ভালোবাসার মানুষ বড় স্বার্থবাদী
আচ্ছা কয়জন ছেলে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে, আজ তার গার্লফ্রেন্ড ধর্ষণের শিকার হলেও সে তার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে রাজি?
কয়জন মেয়ে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে, তার বয়ফ্রেন্ড আজ সড়ক দুর্ঘটনায় একটা হাত বা একটা পা হারালেও তাকে বিয়ে করতে রাজি? ..
এই দুটি প্রশ্নের উত্তর বের করতে পারলেই ভালবাসা আর রিলেশনের মধ্যকার তফাৎগুলো বের হয়ে যায়।
খারাপ কিছু ঘটে গেলে সেই মানুষটাকে নিয়ে যদি আপনার লড়াই করে টিকে থাকার মানসিকতা না থাকে, তবে তা আপনার ভালবাসা নয়, সেটা শুধুই
রিলেশন মাত্র।
রিলেশন হচ্ছে, দশজনকে দেখে আপনি একজনকে বেছে নিয়েছেন তার গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে। .. ..
আর যখন দুর্ভাগ্যবশত
তার গ্রহণযোগ্যতা কমে গেল আপনিও হারিয়ে গেলেন।
ভালবাসায় গ্রহণযোগ্যতা ও অগ্রহণযোগ্যতায় কিছু আসে যায় না।
ছেলেটি এখনো বেকার। এদিকে মেয়েটির বিয়ের সম্বন্ধ আসছেই। মেয়েটি বারবার বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে। রাত জেগে চিন্তার চোখে কালশিটে দাগ হয়ে মেয়েটি এখন রাতজাগা ক্লাউন।
এটা ভালবাসা..
বারবার সুন্দরী মেয়েদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে
ছেলেটি তার কালো বেঁটে প্রেমিকার মাঝেই সুখ খুঁজে পায়। এটা ভালবাসা.. . স্বামীর পাঁচবছর জেল হয়েছে। প্রতিদিন সাক্ষাৎ করতে দেবে না জেনেও স্ত্রী সকাল থেকে জেলখানা গেইটে বসে থাকে। এটা ভালবাসা.. ..
এসিড সন্ত্রাসের শিকার বউয়ের মুখটা চেনা যায় না।
তারপর তার স্বামীর কাছে মেয়েটি রূপকথার রাজকন্যা। এটাই ভালবাসা..
শেষকথা, রিলেশনে জড়ানোটা অনেক সস্তা ও সহজ ব্যাপার। আজ রিলেশন, কাল রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেওয়া, পড়শু ঘুরতে যাওয়া, যুগল ছবি আপলোড দিয়ে রোমান্টিক ক্যাপশন দেওয়া,কথায় কথা love u বলা এগুলো সবাই পারে…
সবাই। কিন্তু ভালবাসতে সবাই পারে না।
যেখানে ভালবাসা আছে,সেখানে নিজের কাছে একটা
honest কমিটমেন্ট
আছে।
– আর তা হলো..
“যা-ই হোক না কেন, মানুষটাকে নিয়ে লড়াই করে অন্তত শেষটুকু দেখা।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com