Breaking News

গল্পঃ বাবা যখন বন্ধু । পর্ব-তয়

বারান্দায় বা ছাদে যখনই
যেতাম তখনই ফারহার সাথে দেখা হতো।তবে খুব
কম কথা বলতাম।তো সেদিন এলাকার একটা চায়ের
দোকানে চা খাচ্ছিলাম।এমন সময় একটা যুবক হাত
দিয়ে লুঙ্গী উঠাতে উঠাতে আসছিলো আস্তে
আস্তে।তো পাশের একটা ছেলে বলল কি গো
রবিন ভাই! তোমার এই অবস্থা কেন? মুসলমানি
করাইছো নাকি?
রবিন নামের ছেলেটা বলল যাক তোরে আর
তাহলে বলা লাগেনাই,বুঝেইতো গেছিস।
ছেলেটা অবাক হয়ে বলল এতবড় হইছিলা তবুও
মুসলমানি হয়নাই তোমার?
ছেলেটা না আমি নিজেও অবাক হয়ে গেছিলাম।
প্রায় আমার সমবয়সী।
রবিন বলল নাহ,ভয় লাগতো আগে।
তো ছেলেটা বলল এখন কি বুঝে করাইলা?এখন
ভয় লাগেনা? বিয়ের পর ছেলে হলে বাপ ছেলে
একসাথেই করাইতা।
রবিন বলল হারামজাদা মুখের কত টানিস কেমনেরে
তুই? বিয়ে করানোর জন্যেইতো করলাম ভয়কে
দূরে ঠেলে।
.
কথাশুনে আমি চা রেখে হাসতে লাগলাম।
দোকানের সবাইরো একই অবস্থা।হাসি যেনো
থামেনা।ফিরে আসার সময় ভাবলাম ইনার গল্পটা কাছে
আসার গল্প না শুধু কাছে আসার সাহসী গল্প বটে।
রাতে বারান্দায় বসে আকাশের চাঁদ দেখছিলাম।এমন
সময়ই ফারহা ওর বাসার বারান্দায় আসলো।ফোন নাম্বার
চাইলো।আমি প্রথমত দিতে চাইনি।পরে আস্তে
আস্তে মুখ দিয়ে বললাম।সে বললো সে কানে
কিছুই শুনেনা।আমি জোরে বললাম তখন বলল এখনো শুনেনা।
অতঃপর অফসেট পেপারে নাম্বারটা লিখে তাফ দিকে
মেলে ধরলাম।কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোনে
মেসেজ আসলো অপরিচিত নাম্বার থেকে।
মেসেজে লিখা ছিলো ‘হোয়াট এ কুল বয়!’।
মেসেজের মানে বুঝলামনা।ধীরে ধীরে
ভালোর দিকেই যাচ্ছিলো আমাদের দুজনের
সম্পর্ক।একে অপরকে জানতে লাগলাম। বুঝতে
লাগলাম।বাবাকে প্রতিদিনই সব বলতাম আমাদের
ভিতরে যেসব কথা হয়।একসময় ফারহাকে ভীষণ
ভালো লাগতে লাগলো।দেখলেই মনের ভিতর
খুশির জোয়ার বইতো।
তো সেদিন বাসায় আসার পর বাবাকে বাসায় দেখলাম
নাহ।ফোন দিলাম ফোনের সুইচ অফ।কিছুক্ষণ
অতিবাহিত হবার পর বাবা আসলো কোথেকে জানি।
.
বাবাকে বিষণ্ণ মনে চেয়ারে বসে থাকতে
দেখলাম।জিজ্ঞেস করলাম কোথায় গিয়েছিলে?
বাবা ফ্যানের দিলে তাকিয়ে বলল, কিভাবে যে কি
করবো!বুঝতেই পারছিনা।
আমি বললাম কি হইছে বলবাতো?
বাবা আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল
কিছুক্ষণ।এরপর বলল তোর বিয়ে ঠিক করে আসছি
মাত্র।
আমি আকাশ থেকে পড়লাম যেনো কথাটা শুনেই।
আমি বললাম,মানে? কার সাথে?
বাবা বলল মেয়েটা অনেক ভালো রে।আমার
অনেক খেয়াল রাখবে।কাল থেকেই শপিংয়ের
কাজ করা লাগবে।তাছাড়া উপায় নেই।হাতে সময় কম।
আমি বললাম তোমার কি হইছে বলবাতো? কার সাথে আমার বিয়ে?
বাবা চেয়ার থেকে উঠে রান্নাঘরে
গেলো,আমিও পিছু পিছু গেলাম।বাবা রুটি বানানোর
বেলুন বের করে আমাকে মারতে লাগলো আর
বলতে লাগলো প্রেম করবি সামনের বাসার
মেয়ের সাথে আর বিয়ে দিবো অন্য মেয়ের সাথে?
আমি বুঝলামনা বাবা কি বলতে চাইছে।পরে বুঝলাম
যে বাবার কথা ছিলো সামনের বাসার মেয়েকে
আমার ভালোলাগে তো বিয়ে অন্য কারো সাথে
কিভাবে ঠিক করবে।
ফারহার কথা শুনে নিজেকে শান্ত করলাম আর রুমে
যেয়ে ফারহাকে ফোন দিলাম।
ফারহা এমনভাবে কথা বললো যেনো কিছুই জানেনা।
দেখতে দেখতে বিয়ের সময় চলে আসলো।
বিয়েও হলো।বিয়ের কিছুদিন পরেই জানতে পারলাম
ফারহার জন্মদিনের কথা।
হাতে আছে মাত্র একদিন।আগামীকাল ফারহার
জন্মদিন।কিভাবে কি করবো বুঝতে পারছিনা।
.মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো শয়তানি।

আজকের পর্ব শেষ,,,,,,,,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com