সুরাঃ বাকারাহ আরবি ও বাংলা অর্থ সহ (আয়াত ১০১ থেকে ১৩০ পর্যন্ত)
وَ لَمَّا جَآءَہُمۡ رَسُوۡلٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَہُمۡ نَبَذَ فَرِیۡقٌ مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ ٭ۙ کِتٰبَ اللّٰہِ وَرَآءَ ظُہُوۡرِہِمۡ کَاَنَّہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾۫
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০১) আরযখন তাদেরনিকট আল্লাহরকাছ থেকেএকজন রাসূলএল, তাদেরসাথে যাআছে তাসমর্থন করে, তখন আহলেকিতাবের একটিদল আল্লাহরকিতাবকে তাদেরপেছনে ফেলেদিল, (এভাবেযে) মনেহয় যেনতারা জানেনা।
وَ اتَّبَعُوۡا مَا تَتۡلُوا الشَّیٰطِیۡنُ عَلٰی مُلۡکِ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ مَا کَفَرَ سُلَیۡمٰنُ وَ لٰکِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ کَفَرُوۡا یُعَلِّمُوۡنَ النَّاسَ السِّحۡرَ ٭ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ عَلَی الۡمَلَکَیۡنِ بِبَابِلَ ہَارُوۡتَ وَ مَارُوۡتَ ؕ وَ مَا یُعَلِّمٰنِ مِنۡ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوۡلَاۤ اِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَۃٌ فَلَا تَکۡفُرۡ ؕ فَیَتَعَلَّمُوۡنَ مِنۡہُمَا مَا یُفَرِّقُوۡنَ بِہٖ بَیۡنَ الۡمَرۡءِ وَ زَوۡجِہٖ ؕ وَ مَا ہُمۡ بِضَآرِّیۡنَ بِہٖ مِنۡ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ یَتَعَلَّمُوۡنَ مَا یَضُرُّہُمۡ وَ لَا یَنۡفَعُہُمۡ ؕ وَ لَقَدۡ عَلِمُوۡا لَمَنِ اشۡتَرٰىہُ مَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ خَلَاقٍ ۟ؕ وَ لَبِئۡسَ مَا شَرَوۡا بِہٖۤ اَنۡفُسَہُمۡ ؕ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০২) আরতারা অনুসরণকরেছে, যাশয়তানরা সুলাইমানেররাজত্বে পাঠকরত। আরসুলাইমান কুফরীকরেনি; বরংশয়তানরা কুফরীকরেছে। তারামানুষকে যাদুশেখাত এবং(তারা অনুসরণকরেছে) যানাযিল করাহয়েছিল বাবেলেরদুই ফেরেশতাহারূত ওমারূতের উপর। আরতারা কাউকেশেখাত নাযে পর্যন্তনা বলতযে, ‘আমরাতো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরাকুফরী করোনা। এরপরও তারাএদের কাছথেকে শিখত, যার মাধ্যমেতারা পুরুষও তারস্ত্রীর মধ্যেবিচ্ছেদ ঘটাত। অথচতারা তারমাধ্যমে কারোকোন ক্ষতিকরতে পারতনা আল্লাহরঅনুমতি ছাড়া। আরতারা শিখতযা তাদেরক্ষতি করত, তাদের উপকারকরত নাএবং তারাঅবশ্যই জানতযে, যেব্যক্তি তাক্রয় করবে, আখিরাতে তারকোন অংশথাকবে না। আরতা নিশ্চিতরূপেকতই-নামন্দ, যারবিনিময়ে তারানিজদেরকে বিক্রয়করেছে। যদিতারা জানত।
وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ اٰمَنُوۡا وَ اتَّقَوۡا لَمَثُوۡبَۃٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ خَیۡرٌ ؕ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾٪
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৩) আরযদি তারাঈমান আনতএবং তাকওয়াঅবলম্বন করত, তবে অবশ্যইআল্লাহর পক্ষথেকে (তাদেরজন্য) প্রতিদানউত্তম হত। যদিতারা জানত।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقُوۡلُوۡا رَاعِنَا وَ قُوۡلُوا انۡظُرۡنَا وَ اسۡمَعُوۡا ؕ وَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۰۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৪) হেমুমিনগণ, তোমরা‘রা‘ইনা’* বলো না; বরং বল, ‘উনজুরনা’ আরশোন, কাফিরদেরজন্য রয়েছেযন্ত্রণাদায়ক আযাব।
*- راعنا রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এরসাথে কথোপকথনবা তাঁরকাছ থেকেশিক্ষা গ্রহণেরসময় মুমিনগণেরবুঝতে সমস্যাহলে তারাবলতেন ‘রা‘ইনা’ অর্থাৎ আমাদেরপ্রতি লক্ষ্যকরুন এবংধীরে বলুন। শব্দটিরআর একটিঅর্থ ‘বোকা’। ইয়াহূদিরাতা শোনেসে অর্থেব্যবহার শুরুকরল এবংনিজেরা হাসি-ঠাট্টাকরতে লাগল। তখনআল্লাহ তাআলাউক্ত দ্ব্যর্থবোধকশব্দটির পরিবর্তেপরিষ্কার অর্থবোধকশব্দ ‘উনজুরনা’ অর্থাৎ আমাদেরপ্রতি নজরদিন- শব্দটিব্যবহার করারনির্দেশ দিলেন।
مَا یَوَدُّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَ لَا الۡمُشۡرِکِیۡنَ اَنۡ یُّنَزَّلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَخۡتَصُّ بِرَحۡمَتِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۱۰۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৫) আহলেকিতাব ওমুশরিকদের মধ্যথেকে যারাকুফরী করেছে, তারা চায়না যে, তোমাদের রবেরপক্ষ থেকেতোমাদের উপরকোন কল্যাণনাযিল হোক। আরআল্লাহ যাকেইচ্ছা তাকেতাঁর রহমতদ্বারা খাসকরেন এবংআল্লাহ মহানঅনুগ্রহের অধিকারী।
مَا نَنۡسَخۡ مِنۡ اٰیَۃٍ اَوۡ نُنۡسِہَا نَاۡتِ بِخَیۡرٍ مِّنۡہَاۤ اَوۡ مِثۡلِہَا ؕ اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۰۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৬) আমিযে আয়াতরহিত করিকিংবা ভুলিয়েদেই, তারচেয়ে উত্তমকিংবা তারমত আনয়নকরি। তুমিকি জাননা যে, আল্লাহ সবকিছুর উপরক্ষমতাবান।
اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۰۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৭) তুমিকি জাননা যে, নিশ্চয় আসমানসমূহও যমীনেররাজত্ব আল্লাহর? আর আল্লাহছাড়া তোমাদেরকোন অভিভাবকও সাহায্যকারীনেই।
اَمۡ تُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ تَسۡـَٔلُوۡا رَسُوۡلَکُمۡ کَمَا سُئِلَ مُوۡسٰی مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَ مَنۡ یَّتَبَدَّلِ الۡکُفۡرَ بِالۡاِیۡمَانِ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ ﴿۱۰۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৮) নাকিতোমরা চাওতোমাদের রাসূলকেপ্রশ্ন করতে, যেমন পূর্বেমূসাকে প্রশ্নকরা হয়েছিল? আর যেঈমানকে কুফরেপরিবর্তন করবে, সে নিশ্চয়সোজা পথবিচ্যুতহল।
وَدَّ کَثِیۡرٌ مِّنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ لَوۡ یَرُدُّوۡنَکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِکُمۡ کُفَّارًا ۚۖ حَسَدًا مِّنۡ عِنۡدِ اَنۡفُسِہِمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُمُ الۡحَقُّ ۚ فَاعۡفُوۡا وَ اصۡفَحُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰہُ بِاَمۡرِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۰۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১০৯) আহলেকিতাবের অনেকেইচায়, যদিতারা তোমাদেরকেঈমান আনারপর কাফিরঅবস্থায় ফিরিয়েনিতে পারত! সত্য স্পষ্টহওয়ার পরতাদের পক্ষথেকে হিংসাবশত(তারা এরূপকরে থাকে)। সুতরাংতোমরা ক্ষমাকর এবংএড়িয়ে চল, যতক্ষণ নাআল্লাহ তাঁরনির্দেশ দেন। নিশ্চয়আল্লাহ সবকিছুর উপরক্ষমতাবান।
وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ وَ مَا تُقَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ تَجِدُوۡہُ عِنۡدَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۱۱۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১০) আরতোমরা সালাতকায়েম করও যাকাতদাও এবংযে নেকআমল তোমরানিজদের জন্যআগে পাঠাবে, তা আল্লাহরনিকট পাবে। তোমরাযা করছনিশ্চয় আল্লাহতার সম্যকদ্রষ্টা।
وَ قَالُوۡا لَنۡ یَّدۡخُلَ الۡجَنَّۃَ اِلَّا مَنۡ کَانَ ہُوۡدًا اَوۡ نَصٰرٰی ؕ تِلۡکَ اَمَانِیُّہُمۡ ؕ قُلۡ ہَاتُوۡا بُرۡہَانَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۱۱۱﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১১) আরতারা বলে, ইয়াহূদী কিংবানাসারা ছাড়াঅন্য কেউজান্নাতে প্রবেশকরবে না। এটাতাদের মিথ্যাআশা। বল, ‘তোমরা তোমাদেরপ্রমাণ নিয়েআস, যদিতোমরা সত্যবাদীহয়ে থাক’।
بَلٰی ٭ مَنۡ اَسۡلَمَ وَجۡہَہٗ لِلّٰہِ وَ ہُوَ مُحۡسِنٌ فَلَہٗۤ اَجۡرُہٗ عِنۡدَ رَبِّہٖ ۪ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾٪
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১২) হ্যাঁ, যে নিজকেআল্লাহর কাছেসোপর্দ করেছেএবং সেসৎকর্মশীলও, তবেতার জন্যরয়েছে তাররবের নিকটপ্রতিদান। আরতাদের কোনভয় নেইএবং তারাদুঃখিতও হবেনা।
وَ قَالَتِ الۡیَہُوۡدُ لَیۡسَتِ النَّصٰرٰی عَلٰی شَیۡءٍ ۪ وَّ قَالَتِ النَّصٰرٰی لَیۡسَتِ الۡیَہُوۡدُ عَلٰی شَیۡءٍ ۙ وَّ ہُمۡ یَتۡلُوۡنَ الۡکِتٰبَ ؕ کَذٰلِکَ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ مِثۡلَ قَوۡلِہِمۡ ۚ فَاللّٰہُ یَحۡکُمُ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فِیۡمَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۱۱۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৩) আরইয়াহূদীরা বলে, ‘নাসারাদের কোনভিত্তি নেই’ এবং নাসারারাবলে ‘ইয়াহূদীদেরকোন ভিত্তিনেই’। অথচতারা কিতাবপাঠ করে। এভাবেই, যারা কিছুজানে না, তারা তাদেরকথার মতকথা বলে। সুতরাংযে বিষয়েতারা মতবিরোধকরত আল্লাহকিয়ামতের দিনসে বিষয়েতাদের মধ্যেফয়সালা করবেন।
وَ مَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ مَّنَعَ مَسٰجِدَ اللّٰہِ اَنۡ یُّذۡکَرَ فِیۡہَا اسۡمُہٗ وَ سَعٰی فِیۡ خَرَابِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ مَا کَانَ لَہُمۡ اَنۡ یَّدۡخُلُوۡہَاۤ اِلَّا خَآئِفِیۡنَ ۬ؕ لَہُمۡ فِی الدُّنۡیَا خِزۡیٌ وَّ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۱۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৪) আরতার চেয়েঅধিক যালেমকে, যেআল্লাহর মাসজিদসমূহেতাঁর নামস্মরণ করাথেকে বাধাপ্রদান করেএবং তাবিরাণ করতেচেষ্টা করে? তাদের তোউচিৎ ছিলভীত হয়েতাতে প্রবেশকরা। তাদেরজন্য দুনিয়ায়রয়েছে লাঞ্ছনাআর আখিরাতেতাদের জন্যরয়েছে মহাআযাব।
وَ لِلّٰہِ الۡمَشۡرِقُ وَ الۡمَغۡرِبُ ٭ فَاَیۡنَمَا تُوَلُّوۡا فَثَمَّ وَجۡہُ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۱۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৫) আরপূর্ব ওপশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাংতোমরা যেদিকেই মুখফিরাও, সেদিকেই আল্লাহরচেহারা। নিশ্চয়আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
وَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰہُ وَلَدًا ۙ سُبۡحٰنَہٗ ؕ بَلۡ لَّہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ کُلٌّ لَّہٗ قٰنِتُوۡنَ ﴿۱۱۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৬) আরতারা বলে, আল্লাহ সন্তানগ্রহণ করেছেন। তিনিপবিত্র মহান; বরং আসমানসমূহও যমীনেযা কিছুআছে তাতাঁরই । সবতাঁরই অনুগত।
بَدِیۡعُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ اِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۱۱۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৭) তিনিআসমানসমূহ ওযমীনের স্রষ্টা। আরযখন তিনিকোন বিষয়েরসিদ্ধান্ত নেন, তখন কেবলবলেন ‘হও’ ফলে তাহয়ে যায়।
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ لَوۡ لَا یُکَلِّمُنَا اللّٰہُ اَوۡ تَاۡتِیۡنَاۤ اٰیَۃٌ ؕ کَذٰلِکَ قَالَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ مِّثۡلَ قَوۡلِہِمۡ ؕ تَشَابَہَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ ﴿۱۱۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৮) আরযারা জানেনা, তারাবলে, ‘কেনআল্লাহ আমাদেরসাথে কথাবলেন নাকিংবা আমাদেরকাছে কোননিদর্শন আসেনা’? এভাবেই, যারা তাদেরপূর্বে ছিলতারা তাদেরকথার মতকথা বলেছে। তাদেরঅন্তরসমূহ একইরকম হয়েগিয়েছে। আমিতো আয়াতসমূহসুস্পষ্ট করেদিয়েছি এমনকওমের জন্য, যারা দৃঢ়বিশ্বাস রাখে।
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا ۙ وَّ لَا تُسۡئَلُ عَنۡ اَصۡحٰبِ الۡجَحِیۡمِ ﴿۱۱۹﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১১৯) নিশ্চয়আমি তোমাকেপ্রেরণ করেছিসত্যসহ, সুসংবাদদাতাও সতর্ককারীরূপেএবং তোমাকেআগুনের অধিবাসীদেরসম্পর্কে প্রশ্নকরা হবেনা।
وَ لَنۡ تَرۡضٰی عَنۡکَ الۡیَہُوۡدُ وَ لَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَہُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ ہُدَی اللّٰہِ ہُوَ الۡہُدٰی ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَہۡوَآءَہُمۡ بَعۡدَ الَّذِیۡ جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۲۰﴾ؔ
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২০) আরইয়াহূদী ওনাসারারা কখনোতোমার প্রতিসন্তুষ্ট হবেনা, যতক্ষণনা তুমিতাদের মিল্লাতেরঅনুসরণ কর। বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহরহিদায়াতই হিদায়াত’ আর যদিতুমি তাদেরপ্রবৃত্তির অনুসরণকর তোমারকাছে যেজ্ঞান এসেছেতার পর, তাহলে আল্লাহরবিপরীতে তোমারকোন অভিভাবকও সাহায্যকারীথাকবে না।
اَلَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰہُمُ الۡکِتٰبَ یَتۡلُوۡنَہٗ حَقَّ تِلَاوَتِہٖ ؕ اُولٰٓئِکَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِہٖ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۱۲۱﴾٪
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২১) যাদেরকেআমি কিতাবদিয়েছি, তারাতা পাঠকরে যথার্থভাবে। তারাইতার প্রতিঈমান আনে। আরযে তাঅস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتِیَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ وَ اَنِّیۡ فَضَّلۡتُکُمۡ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۲۲﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২২) হেবনী ইসরাঈল, তোমরা আমারনিআমতকে স্মরণকর, যাআমি তোমাদেরকেদিয়েছি। আরনিশ্চয় আমিতোমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বদিয়েছি সৃষ্টিকুলেরউপর।
وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا لَّا تَجۡزِیۡ نَفۡسٌ عَنۡ نَّفۡسٍ شَیۡئًا وَّ لَا یُقۡبَلُ مِنۡہَا عَدۡلٌ وَّ لَا تَنۡفَعُہَا شَفَاعَۃٌ وَّ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۱۲۳﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৩) আরতোমরা ভয়কর সেদিনকে, যেদিন কেউকারো কোনকাজে আসবেনা এবংকোন ব্যক্তিথেকে বিনিময়গ্রহণ করাহবে নাআর কোনসুপারিশ তারউপকারে আসবেনা এবংতারা সাহায্যপ্রাপ্তওহবে না।
وَ اِذِ ابۡتَلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ رَبُّہٗ بِکَلِمٰتٍ فَاَتَمَّہُنَّ ؕ قَالَ اِنِّیۡ جَاعِلُکَ لِلنَّاسِ اِمَامًا ؕ قَالَ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ ؕ قَالَ لَا یَنَالُ عَہۡدِی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۲۴﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৪) আরস্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকেতার রবকয়েকটি বাণীদিয়ে পরীক্ষাকরলেন, অতঃপরসে তাপূর্ণ করল। তিনিবললেন, ‘আমিতোমাকে মানুষেরজন্য নেতাবানাব’। সেবলল, ‘আমারবংশধরদের থেকেও’? তিনি বললেন, ‘যালিমরা আমারওয়াদাপ্রাপ্ত হয়না’।
وَ اِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمۡنًا ؕ وَ اتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰہٖمَ مُصَلًّی ؕ وَ عَہِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ اَنۡ طَہِّرَا بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡعٰکِفِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ ﴿۱۲۵﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৫) আরস্মরণ কর, যখন আমিকাবাকে মানুষেরজন্য মিলনকেন্দ্রও নিরাপদস্থান বানালামএবং (আদেশদিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামেইবরাহীমকে সালাতেরস্থানরূপে গ্রহণকর’। আরআমি ইবরাহীমও ইসমাঈলকেদায়িত্ব দিয়েছিলামযে, ‘তোমরাআমার গৃহকেতাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারীও রুকূকারী-সিজদাকারীদেরজন্য পবিত্রকর’।
وَ اِذۡ قَالَ اِبۡرٰہٖمُ رَبِّ اجۡعَلۡ ہٰذَا بَلَدًا اٰمِنًا وَّ ارۡزُقۡ اَہۡلَہٗ مِنَ الثَّمَرٰتِ مَنۡ اٰمَنَ مِنۡہُمۡ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ قَالَ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاُمَتِّعُہٗ قَلِیۡلًا ثُمَّ اَضۡطَرُّہٗۤ اِلٰی عَذَابِ النَّارِ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۲۶﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৬) আরস্মরণ কর, যখন ইবরাহীমবলল, ‘হেআমার রব, আপনি একেনিরাপদ নগরীবানান এবংএর অধিবাসীদেরকেফল-মুলেররিয্ক দিনযারা আল্লাহও শেষদিনের প্রতিঈমান এনেছে’। তিনিবললেন, ‘যেকুফরী করবে, তাকে আমিস্বল্প ভোগোপকরণদিব। অতঃপরতাকে আগুনেরআযাবে প্রবেশকরতে বাধ্যকরব। আরতা কতমন্দ পরিণতি’।
وَ اِذۡ یَرۡفَعُ اِبۡرٰہٖمُ الۡقَوَاعِدَ مِنَ الۡبَیۡتِ وَ اِسۡمٰعِیۡلُ ؕ رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۱۲۷﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৭) আরস্মরণ কর, যখন ইবরাহীমও ইসমাঈলকাবার ভিত্গুলোউঠাচ্ছিল (এবংবলছিল,) ‘হেআমাদের রব, আমাদের পক্ষথেকে কবূলকরুন। নিশ্চয়আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’।
رَبَّنَا وَ اجۡعَلۡنَا مُسۡلِمَیۡنِ لَکَ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِنَاۤ اُمَّۃً مُّسۡلِمَۃً لَّکَ ۪ وَ اَرِنَا مَنَاسِکَنَا وَ تُبۡ عَلَیۡنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۲۸﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৮) ‘হে আমাদেররব, আমাদেরকেআপনার অনুগতকরুন এবংআমাদের বংশধরেরমধ্য থেকেআপনার অনুগতজাতি বানান। আরআমাদেরকে আমাদেরইবাদাতের বিধি-বিধানদেখিয়ে দিনএবং আমাদেরকেক্ষমা করুন। নিশ্চয়আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
رَبَّنَا وَ ابۡعَثۡ فِیۡہِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡہُمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتِکَ وَ یُعَلِّمُہُمُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ یُزَکِّیۡہِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۱۲۹﴾٪
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১২৯) ‘হে আমাদেররব, তাদেরমধ্যে তাদেরথেকে একজনরাসূল প্রেরণকরুন, যেতাদের প্রতিআপনার আয়াতসমূহতিলাওয়াত করবেএবং তাদেরকেকিতাব ওহিকমত শিক্ষাদিবে আরতাদেরকে পবিত্রকরবে। নিশ্চয়আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।
وَ مَنۡ یَّرۡغَبُ عَنۡ مِّلَّۃِ اِبۡرٰہٖمَ اِلَّا مَنۡ سَفِہَ نَفۡسَہٗ ؕ وَ لَقَدِ اصۡطَفَیۡنٰہُ فِی الدُّنۡیَا ۚ وَ اِنَّہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ لَمِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾
২ নম্বর সুরা: বাকারাহ, আয়াত: (১৩০) আরযে নিজকেনির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়াকে ইবরাহীমেরআদর্শ থেকেবিমুখ হতেপারে? আরঅবশ্যই আমিতাকে দুনিয়াতেবেছে নিয়েছিএবং নিশ্চয়সে আখিরাতেনেককারদের অন্তর্ভুক্তথাকবে।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com