গল্পঃসুপার ফাস্ট ফাজিল মেয়ে
এই ছাড় বলছি,,,,!!!!!(রাগ করে)
শুধু বউকে সোহাগ করলে চলবে?এদিকে আমার সব কাজ পরে আছে,,,,,
আমিঃএই বৃষ্টি ভিজা রোমান্টিক একটা সকালে বউকে সোহাগ করব না!!!তাহলে কি কোলবালিশকে সোহাগ করব??
বউঃঅহ তাই বুজি(দুষ্টু মার্কা হাসি দিয়ে)তাহলে আমার রোমান্টিক বরটা সকালে খাবে কি শুনি??
আমিঃকেন???ভালবাসা,,!!!
বউঃওলে বাবুটা রে,,!!আপনি না হয় ভালবাসা খেয়ে পেট ভরবেন,,,বাড়ির বাকি সবাই কি খাবে শুনি?
আমিঃতারাও ভালবা,,,,,(পুরাটা না বলতেই)
বউঃকি বললা তুমি?তবে রে শয়তান,,,দেখাচ্ছি মজা,,,বলেই সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দিল,,
আমিঃR আমি বাচার তরে,শাড়ি ধরেও শেষ রক্ষা পেলাম না,, মানে ধপাশ করে পড়লাম,আর পাশের ঘড় থেকে মা আর পেত্নী(ছোট বোন)ছুটে এসে অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,
R আমি লজ্জা এবং রাগের সংমিশ্রণ নিয়ে,বউয়ের অবস্থান নিশ্চিত করতে খাটের উপর তাকিয়ে দেখি,,,,,
/
অর্ধ নগ্ন,ছিড়া কবার পরিহিত একটা কোলবালিশটা পরে আছে,,,R কবারের বাকি অংশ নিয়ে আমি মেঝেতে পরে আছি,,,পরক্ষনে মনে পরে গেল,হায় হায় আমি তো বিয়েই করি নাই,,তারমানে এতক্ষন সপ্ন দেখছি।
মা,আর ছোট বোনের দিকে তাকিয়ে,লজ্জায় একটা বোকা বোকা হাসি দিতেই,,,পেত্নীটা সব বুজছি সমছের খানের হাসি দিয়ে বলে উঠল,,,
বোনঃভাইয়া আমি কিন্ত সব বুজছি,,মা পেত্নীর মুখে একথা শুনে,মুশকি হাসি দিয়ে চলে গেল।
আর এদিকে আমার গা,পিত্তি জলে যাওয়ার অবস্থা,,তাই রাগে পেত্নীটাকে বললাম,,,
এমন একটা থাপ্পড় দিমু না আক্কেল দাত পরে গেলে,,সব বোঝা বের হয়ে যাবে।আমার কথা শুনে পেত্নীটা এক কলসি রাগ নিয়ে বলতে লাগল,,,
বোনঃও এখন সব দোষ আমার বুজি?তুমি সাজসকালে উল্টাপাল্টা সপ্ন দেখে কোলবালিশের কবার ছিড়বা,,তাতে কিছু না??R আমি হাসলেই দোষ??
আমিঃতবে রে আলকাতরা সুন্দরি,,,,
বোনঃকিইইইই,,,,!! আমি আলকাতরা সুন্দরি,,,??আচ্ছা পরে বুজাবুনে আমি কি,,,বলেই মাছির মত ভনভন করে চলে গেল।
এদিকে বাড়িতে ইজ্জতের নিরাপত্তা না পেয়ে,সকালের নাস্তা না করেই করিম চাচার দোকানে গিয়ে নিকোটিনের ধুয়ার সাথে গরম চায়ে চুমুুক দিচ্ছিলাম,,,
হাঠাত কার হাসির শব্দে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখি,একটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে,তার ৩৬টা দাত বের করে হাসছে,,(হাসির সুবিধার্থে মনে হয় ৪টা এক্সটা লাগাইছে মনে হয়)
সাথে সাথে নিজের দরজা জানালা চেক করতে শুর করলাম,,দেখি সব ঠিকিই আছে।তাহলে এসব কি শুর হইল আমার সাথে??সকালে তো কোলবালিশের কারনে ইজ্জত নিলামে উঠছিল।কিন্ত এখন আবার কি হল,, এসব ভাবছি,হঠাত রতন কোথা থেকে এসে আমাকে দেখে সালা ওর টিকটিকির দাত নিয়ে হাসছে!!তাই রাগে সালারে একটু উওমমাধম দিয়ে জিজ্ঞাস করতেই,পিঠের পিছন থেকে মার্কার দিয়ে লেখা কাগজের টুকরো হাতে ধরিয়ে দিল।আমি অবাক হয়ে তাড়াতাড়ি পড়তে শুর করলাম তাতে লেখা,,
“””রাতের আধারে অবলা কোলবালিশকে নির্যাতনের হাত থেকে বাচাতে কোন সহৃদয়বান মেয়েকে আমার ভাইয়ের গলায়,,,অনেকটা বাদরের গোলায় মুক্তার মালার মত ঝুলে পরে কোলবালিশ সমাজকে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি””
লেখাটা পড়ে শরীরের সমস্ত রক্ত চোখে জমা করে সাপের মত ফোঁসফোঁস করছি,হঠাত দেখি সেই মেয়েটি আসছে,,তাড়াতাড়ি দু চোখে পানি দিয়ে একটু ইমোশনাল ভাব নিয়ে মেয়েটির সামনে গিয়ে বলতে শুর করলাম,,,,,,,
কার কষ্ট বা দুঃখের সময় ৩২ টা দাত বের করে হাসতে হয় না??এতে তার কষ্টটা বাড়ে,,R কার কষ্টকে হাসির খুরাক করার মাজে কোন বিরত্ত নেই বুজলেন।মেয়েরা খুব আবেগপবন হয় তাই জানি আজ রাতে মেয়েটা ঘুমাতে পারবে না। এসব ভেবে মনে মনে একটা মিছকা শয়তান মার্কা হাসি দিয়ে,চলে আসলাম(আমাকে নিয়ে হাসাহাসি এবার বুজ ঠেলা)পরে অব্যশ জানতে পারছিলাম মেয়েটার ফারিহা।
এবার ছোট বোনের পালা,,কিন্ত বাড়ি এসে দেখি ছোট বোনটার জর আসছে।তাই ওরে আর কিছু বলতে পারলাম না।R এদিকে হাসপাতালে দোড়াদৌড়ি করার কারনে,কিছুদিন যাবত করিম চাচার দোকানে যাওয়া হয় না,,,,,,
একদিন মাঠ থেকে খেলে বাড়ি ফিরছি হঠাত কার ডাক শুনে পিছনে তাকাতেই দেখি,সেই মেয়ে(মানে ফারিহা)আমার কাছে দৌড়ে এসে বলতে শুর করল,,,
ফারিহাঃএই আপনি এখন চায়ের দোকানে যান না কেন?
আমিঃতাতে আপনার কি?
মেয়েঃআমার কি মানে?আমার অনেক কিছু।কারন আমি বাদরের গলায় মুক্তার মালা হিসাবে ঝুলে পরতে রাজি আছি,,
আমিঃকি আবোলতাবল বলছেন??মুক্তার মালা হিসাবে ঝুলে পরবেন মানে,,,???
ফারিহাঃমানে তোমাকে বিয়ে করব গো,,,আমার বাদর,,
আমিঃবললেই হল নাকি??চিনেন না, জানেন না এক দেখাতেই প্রেমটেম বাদ দিয়ে,ডাইরেক্ট বিয়ে পর্যন্ত চলে গেছেন,,,পাগলি নাকি আপনি??
ফারিহাঃহম্ম পাগলি,,কিন্ত শুধু তোমার,,আর তোমাকে খুব ভাল করে চিনি গো,,
তোমার নাম হচ্ছে ফয়সাল,,ডিপ্লোমা পাশ করে পার্ট টাইম জবের পাশাপাশি bsc করছ,,আর বাড়িতে আমার শশুড়,শাশুড়ি ছাড়াও একটা মিষ্টি ননদ আছে,,আর গত ছয় মাস যাবত নীলা মেডামের কাছে পাইভেট পড়ি,,,, শুধু ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে তোমাকে দেখার জন্য,,আমার ড্রিম বয়,,,,,
আমিঃনামধাম জানলেই হল,,আমি আপনাকে বিয়ে করব না,,,
ফারিহাঃতাহলে সেই দিন সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘুরছিলে কেন?আমি তোমার সেইদিনের সকল শর্ত মেনেই বিয়েতে রাজি,,তাই তোমাকে আমায় বিয়ে করতেই হবে,,
আমিঃদেখুন ওটা আমি লাগাই নি,,,আমার ছোট বোন মজা করে লাগাইছে,,
ফারিহাঃদেখাদেখি সব বাসরঘরে গো,,,(বলেই মুশকি হাসি দিল)
আমিঃকিন্ত আমি আপনাকে বিয়ে করব না,,কথাটা বলে কত বড় ভুল করলাম সাথে সাথে টেরপেলাম,, wweএর সাসা ব্যাংকের মত আমার কলার চেপে ধরে ফারিহা বলতে শুর করল,
ফারিহাঃতুই তো করবি,,,তোর বাপও,,,(বলেই থেমে গেল)
আমিঃহে বল বল,এইটুকু আর বাদ থাকবে কেন??
ফারিহাঃতুই তো বিয়ে করবি আর তোর বাপও আমাকে বউমা হিসাবে মেনে নিবে(মুশকি হাসি দিয়ে)
আমিঃহায় হায় মেয়ে কেমনে কথা ঘুরায়!! (মনেমনে)যেভাবে গলা চেপে ধরছেন,বিয়ে করতে চাচ্ছেন?নাকি হত্যা করতে চাইছেন তাই তো বুজতে পারছি না,,,
ফারিহাঃতাই বুজি(রসগোল্লা মার্কা হাসি দিয়ে)তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে এক হাটু গেরে ফারিহা তার হাতের কলমটা আমার দিকে এগিয়ে ধরে বলতে শুর করল,,,,
[ “””তুমি আমার ফাহার বাবা হবে???”””]
আমিঃকথাটা শুনে মনে হয়,,আমার মাথার উপর ঠাডা পরল,,অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলাম ফাহা কে??
ফারিহাঃবিয়ের পর আমাদের যে প্রথম মেয়ে হবে সেই তো ফাহা গো সোনা(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
আমিঃহায় হায় মেয়ে তো দেখছি সুপার ফাস্ট,,এতক্ষন তো শশুর,শাশুড়ি,ননদ আর বিয়ে পর্যন্ত ছিল এখন তো মেয়ে জন্ম দিয়ে নাম পর্যন্ত ঠিক করে ফেলছে,,,R একটু দেরি করে হ্যা বললে,দাদা,নানা বানাইয়া নাতি পুতির বিয়েও দিয়ে দিতে পারে,,তাই তাড়াতাড়ি,ভয়ে ভয়ে হ্যা বলে দিলাম,,
ফারিহাঃতাহলে এখন যাই সোনা,(মুশকি হাসি দিয়ে),বলেই চলে যাচ্ছিল,,,
আমিঃপিছন থেকে হাত ধরে বললাম,,এমন একটা শুভ দিনে মিষ্টি মুখ না করিয়ে কই যাও ময়নাপাখি??
ফারিহাঃঅহ তাই,,,কিন্ত বিয়ের আগে তো,কিছুই পাবেন না স্যার,,,,বলেই পেটে গুঁতো দিয়ে দৌড় দিল,,
আর আমিও পিছন পিছন লোড়(দৌড়) দিলাম,,,
এখন আপনারা সবাই যার যার কাজে যান,,,
R
আমি দেখি,ফারিহাকে ধরতে পারি কিনা?ধরতে পারলে কিন্ত জোরে,,
খুব জোরে,,,
অনেক জোরে
অসম্ভব ভয়ংকর জোরে একটা,,, চুমু দিয়ে দিব,,,,,,(হি হি হি)
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com