সুরাঃ বাকারাহ আরবি ও বাংলা অর্থ সহ (আয়াত ১ থেকে ৭০ পর্যন্ত)
(২) সুরা: বাকারাহ
الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১) আলিফ-লাম-মীম।*
*এ অক্ষরগুলো কুরআনের একটি মু‘জিযা- যার প্রকৃত অর্থ একমাত্র আল্লাহই জানেন।
ذٰلِکَالۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَۚۖۛفِیۡہِۚۛہُدًیلِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ﴿۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২) এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।
الَّذِیۡنَیُؤۡمِنُوۡنَبِالۡغَیۡبِ وَ یُقِیۡمُوۡنَالصَّلٰوۃَ وَ مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡیُنۡفِقُوۡنَ ۙ﴿۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩) গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
وَ الَّذِیۡنَیُؤۡمِنُوۡنَبِمَاۤاُنۡزِلَاِلَیۡکَ وَ مَاۤاُنۡزِلَمِنۡقَبۡلِکَ ۚ وَ بِالۡاٰخِرَۃِہُمۡیُوۡقِنُوۡنَ ؕ﴿۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪) আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা ইয়াকীন রাখে।
اُولٰٓئِکَعَلٰیہُدًیمِّنۡرَّبِّہِمۡ ٭ وَ اُولٰٓئِکَہُمُالۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫) তারা তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।
اِنَّ الَّذِیۡنَکَفَرُوۡاسَوَآءٌعَلَیۡہِمۡءَاَنۡذَرۡتَہُمۡاَمۡلَمۡتُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬) নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য বরাবর, তারা ঈমান আনবে না।
خَتَمَ اللّٰہُعَلٰیقُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰیسَمۡعِہِمۡ ؕ وَ عَلٰۤیاَبۡصَارِہِمۡغِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ٪﴿۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৭) আল্লাহ তাদের অন্তরে এবং তাদের কানে মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চোখসমূহে রয়েছে পর্দা। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।
وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡیَّقُوۡلُاٰمَنَّابِاللّٰہِ وَ بِالۡیَوۡمِالۡاٰخِرِ وَ مَا ہُمۡبِمُؤۡمِنِیۡنَ ۘ﴿۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৮) আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি’, অথচ তারা মুমিন নয়।
یُخٰدِعُوۡنَاللّٰہَ وَ الَّذِیۡنَاٰمَنُوۡا ۚ وَ مَا یَخۡدَعُوۡنَاِلَّاۤاَنۡفُسَہُمۡ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ ؕ﴿۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৯) তারা আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। অথচ তারা নিজদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা অনুধাবন করে না।
فِیۡقُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ ۙ فَزَادَہُمُاللّٰہُ مَرَضًا ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌۢ ۬ۙ بِمَا کَانُوۡایَکۡذِبُوۡنَ ﴿۱۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০) তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি। সুতরাং আল্লাহ তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। কারণ তারা মিথ্যা বলত।
وَ اِذَا قِیۡلَلَہُمۡ لَا تُفۡسِدُوۡافِیالۡاَرۡضِ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّمَا نَحۡنُمُصۡلِحُوۡنَ ﴿۱۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১) আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফাসাদ করো না’, তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী’।
اَلَاۤاِنَّہُمۡہُمُالۡمُفۡسِدُوۡنَ وَ لٰکِنۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২) জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা ফাসাদকারী; কিন্তু তারা বুঝে না।
وَ اِذَا قِیۡلَلَہُمۡاٰمِنُوۡاکَمَاۤاٰمَنَ النَّاسُ قَالُوۡۤااَنُؤۡمِنُکَمَاۤاٰمَنَالسُّفَہَآءُ ؕ اَلَاۤاِنَّہُمۡہُمُالسُّفَہَآءُ وَ لٰکِنۡ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৩) আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’, তারা বলে, ‘আমরা কি ঈমান আনব যেমন নির্বোধরা ঈমান এনেছে’? জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না।
وَ اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَاٰمَنُوۡاقَالُوۡۤااٰمَنَّاۚۖ وَ اِذَا خَلَوۡااِلٰیشَیٰطِیۡنِہِمۡ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا مَعَکُمۡ ۙ اِنَّمَا نَحۡنُمُسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۱۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৪) আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এবং যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী’।
اَللّٰہُیَسۡتَہۡزِئُبِہِمۡ وَ یَمُدُّہُمۡفِیۡطُغۡیَانِہِمۡیَعۡمَہُوۡنَ ﴿۱۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৫) আল্লাহ তাদের প্রতি উপহাস করেন এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরার অবকাশ দেন।
اُولٰٓئِکَالَّذِیۡنَاشۡتَرَوُاالضَّلٰلَۃَبِالۡہُدٰی ۪ فَمَا رَبِحَتۡتِّجَارَتُہُمۡ وَ مَا کَانُوۡامُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৬) এরাই তারা, যারা হিদায়াতের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা ক্রয় করেছে। কিন্তু তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি এবং তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না।
مَثَلُہُمۡکَمَثَلِالَّذِیاسۡتَوۡقَدَ نَارًا ۚ فَلَمَّاۤاَضَآءَتۡ مَا حَوۡلَہٗ ذَہَبَاللّٰہُبِنُوۡرِہِمۡ وَ تَرَکَہُمۡفِیۡظُلُمٰتٍ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۱۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৭) তাদের উপমা ঐ ব্যক্তির মত, যে আগুন জ্বালাল। এরপর যখন আগুন তার চারপাশ আলোকিত করল, আল্লাহ তাদের আলো কেড়ে নিলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন এমন অন্ধকারে যে, তারা দেখছে না।
صُمٌّۢبُکۡمٌعُمۡیٌفَہُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿ۙ۱۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৮) তারা বধির-মূক-অন্ধ। তাই তারা ফিরে আসবে না।
اَوۡکَصَیِّبٍ مِّنَ السَّمَآءِفِیۡہِظُلُمٰتٌ وَّ رَعۡدٌ وَّ بَرۡقٌ ۚ یَجۡعَلُوۡنَاَصَابِعَہُمۡفِیۡۤاٰذَانِہِمۡ مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الۡمَوۡتِ ؕ وَ اللّٰہُمُحِیۡطٌۢبِالۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৯) কিংবা আকাশের বর্ষণমুখর মেঘের ন্যায়, যাতে রয়েছে ঘন অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎচমক। বজ্রের গর্জনে তারা মৃত্যুর ভয়ে তাদের কানে আঙুল দিয়ে রাখে। আর আল্লাহ কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন।
یَکَادُالۡبَرۡقُیَخۡطَفُاَبۡصَارَہُمۡ ؕ کُلَّمَاۤاَضَآءَلَہُمۡمَّشَوۡافِیۡہِ ٭ۙ وَ اِذَاۤاَظۡلَمَعَلَیۡہِمۡقَامُوۡا ؕ وَ لَوۡشَآءَاللّٰہُلَذَہَبَبِسَمۡعِہِمۡ وَ اَبۡصَارِہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَعَلٰیکُلِّشَیۡءٍقَدِیۡرٌ ﴿٪۲۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২০) বিদ্যুৎচমক তাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার উপক্রম হয়। যখনই তা তাদের জন্য আলো দেয়, তারা তাতে চলতে থাকে। আর যখন তা তাদের উপর অন্ধকার করে দেয়, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তাদের শ্রবণ ও চোখসমূহ নিয়ে নিতেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اعۡبُدُوۡارَبَّکُمُالَّذِیۡخَلَقَکُمۡ وَ الَّذِیۡنَمِنۡقَبۡلِکُمۡلَعَلَّکُمۡتَتَّقُوۡنَ ﴿ۙ۲۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২১) হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত কর, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।
الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُالۡاَرۡضَ فِرَاشًا وَّ السَّمَآءَبِنَآءً ۪ وَّ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِمَآءًفَاَخۡرَجَبِہٖ مِنَ الثَّمَرٰتِرِزۡقًالَّکُمۡ ۚ فَلَا تَجۡعَلُوۡالِلّٰہِاَنۡدَادًا وَّ اَنۡتُمۡتَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২২) যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আসমানকে ছাদ এবং আসমান থেকে নাযিল করেছেন বৃষ্টি। অতঃপর তাঁর মাধ্যমে উৎপন্ন করেছেন ফল-ফলাদি, তোমাদের জন্য রিয্কস্বরূপ। সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।
وَ اِنۡکُنۡتُمۡفِیۡرَیۡبٍ مِّمَّا نَزَّلۡنَاعَلٰیعَبۡدِنَافَاۡتُوۡابِسُوۡرَۃٍمِّنۡمِّثۡلِہٖ ۪ وَ ادۡعُوۡاشُہَدَآءَکُمۡمِّنۡدُوۡنِاللّٰہِاِنۡکُنۡتُمۡصٰدِقِیۡنَ ﴿۲۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৩) আর আমি আমার বান্দার উপর যা নাযিল করেছি, যদি তোমরা সে সম্পর্কে সন্দেহে থাক, তবে তোমরা তার মত একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাক্ষীসমূহকে ডাক; যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
فَاِنۡلَّمۡتَفۡعَلُوۡا وَ لَنۡتَفۡعَلُوۡا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِیۡوَقُوۡدُہَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُۚۖاُعِدَّتۡلِلۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۲۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৪) অতএব যদি তোমরা তা না কর- আর কখনো তোমরা তা করবে না- তাহলে আগুনকে ভয় কর যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর, যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য।
وَ بَشِّرِ الَّذِیۡنَاٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَہُمۡجَنّٰتٍتَجۡرِیۡمِنۡتَحۡتِہَاالۡاَنۡہٰرُ ؕ کُلَّمَارُزِقُوۡامِنۡہَامِنۡثَمَرَۃٍرِّزۡقًا ۙ قَالُوۡاہٰذَاالَّذِیۡرُزِقۡنَامِنۡقَبۡلُ ۙ وَ اُتُوۡابِہٖ مُتَشَابِہًا ؕ وَ لَہُمۡفِیۡہَاۤاَزۡوَاجٌمُّطَہَّرَۃٌ ٭ۙ وَّ ہُمۡفِیۡہَاخٰلِدُوۡنَ ﴿۲۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৫) যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই তাদেরকে জান্নাত থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে, ‘এটাই তো পূর্বে আমাদেরকে খেতে দেয়া হয়েছিল’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে হবে স্থায়ী।
اِنَّ اللّٰہَ لَا یَسۡتَحۡیٖۤاَنۡیَّضۡرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوۡضَۃً فَمَا فَوۡقَہَا ؕ فَاَمَّاالَّذِیۡنَاٰمَنُوۡافَیَعۡلَمُوۡنَاَنَّہُالۡحَقُّمِنۡرَّبِّہِمۡ ۚ وَ اَمَّا الَّذِیۡنَکَفَرُوۡافَیَقُوۡلُوۡنَ مَا ذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُبِہٰذَا مَثَلًا ۘ یُضِلُّبِہٖ کَثِیۡرًا ۙ وَّ یَہۡدِیۡبِہٖ کَثِیۡرًا ؕ وَ مَا یُضِلُّبِہٖۤ اِلَّا الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৬) নিশ্চয় আল্লাহ মশা কিংবা তার চেয়েও ছোট কিছুর উপমা দিতে লজ্জা করেন না। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে, নিশ্চয় তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য। আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, আল্লাহ এর মাধ্যমে উপমা দিয়ে কী চেয়েছেন? তিনি এ দিয়ে অনেককে পথভ্রষ্ট করেন এবং এ দিয়ে অনেককে হিদায়াত দেন। আর এর মাধ্যমে কেবল ফাসিকদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন।
الَّذِیۡنَیَنۡقُضُوۡنَعَہۡدَاللّٰہِمِنۡۢبَعۡدِمِیۡثَاقِہٖ ۪ وَ یَقۡطَعُوۡنَمَاۤ اَمَرَ اللّٰہُبِہٖۤاَنۡیُّوۡصَلَ وَ یُفۡسِدُوۡنَفِیالۡاَرۡضِ ؕ اُولٰٓئِکَہُمُالۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۲۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৭) যারা আল্লাহর দৃঢ়কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ যা জোড়া লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে এবং যমীনে ফাসাদ করে। তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
کَیۡفَتَکۡفُرُوۡنَبِاللّٰہِ وَ کُنۡتُمۡاَمۡوَاتًافَاَحۡیَاکُمۡ ۚ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ ثُمَّ اِلَیۡہِتُرۡجَعُوۡنَ ﴿۲۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৮) কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ অথচ তোমরা ছিলে মৃত? অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন অতঃপর জীবিত করবেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
ہُوَالَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِیالۡاَرۡضِجَمِیۡعًا ٭ ثُمَّ اسۡتَوٰۤیاِلَیالسَّمَآءِفَسَوّٰىہُنَّسَبۡعَسَمٰوٰتٍ ؕ وَ ہُوَبِکُلِّشَیۡءٍعَلِیۡمٌ ﴿٪۲۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (২৯) তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারপর আসমানের প্রতি খেয়াল করলেন এবং তাকে সাত আসমানে সুবিন্যস্ত করলেন। আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞাত।
وَ اِذۡ قَالَ رَبُّکَلِلۡمَلٰٓئِکَۃِاِنِّیۡ جَاعِلٌ فِیالۡاَرۡضِخَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤااَتَجۡعَلُفِیۡہَامَنۡیُّفۡسِدُفِیۡہَا وَ یَسۡفِکُالدِّمَآءَ ۚ وَ نَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَ نُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤاَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩০) আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি যমীনে একজন খলীফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না।
وَ عَلَّمَ اٰدَمَالۡاَسۡمَآءَکُلَّہَا ثُمَّ عَرَضَہُمۡعَلَیالۡمَلٰٓئِکَۃِ ۙ فَقَالَ اَنۡۢبِـُٔوۡنِیۡبِاَسۡمَآءِہٰۤؤُلَآءِاِنۡکُنۡتُمۡصٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩১) আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
قَالُوۡاسُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَلَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَاَنۡتَالۡعَلِیۡمُالۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩২) তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।
قَالَ یٰۤاٰدَمُاَنۡۢبِئۡہُمۡبِاَسۡمَآئِہِمۡ ۚ فَلَمَّاۤاَنۡۢبَاَہُمۡبِاَسۡمَآئِہِمۡ ۙ قَالَ اَلَمۡاَقُلۡلَّکُمۡاِنِّیۡۤاَعۡلَمُغَیۡبَالسَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۙ وَ اَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا کُنۡتُمۡتَکۡتُمُوۡنَ ﴿۳۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৩) তিনি বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও’। অতঃপর যখন সে এগুলোর নাম তাদেরকে জানাল, তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েব জানি এবং জানি যা তোমরা প্রকাশ কর এবং যা তোমরা গোপন করতে’?
وَ اِذۡقُلۡنَالِلۡمَلٰٓئِکَۃِاسۡجُدُوۡالِاٰدَمَفَسَجَدُوۡۤااِلَّاۤاِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی وَ اسۡتَکۡبَرَ ٭۫ وَ کَانَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۳۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৪) আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর’। তখন তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহঙ্কার করল। আর সে হল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত।
وَ قُلۡنَایٰۤاٰدَمُاسۡکُنۡاَنۡتَ وَ زَوۡجُکَالۡجَنَّۃَ وَ کُلَامِنۡہَا رَغَدًا حَیۡثُشِئۡتُمَا ۪ وَ لَا تَقۡرَبَاہٰذِہِالشَّجَرَۃَفَتَکُوۡنَا مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۳۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৫) আর আমি বললাম, ‘হে আদম, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং তা থেকে আহার কর স্বাচ্ছন্দ্যে, তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী এবং এই গাছটির নিকটবর্তী হয়ো না, তাহলে তোমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
فَاَزَلَّہُمَاالشَّیۡطٰنُعَنۡہَافَاَخۡرَجَہُمَا مِمَّا کَانَافِیۡہِ ۪ وَ قُلۡنَااہۡبِطُوۡابَعۡضُکُمۡلِبَعۡضٍ عَدُوٌّ ۚ وَ لَکُمۡفِیالۡاَرۡضِمُسۡتَقَرٌّ وَّ مَتَاعٌ اِلٰیحِیۡنٍ ﴿۳۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৬) অতঃপর শয়তান তাদেরকে জান্নাত থেকে স্খলিত করল। এবং তারা যাতে ছিল তা থেকে তাদেরকে বের করে দিল, আর আমি বললাম, ‘তোমরা নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। আর তোমাদের জন্য যমীনে রয়েছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবাস ও ভোগ-উপকরণ’।
فَتَلَقّٰۤیاٰدَمُمِنۡرَّبِّہٖ کَلِمٰتٍ فَتَابَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۳۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৭) অতঃপর আদম তার রবের পক্ষ থেকে কিছু বাণী পেল, ফলে আল্লাহ তার তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, অতি দয়ালু।
قُلۡنَااہۡبِطُوۡامِنۡہَاجَمِیۡعًا ۚ فَاِمَّایَاۡتِیَنَّکُمۡمِّنِّیۡہُدًیفَمَنۡ تَبِعَ ہُدَایَ فَلَا خَوۡفٌعَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡیَحۡزَنُوۡنَ ﴿۳۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৮) আমি বললাম, ‘তোমরা সবাই তা থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোন হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না’।
وَ الَّذِیۡنَکَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡابِاٰیٰتِنَاۤاُولٰٓئِکَاَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡفِیۡہَاخٰلِدُوۡنَ ﴿٪۳۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৩৯) আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
یٰبَنِیۡۤاِسۡرَآءِیۡلَاذۡکُرُوۡانِعۡمَتِیَالَّتِیۡۤاَنۡعَمۡتُعَلَیۡکُمۡ وَ اَوۡفُوۡابِعَہۡدِیۡۤاُوۡفِبِعَہۡدِکُمۡ ۚ وَ اِیَّایَفَارۡہَبُوۡنِ ﴿۴۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪০) হে বনীইসরাঈল, তোমরা আমার নিআমতকে স্মরণ কর, যে নিআমত আমি তোমাদেরকে দিয়েছি এবং তোমরা আমার অঙ্গীকার পূর্ণ কর, তাহলে আমি তোমাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করব। আর কেবল আমাকেই ভয় কর।
وَ اٰمِنُوۡابِمَاۤاَنۡزَلۡتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَکُمۡ وَ لَا تَکُوۡنُوۡۤا اَوَّلَ کَافِرٍۭبِہٖ ۪ وَ لَا تَشۡتَرُوۡابِاٰیٰتِیۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ۫ وَّ اِیَّایَفَاتَّقُوۡنِ ﴿۴۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪১) আর তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারীস্বরূপ আমি যা নাযিল করেছি তার প্রতি তোমরা ঈমান আন এবং তোমরা তা প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। আর তোমরা আমার আয়াতসমূহ সামান্য মূল্যে বিক্রি করো না এবং কেবল আমাকেই ভয় কর।
وَ لَا تَلۡبِسُواالۡحَقَّبِالۡبَاطِلِ وَ تَکۡتُمُواالۡحَقَّ وَ اَنۡتُمۡتَعۡلَمُوۡنَ ﴿۴۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪২) আর তোমরা হককে বাতিলের সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে হককে গোপন করো না।
وَ اَقِیۡمُواالصَّلٰوۃَ وَ اٰتُواالزَّکٰوۃَ وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ ﴿۴۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৩) আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর।
اَتَاۡمُرُوۡنَ النَّاسَ بِالۡبِرِّ وَ تَنۡسَوۡنَاَنۡفُسَکُمۡ وَ اَنۡتُمۡتَتۡلُوۡنَالۡکِتٰبَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۴۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৪) তোমরা কি মানুষকে ভাল কাজের আদেশ দিচ্ছ আর নিজদেরকে ভুলে যাচ্ছ? অথচ তোমরা কিতাব তিলাওয়াত কর। তোমরা কি বুঝ না?
وَ اسۡتَعِیۡنُوۡابِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ وَ اِنَّہَالَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَیالۡخٰشِعِیۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৫) আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন।
الَّذِیۡنَیَظُنُّوۡنَاَنَّہُمۡمُّلٰقُوۡارَبِّہِمۡ وَ اَنَّہُمۡاِلَیۡہِرٰجِعُوۡنَ ﴿٪۴۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৬) যারা বিশ্বাস করে যে, তারা তাদের রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে এবং তারা তাঁর দিকে ফিরে যাবে।
یٰبَنِیۡۤاِسۡرَآءِیۡلَاذۡکُرُوۡانِعۡمَتِیَالَّتِیۡۤاَنۡعَمۡتُعَلَیۡکُمۡ وَ اَنِّیۡفَضَّلۡتُکُمۡعَلَیالۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৭) হে বনীইসরাঈল, তোমরা আমার নিআমতকে স্মরণ কর, যে নিআমত আমি তোমাদেরকে দিয়েছি এবং নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।
وَ اتَّقُوۡایَوۡمًا لَّا تَجۡزِیۡنَفۡسٌعَنۡنَّفۡسٍشَیۡئًا وَّ لَا یُقۡبَلُمِنۡہَاشَفَاعَۃٌ وَّ لَا یُؤۡخَذُمِنۡہَاعَدۡلٌ وَّ لَا ہُمۡیُنۡصَرُوۡنَ ﴿۴۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৮) আর তোমরা সে দিনকে ভয় কর, যেদিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না। আর কারো পক্ষ থেকে কোন সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না এবং কারও কাছ থেকে কোন বিনিময় নেয়া হবে না। আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
وَ اِذۡنَجَّیۡنٰکُمۡمِّنۡاٰلِفِرۡعَوۡنَیَسُوۡمُوۡنَکُمۡسُوۡٓءَالۡعَذَابِیُذَبِّحُوۡنَاَبۡنَآءَکُمۡ وَ یَسۡتَحۡیُوۡنَنِسَآءَکُمۡ ؕ وَ فِیۡذٰلِکُمۡبَلَآ ءٌ مِّنۡرَّبِّکُمۡعَظِیۡمٌ ﴿۴۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৪৯) আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদেরকে ফির‘আউনের দল থেকে রক্ষা করেছিলাম। তারা তোমাদেরকে কঠিন আযাব দিত। তোমাদের পুত্র সন্তানদেরকে যবেহ করত এবং তোমাদের নারীদেরকে বাঁচিয়ে রাখত। আর এতে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ছিল মহা পরীক্ষা।
وَ اِذۡفَرَقۡنَابِکُمُالۡبَحۡرَفَاَنۡجَیۡنٰکُمۡ وَ اَغۡرَقۡنَاۤاٰلَفِرۡعَوۡنَ وَ اَنۡتُمۡتَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫০) আর যখন তোমাদের জন্য আমি সমুদ্রকে বিভক্ত করেছিলাম, অতঃপর তোমাদেরকে নাজাত দিয়েছিলাম এবং ফির‘আউন দলকে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম, আর তোমরা দেখছিলে।
وَ اِذۡوٰعَدۡنَامُوۡسٰۤیاَرۡبَعِیۡنَلَیۡلَۃً ثُمَّ اتَّخَذۡتُمُالۡعِجۡلَمِنۡۢبَعۡدِہٖ وَ اَنۡتُمۡظٰلِمُوۡنَ ﴿۵۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫১) আর যখন আমি মূসাকে চল্লিশ রাতের ওয়াদা দিয়েছিলাম অতঃপর তোমরা তার যাওয়ার পর বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করেছিলে, আর তোমরা ছিলে যালিম।
ثُمَّ عَفَوۡنَا عَنۡکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۵۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫২) তারপর আমি তোমাদেরকে এ সবের পর ক্ষমা করেছি, যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।
وَ اِذۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ الۡفُرۡقَانَ لَعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿۵۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৩) আর যখন আমি মূসাকে দিয়েছিলাম কিতাব ও ফুরকান* যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।
*- সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী তাওরাতের বাণীসমগ্র।
وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ یٰقَوۡمِ اِنَّکُمۡ ظَلَمۡتُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ بِاتِّخَاذِکُمُ الۡعِجۡلَ فَتُوۡبُوۡۤا اِلٰی بَارِئِکُمۡ فَاقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ عِنۡدَ بَارِئِکُمۡ ؕ فَتَابَ عَلَیۡکُمۡ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۵۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৪) আর যখন মূসা তার কওমকে বলেছিল, ‘হে আমার কওম, নিশ্চয় তোমরা বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করে নিজদের উপর যুলম করেছ।সুতরাং তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে তাওবা কর।অতঃপর তোমরা নিজদেরকে হত্যা কর।এটি তোমাদের জন্য তোমাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট উত্তম।অতঃপর আল্লাহ তোমাদের তাওবা কবূল করলেন।নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, পরম দয়ালু।
وَ اِذۡ قُلۡتُمۡ یٰمُوۡسٰی لَنۡ نُّؤۡمِنَ لَکَ حَتّٰی نَرَی اللّٰہَ جَہۡرَۃً فَاَخَذَتۡکُمُ الصّٰعِقَۃُ وَ اَنۡتُمۡ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৫) আরযখন তোমরাবললে, ‘হেমূসা, আমরাতোমার প্রতিঈমান আনবনা, যতক্ষণনা আমরাপ্রকাশ্যে আল্লাহকেদেখ’। ফলেবজ্র তোমাদেরকেপাকড়াও করলআর তোমরাতা দেখছিলে।
ثُمَّ بَعَثۡنٰکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَوۡتِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۵۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৬) অতঃপরআমি তোমাদেরমৃত্যুর পরতোমাদেরকে পুনঃজীবনদান করলাম, যাতে তোমরাশোকর আদায়কর।
وَ ظَلَّلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡغَمَامَ وَ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡمَنَّ وَ السَّلۡوٰی ؕ کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ ؕ وَ مَا ظَلَمُوۡنَا وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۵۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৭) আরআমি তোমাদেরউপর মেঘেরছায়া দিলামএবং তোমাদেরপ্রতি নাযিলকরলাম ‘মান্না’* ও ‘সালওয়া’**। তোমরাসে পবিত্রবস্ত্ত থেকেআহার কর, যা আমিতোমাদেরকে রিয্কদিয়েছি। আরতারা আমারপ্রতি যুলমকরেনি, বরংতারা নিজদেরকেইযুলম করত।
*‘মান্না’ এক ধরণেরসুস্বাদু খাবার, যা শিশিরেরমত গাছেরপাতায় ওঘাসের উপরজমে থাকত। আল্লাহবিশেষভাবে তাবনী ইসরাঈলেরজন্য প্রেরণকরেছিলেন।
وَ اِذۡ قُلۡنَا ادۡخُلُوۡا ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃَ فَکُلُوۡا مِنۡہَا حَیۡثُ شِئۡتُمۡ رَغَدًا وَّ ادۡخُلُوا الۡبَابَ سُجَّدًا وَّ قُوۡلُوۡا حِطَّۃٌ نَّغۡفِرۡ لَکُمۡ خَطٰیٰکُمۡ ؕ وَ سَنَزِیۡدُ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۵۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৮) আরস্মরণ কর, যখন আমিবললাম, ‘তোমরাপ্রবেশ করএই জনপদে। আরতা থেকেআহার করতোমাদের ইচ্ছানুযায়ী, স্বাচ্ছন্দ্যে এবংদরজায় প্রবেশকর মাথানীচু করে। আরবল ‘ক্ষমা’। তাহলেআমি তোমাদেরপাপসমূহ ক্ষমাকরে দেবএবং নিশ্চয়আমি সৎকর্মশীলদেরকেবাড়িয়ে দেব’।
فَبَدَّلَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا قَوۡلًا غَیۡرَ الَّذِیۡ قِیۡلَ لَہُمۡ فَاَنۡزَلۡنَا عَلَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا رِجۡزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا کَانُوۡا یَفۡسُقُوۡنَ ﴿٪۵۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৫৯) অতঃপরযালিমরা পবিবর্তনকরে ফেললসে কথাযা তাদেরকেবলা হয়েছিল, ভিন্ন অন্যকথা দিয়ে। ফলেআমি তাদেরউপর আসমানথেকে আযাবনাযিল করলাম, কারণ তারাপাপাচার করত।
وَ اِذِ اسۡتَسۡقٰی مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ فَقُلۡنَا اضۡرِبۡ بِّعَصَاکَ الۡحَجَرَ ؕ فَانۡفَجَرَتۡ مِنۡہُ اثۡنَتَاعَشۡرَۃَ عَیۡنًا ؕ قَدۡ عَلِمَ کُلُّ اُنَاسٍ مَّشۡرَبَہُمۡ ؕ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا مِنۡ رِّزۡقِ اللّٰہِ وَ لَا تَعۡثَوۡا فِی الۡاَرۡضِ مُفۡسِدِیۡنَ ﴿۶۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬০) আরস্মরণ কর, যখন মূসাতার কওমরজন্য পানিচাইল, তখনআমি বললাম, ‘তুমি তোমারলাঠি দ্বারাপাথরকে আঘাতকর’। ফলেতা থেকেউৎসারিত হলবারটি ঝরনা। প্রতিটিদল তাদেরপানি পানেরস্থান জেনেনিল। তোমরাআল্লাহর রিয্কথেকে আহারকর ওপান করএবং ফাসাদকারীহয়ে যমীনেঘুরে বেড়িয়োনা।
وَ اِذۡ قُلۡتُمۡ یٰمُوۡسٰی لَنۡ نَّصۡبِرَ عَلٰی طَعَامٍ وَّاحِدٍ فَادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُخۡرِجۡ لَنَا مِمَّا تُنۡۢبِتُ الۡاَرۡضُ مِنۡۢ بَقۡلِہَا وَ قِثَّآئِہَا وَ فُوۡمِہَا وَ عَدَسِہَا وَ بَصَلِہَا ؕ قَالَ اَتَسۡتَبۡدِلُوۡنَ الَّذِیۡ ہُوَ اَدۡنٰی بِالَّذِیۡ ہُوَ خَیۡرٌ ؕ اِہۡبِطُوۡا مِصۡرًا فَاِنَّ لَکُمۡ مَّا سَاَلۡتُمۡ ؕ وَ ضُرِبَتۡ عَلَیۡہِمُ الذِّلَّۃُ وَ الۡمَسۡکَنَۃُ ٭ وَ بَآءُوۡ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَانُوۡا یَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ یَقۡتُلُوۡنَ النَّبِیّٖنَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوۡا وَّ کَانُوۡا یَعۡتَدُوۡنَ ﴿٪۶۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬১) আরযখন তোমরাবললে, ‘হেমূসা, আমরাএক খাবারেরউপর কখনোধৈর্য ধরবনা। সুতরাং তুমিআমাদের জন্যতোমার রবেরনিকট দো‘আকর, যেনতিনি আমাদেরজন্য বেরকরেন, ভূমিযে সব্জি, কাঁকড়, রসুন, মসুর ওপেঁয়াজ উৎপন্নকরে, তা’। সেবলল, ‘তোমরাকি যাউত্তম তারপরিবর্তে এমনজিনিস গ্রহণকরছ যানিম্নমানের? তোমরাকোন একনগরীতে অবতরণকর। তবে নিশ্চয়তোমাদের জন্য(সেখানে) থাকবে, যা তোমরাচেয়েছ’। আরতাদের উপরআরোপ করাহয়েছে লাঞ্ছনাও দারিদ্র্যএবং তারাআল্লাহর ক্রোধেরশিকার হল। তাএই কারণেযে, তারাআল্লাহর আয়াতসমূহকেঅস্বীকার করতএবং অন্যায়ভাবেনবীদেরকে হত্যাকরত। তাএই কারণেযে, তারানাফরমানী করেছিলএবং তারাসীমালঙ্ঘন করত।
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا وَ النَّصٰرٰی وَ الصّٰبِئِیۡنَ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَلَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۪ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۶۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬২) নিশ্চয়যারা ঈমানএনেছে, যারাইয়াহূদী হয়েছেএবং নাসারাও সাবিঈরা* -(তাদের মধ্যে) যারা ঈমানএনেছে আল্লাহও শেষদিনের প্রতিএবং নেককাজ করেছে- তবে তাদেরজন্য রয়েছেতাদের রবেরনিকট তাদেরপ্রতিদান। আরতাদের কোনভয় নেইএবং তারাদুঃখিতও হবেনা।
*সাবিঈ- বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রেরপূজারী মতান্তরেফেরেশতাদের উপাসনাকারী।
وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَکُمۡ وَ رَفَعۡنَا فَوۡقَکُمُ الطُّوۡرَ ؕ خُذُوۡا مَاۤ اٰتَیۡنٰکُمۡ بِقُوَّۃٍ وَّ اذۡکُرُوۡا مَا فِیۡہِ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿۶۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৩) আরস্মরণ কর, যখন আমিতোমাদের অঙ্গীকারগ্রহণ করলামএবং তূরপাহাড়কে তোমাদেরউপর উঠালামআমি (বললাম) ‘তোমাদেরকে যাদিয়েছি, তাশক্তভাবে ধরএবং তাতেযা রয়েছেতা স্মরণকর, যাতেতোমরা তাকওয়াঅবলম্বন করতেপার’।
ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ۚ فَلَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ لَکُنۡتُمۡ مِّنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۶۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৪) অতঃপরতোমরা এসবের পরবিমুখ হয়েফিরে গেলে। আরযদি তোমাদেরউপর আল্লাহরঅনুগ্রহ ওরহমত নাহত, তোমরাঅবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদেরঅন্তর্ভুক্ত হতে।
وَ لَقَدۡ عَلِمۡتُمُ الَّذِیۡنَ اعۡتَدَوۡا مِنۡکُمۡ فِی السَّبۡتِ فَقُلۡنَا لَہُمۡ کُوۡنُوۡا قِرَدَۃً خٰسِئِیۡنَ ﴿ۚ۶۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৫) আরতোমাদের মধ্যেযারা শনিবারেরব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকরেছিল, তাদেরকেঅবশ্যই তোমরাজান। অতঃপরআমি তাদেরকেবললাম, ‘তোমরানিকৃষ্ট বানরহয়ে যাও’।
فَجَعَلۡنٰہَا نَکَالًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہَا وَ مَا خَلۡفَہَا وَ مَوۡعِظَۃً لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۶۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৬) আরআমি একেবানিয়েছি দৃষ্টান্ত, সে সময়েরএবং তৎপরবর্তীজনপদসমূহের জন্যএবং মুত্তাকীদেরজন্য উপদেশ।
وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖۤ اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُکُمۡ اَنۡ تَذۡبَحُوۡا بَقَرَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَتَّخِذُنَا ہُزُوًا ؕ قَالَ اَعُوۡذُ بِاللّٰہِ اَنۡ اَکُوۡنَ مِنَ الۡجٰہِلِیۡنَ ﴿۶۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৭) আরস্মরণ কর, যখন মূসাতার কওমকেবলল, ‘নিশ্চয়আল্লাহ তোমাদেরকেনির্দেশ দিচ্ছেনযে, তোমরাএকটি গাভীযবেহ করবে’। তারাবলল, ‘তুমিকি আমাদেরসাথে উপহাসকরছ’? সেবলল, ‘আমিমূর্খদের অন্তর্ভুক্তহওয়া থেকেআল্লাহর আশ্রয়চাচ্ছি’।
قَالُوا ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُبَیِّنۡ لَّنَا مَا ہِیَ ؕ قَالَ اِنَّہٗ یَقُوۡلُ اِنَّہَا بَقَرَۃٌ لَّا فَارِضٌ وَّ لَا بِکۡرٌ ؕ عَوَانٌۢ بَیۡنَ ذٰلِکَ ؕ فَافۡعَلُوۡا مَا تُؤۡمَرُوۡنَ ﴿۶۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৮) তারাবলল, ‘তুমিআমাদের জন্যতোমার রবেরনিকট দো‘আকর, তিনিযেন আমাদেরজন্য স্পষ্টকরে দেনগাভীটি কেমনহবে’। সেবলল, ‘নিশ্চয়তিনি বলছেন, নিশ্চয় তাহবে গরু, বুড়ো নয়এবং বাচ্চাওনয়। এর মাঝামাঝিধরনের। সুতরাংতোমরা করযা তোমাদেরকেনির্দেশ দেয়াহচ্ছে’।
قَالُوا ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُبَیِّنۡ لَّنَا مَا لَوۡنُہَا ؕ قَالَ اِنَّہٗ یَقُوۡلُ اِنَّہَا بَقَرَۃٌ صَفۡرَآءُ ۙ فَاقِعٌ لَّوۡنُہَا تَسُرُّ النّٰظِرِیۡنَ ﴿۶۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৬৯) তারাবলল, ‘তুমিআমাদের জন্যতোমার রবেরনিকট দো‘আকর, তিনিযেন আমাদেরজন্য স্পষ্টকরে দেন, কেমন তাররঙ’? সেবলল, ‘নিশ্চয়তিনি বলছেন, নিশ্চয় তাহবে হলুদরঙের গাভী, তার রঙউজ্জ্বল, দর্শকদেরকেযা আনন্দদেবে’।
قَالُوا ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُبَیِّنۡ لَّنَا مَا ہِیَ ۙ اِنَّ الۡبَقَرَ تَشٰبَہَ عَلَیۡنَا ؕ وَ اِنَّاۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ لَمُہۡتَدُوۡنَ ﴿۷۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (৭০) তারাবলল, ‘তুমিআমাদের জন্যতোমার রবেরনিকট দো‘আকর, তিনিযেন আমাদেরজন্য স্পষ্টকরে দেন, তা কেমন? নিশ্চয় গরুটিআমাদের জন্যসন্দেহপূর্ণ হয়েগিয়েছে। আরনিশ্চয় আমরাআল্লাহ চাহেতো পথপ্রাপ্তহব’।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com