Breaking News

হেট লাভ স্টোরি | পর্ব - ৩য়

ঘুম থেকে উঠে বউয়ের মুখনা দেখতে কার না
ভালো লাগে? বাহা বউ আমার খুব সুন্দর করে
জড়িয়ে ধরছে তো। কিন্তু মীম এখানে কি
করে আসলো? নাকী সব কিছু মেনে
নিয়েছে?
যেভাবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে মনে হচ্ছে
আমি ওনার কোল বালিশ। এই মীম আপু উঠেন
আমার ফ্রেস হতে যেতে হবে।
মীম:- কি হচ্ছে এমন করতেছো কেন?
আমি:- দেখি ছারেন আমি উঠবো। আচ্ছা
আপনি এখানে আসছেন কেন?
মীম:- ঐ তুই আমার রুমে আসলি কেন?
আমি:- আপনার রুম হতে যাবে কেন? এইটা তো
আমার রুম আর আপনি আসছেন আমার রুমে।
বুঝতে পারছি রাতে আমাকে ছারা ঘুমাতে
আপনার খারাপ লাগছিলো তাই আপনি
এখানে এসে শুয়েছেন।
মীম:- ঐ আমি ইচ্ছে করে আসিনি কথা কম
বলে আমিকে ছার তানা হলে কামর দিব
কিন্তু।
আমি:- মানে তাহলে কেন এসেছেন?
মীম:- বলছি আগে উঠ এখান থেকে।
আমি:- হ্যা বলেন?
মীম:- আম্মু রাতে ভিডিও কল করে দেখতে
চাইছে আমরা এক সাথে শুয়েছি কীনা নাকী
আলাদা রুমে শুয়েছি। আমি মোবাইল নিয়ে
এসে আম্মুকে দেখায়ছি আর কখন ঘুমায় গেছি
ঠিক মনে নেই।
আমি:- বুঝতে পারছি তুমি মিথ্যা কথা বলছো?
সোজা কথা বলে দিলে পারো আমাকে
জড়িয়ে ধরতে মন চাইছে তাই এসে ধরেছো।
মীম:- একদম মিথ্যা কথা না বিশ্বাস না হলে
আম্মুকে ফোন করে জিগেস করতে পারো।
আমি:- থিক দরকার নেই। দেখি সরো আমার
কাজ আছে।
মীম:- হায় আল্লাহ আমার অফিস বলে
আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে এক দৌর।
আমি:- মনে হয় দুনিয়াতে আপনি নিজেই
চাকরি করেন। আজব একখান মাইয়া যাই
নিছে গিয়ে আমি নাস্তা করে আসি। নাস্তা
করেতে নিছে গেলাম নাস্তা করে বাসায়
আসলাম দেখি মীম তারা হুরা করে বের
হচ্ছে। আরে এমন ভাবে কোথায় যাচ্ছে?
মীম:- যেখানে খুসি সেখানে তোকে বলবো
কেন?
আমি:- নাস্তা করে যাবেন আসুন আমি নাস্তা
নিয়ে এসেছি।
মীম:- আমি অফিসে নাস্তা করে নেব। দেখি
রাস্তা থেকে সর বলে মীম আমাকে ধাক্কা
দিয়ে চলে যেতে চাইলো তখনি,,
আমি:- বললে হলো বলে মীমের হাত ধরে
নিলাম। আগে নাস্তা করবেন তারপর যাবেন
অফিসে।
মীম:- হাতটা ছার বলছি তানা হলে কিন্তু
খারাপি আছে তোর কপালে।
আমি:- কি খারাপি করবেন একটা থাপ্পড় না
হয় দিবেন বড় বোন হিসাবে।
মীম:- দেখি ছার বলে হাতটা টান মেরে
ছেরে চলে গেছে। আমি চেয়ে চেয়ে
দেখলাম মীমের চলে যাওয়ার দৃশ্য। দুর গেলে
গেছে তাতে আমার কি আমিও রুমে গিয়ে
ফ্রেস হয়ে একটু বেরিয়ে পড়েছি। যেহেতু
অফিস আগামী কাল খোলা তাই আজকে
বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা মারতে চলে
এলাম। সবার সাথে বসে আড্ডা দিয়ে আমার
বাইকটা নিয়ে এসেছি আগের রুম থেকে,
বিকালে বাসায় আসছি তখন ৫টা বাজে
এখনো মীম আসেনি ওকে অনেক বার ফোন
করেছি কিন্তু রিসিব করেনি। ওর অফিস ছুটি
হয় কয়টা তাও জানিনা। যাই একটু ছাদের উপর
থেকে ঘুরে আসি। ছাদে গিয়ে দেখি কফি
অনেক গুলা বাচ্ছা ছুটা ছুটি করছে কাছে
গিয়ে চোখ আটকে গেলো। এত বড় মেয়েটি
ছোট ছোট বাচ্ছাদের সাথে কানা মাঁছি
খেলতেছে। আমি সামনে যেতেই আমাকে
জড়িয়ে ধরে বলে,,,
মেয়ে:- ধরেছি কি মজা মজা বলে লাফাচ্ছে।
বাচ্ছারা:- এই আপনি কে আপনি এখানে
আসছেন কেন? তখনি মেয়েটির চোখের বাধন
খুলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও
মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি।
মেয়ে:- এই আপনি আমার সামনে এসেছেন
কেন? আর আমাকে জড়িয়ে ধরছেন কেন?
আমি:- আপনি তো আমাকে এসে জড়িয়ে
ধরেছেন আর আমার নাম সোহরাব আল ইসলাম।
আপনার নাম কি?
মেয়ে:- জানিনা আর আপনাকে কেন বলবো?
আমি:- বাহা আপনার নামটা অনেক সুন্দর।
মেয়ে:- ফাজিল ছেলে কোথাকার এই
বাচ্ছারা সবাই চলো আজকের মত খেলা
এখানে শেষ। মেয়েটি সবাইকে নিয়ে চলে
গেছে। বাহা মেয়েটি অনেক সুন্দর তবে
মীমের মাঝে একটু পার্থক্য আছে সেইটা
হচ্ছে মীমের ঠোটের নিছের তিলটা। যাই
রুমে যাই গিয়ে রাতের খাবার তৈরি করি
সন্ধা হয়ে গেছে রুমে এসে খাবার রেডি
করতেছি। কিছুক্ষন পর বাইকের আওয়াজ শুনে
জানালা দিয়ে নিছে তাকিয়ে দেখি মীম
বাইক থেকে নিছে নামছে। বাইকে বসা
ছেলেটার পেছনটা দেখা যাচ্ছে। দুজনে
হাসা হাসি করে টাটা দিয়ে মীম চলে
এসেছে আর ছেলেটা চলে গেছে। কিছুক্ষন
পর কলিং বেল বেজেছে কিন্তু আমি একটু
দেরি করে গিয়ে খুলেছি।
মীম:- এতক্ষন লাগে দরজাটা খুলতে কোথায়
ছিলি তুই?
আমি:- যেখানে খুসি সেখানে তা না
জানলেও হবে। ভিতরে এসে দরজাটা লাগিয়ে
দিয়েন। ঐদিকে আমি রান্না করতেছি বলে
চলে আসছি। ছেলেটা কে হবে মীম কি
তাহলে ওকে লাভ করে? মনে হাজারটা প্রশ্ন
তৈরি হয়ে গেছে। রান্না শেষ করে ফ্রেস
হয়ে একা খেতে বসেছি আজকে মীমকে
আর
কোন রকম সুযোগ দেয়নি। তখনি কলিং বেল
বেজে উঠেছে মীম গিয়ে দরজা খুলেছে।
মীম:- আরে আন্টি আপনি আসুন ভীতরে আসুন।
আমি:- এই আপনি কাকে ভীতরে আসতে
বলতেছেন?
মীম:- আমাদের পাশের ফ্লাটের আন্টি। ওনি
আমাকে দেখে বলে,,
আন্টি:- বাহা মীম তোমার বরটা তো রাজ
পুত্র তোমার মায়ের পছন্দ আছে বলতে হবে।
তা কি নাম তোমার বাবা?
আমি:- জ্বি সোহরাব আল ইসলাম।
মীম:- আন্টি আসেন আমাদের সাথে বসে
ডিনার করবেন?
আন্টি:- না আমি ডিনার করেছি তোমরা
ডিনার করো। মীম এসে বসে পড়েছে সোজা
নিছের দিকে তা

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com