Breaking News

গল্পঃ স্বপ্ন কন্যা । পর্ব-৬ঠ

চমকাবেই না কেন?
আশিক কে এখানে দেখবে সে কখনো ও কল্পনাও করে নাই।তার মানে আশিকই উপরতালায় বাসা ভাড়া নিয়েছে,,,,নিলার মনটা খুশিতে নেচে উঠল, সে এখন থেকে সারা দিনই আশিকের পাশাপাশি থেকে আশিক কে দেখতে পারবে!!!!সে তখনি আশিক কে ডাক দিতে চাইলো,কিন্তু কি কারনে যেনো থেমে গেল।
মনে মনে নিলা ভাবলো,কোন অধিকারে সে আশিক কে ডাকবে,শুধু তার কারনেই আশিক তার মা বাবা কে ছেড়ে দূরে রয়েছে।এখন যদি সে নিলাকে দেখে তাহলে হয়তো নিলাদের বাসা থেকে দূরে চলে যেতে পারে।তাই নিলা আশিককে না ডেকেই নিচে চলে আসল!!!!!!
এতোদিন পর আশিক কে দেখে সে আশিকের সাথে কথা বলতে পারছে না।কিছুটা মন খারাপ লাগলেও নিলা খুব খুশি এখন।এমন সময় নিলার আম্মু নিলার রুমে আসে,নিলাকে বলে লেমন লাগছে মা তোর এখানে?
নিলা তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে মা খুব ভালো লাগতাছে আম্মু,জানো আম্মু আশিক না আমাদের এই বাসাতেই ভাড়া থাকে,আমি এই মাত্র ওকে ছাদে দেখলাম।
নিলার আম্মু বলে,তুই কি আশিকের সাথে কথা করেছিস?
নিলা বলে,না আম্মু?
আম্মু তোমার একটা কাজ করা লাগবো,
এটা যে আমাদের বাসা বা আমি যে আশিকের এতোটা কাছাকাছি আছি যেন সেটা জানতে না পারে।
কেন মা,আশিকের জন্যই তো তুই ঢাকাতে এসেছিস,আর এখন আশিক কে এতো কাছে পেয়েও,তুই কেন ওর থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখবি?
আসলে আম্মু তুমি জানো না, আশিক খুব রাগি আার জেদি ছেলে,আশিক যদি জানতে পারে আমি এখানে আছি,তাহলো ও আবারও এখান থেকে চলে যাবে।
আচ্ছা মা তুই চিন্তা করিস না, আশিক কিছু জানতে পারবে না।
আর আম্মু তোমার একটা কাজ করে দিতে হবে?
কি কাজ?
আম্মু তুমি আব্বুকে বলবা, এখন থেকে সকল ভাড়াটিয়ার ছাদে যাওয়া বন্ধ।
আচ্ছা মা ঠিক আছে, তুই এখন খেতে আয়।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিলা ঘুমিয়ে পড়ে।
ফোনের এলার্ম টা নিলাকে ডাকছে,
নিলার ঘুম ভেঙ্গে গেছে,তার মানে সকাল হয়ে গেছে!
নিলা ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কলেজের জন্য রেডি হলো,নিলা একটা কালো বোরকা আর স্কাপ পড়েছে,যাতে আশিক তাকে দেখে চিনতে না পারে।
নিলা বাসায় সামনে দাড়িয়ে আছে রিক্সার জন্য,
এমন সময় নিলা গেট খোলার আওয়াজ পেলো,
সে চমকে উঠলো,মনে মনে ভাবছে আশিকই যেন থাকে গেটের ওপাশে।
নিলার কথা যেন বিধাতা শুনতে পেয়েছিলো,,,,,,,,,
আশিক গেটটা খুলে আসতে আসতে নিলার দিকে এগিয়ে আসতে ছিলো একসময় সে নিলাকে অতিক্রম করে কলেজের দিকে না গিয়ে অন্যদিকে চলে যায়,
নিলা খুব অভাক হয়ে যায় আশিক কলেজে না গিয়ে ওদিকে গেল কেন?
কয়েক মিনিট পর নিলা দেখতে পেল এদিক দিয়ে একটা রিক্সা আসতাছে,নিলা খেয়াল করলো একটা খালি রিক্সা আসছে এদিকে,,,,,,,,,,,,
রিক্সাটা কাছে আাসার পর নিলা যেন ভুত দেখারর মতো আটকে গেল,,,,,,,,,
নিজের অজান্তেই চোখের কোনায় জল এসে গেছে,
নিলা যে রিক্সাওয়ালা দেখে কান্না করে দেয় সেই রিক্সাওয়ালা টা আর কেউ না!!!!
সে হলো আশিক!!!!!!!
এটা দেখে নিলা খুব কষ্ট পায়,আর মনে মনে ভাবতেছে আজকে তার জন্যই আশিকের এঅবস্থা।
এমন সময় আশিক নিলাকে জিঙ্গাসা করে কই যাবেন আপা!!!!
নিলা কিছুক্ষন হা করে থাকে,কি বলবে সে বুঝতে পারছে না।আর অন্যদিকে নিলার দু চোখ দেখে আশিক ও কিছুটা আশ্চার্য হয়ে যায়,
মনে মনে ভাবতে থাকে,
এতো মিল কেমনে!!!!!
মেয়েটির চোখ হুবহু নিলার চোখের মতো,
আচ্ছা এটা তো আবার নিলা না!!!!
পরে ভাবতে থাকে নিলা এখানে আসবে কেন?
আবারও নিলাকে জিঙ্গাসা করে কই যাবেন আপা?
নিলা তখন বলে,
আমি ঢিপি তে যাব।(ঢিপি মানে ঢাকা পলিটেকনিক)
আশিক বলে জ্বি আসেন আপু।
নিলা আশিকের রিক্সায় চড়ে বসে।
আশিক মোটামুটি তাড়াতাড়িই এগিয়ে চলে কলেজের দিকে,আর আশিকের শরিরের ঘামের গন্ধ আসছে নিলার নাকে,আশিকের শরিরের ঘামের গন্ধও যেন নিলার কাছে পৃথীবির সবচেয়ে বেশি সুগন্ধি বলে মনে হচ্ছে…………….
নিলা পলকহীন ভাবে,পেছন দিক থেকে আশিকের দিকে তাকিয়ে আছে।
আর নিরবে কেঁদে চলেছে!!!!!!
নিলা নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না।
এমন সময় আশিক রিক্সা টা থামিয়ে বলে,
আপা আইসা পড়ছি,নামেন””””””””
নিলা রিক্সা থেকে নেমে কলেজের দিকে যেতে থাকে,
কিন্তু যাওয়ার আগে তার চোখের পানি আশিকের থেকে লুকাতে পারে নি……..
আশিক ভাবছে, মেয়েটি কান্না করছিলো কেন?
হয়তো আশিকেরই মতোই প্রিয়জনের দেওয়া ব্যাথা।
থাক ওসব চিম্তা করে লাভ নাই,
এদিকে আবার আশিক বেশ কিছুক্ষন রিক্সা চালিয়ে বাসায় চলে যায়,
বাসায় খাওয়া দাওয়া করে আশিক কলেজের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
আশিক তার সুবিধার্থে এই কলেজে বিকাল সিফ্ট এ ক্লাস করে,,,,,,,,,
পথে মধ্যে ঘটলো বিপত্তি,ইশ!!!
আশিকের মনে হলো,
একটা ভুল হয়ে গেছে!!!!!!!

আজকের মতো শেষ,,,,,,,,,,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com