোই করেছো, মিতু পরিক্ষা দিয়ে এসে তোমাকে দেখেনি তাই এই কয়েকদিনে যে ওর কি অবস্থা হয়েছে। তুমি ওর সাথে একটু দেখা করতো বাবা।
=> আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি কিন্তু মিতু কোথায়।
=> মনে হয় ছাদে আছে।
=> আচ্ছা আমি ছাদে যাচ্ছি।
'
আমি ছাদে চলে গেলাম। মিতু ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে শুধু একবার মিতু বললাম পেছনে ঘুরে আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে।
'
=> আরে আমার পিচ্ছি ফ্রেন্ডের কি হয়েছে কান্না করতেছে কেনো?
=> কোথায় গেছো আমাকে রেখে তুমি।(কান্না করে)
=> আমিতো একটু গ্রামের বাড়িতে গেছিলাম।
=> আমাকে বলোনি কেনো? তোমার ফোন বন্ধ কেনো?
=> আচ্ছা ঠিক আছে বলতেছি আগে কান্না থামাও।
=> না,
=> আচ্ছা তাহলে আমায় ছেড়ে দাও এখন।
=> না ছড়বোনা, তুমি আবার চলে যাবে।
=> আরে বাবা তোমাকে আমি কথা দিলাম আর কোথাও যাবো না তোমাকে না বলে।
=> সত্যিতো?
=> হ্যা সত্যি, তুমি কি এখনো কান্না করবে? আচ্ছা ঠিক আছে তুমি কান্না করলে আমি চলে যাই।
=> এই তুমি আমি আর কান্না করবোনা।
'
আমাকে ছেড়ে দিয়ে বসে আছি দুজনে। জড়িয়ে ধরা ছেড়ে দিলেও আমার হাতটা এখনো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। ভেবেছিলাম আমি চলে গেলে ও একটু রিয়েক্ট করবে কিন্তু এতোটা রিয়েক্ট করবে আমি ভাবিনি।
'
=> এখন বলো তুমি না বলে গেছো কেনো আর তোমার বন্ধ কেনো?
=> তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো আগে তুমি আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দাওতো,
=> বলো কি বলবে।
চলবে.......
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com