হাসির গল্পঃগিট্টু লাগছে পায়জামার ফিতায়
হবিগজ্ঞ থেকে বাড়ি যেতেই,মায়ের এক দফা এক দাবি,,
মেয়ে দেখতে কবে যাবি??
অবশেষে বাপের জোরাজুরি আর মায়ের ঝাটার বাড়ি খেয়ে এখন আমি হবু শুশুড় বাড়িতে বসে আছি।কিঞ্চিৎ সময় যেতেই,মেয়ে নানান কালারের শরবত হাতে,সামনে এসে দারালো।মেয়ে দেখে পছদ হতেই মেয়ে আর আমাকে হালকা বাতচিত করিতে আদালা কামড়ায় পাঠানো দিল।কিন্ত লজ্জায় মুখে নাহি আসে বলি নাহি,তাই আমারো চক্ষু ঘরের এদিক ওদিক ঘুরাইয়া চলি।হঠাত একটা বাচ্চা মেয়ের ছবি দেখেই কথা বলার উৎস খুজে পেলাম।তাই মনের খুশিতে উজ্জ্বল দাতের হাসিতে মেয়ের দিকে ফিরে, বলিয়া উঠিলাম বাচ্চা মেয়েটা খুব কিউট ত!!কে এটা??আর কি নাম?? আমার মুখে এমন কথা শুনিয়া,মাই ডিয়ার হবু বউ মুখ কালো চোখ লাল করিয়া বলিল,ঐ বাচ্চা মেয়েটা আমি আর আমার নাম লিজা।হঠাত এমন বোকা মার্কা প্রশ্ন করে লজ্জায় মাথা নিচু করিয়া ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলাম।ঘরের বাহিরে আসতেই ছোট বোন তামান্না বলে উঠল ভাইয়া তোর বিয়ে আগামী শুক্রবার।আর বড় বোন ইভা আপু বলল কিরে বাদর অবশেষ বাদরের গলায় মুক্তর মালা ঝুলিয়ে দিলাম।কিউট এর ডিব্বা ভাগ্নি দুইটা তাজকিয়া,তোয়বা বলল,কি মজা মামার বিয়ে খাব।অবশেষে বুজিতে বাকি রইল না যে,মেয়েটা যে রাগি! তাতে আমার কপালে শনিবার ছাড়া অন্য কোন বার লেখা আছে কিনা আল্লাহ জানে??
এতক্ষনে আমার পরিচয় নিশ্চয় পেয়ে গেছেন,আমি ফয়সাল আর গল্পের মানুষ গুলোকে নিয়ে আমার পরিবার।সেখানে নতুন কেউ যোগ হচ্ছে তিনি লিজা।
বিয়ের দিন আসতেই পাজামায় গির দিয়ে বর সেজে বিয়ে করতে হাটা দিলাম। কিছু দূর যেতেই গবরে পা দিয়ে কেলেঙ্কারি করে ফেললাম।বাবার চোখ রাঙানো দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে পা ধুয়ে গাড়ি করে শুশুড় বাড়ি পৌঁছে গেলাম।লজ্জায় মুখে রোমাল চেপে বসে আছি বিয়ের পিরিতে।খানিক বাদে শালিকার দল, নানান কালারের শরবত হাতে করিল অবিচল।কোনটা খাব বুজতে না পেরে,ওরেঞ্জ ভেবে হলুদ কালারের নিয়ে মুখে দিতেই দেখি,এহা শুধু কালারে নয়,বরং গুনেমানে খাটি বাটা হলুদ দিয়ে তৈরি। তাড়াতাড়ি মুখের হলুদের গন্ধ দূর করিতে,সাদা লেবুর রসের শরবত মুখে দিতেই দেখি চিনির অভাবে মোটা লবন দিয়ে তৈরি করা হইয়েছে।মেজাজ খারাপ করে শরবত খাওয়া বন্ধ করর চুপচাপ বসে বইলাম।আবারো কিছুক্ষন পর নানান ধরনের খাবার হাতে শালিকারা হাজির হল।মনে মনে ভাবলাম যাক অনেক ক্ষন ধরে ক্ষুদা লাগছে।এবার অন্যন্ত কিছু খাওয়া যাবে।কিন্ত একি সালিকারা হাত ধোয়া নিয়ে গেছে বেকি।৫০০০ টাকার কমে হাত ধোয়াবে না বলে দিছে। মনে মনে রাগে ইচ্ছা করছিল ছোট বেলার মত হাতটা হাফ প্যান্টে মোছা দিয়ে খাওয়া শুর করে দেই।কিন্ত নতুন জামাই বলে কিছুই করতে পারছি না।যাক অবশেষে টাকার ঝামেলা শেষ করে,খেয়ে নিলাম অনেক কষ্ট করে।এতক্ষন উল্টাপাল্টা খাওয়ার পর এখন ভাল খাবার খেতেই অহংকারী পেটে আগের বাজে খাবার বের করতে ততঃপর হয়ে গেল।মানে পেটের ভিতর গোল্লাছুট শুর হয়ে গেছে।নতুন জামাই লজ্জায় কার কাছে জিজ্ঞাস ও করতে পারছি না টয়লেট কোন দিকে। সালার কাজি বড়ই পাজি বিয়ে করানো নিয়ে এত কিসের বাজাবাজি!!কে জানে?
তাড়াতাড়ি পড়া বিয়ে টয়েলেটে ডাক দিছে আমারে।অনেক বাদে কাজি এসে বলে বাবা বল কবুল,আমি তখন পায়ু পথের বেগে দিয়েছে মুখের বদলে সামন্য পেদে।সবার মুখের হাসি কাজির ধমকে সব গিয়েছে থামি।এবার আবার কাজি বলে,বল বাবা কবুল,টয়লেটের চাপে মুখ নাহি আসে বলি এখন আমি কিভাবে কবুল বলি??সবাই চোখ এখন আমার মুখের দিকে,,কবুল শুনার জন্য।কিন্ত পায়ু পথের বেগ মুখে তালা গেছে জুলে।অনেক কষ্টেসৃষ্টে চেপে রাখতে না পেরে উপরে খোদার দিকে তাকাতে গিয়ে বাবার দিকে চোখ পরতেই দেখি অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।অবশেষে আবারো কাজি বলে উঠল,বল বাবা কবুল।অবশেষে মুখ ফুটে কথা বরিয়ে আসতেই সবাই মুখে হাসি ফুটে উঠল।আমার কথা শুনে খুশি না হয়ে, হাসতে শুর করল।কারন আমি কবুল না বলে জরে চেঁচিয়ে বলে উঠছিলাম টয়লেট কই,, টয়লেট কই, টয়লেট। সবাই আমার কথা শুনে গলা ফাটিয়ে হাসতে শুর করল। এদিকে আমার জীবন যায় যায়।অবশেষ এক বাচ্চা মেয়ের হাতের এশার টয়লেট এর সন্ধান পেতেই দিলাম দৌড়। গিয়ে ত পড়ছি মহা ফেছাতে।হায় হায় পায়জামা দরিতে গিট্টু লেগে গেছে।উপায় অন্ত না পেয়ে টানাটানি শুর করলাম কিন্ত সালার গিট্টু খোলার বদলে আরো জরে লেগে গেছে।থাকতে না পেরে টয়লেট এর ভিতর লাফাতে শুর করলাম।কোন মতেই কাজ হচ্ছে না।টয়লেট এর চাপে ভিতরে থাকতে না পেরে বাহিরে এসে লাফাতে লাফাতে বলতে শুর করলাম ব্লেট ব্লেট।আমার এমন কান্ড দেখে সবার হাসি যেন গাছে ধরে না।কিন্ত সালার কেউ যে কিছু এনে পায়জামার দরি কাটবে তার কান্ড জ্ঞান নাই,,সবাই হাসতে হাসতে শুয়ে পরার অব্যস্থা।অবশেষে দাদি শাশুড়ি বটি নিয়ে এসে দরি কেটে দিতেয় টয়লেটে ডুকে শান্তি বলে সব ছেড়ে দিলাম।আহা কি সুখ।আজ বুজতে পারলাম গুনি জনে কেন বলে,
!!!!!!”””ভোগে না ত্যাগেই প্রকৃত সুখ””””!!!!!!
কাজ শেষ করে লজ্জায় আর বাহিরে আসতে ইচ্ছা করছে না।বাবার ভয়ে টয়লেটে বসে আছি।আমার এত দেরি দেখে বাবা টয়লেট এর সামনে এসে ডাকতে শুর করল, বাবা এবার বাইরে আয় সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছে।বাকি কাজ বাড়ি গিয়ে সারিস।লজ্জায় মাথা নিচু করে বের হলাম, ধমধমে পরিবেশ কেউ কিছু বলছে না,হঠাত এই নিরবতার কারন বের করতে চোখ উপরে তুলে সবার দিকে তাকাতেই,সবাই একসাথে উচ্চ সরে হেসে আবার হেসে উঠল।লজ্জায় আবার টয়লেট এর দিকে দৌড় দিব তার আগেই বাবা খপ করে হাত ধরে কাজির সামিনে নিয়ে গেল।অবশেষে এক মুখ চাপা হাসির মধ্যে দিয়েই কাজি বিয়ে পড়াল। মুনাজাত শেষ করে সবাইকে সালাম করে চেয়ারে বসতেই ভিজা ভিজা লাগল।ভাবলাম মনে হয় পেট এতটাই ডায়রেক্ট হইছ্র যে সিকনাগ ছারাই পোডাক্ট বের হয়ে গেছে।মুখটা ভেবাচেকা করে উঠে দারাতেই দেখি সাদা পাজামা হলুদ হয়ে গেছে।আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা বলল কিরে কি হইছে??আমি কিছু বলার আগেই দুই সালা রবিন রকি বলে উঠল,হায় হায় দুলাভাই আপনি পাজামা নষ্ট করে ফেলছেন।কথা শুনে এবার দৌড়ে টয়লেটে যাব নাকি পুকুরে বু্জতে পারছি না।লজ্জায় শ্যামলা মুখও পটির কালার(মানে হলুদ)কালার ধারন করছে।
অবশেষে সবার হাসি আবারো ফেটে পড়ল চার পাশ থেকে।এদিকে আমার ইজ্জত যায় যায়।মুখ এখন কোথায় লুকাই।আমাকে দাদি শাশুড়ি সবার সামনে থেকে ওয়াস রুমে নিয়ে গেল।আর একটা হলুদ কালার এর লুঙ্গী দিল।লুঙ্গীর কালার দেখেই ভয়ে কেপে উঠালাম।সালা হলুদ রঙ বড্ড ভয়াবহ।সব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি ডালের মত কিছু দেখা যায় ভাল করে খেয়াল করে দেখি মুসরির ডাল।সালার পোডাক্ট হজম না হয়েই এভাবে বের হল কিভাবে??তার উপর পেট ডায়রেক্ট।এখন ত কঠিন জিনিস ও তরল হওয়ার কথা।কিন্ত এই অর্ধ তরল কিভাবে পুর্বের অবস্থায় আছে?তার উপর আজ বিয়ে উপলক্ষে ত তিন চার দিন ডাল খাই নাই।আর এক সাথে এত ডাল কিভাবে বের হয়।তার মানে এটা মহান সালাদের কাজ।পেট খারাপ এর সুযোগ নিয়ে ডাল দিয়ে ইজ্জত মারছে।সব শেষে হলুদ রঙের লুঙ্গী পরিয়ে নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হল।বাসর ঘরের সামনে দুই ঘন্টা ধরে দারাই আছি।ভিতরে ডুকার সাহস পাচ্ছি না।বিয়ে করতে গিয়ে ইজ্জত ত আর সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারি নাই।ভয়ে ভয়ে ঘরে ডুকে দেখি বউ খাটে নাই।কপালে হাত দিয়ে ভাবছি হায়রে কপাল!!
ইজ্জত নিলাম করে এত কষ্টেসৃষ্টে বিয়ে করলাম তাও বউ ফুরুত।হঠাত টয়লেট থেকে বউ বিরিয়ে এসে বলল,কি গো মোশাই!!এত ক্ষন কোন টয়লেটে বসে ছিলেন।নতুন বউ এরমুখে এমন কথা শুনে শ্যামলা মুখ হলুদ করে ইজ্জত বাচানোর জন্য মুশকি হাসি দিলাম।বউ আমার এমন হাসি দেখে লজ্জা পেয়ে কথা বলার উৎস হারিয়ে ঘোরের এদিক ওদিক চোখ বুলাতে লাগল।হঠাত দেয়ালে একটা বাচ্চা ছেলের ছবি দেখিয়া বলিয়া উঠল,ছেলেটা ত কিউট, কে গো এটা।আমি এবার পুর্বের সেই ঘটানা মনে করে চোখ লাল করে বলিয়া উঠলাম,বাচ্চা ছেলেটা আমি।আমার কথা শুনে লিজা খিলখিলিয়ে হেসে উঠল।শুর হয়ে গেলে লিজা আর আমার নতুন ভালবাসার কেমিস্ট্রি।অবশেষে ফয়সাল লিজার ভালবসার অনু পরমাণু আদান প্রদান করে ছয় মাস না যেতেই সমযোজী ও আয়োনিক(ছেলেমেয়ে)বন্ধন আভাস দেখা দিল।বাচ্চা হওয়ার আগ মুহুর্তে লিজাকে ওর বাবার বাড়ি দিয়ে আসলাম।এদিকে আমার মায়ের একমাত্র পুত্র বধুর চিন্তায় আমাকে এক কথায় জোর করেই শুশুড় বাড়িতে পাঠিয়ে দিল।এই সময় নাকি বউ(মানে লিজার) পাশে আমাকে খুব দরকার।তাই শুশুড় বাড়ি থেকেই অফিস করছি।একদিন বাড়ি ফিরে শুনে শাশুড়ি আম্মা আর লিজা ডাক্তার এর কাছে গেছে।শালিকা বাড়িতে একা।তাই শালিকার দাবি ফুসকা খেতে নিয়ে যেতে হবে।
একমাত্র শালিকা লিমাকে ফুসকা খাইয়ে বাড়ি ফিরে দেখি ডাক্তার দেখিয়ে বউ বাড়ি চলে আসছে।বাড়িতে আসার একটু পর শালিকা বমি বমি ভাব করতে শুর করল।এই দেখিয়ে শাশুড়ি আম্মা লিমাকে জিজ্ঞাস করল,বল এই কাজ কে করছে??শালিকা আমার দিকে আঙুল দেখাতেই শাশুড়ি আম্মা আমাকে এসে টাস করে চর মেরে বসল।আর বলল তোকে বিশ্বাস করে জামাই বানাইছি আমার এত বড় সর্বনাশ করতে?গালে হাত দিয়ে ভাবছি,যা বাবা আমি আবার কি করলাম??তখন শালিকা চিৎকার করে বলে উঠল,আম্মু তুমি দুলাভাইকে মারলে কেন?দুলাভাই কি করছে?শাশুড়ি আম্মা গর্জিত কন্ঠে বলিয়া উঠিল, কি করে নাই মানে!!তোর এত বড় সর্বনাশ করল।তখন শালিকা বলল,কিসের সর্বনাশ, দুলাভাই আমাকে ফুসকা খেতে নিয়ে গেছিল।তাই খেয়ে আমার কেমন বমি বমি লাগছে।শাশুড়ি আম্মা লজ্জা পাইয়ে ঘরে চলে গেল।এদিকে শালিকা আর বউ এর হাসি ত থামে না।হায়রে কপাল শশুড় বাড়ি এসে ইজ্জত নিয়ে আর বাড়ি ফিরা হল না আমার!!!সবই ভাগ্যে
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com