অবশেষে ভালোবাসা | পর্ব-২ | লেখকঃ-নীল
অবশেষে ভালোবাসা | পর্ব-২ | লেখকঃ-নীল
নীল: আমি গরিব-বাবা মায়ের ছেলে তাই নতুন করে বলার মতো কিছুই নেই।
নীলিমা: নীল আমার একটা কথা রাখবি তুই”
নীল: রাখার মতো হলে অবশ্যই রাখবো বলতে পারিস।
নীলিমা: আচ্ছা নীল আজকে আমাকে একটু সময় দিতে পারবি’
প্লিজ কোন অজুহাত দেখাবি না।
নীল: ওকে.
নীলিমা: তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ.
নীল: এতে ধন্যবাদের কি আছে.
নীলিমা: তোর মাথা.
নীল: ওকে আমার মাথা’ এখন তুই খুশি তো.
নীলিমা: খুশি মানে অনেক অনেক খুশি.
নীল: বেশি খুশি কিন্তু ভালো না’
যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারে।
নীলিমা: দূর তোর খালি উল্টা-পাল্টা কথা.
নীল: যাই বলিস কথাটি কিন্তু মিথ্যে বলি নি।
নীলিমা: হয়েছে হয়েছে এখন চল আমার সাথে…..!!
নীল: কোথায় যাবো…..?
নীলিমা: জাহান্নামের চৌরাস্তায়….!!
নীল: প্রবলেম নেই’ তুই বন্ধু তো তোর জন্য না হয় বন্ধুত্বের টানে জান্নাতকে Sacrifice করে জাহান্নামে গেলাম।
নীলিমা: তোর আর ডং করতে হবে না’
এখন চল আমার সাথে।
নীল: ওকে চল.
এটা বলেই নীল আর নীলিমা হাঁটতে লাগলো।
এক পর্যায়ে নীলিমা নীলকে বলে উঠলো—
নীলিমা: কিছু খেয়েছিস….?
নীল: হুম খেয়েছি.
নীলিমা: প্লিজ মিথ্যে বলিস না’
নীল: আসলে খাওয়ার মতো সময় পায় নি’
নীলিমা: খাওয়ার মতো সময় পাসনি নাকি পকেটে টাকা ছিল না.
নীল: আসলে ব্যাপারটা তা না.
নীলিমা: তোর আর কিছু বলতে হবে না’ আমার যা বুঝার আমি বুঝে গেছি.
এখন চল আমার সাথে আগে কিছু খেয়ে নিবি।
তারপরে না হয় দুই জনে জমিয়ে আজকে আড্ডা দিবো.
কেননা হয়তো আর এই সুযোগ পাবো না…..!!
নীল: আমার ক্ষুধা নেই তো.
নীলিমা: তোর ক্ষুধা থাকুক বা না থাকুক আমার ক্ষুধা আছে’
চল আমার সাথে খাবি……!!
এক পর্যায়ে নীলিমার জোরাজুরি তে নীল রেস্টুরেন্টে ঢুকতে বাধ্য হল।
নীলিমা রেস্টুরেন্টে গিয়েই নীলকে বলতে লাগলো—
নীলিমা: আচ্ছা নীল তুই যা যা খেতে পছন্দ করিস সব অর্ডার দে….?
নীল: তুই অর্ডার দে’ তোর যা পছন্দ আমার তাই পছন্দ.
নীলিমা: প্লিজ নীল তুই অর্ডার দে.
নীল: বেশি কথা বললে আমি চলে যাবো কথাটি মনে রাখিস।
নীলিমা: ওকে তোর কিছুই অর্ডার দিতে হবে না’
যা অর্ডার দেয়ার আমিই দিচ্ছি।
তারপরে নীলিমা বাধ্য হয়ে নিজেই অর্ডার দিল।
কিন্তু নীলিমার অর্ডারের পরিমান ছিল অনেক বেশি।
যার কারনে নীল বাধ্য হয়ে নীলিমাকে প্রশ্ন করতে লাগলো—-
কিরে এতো গুলো খাবার কার জন্য…?
নীলিমা: আমার অনেক ক্ষুধা লাগছে’ তাছাড়া গতকাল থেকে তোর জন্য আমার কিছুই খাওয়া হয়নি’
তাই আজকে পেট ভরে বেশি বেশি খাবো।
নীলিমার কথা শুনে নীলের বুঝতে বাকি নেই’ নীলকে খাওয়ানোর জন্য নীলিমার যত অভিনয়।
নীল সব কিছু বুঝার পরে ও না বুঝার ভান করে বলতে লাগলো—
নীল: ওকে দেখবো তুই আজকে কত খেতে পারিস…..?
নীলিমা: যাই বলিস তোর চেয়ে আমি বেশি খাবোই খাবো’
আর বিশ্বাস না হলে আমার সাথে বাজি ধরে দেখতে পারিস।
নীলের আবারো বুঝতে বাকি নেই নীলকে বেশি খাওয়ানোর জন্য নীলিমার এটা আরেকটা চাল।
যাই হউক এই রকম পরিস্থিতিতে নীল মুচকি হেসে বলতে লাগলো—
তুই পারিস ও বটে।
নীলিমা: হুম হয়েছে এখন খাওয়া শুরু কর.
নীল: ওকে.
এটা বলেই নীল এবং নীলিমা খেতে লাগলো কিন্তু নীলিমার খাবারের দিকে তেমন আকর্ষন নেই।
কেননা নীলিমার সমস্ত মন জুড়েই নীল।
যার জন্য নীলের দিকে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষন যেতে না যেতেই নীল বিষয়টি উপলব্দি করতে পারলো।
যার কারনে নীল বলে উঠলো—
নীল: খাওয়া বাদ দিয়ে কি দেখছিস এমন করে…?
নীলিমা: তেমন কিছুই না’ তুই খা।
নীল: আমি খাবো আর তুই খাওয়া বাদ দিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখবি আমি কি ভাবে খাচ্ছি তাই না।
নীলিমা: জানি না’ তুই খেতে থাক।
নীল: পাগলামি বাদ দিয়ে খাওয়া শুরু কর নতুবা আমি কি বলেছিলাম সব কিছু মনে আছে তো”
নাকি নতুন করে বলতে হবে।
নীলিমা: তুই খালি উল্টা-পাল্টা চিন্তা করস’
ওকে আমি ও খাচ্ছি তুই ও খা।
“
এটা বলেই নীলিমা এবং নীল খেতে লাগলো’
কিন্তু এতো বেশি খাবার অর্ডার দিয়েছে যে’ যার জন্য অনেক খাবার নষ্ট হয়েছে।
যাই হউক দুই জনে খাওয়া-ধাওয়া শেষ করে রমনা পার্কের উদ্দেশ্যে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে না হতেই নীলের দৃষ্টি পড়লো জ্যামের মধ্যে আটকে থাকা একটি প্রাইভেটকারের উপর।
আর দৃষ্টিটা পড়তে না পড়তেই নীল এক দৃষ্টিতে প্রাইভেটকারের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যে’ নীলিমা নিজে ও হতোস্তব্দ।
কেননা নীলের দৃষ্টিটা তখন এক সেকেন্ডের জন্যে ও অন্য কোথায় যায় নি’
নীল অপলোক দৃষ্টিতে প্রাইভেটকারের দিকে চেয়েই আছে।
“
প্রাইভেটকারের রহস্যময় ঘটনা জানতে সাথে থাকুন Next পর্যন্ত……!!
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com