Breaking News

হাসির গল্পঃ A journey by বাংলার বাশ(Bengali bamboo)



লোকাল বাসের হাতল ধরে বানরের মত ঝুলছিলাম, হঠাত আউ,,,উ,,,উ বলে অর্ধ চিৎকারে মুখটা খুলে গেল।
আর সামনে দাঁড়ানো মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা ভঙ্গিতে জানতে চাইল কি হয়েছে?
কিন্ত আমি তার ভ্রু কুঁচকানোতে,কোন সারা না দিয়ে ঠিক আগের মতই তার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম।তাই দেখে মেয়েটা তেলে,বেগুনে ঝলসে উঠে বলতে লাগল,,,
ঐ পোলা মেয়ে দেখলে বুজি মাথা ঠিক থাকে না!!এভাবে হা করে কি দেখিস?মেয়েটার এভাবে উচ্চস্বরে আমাকে ঝারি দেয়াতে বাসের সবাই আমাদের দিকে তাকাতেই,আমি চোখে দিয়ে পায়ের দিকে ইশারা করতেই মেয়েটা নিচে তাকিয়ে দেখে, তার তিন ইঞ্চি হিল জুতাটা আমার পায়ের উপর।সাথে সাথে পা সরাতেই,,,,,,


আমি আম্মাগোOOoooবলে,এত ক্ষনের আটকে থাকা চিৎকারটাকে ডেলিভারি দিতেই,বাসের ভিতর ছোট খাট একটা ভুমিকম্পে সবাই কেপে উঠল।R মেয়েটা একটা লজ্জা মার্কা মুছকি হাসি দিয়ে সরি বলে তড়িঘড়ি করে বাস থেকে নেমে গেল।আমি সামনের ইস্টিশনে নির্যাতিত পা টাকে হেচরাতে হেচরাতে বাসায় চলে আসলাম।
এই ফাকে আপনাদের আমার পরিচয়টা দেই।

আমি ফয়সাল,ডিপ্লোমা পাশ করে একটা পার্টটাইম জব এর পাশাপাশি bsc করছি।আর বাবা,মার হোটেলে একজন বাকি কাস্টমার হিসাবে বেচেলার জীবন অতিবাহিত করছি।আজ বাসে করে ভার্সিটি থেকে বাসায় আসার সময়,বজ্জাত মেয়ের দৌলতে আমার পাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হল।বাসায় এসে দুপুরের প্রচন্ড রোদে ঘামে ভেজা শরিলটাকে জীবাণুমুক্ত করতে যুবকদের প্রথম পছন্দ লাইটবয় সাবান দিয়ে গোসল শেরে,তোযালেটা কোমরে প্যাচ দিয়ে পুরুষদের জাতীয় পোশাক রোদ শুকাতে,খুড়াতে খুড়াতে ছাদে উঠচ্ছিলাম।
হঠাত একটা পিচ্ছি মেয়ের সাথে ধারাম করে ধাক্কা খেলাম,তাল সামনে যেই আবার উপরে উঠতে যাব আবারো ধারাম করে আরেক ধাক্কা।পিছনে তাকিয়ে দেখি বাসের সেই হিল জুতায়ালি।রাগি লুক নিয়ে মেয়েটার দিকে তাকাতেই,,,,


মেয়েটি ভয়,ভয় চিহারা নিয়ে আমার সামনে একটা তোয়ালে তুলে ধরল।আমি দাত কিড়মিড় করে বাঘের মত না পারলেও বিড়ালের মত জিজ্ঞাস করলাম,কি হইছে??

মেয়েটি লজ্জা মিশ্রিত মুখ নিয়ে চোখ দিয়ে আমার নিচের দিকে ইশারা করতেই,আমি নিচে তাকিয়ে নিজেকে জন্মদিনের পোশাকে দেখে,এটম না খেয়েই চাপার জোর বাড়িয়ে “”আম্মাগোOooo”” বলে চিৎকার দিতেই মেয়েটি হাতের তোয়ালে আমার দিকে ছুড়ে মেরে সরি বলেই দে দৌড়।আমি তাড়াতাড়ি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জন্মদিয়ার যন্ত্রকে বেহায়া তোয়ালে দিয়ে ঢাকা দিয়ে ঘরের দিকে এক দৌড় দিলাম।ঘরে এসে মাকে জিজ্ঞাস করলাম,মা ছাদে দুইটা মেয়ে দেখলাম কে ওরা??

মাঃঅহ,ফারিহা আর নীলাকে দেখেছিস মনে হয়।ওরা দুই তালায় নতুন ভাড়া এসেছে।
আমিঃতা এধরনের ফাজিল মেয়েদের কেন ঘড় ভাড়া দিতে যাও?
মাঃকেন রে শয়তান!!কি হয়েছে(অবাক হয়ে)
আমিঃফাজিল মেয়ে গুলো শয়তানের ইজ্জতে হানা দিছে,,বুজছ!বলেই রাগ দেখিয়ে চলে আসলাম।তারপরের দিন সকালে নাস্তার টেবিলে বসে কলা খেতে খেতে মাকে বললাম,প্রতিদিন এই রুটি,কলা আর জেলিফেলি ভাল লাগে না, একদিন ত ভুনাখেচুরি,ডিম রান্না করতে পারেন নাকি??আমার কথা শুনে মা,এটম খেয়ে চাপার জোড় বাড়িয়ে ঝাল চানাচুরের মত ঝলসে উঠে বলতে লাগল,,

মাঃপ্রতিদিন নতুন নতুন খাবার খেতে ইচ্ছা করলে বিয়ে করে বউকে দিয়ে রান্না করে খা,,,
মার কথা শুনে আমি অলিম্পিক খেলার বল ছুড়ার মত করে হাতে থাকা কলা ছুরে মেরে বাইরে যাওয়ার জন্য,যেই দরজার দিকে হাটা দিব ওমনি ৫ টনি ডিস্টিক ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে মেঝেতে পরে গেলাম।পড়ে মনে হল,আমার উপর ২ মনের বস্তা পরে আছে।তাই চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি সেই জুতায়ালি(মানে ফারিহা)আমার দিকে ভেবাচেকা মার্কা হাসি দিয়ে বলতেছে,,সরি,,
আমি;আপনার সরির কেতায় আগুন,,আগে উঠুন আমার উপর থেকে।ফারিহা তড়িঘড়ি করে আমার উপর থেকে উঠে বলতে লাগল,,সরি,,ব্যাথা পাইছেন??


আমিঃঐ মাইয়া কি পাইছ তুমি?ঐ দিন বাসের মধ্যে তোমার তিন ইঞ্চি হিল জুতা দিয়ে পায়ের ফালুদা করে দিলে।তারপর আবার সেইদিন আমাকে সিঁড়িতে ধাক্কা দিয়ে জন্মদিনের পোশাকে দাড় করাইলা।আজকে আবার ২ মনের শরির দিয়ে আমাকে যাতা দিয়ে কোমর ১৩ বাজিয়ে বলছ ব্যথা পাইছি কিনা?মজা কর আমার সাথে?


ফারিহাঃঐ পোলা মজা করি মানে?বাসে আমার হিল জুতার নিচে আপনাকে আসতে বলছিল কে?আত্তহত্যার জন্য কি জায়গা খুজে পাননি?আমার জুতার আসলেন।আবার এত বড় দামড়া ছেলে হয়ে তোয়ালে পরে ঘুরেন।আপনাকে ত শুধু এক দিনের জন্য না,সারা জীবনের জন্য জন্মদিনের পোশাক পড়িয়ে পাবলিক টয়লেটের সামনে দাড়া করিয়ে রাখি নাই এটাই আপনার ফাটা কপালের ভাগ্য।আজ আবার বাদরের মত কলা খেয়ে ছোলা যেখানে সেখানে ফেলে আমাকে ফেলে দিছেন।আবার আমাকেই ঝাড়ছেন?আপনার নামে আমি এটেম টু ফাজিল কেসের মামলা দিব।এবার মা নিরবতা ভেঙে বলে উঠল,,

মাঃঐ তোরা ঝগড়া থামা,,আগে বল জন্মদিনের পোশাক মানে কি??
আমিঃচোরের মত হাসি দিয়ে,কিছু না,মা বলে তাড়াতাড়ি রাস্তা মাপলাম।(আমার মার অব্যস্থাটা দেখছেন,আগেপরে যে দুইটা ঘটনা ছিল তা বাদ দিয়ে ডাইরেক্ট জায়গা মত পোরা গন্ধ পাইছে)
এখন বেশকিছুদিন যাবত আমাদের বাড়িতে জুতায়ালির আনাগোনা বেরে গেছে মনে হয়।মায়ের সাথেও খুব খাতির দেখছি,,দুই জন কি নিয়ে যেন কথা বলে আর বাংলা ছবির রিনা খানের মত ডাইনি মার্কা হাসি দেয়।যা দেখে আমার সাদা দিলেও কাদা লেগে যায়।

একদিন বাবা,মা আর আমি দুপুরে লাঞ্চ করছি হঠাত মা বলে উঠল,,ফয়সাল আমরা ফারিহার সাথে তোর ঠিক করছি।
আমিঃমায়ের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে মুরগির রানে কামড় দিলাম ওমনি বাবা,,””মাগো00০০”” বলে চিৎকার দিয়ে উঠল।আমি বাবার দিকে তাকাতেই,বাবা আমার মুখ থেকে মুরগির রানটা টান দিয়ে নিয়ে গেল।আমি রাগে গজগজ করে বলে উঠলাম,তুমি আমার মুখ থেকে রানটা নিয়ে গেলে কেন??


বাবাঃওরে হারামজাদা ঐটা মুরগির রান না,,,Oটা তোর বাপের হাত!
আমিঃআমি বাবার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দাতের সুন্দর কারুকার্য বসে আছে।তাই নিজের দোষে পানি চাপা দিতে থুক্কু ছাই চাপা দিতে হুংকারের সাথে বলে উঠলাম,,,আমাকে হারামজাদা না বলে নিজের বউকে কিছু বলেন না কেন?যার কথা শুনলে,ছেলে হয়ে নিজের বাপের হাত কামরিয়ে খাওয়া লাগে!!মা এবার আর চুপ করে থাকতে না পেরে,,

মাঃঐ কি বললি তুই??আমি যা বলছি এই বাড়িতে তাই হবে।আর তা না হলে,,
আমার পাতিলার ভাত আর তোর বাপের টাকায় বানানো খাট তোর জন্য চিরকালের জন্য বন্ধ।
আমিঃথাকব না,তোমাদের বাড়িতে,যে মা হয়ে নিজের ছেলেকে দুই মনের বস্তার নিচে ফেলে চাপা দিয়ে মারতে চায়।তাদের সাথে আমিও থাকতে চাই না।বলেই মুরগির একখানা রান হাতে নিয়ে চিবাতে চিবাতে বাড়ি থেকে চলে আসলাম।বাইরে এসে দেখি পকেটে মাত্র ১২ টাকা আছে।এদিকে আমার পেটের ভিতরে ইদুর,বিড়াল,টিকটিকি,তেলাপোকা ক্ষুধার চটে হরতাল,অবরোধ শুর করছে।তাদের মধ্যে থেকে একজন রাজনৈতিক নেতাদের মত হাত,পা ছুরে চিৎকার করে বলে উঠল,,


সংরামী ভাইও বোনেরা আমরা ঐ ফকিন্নির পেটে বসবাস করে আজ নিপিরত ও নির্যাতিত।তাই আমরা ব্জ্র কন্ঠে এক সাথে আওযাজ তুলে ঐ ফকিন্নিকে বলতে চাই,,আমাদের তাড়াতাড়ি খাবার দে,না হলে এমন অভিসার দিব যে,সারা জীবনে টয়লেটে বসে থাকতে পারবি কিন্ত হাগু করতে পারবি না শয়তান।পেটের ভিতর থেকে এসব আওয়াজ শুনে আতকে উঠলাম।মনের দুঃখে যে মদ দিনে খাব সেই টাকা ও নাই, তাই ১২টাকায় একটা বেনছন সিগারেট আর এক বোতল পানি নিয়ে রাত ১২টার দিকে মাতালের মত পানি খেতে খেতে হেলেদুলে গান গাইতে শুর করলাম,,,


★হয় যদি বদনাম হক আরো,,★
★আমি ত এখন আর নই কার★
★এখন মরন এলে,,,,,,,,,,,,,,,,★
দুই লাইন না গাইতেই পিছন থেকে ভক্তদের সারা পেয়ে পিছে ফিরে তাকাতেই দেখি মামুরা দাড়ায় আছে।কলারটা ধরে বলে চল,মতলামি ছুটাচ্ছি।আমি বললাম মামা এটা মদ না পানি!!সালার পুলিশ বলে কিনা? তাহলে ত তুই আরো বড় অপরাধী।এমন একটা সম্মানিয় জিনিসের তুই অপমান করেছিল।তোকে ত আজ সেইরকম বাটাম দিব।বলেই বিয়ের আগেই শশুড় বাড়িতে নিয়ে গেল।আর সেই মাপের কেলানি দিল,,কেলানি খেতে খেতে মুখ দিয়ে গান বেরিয়ে গেল★


“””ও আম্মা,ও আম্মা,আপনি কোথায়??
একবার দেখি যান আইয়া,আমার পাছার কাপুর তুইলা,বাইরাইতাছে কেমনে পুলিশে??
সইতে পারিনা ব্যথা,কারে বলব দুঃখের কথা,,
আপনি ছাড়া কেউ নাই জগতে!!
ও আম্মা,ও আম্মা আপনি কোথায়??”””(টুট টুট টুট,দুংখিত সংযোগ বিচ্ছিন্ন)

পরেদিন ফারিহাকে বিয়ে করার শর্তে আমার জেল খানার জীবনের সমাপ্তি হল।
আজ আমার বাদররাত সরি,বাসর রাত,পা টিপে টিপে ঢুকলাম বাসর ঘরে।ফারিহার কাছে যেতেই চোখ কপালে উঠে গেল,দেখি ফারিহা অর্ধ নগ্ন হয়ে থুক্কু অর্ধ গোমটা দিয়ে বসে আছে।আর ওর গোলাপের পাপড়ির মত ঐ দুইটা কাঁপছে (মানে ঠোট দুটো ভয়ে কাঁপছে)।তাই দেখে আমার এত দিনের বাঁদরামি করা হাত দুটো ফারিহার দুই গাল স্পর্শ করল।নিকোটিন এর ধুয়া উড়ানো কালো ঠোট দুটো আস্তে আস্তে ফারিহার গোলাপি ঠোটের দিকে আগাতে শুর করল।আস্তে আস্তে নিশ্বাস ভারি হচ্ছে,


আমার ঠোট আগাচ্ছে নিশ্বাস ভারি হচ্ছে,
আরো কাছে যাচ্ছি আরো ভারি হচ্ছে,
★হেকস★(বিকট আওয়াজের সাথে)
মানে ফারিহা হেকছ বলে,,হাচি দিয়ে সব গণ্ডগোল পাকিয়ে দিল,,
আমিঃএটা কি হল??


ফারিহাঃসরি,,,,,,
আমিঃআপনার সরির গুষ্টি কিলাই,,বলেই চলে আসতে লাগলাম,হঠাত ফারিহা পেছন থেকে আমার হাত ধরে টান দিয়ে খাটের উপর ফেলে,তার আটা,ময়দা,সুজিরমত দুই মন ওজনের শরিলটা,আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে যা করল তা, আমার মত ভদ্র ছেলের পক্ষে সবাইকে বলা সম্ভব না,,
বাকিটা ইতিহাস,পাতিহাঁস,® রাজহাঁসের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।কেমন??

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com