গল্পঃLazy ছেলের crazy ভালবাসা
ঐ রতন হালা,,,,
রতনঃঐ তুই আমাকে হালা বললি কেন??
আমিঃআরে আমি হালা কই বললাম??আমি তো বললাম রতন দাড়া,,(কনফিডেন্সের সাথে)
রতনঃঠিক তো(কনফিউশনের সাথে)
আমিঃআরে হো।তা ভনভন করে কই যাস??(ভনভন কথাটা আস্তে করে)
রতনঃঐ আমি ভনভন করে হাটি??
আমিঃআরে,আমি বলি হনহন,,তুই শুনস ভনভন।তোর কি হইছে বল তো??
রতনঃআমার সাথে এসব কি শুর হইছে??(বিরক্তি নিয়ে)।সেদিন এই জন্য নীলা ও আমার সাথে রাগ করে কথা বলে না,,,
আমিঃমানে কি??
রতনঃআর বলিস না দস্ত,,
আমিঃআগে তো বল,,প্রযোজন পরলে ঢোলও বাইরাইতে পারি(মনেমনে)
রতনঃসেদিন নীলাদের বাড়ির পিছনে দারিয়ে নীলার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম।হঠাত নীলা বলল,এই তুমি একটু খোলাখুলি কথা বলতে পার না?সব কিছু খুলে বল।তাহলে সব বুজতেও সহজ হবে R শুনতে ভাল লাগবে।আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলাম,কি বল??সব খুলে কথা বলতে হবে কেন?এভাবেই একটু বুজে নেও না,,
আমিঃতারপর??
রতনঃতারপর,নীলা রাগ করে বলল,তুই কি সব খুলে কথা বলবি আমার সাথে,নাকি আমি ফোন রেখে দিব।তারপর আমি নিরুপায় হয়ে সব খুলেই,নীলার সাথে কথা বলছি।আর তার জন্য নীলা এখন আমার সাথে কথা বলে না,,
আমিঃকি বলিস,এখানে রাগ করার কি হল আবার??(অবাক হয়ে)
রতনঃআরে সম্যসা তো ওখানেই,,,
আমিঃমানে??
রতনঃআরে সব খুলে কথা বলছিলাম,হঠাত এক মেয়ে দেখেই,ঐ মাগো বলে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে,,
আমিঃঐ তু,,তু,,ই কি খুলে কথা বলছিলি??(তুতলাতে তুতলাতে)
রতনঃআরে সালা তুই বুঝস না??(লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে)
আমিঃঐ কিইইইইই,,,?(আমার মাথা ঘুরছে মনে হয়) একটু নিজেকে শান্ত করে আবার জিজ্ঞাস করলাম,,,
আরে, তুই তো ফোনে কথা বলছিলি,এই কথা নীলা জানল কিভাবে??
রতনঃআরে ঐটা তো নীলাদের কাজের মেয়ে সখিনা ছিল।
আমিঃএতটাই অবাক হইছি যে,কিছুই আর মনে নাই,,,ঘোর কাটল কার হাসির শব্দে,ফারিহা আমাকে রাস্তায় এভাবে হা করে থাকতে দেখে হাসছে,,সাথে সাথে পাশেপাশে তাকিয়ে দেখি রতন নাই।এতটাই অবাক হইছি যে,রতন কখন চলে গেছে তাও জানি না।আর সালা যে কথা কইছে,অবাক না হইলে তো দুনিয়া থেকে আস্ট্রর্জ বোধক চিহ্নটাই উঠে যেত।ও ফারিহা কে আপনারা তাই ভাবছেন,তাহলে শুনুন,,,
আমি ফয়সাল,৮ঘন্টা জব+৬ ঘন্টা ঘুম আর আনুষঙ্গিক কিছু কাজ ও প্রকৃতির ডাকে সারা বাদে যে সময়টা একটা মেয়ের পিছনে দীর্ঘ ৯ মাস যাবত ঘুর ঘুর করছি সেই হচ্ছে ফারিহা।প্রথম প্রথম আমাকে দেখে ঠোটের কোনে হাসির আভা ফুটে উঠলেও এখন তা বিরক্তিতে পরিনত হইছে।তার কারনটা অবশ্য আমি জানি না।তাই ৬ মাস আগে ফোন নাম্বার জোগাড় করতে পারলেও ফোন দেয়া হয়নি।কিন্ত আজ দীর্ঘদিন পর রতনের ভুল কিছু খুলাখুলির কারনে হলেও ফারিহা আমাকে দেখে হাসছে।R এই হাসি আমার ভিতর সাহসের সঞ্চয় করেছে।তাই এই সঞ্চিত সাহসকে বঞ্চিত না করে,রাতে ফারিহাকে ফোন দিলাম,,,,
ফারিহাঃহেলো আসসালামু আলাইকুম।
আমিঃনিশ্চুপ,,,,,এদিকে ফারিহা হেলো হেলো করেই যাচ্ছে।একটু পর পাশে থাকা কোলবালিশটা মেজেতে ফেলে,ঐ মা গোOOooo বলে চিৎকার দিতেই,,
ফারিহাঃএই কি হইছে? চিৎকার করছেন কেন?কে আপনি(চিন্তিত শুরে)
আমিঃতেমন কিছু না,আপনি হেলতে বললেন তো,তাই হেলতে হেলতে পরে গেছি,,
ফারিহাঃকি?আমি আপনাকে কখন হেলতে বললাম?
আমিঃকখন মানে!!সেই কখন থেকেই তো হে’ল্ল হে’ল্ল করছেন,,
ফারিহাঃএই ফাজলামি করেন আমার সাথে,,কে আপনি?
আমিঃফাজিল
ফারিহাঃফাজিল মানে??
আমিঃফাজলামো তো ফাজিলই করে ম্যাডাম।কথাটা বলতেই ঐ পাশ থেকে মিষ্টি হাসির শব্দ ভেসে আসল কানে
ফারিহাঃতা এত মিষ্টি করে কথা বলে আমাকে পটাতে চাচ্ছেন নাকি?কিন্ত কোন লাভ হবে না,,
আমিঃলাভ,লস পরে,কিন্ত আমি ত পিপড়ে খুজে পাচ্ছি না,,
ফারিহাঃমানে??
আমিঃআপনি না বললেন,মিষ্টি করে কথা বলি।কিন্ত ঠোটের আশেপাশে তো কোথাও পিঁপড়ে দেখি নাই।মিষ্টি হলেত থাকার কথা।আর পুনরায় সেই রসগোল্লা হাসির শব্দ,,
ফারিহাঃআসলেই আপনি একটা ফাজিল(হাসতে হাসতে)তা আপনার পরিচয় টা দিবেন??
আমিঃএকটু আগেই বললাম তো,,
ফারিহাঃএকটু খুলে বলেন,,
আমিঃহায় হায় কয়কি মেয়ে(মনেমনে)না না খুলে বলা যাবে না সম্যসা আছে।(পরে আবার রতনের দশা হবে, কি বলেন আপনারা?)
ফারিহাঃতাহলে আমি রাখি,,,
আমিঃএই না না বলছি,,আমি ফাজিল বাংলাদেশে থাকি।খাটে ঘুমাই,পায়ে হাটি।মাঝে মাঝে বাস,ট্রেন ও উঠি।
ফারিহাঃতাই বুজি স্যার(হাসতে হাসতে)আচ্ছা পরে কথা বলব আম্মু খেতে ডাকছে।
আমিঃসত্যি পরে কথা বলবেন??(অবাক হয়ে)
ফারিহাঃহ্যা,আপনার সাথে কথা বলা যেতে পারে ফাজিল সাহেব।তবে প্রতি দিন সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
আমিঃএদেকি আমি খুশিতে লুঙ্গি ডান্স দিতে শুর করলাম।পরে আস্তে আস্তে আমাদের কথা বাড়তে শুর করল,এক সময় তা বন্ধুতে পরিনত হল(হয়ত তার থেকেও বেশি)কিন্ত কেউ কাউকে কিছু বলি না,,বেশ কিছুদিন যাবত ফারিহা দেখা করার জন্য চাপ দিচ্ছে।কিন্ত আমি করছি না,এই ভয়ে যদি ও আমাকে দেখে ফিরিয়ে দেয়,,কিন্ত আজ ফারিহা বলেছে বিকাল ৫ টায় ওর সাথে দেখা না করি,তাহলে আর কোন দিন কথা হবে না।তাই বাধ্য হয়ে ওর সাথে দেখা করতে রাজি হলাম,,,,
৫টায় পার্কে পৌছাতেই দেখি মেয়েটা অধির আগ্রহে একটা বেঞ্চে বসে আছে।আজ ফারিহাকে অনেক সুন্দর লাগছে নীলা শাড়ি আর কাচের চুরিতে,,ঠিক যেন একটা নীলা পরী।ওকে এত কাছ থেকে দেখার লোভ আর হারিয়ে ফেলার এক অজানা ভয়ে কাছে যেতে ইচ্ছা করছে না।তাই ৫টায় পৌঁছালেও ৫.৩০ ওর সামানে গিয়ে বললাম,ফারিহা আমি সেই ফয়সাল।কথাটা বলার সাথে সাথেই ঠাস করে একটা আওয়াজ হল।আর আমার হাত বাম গালে পৌঁছে গেল।চারদিকের কোলাহল হঠাত থেমে গেল।কেউ কোন কথা বলছি না।আমি মাথা নিচু করে মনে মনে ভাবছি,ফারিহাকে আর আমার পাওয়া হল না।
হঠাত ফারিহা নিরবতা ভেঙে বলে উঠল,,,,
ফারিহাঃআজকে ও তুই দেরি করে আসলি?দীর্ঘ ১০ মাস ধরে তোর মুখে থেকে ভালবাসি কথাটা শুনার জন্য আপেক্ষা করছি।তোর জন্য আর কত কষ্ট পেতে হবে আমাকে?এই পর্যন্ত ৫ টা প্রেমের প্রস্তাব প্রর্তাক্ষান করেছি,,দুই দুই বার নিজের বিয়ে ভেঙেছি।একটা মেয়েকে এর জন্য কতটা বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়, বুজিস তুই?তুই কি করে ভাবলি,,আমি বুজি নাই যে,তুই আমার সাথে ফোনে কথা বলিস?আমি তোর কণ্ঠ শুনেই বুজেছি,,অপরিচিত কোন ছেলে হলে ২৯ সেকেন্ডের বেশি ৩০ সেকেন্ডও কথা বলতে পারত না।আর ১মাস ধরে তোর সাথে ফোনে কথা বলছি,,,না বুজেই বুজি?
কিরে কথা গুলো কি কানে যাচ্ছে?? মাথা নিচু করে আর কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবি?এখন কি বলবি না যে,ফারিহা তোকে খুব ভালবাসি রে(এতক্ষন কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বলছিল ফারিহা)
আমিঃমাথা উচু করে বললাম,,,না বললে হয় না,,, বুজে নেও না,প্লিস!!
ফারিহাঃকিইইই,,,তুই এত আলস কেন??তাড়াতাড়ি বল না হলে কিন্ত আজ তুই আমার সাথে খুন হবি,,,
আমিঃবাপের কালের একটা জীবন পাইছি,তাই রিক্স না নিয়ে হাটু গেড়ে,আমার সব থেকে পছন্দের সাদা পাপড়ির মাঝে ময়ুরের আভা যুক্ত কচুরি ফুলটা ফারিহার সামনে ধরে বলতে লাগলাম,,,,
পড়ন্ত বিকালে আমার চলার পথের সংগী হবি?বৃষ্টি দিনে উদাস মনের সম্ভল।অথবা শীতের রাতে উষ্ণতার কম্বল,,,,
ফারিহাঃহব রে,অলস ছেলে হব(মুশকি হেসে)
আমিঃদেখ,,বিয়ের পর আমি R আলস থাকব না।এক বছর না যেতেই,তোমাকে মেয়ের মা বানিয়ে দিব।ইনশাল্লাহ(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
ফারিহাঃতবে রে শয়তান,,,,,,,
বলেই শুর হয়ে গেল ফারিহা,ফয়সাল আর ফারিহার পেটে অবস্থানরত তাদের ভবিষ্যৎ ছেলেমেয়ের ম্যারাথন দৌড়। হা হা হা
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com