হাসির গল্পঃ হাওয়ার তরে,লুঙ্গী উড়ে
পাগলা হাওয়ার তরে, লুঙ্গী উঠে যায় মাথার উপরে।
ওরে ওরে রতন,লুঙ্গীর নিচে ধর, মাইয়া গুলো দেখলে,পাইতে পারে ডর।
হে রতন,হে বল্টু,হে রতন, হে রতন,হে পল্টু, হে রতন
অনেক কষ্টে পাগলা হাওয়া থেকে,ফুড়ুৎ ফারুত ছিদ্র বিশিষ্ট লুঙ্গীটাকে সামাল দিয়ে,৩৩৩ ছিরা বিশিষ্ট সেন্টু গেঞ্জি ও দাদার রেখে যাওয়া চশমা ও পিতলের ফুটা বটিটা নিয়ে কলেজ গেটের সামনে বসে পরতেই একের পর এক কয়েনের ঝনঝনি শব্দ আমার কানের ভিতর দিয়ে হান্দাইয়া,নাকের ভিতর বিয়ারের গন্ধ দিতে শুর করল।
আবারো সেই টুংটাং দুইটা শব্দ শুনে খুশিতে লুটুপুটু চোখে বাটির দিকে তাকাতেই দেখি হালায় একগা না,দুই দুইগা ইটের টুকরা।
রাগে পাছা দিয়ে থুক্কু মাথা দিয়ে ধুয়া বের করতে করতে জিজ্ঞাস করলাম,কোন সালারে শয়তানের পেটেতে সরি গরিবের পেটেতে লাথি মারলি?
চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি,কোমর পর্যন্ত কালো চুলের অধিকারি এক রমণী।আমার মুখে সালা কথাটা শুনে পিছে ফিরে এসে ৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ডায়নাসোরের মত চোখ দিয়ে আমার দিকে আগুন ছুড়তে শুর করল।
আমি ভয়ে ভয়ে বসা থেকে উঠে দাড়াতেই,,
মেয়েটা,, ঠাশ,ঠাশ,, করে দুইটা পাদ দিল।
আর সাথে সাথে আমার হাত নাকে না গিয়ে,ভুল করে গালে চলে গেল(তারমানে মেয়েটা পাদ না থাপ্পড় দিছে)।
হঠাত দুই গালে ঠাডা পরায় আমি ঘাবড়ে গিয়ে তুতলাতে তুতলাতে জিজ্ঞাস করলাম,এটা কি হল,,?
মেয়েঃঅনেকক্ষন ধরে দূর থেকে দাঁড়িয়ে তোর কান্ড দেখছিলাম।সামান্য বিয়ার পার্টিতে জিতার জন্য তুই অসহায় মানুষদের রিজিকে নিয়ে খেলছিস??তোর সাহস ত কম না!!তোর এই দুষ্টামির জন্য কালকে কিছু মানুষ তার বিশ্বাস হারাবে আর বঞ্চিত হবে কিছু অসহায় মানুষ তাদের রিজিক থেকে। কথাগুলো এক নাগারে বলেই মেয়েটা বাংলা ছবির নায়িকা ময়ূরির মত পাছা দুলাতে দুলাতে চলে গেল।
® আমি পরীর মত একটা মেয়ের হাতে একটু উওম মাধ্যম খেয়ে বীরপুরুষের মত দারিয়ে রইলাম।তবে মেয়েটার সুন্দর্য্য আমাকে এতটাই মুগ্ধ করছে যে,পল্টূ আর বল্টু কে ৫০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে মেয়েটা কোন গোডাউনের চাল খেয়ে এত শক্তি বানিয়েছে জেনে আসতে বললাম(মানে বাপ দাদার ঠিকানা আরকি)।
পল্টু বল্টু কে কাজে লাগিয়ে দিয়ে সোজা গোয়ালঘরে দূর ছাই মানে বাসারঘরে থুক্কু বাসায় চলে আসলাম(তবে আমার আম্মাজান যেভাবে আমাকে গরু ছাগল বলে ডাকে তাতে,এটা বসা না বলে গোয়ালঘর বলাটা উওম)।
বাসার সামনে আসতেই গাভীর সাথে সরি নীলার সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথায় রক্ত হাতে এনে নীলার সামনে থাকা ওইটা দুই হাত দিয়ে ইচ্ছামত টিপাটিপি শুর করতে নানান ধরনের আওয়াজ হচ্ছিল।(ভাই কলিংবেল,উল্টাপাল্টা ভাবেন কেন?)
সাথে সাথে দেখি পেত্নীটা(ছোট বোন)দরজা খুলে খারাপআর্তা ডাইনিদের মত হাসে বলে উঠল,কিরে ভাইয়া তোর দুই গালে দশ আঙুল এর প্লাস্টিক সার্জারি করল কে?
আমিঃযেই করুক,তাতে তোর কি পেত্নী?(রাগে)
বোনঃআমার কিছু না!!তবে একজনের আছে বলেই,,,মাহে,মাহে,বলে ছাগলের মত বেবাইতে শুনে,মুখ চেপে ধরে বললাম থাম থাম বোন।বল কি দিলে তোর এই ময়দা মাখা পেত্নী মুখটা বন্ধ রাখবি??
বোনঃকি আমি ময়দা মাখি??ঠিক আছে,তাহলে এই ময়দা মাখার জন্য ৫০০ ছার!!আর না হলে মা,,,,
আমিঃআরে আমি কি না করছি,দিব না।এখন আমার কাছে নাই।সকালে দিয়ে দিব।
বোনঃএখন নাই,কিন্ত সকালে কোথা থেকে আসবে শুনি?
আমিঃআরে বাবা!!বাবার পকেট মারা পর্যন্ত ত সময় দে,,
বোনঃকি?তারমানে প্রতিদিন তুমি টাকা চুরি কর,আর মা আমাকে চুন্নি সাবোস্থ করিয়া বিনা দোষে শাস্তি দেয়,শয়তান পোলা,তোমার ১০০টাকা ফাইন।তুমি ৬০০ দিবা।
আমিঃময়দায়ালি এভাবে ভাইয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিছ না।পরে আমার অভিশাপে,তোর নাকের জলে থুক্কু চোখের জলে সব ময়দা ধুয়ে গেলে,তোর বয়ফেন্ড,তোকে দেখে ভয়ে আত্তহত্যা করবে।
আমার কথা শুনে রাগ দেখিয়ে পেত্নীটা রুম থেকে চলে গেল।
এই ফাকে আপনাদের আমার বায়ু পথটা থুক্কু বায়ো ডাটাটা দেখিয়ে দেই,,,
আমি ফয়সাল,মা,বাবা,ছোট বোন ছাড়াও একটা বড় বোন আছে,দেশে দুইজন জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে শশুড় বাড়িতে হাড়িপাতিল মাজার কাজে নিয়োজিত আছে।আর যে গাভিটার সাথে ধাক্কা খেলাম সে পাশের বাড়ির নীলা।
সকালে চোখ খুলতেই দেখি ফক্কিনিটা হাত পেতে দারিয়ে আছে।
বোনঃআমার টাকা দেও,,,,
আমিঃতোর আব্বাজান পকেটে ৫৯ টাকা রাইখা ঘুমাইছে।তাই মিশন ব্যর্থ হইছে।কালকে নিস যা,,
বোনঃএই একদম মিথ্যা কথা বলবা না!!আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারছি,তুমি ৬৫৯ টাকা চুরি করস,তাই তাড়াতাড়ি টাকা দেও,না হলে কিন্ত বাসা থেকে বের হতে পারবা না!!
আমিঃকেন??তুই কি পা ধরে বসে থাকবি নাকি?যা পারিস করে নে,সামনে থেকে ফোট বলছি”””
বোনঃঠিক আছে,পরে বুজবা!!বলেই চলে গেল।
এদেকি ময়দা সুন্দরির থেকে টাকা বেচে যাওয়ায় খুশিতে লুঙ্গী ডান্স দিচ্ছিলাম,,,,
হঠাত কার আসার শব্দ পেয়ে তাড়াহুড়া করে থামতে গিয়ে লুঙ্গীটা ধপাস করে মেজেতে পরে গেল।সামনে তাকিয়ে দেখি নীলা দাঁড়িয়ে আছে।
মাইয়া আমার নিচের দিকে দেখি হা করে তাকিয়ে আছে।
আমিও ভয়ে আস্তে আস্তে নিচের দিকে তাকিয়ে হুররে বলে চিৎকার দিয়ে খুশিতে লুঙ্গী ডান্স(থুক্কু লুঙ্গী ত নাই) জাইংগা ডান্স দিতে শুর করলাম।কারন আমার লাল জাইংগাটা এই যাত্রায় শয়তানের ইজ্জত বাচিয়ে দিছে।
পরে ১০নাম্বার মহাবিপদ সংকেতের কাজে ব্যবহৃত জাইংগাটাকে একটু আদর করে বেহায়া লুঙ্গীটা পরে সোফায় বসে বসে গান শুনছিলাম।
হঠাত দেখি পেত্নীটা বাটিতে করে আমার পছন্দের বিরানি দিয়ে রুম থেকে চলে যেতেই,কিছু না ভেবেই পছন্দের বিরানি চেটেপুটে ছেটে দুই হাত দিয়ে টিপাটিপি শুর করে দিলাম(এবার কিন্ত ফোন)।
হঠাত দেখি আমার পেটের ভিতর ডাকাডাকি শুর হইছে।
তাই কোন কথা না ভেবে দিলাম দরজার দিকে এক দৌড়।গিয়ে দেখি দরজা বাইরে থেকে সিটকানি লাগানো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,সারা পেলে ২য়(শেষ পর্ব আগামীকাল পাবেন)।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com