গল্পঃ করুন এক বাস্তব প্রেম কাহিনী
দুই বছর ধরে চলছে খুব গভির এক প্রেম।দুইজন দুইজন কে খুব
ভালবাসে কেউ কাওকে ছাড়া থাকতে পারেনা।
একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ভাবলাম আজ ইভা কে
আমাদের বাড়িতে দাওয়াত করব তাই বাসা তে আম্মা
কে বলে দিলাম যে আম্মা ইভা আজ আমাদের বাড়িতে
দুপুরে খাবে। এই বলে মার্কেটে বেরিয়ে গেলাম ইভাকে
একটা কিছু গিফট দিব বলে গিফট কিনতে।
মার্কেটে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলাম কি কিনব ইভার
জন্য, কিছু মাথায় আসছে না। মার্কেট থেকে ফিরে আসব
এই সময় চোখে পড়ল একটি পুতুল।
জামাই বউ এর একটি পুতুল দেখে খুব ভাল লাগল তাই
দোকান থেকে জামাই বউ পুতুল টা কিনে বাড়ি ফিরছি
আর পুতুল টা বার বার দেখছি, আর ভাবছি এটা আমি আর
পাসের টা ইভা। বাড়ি ফিরে ইভাকে কল দিয়ে জানিয়ে
দিলাম ইভা আজ আমাদের বাসায় তোমার দাওয়াত রইল।
সাথে সাথে ইভা আমার দাওয়াত গ্রহন করল এবং বলল
আমি ঠিক ১ টার দিকে চলে আসব। ইভা আসার কথা সুনে
খুব খুসি হলাম,আম্মাকে মাংস রান্না করতে বললাম
সাথে ইভার পছন্দ সুটকি মাছ ও আম্মা রান্না করল।
বেলা ১২ টা বাজে রুমের ভিতর দাঁড়িয়ে বার বার উকি
দিচ্ছি বাইরের দিকে কখন ইভা এসে ঘরে ঢুকে আমাকে
hi বলবে। ইভার অপেক্ষা করছি আর পুতুল টা নিয়ে দরজার
পাশে দাঁড়িয়ে আছি হঠাত সেই পুতুল টা আমার হাত
থেকে নিচে পরে ভেংগে গেল। সাথে সাথে আমার মনে
কেন জানি কান্না চলে আসল।
পুতুল টা উঠিয়ে দেখি বউ এর মাথা টি ভেংগে গেছে আর
জামাই এর মাথা টা ঠিক আছে। মন্টা ভিষন খারাপ হয়ে
গেল ভাবলাম এই রকম হল কেন তাহলে কি ইভা কে আমি
পাব না। তবে কি ইভা আমায় ছেরে চলে যাবে, আর কেনই
বা পুতুল টি হাত থেকে পরে নস্ট হল। কিছুই বুঝতে
পারছিনা কি করব এখন। আবার কি মার্কেটে যাব নতুন
আরেকটি পুতুল কেনার জন্য আবার মার্কেটে গেলেতো
ইভা চলে আসবে তাই মার্কেটে না গিয়ে সুপারগ্লু দিয়ে
বউ এর ভাংগা মাথা টি সেই যায়গাতে বসালাম কিন্তু
ভাংগা যায়গা টা দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে পুতুল টি
ভাংগা তাই পুতুল টি সোকেসের এক যায়গায় রেখে
দিলাম এই ভাংগা পুতুল ইভা কে আর দিব না তাই।
রুমের ভিতরেই দারিয়ে আছি ইভার পথ চেয়ে ঠিক ১ টা
বাজে, সামনে দেখি ইভা আসছে আমি মন্টা খারাপ করে
দাঁড়িয়ে আছি। ইভা আসল এসে রুমের ভিতর বিছানায়
বসে আমাকে বলল কি ব্যাপার তোমার মন খারাপ কেন,
আমি কি বলে উত্তর দিব কিছুই বুঝতে পারছিনা তাই চুপ
করে রইলাম।
ইভা আবার জিজ্ঞাসা করল কি হল কথা বল না যে, কি
হয়েছে। আমি মাথা টি উচু করে বললাম আর বলনা তোমার
জন্য একটা গিফট এনেছিলাম একটা জামাই বউ এর পুতুল
কিন্তু কিচ্ছুক্ষণ আগে পুতুল টি আমার হাত থেকে পরে বউ
এর মাথা টি ভেংগে গেছে তাই মন্টা খুব খারাপ হয়ে আছে।
ইভা হেসে বলল তাই নাকি, ভেংগেছে তো কি হয়েছে
ওটা নিয়ে মন খারাপের কিছুই নেই, এখানে এসে আমার
পাসে বসো। আমি ইভার পাশে গিয়ে বসে কথা বলছি এমন
সময় আম্মা খাবার নিয়ে রুমে এলো,
আম্মা রুমে এসে ইভা কে নিয়ে আমাকে খেতে বলল তাই
ইভা কে নিয়ে এক সাথে খাওয়া দাওয়া করে গল্প করছি।
অনেক কথায় হল এবার ইভার যাওয়ার পালা, ইভা বলল
থাকো আমি বাসায় গেলাম। আমি ইভা কে জরিয়ে ধরে
বললাম আরেক দিন এস কিন্তু আর আমাকে একা রেখে
কোথাও হারিয়ে যেও না।তোমাকে ছাড়া আমি বাচব না
ইভা।
ইভা আমার চোখে চোখ রেখে একটি কথা বলল যে,
আমি লিখা পড়া করি তাই হয়ত সহরে থাকতে হবে কিন্তু
এটা মনে রাইখো”” আমার যায়গার পরিবর্তন হতে পারে
কিন্তু আমার মনের পরিবর্তন কোন দিন হবে না। এই বলে
ইভা বাসায় চলে গেল।
ইভা কে আর সেই পুতুল দেওয়া হলনা পুতুল টি রেখে
দিলাম সোকেসের এক কর্নারে। এই ভাবে ইভার সাথে
আমার এক বছর কেটে গেল। ইভা এখন শহরে থাকে তার
সাথে প্রতিনিয়ত আমার কথা হয় কিন্তু দেখা খুব কম হত।
যখন ইভার কথা মনে পড়ত তখন সেই ভাংগা পুতুল টা হাতে
নিয়ে দেখতাম আর ভাবতাম ডানের ছেলে টা আমি আর
বামের মেয়ে টি আমার প্রানের ইভা। একটা সমস্যা ছিল
আমাদের প্রেমের ভিতরে।ইভার দুলাভাই আমাদের প্রেম
মেনে নেইনি, একদিন আমার সাথে ইভা কথা বলছিল এমন
সময় তার দুলাভাই দেখে ফেলে তখন ইভা আমাকে বলে
আজ আমার কিছু একটা হবে।এই বলে ইভা বাসায় চলে
গেল। বাড়ি গিয়ে পোছতে পারেনি তাতে তার দুলাভাই
ইভাকে এক থাপ্পড় মারল সাথে সাথে ইভা কেদে
ফেললো।সেদিন থেকে আমাদের আর দেখা হত না শুধু
মোবাইল এ কথা হত কিন্তু একদিন ইভার দুলাভাই ইভার
মোবাইল টাও কেরে নিল ইভা কে আর মোবাইল ব্যবহার
করতে দিবে না।ইভার সাথে ১০ দিন হয়ে গেল কথা হয় না
আমি চিন্তায় আছি অপর দিকে ইভা চিন্তা করে ভাল মত
খাওয়া দাওয়া করছে না। একদিন ইভার দুলাভাই রাতে
ইভাকে বলে ইভা তুই যদি তার সাথে প্রেম করিস তবে
আমি তোর বনকে ডিভোর্স দিব। কথা টি সুনে ইভা কি
বলবে তার দুলাভাই কে কিছুই বুঝতে পারল না। কি করবে
এখন একদিকে তার বনের সংসার অন্য দিকে প্রেমিক।
কাকে ছারবে সে। কোন পথ খুজে না পেয়ে আমার সাথে
যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। আর টেনশন করতে লাগল আর
এত বেশি টেনশন করল যে টেনশানের কারনে ইভা অসুস্থ
হয়ে পড়ল। ইভা শহরে তার দুলাভাই এর বাড়ি থেকে লিখা
পড়া করত।
হঠাত ইভা অসুস্থ হয়ে পড়ল তাকে তার পরিবারের
লোকজন মেডিকাল এ ভর্তি করল কিন্তু আমি তা
জানিনা। ডক্টর ইভার বাবা কে বলল টেনশনের কারনে
ইভার রক্ত সুন্নতা দেখা দিয়েছে খুব একটা ভাল নেই কখন
কি ঘটে যেতে পারে বলা মুস্কিল। প্রাই ১৭ দিন হল ইভার
কোন খোজ খবর পাচ্ছিনা খুব চিন্তা হল কি ভাবে ইভার
খোজ নিব। ইভার কিছু হল নাতো তাই ইভার খোজ নেওয়ার
জন্য তার ফুফাতো ভাই কে নক করলাম যে ইভার কোন
খোজ পাচ্ছি না ইভার কিছু হয়েছে কি।
তার ফুফাতো ভাই আমাকে বলল আপনি জানেন না ইভা
আজ ৬ দিন যাবত মেডিকাল এ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা
লরছে। কথাটি সুনে বুকের ভিতর টা কেপে উঠল কি
সুনলাম এটা আমি।
বিশ্বাস করতে পারছিনা ইভার এই কথা সুনে, তাই
তাতখনিক বেড়িয়ে পরলাম মেডিকেল এর উদ্দ্যেসে,
কিন্তু গিয়েও লাভ হল না। কারন ইভার বোন জামাই
আমাদের সম্পর্ক মেনে নেইনি তাই ইভার সাথে আমাকে
দেখা করতে দিল না। মেডিকেল এর বারান্দায় সারাদিন
না খেয়ে বসে রইলাম যদি তার বোন জামাই একটিবার
বাইরে যায় তবে আমি আমার জানের মুখ খানা একটিবার
দেখব, কিন্তু কোন ভাবেই দেখ তে পেলাম না তার
মায়াবি মুখ খানা। না খেয়ে ক্লান্ত সরিল নিয়ে ফিরে
আসলাম বাড়িতে। বাড়ি এসে আম্মা কে বললাম আম্মা
ইভা খুব অসুস্থ তার অবস্থা খুব একটা ভাল না অক্সিজেন
লাগানো আছে। সন্ধায় বাড়ি এসে না খেয়েই সুয়ে
পড়লাম বিছানাই কিন্তু ঘুম আসছে না শুধুই ইভার সেই মুখ
খানা চোখের সামনে ভাসছে আর চোখ দিয়ে অশ্রু
গরিয়ে পরছে। রাত আনুমানিক ২ টা রুম থেকে বেরিয়ে
অজু করে দুই রাকাত নামাজ পরে আল্লাহর কাছে ভিক্ষা
চাইলাম হে আল্লাহ আমার ইভা কে তুমি সুস্থ করে দাও,
আমি ইভাকে ছাড়া বাচব না খোদা, আমার ইভা কে তুমি
সুস্থ করে দাও। জায়নামাজ টা গুটিয়ে আবার বিছানায়
সুইলাম, কোন ভাবেই ঘুম আসছে না তবুও হালকা ঘুমানোর
চেস্টা করছি আর ভাবছি আগামীকাল ইভা কে আমি যে
ভাবেই হোক দেখব, তাতে যদি ইভার বোনজামাই
আমাকে মারে কিংবা অপমান ও করে তবুও আমি তাকে
একটিবার দেখব ভাবতে ভাবতে চোখ টা হালকা বুজেছি
রাত তখন তিন টা ২৩ বাজে হটাত মোবাই টা বেজে উঠল
মোবাইল এর সব্দে বুকটা কেপে উঠল।
মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি ইভার ফুফাতো ভাই এর
নাম্বার থেকে কল এসেছে আর ইভার ফুফাতো ভাই সেই
মেডিকাল এই আছে, ভাবলাম ইভা হয়ত আমার সাথে কথা
বলবে তাই তার ফুফাতো ভাই এর নাম্বার থেকে কল দিয়েছে।
মোবাইল টি হাতে নিয়ে কল টা রিসিব করেই বললাম হেল ইভা,
কিন্তু ইভা না ছেলে কন্ঠে বলে উঠল আমি ইভা না আমি রবিন বলছি।
আমি বললাম কি হয়েছে রবিন এত রাতে কল দিলে আর
আমার ইভা কেমন আছে। সাথে সাথে রবিন কিছু না বলে
কল টা কেটে দিল।আমি আবার কল টা ব্যাক করলাম
কিন্তু রবিন কল টা রিসিব করেই কথা না বলে ধরে আছে।
আমি হ্যালো হ্যালো করছি কিন্তু রবিন কিছুই বলছে না,
হঠাত কান্নার আওয়াজ আমার কানে আসল আমি কিছুই
বুঝতে পারলাম না ভাবলাম হাসপাতালে অনেকেই আছে
কেউ হয়ত কাঁদছে কিন্তু রবিন কথা বলছে না কেন।
তাই কল টা কেটে দিয়ে সোজা ইভার নাম্বারে কল
দিলাম ইভার আম্মু কল টা রিসিব করে কাদো কাদো
ভাবে বলল আমার ইভা মারা গেছে তুমি কে বলছ।
আমি জেন পাথর হয়ে গেলাম। ইভার আম্মু কে পরিচয় না
দিয়ে লাইন টা কেটে এক জরে বলে উঠলাম হে আল্লাহ
একি হল, আমার ইভা আমাকে ছেরে চলে গেল। আমি যে
আর পারছিনা আল্লাহ
আমি কাকে নিয়ে বাঁচব আল্লাহ, আমি যে আর
পারছিনা।ততখনে আমার কান্নার সব্দ পেয়ে আব্বা
আম্মা জেগে উঠে আমার রুমে এসে আমাকে বলল কি
হয়েছে কাদছিত কেন এত রাতে।আমি আম্না কে জরিয়ে
ধরে বললাম আম্মা ইভা মারা গেছে। আম্মাও জেন
আনমনা হয়ে গেল আমাকে কি সান্তনা দিবে আম্মা
নিজেই কেদে ফেলকো ।এর পর আমি সেন্সলেন্স হয়ে
গেলাম রাতে কি হল আমি আর কিছুই জানিনা। সকাল ৬
টা বাজে সেন্স ফিরে আসল দেখলাম আব্বা আম্মা
আমার পাসে বসেই আছে। আর আমার চোখের দিকে
অপলক ভাবে দুইজনেই তাকিয়ে আছে। আমি কি বলব
তারা কি বলবে কিছুই বুজছিনা,এমন সময় আমার চাচাত
ভাই আমার রুমে এসে আম্মা কে বলল, চাচি এই মাত্র
ইভার লাশ এসেছে ইভাকে এম্বুলেন্স এ করে নিয়ে গেল।
আমাদের বাড়ি থেকে ইভার বাড়ি দুই কিলোমিটার দূরে
শহরের রাস্তা টা আমাদের বাড়ির পাস দিয়েই। আম্মা
আমাকে কিছু খেতে দিল আর বলল যে অল্প করে কিছু
খেয়ে ইভাকে মাটি দিয়ে আই এই বলে আম্মা আব্বা রুম
থেকে বের হয়ে গেল। আমি কোন কথায় বলতে পারছিনা
শুধু বুক্টা ফেটে যাচ্ছে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা হচ্ছে
কিন্তু কাদতে পারছিনা।
সকাল ৮ টা বাজে গসল করে না খেয়ে চলে গেলাম
ইভাদের বাড়ি। ইভাকে একটি সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে
রেখেছে তাদের বারান্দায়। আমি সেখানে গিয়ে
হাজির হলাম।আমার বন্ধু ইভার বন্ধু বান্ধবি এক এক করে
সবাই আমার পাসে এসে দারালো। কেউ কোন কথা বলছে
না সবার চোখে বেদনার অশ্রু গরিয়ে পড়ছে। ইভার এক
প্রিয় বান্ধবি সন্ধ্যা আমার কাছে এসে বলল, ভাই আসুন
ইভার মুখ খানা একবার দেখে নেন ইভাকে গসল দেওয়ার
জন্য ভিতরে নিয়ে চলে যাবে। কয় একজন বন্ধু মিলে
আমাকে নিয়ে গেল ইভার পাসে। পাসে গিয়ে দেখি
সাদা কাপরে তার মায়াবি মুখ খানা ঢেকে রেখেছে।
আমাকে দেখার জন্য একজন মুখ থেকে চাদর টা সরিয়ে
নিলো। আমি প্রান ভরে সেস দেখা দেখলাম আমার প্রান
প্রিয়তামার মুখ খানা। কি সুন্দর ভাবে ঘুমিয়ে আছে
আমার প্রান পাখি। বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলাম
না তার মুখের দিকে মুখ টা জেন কালো নিল বর্ন হয়ে
গেছে।
চোখ দিয়ে বেদনার অশ্রু ঝরতেই আছে মুখে কোন কথা
বের হচ্ছে না আমি জেন এক জিবন্ত লাশ হয়ে আরেক
লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। ততক্ষনে ইভার খাট চার
জনে ধরে বাড়ির ভিতর নিয়ে গেল ইভা কে গসল দিবে
তাই। আমাকে আমার বন্ধু রা নিয়ে গেল ইভার কবর খুরছে
সেই যায়গাতে। সেখানে দাঁড়িয়ে আছি আর দেখছি সেই
কবর খনন করা। কবর খনন সেস এবার জানাজার সময়,
ইভাকে বাড়ির ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসল কবর
এর পাসে জানাজার স্থানে। অনেক মানুষ ইভার
জানাজায় উপস্থিত হল এক পর্যায় জানাজা শেসে ইভার
খাটলি আমি সহ ৪ জনে কবরের পাশে এনে কবরে ইভাকে
রেখে একে একে সব মাটি দেওয়া আরম্ভ করল, ততখনে
আমার বুকটা ফেটে চোচির হয়ে যাচ্ছে।মন চাই আমিও
এক কবরে চলে যায় আমার প্রান পাখির সাথে। আমিও
মাটি দিলাম।মুনাজাত শুরু হল আমি জেন আর দাঁড়িয়ে
থাকতে পারছিনা কেন জানি নিজেকে খুব দুর্বল লাগছে
হাত পা কাঁপছে । মোনাজাত শেসে আমি চলে এলাম
বাড়িতে। বাড়িতে এসে কি করব কাকে কি বলব কিছুল
ভাল লাগছে না। তাই সেই ভাংগা পুতুল টি নিয়ে বাড়ি
থেকে বেড়িয়ে চলে গেলাম এক নির্জন যায়গাতে নদীর
ধারে সেখানে গিয়ে খুব জরে জরে একা একা অনেক
কাদলাম আর মোনাজাত করলাম, হে আল্লাহ তুমি আমার
ইভা কে জান্নতবাসী করিও,ইভা কে না পাওয়ার ব্যথায়
আজ আমি জরজরিত। এই বুঝি আমার ভাজ্ঞে ছিল।
হটাত ইভার একটি কথা মনে পড়ে গেল,,
ইভা যে বলেছি আমার যায়গার পরিবর্তন হতে পারে
কিন্তু আমার মনের পরিবর্তন কোনদিন হবেনা।
ইভার কথায় সত্যি হল তার মনের পরিবর্তন হল না কিন্তু
তার যায়গার পরিবর্তন হল। হে আল্লাহ তুমি আমার ইভা
কে জান্নতবাসী করিও। এর পর সেখান থেকে চলে
আসলাম বাসায় এসে সুয়ে সুয়ে ডুকরে ডুকরে কাদলাম।
আম্মা আসল এসে আমাকে অনেক সান্ত না দেওয়ার
চেস্টা করল কিন্তু আমি জেন আর নিজেকে দমিয়ে
রাখতে পারছিনা। কি করব কোথায় যাব কিছুই ভাল
লাগছে না। রাত হয়ে গেছে হটাত রবিনের গলার আওয়াজ
সুনলাম।
রবিন আমার রুমে এসে আমার পাসে বসে আমাকে একটি
কথা বলল ভাই ইভা মৃত্যুর দুইদিন আগে আমার হাতে এই
কাগচ খানা দিয়ে বলে গেছে আমি জেন আপনার হাতে
পোছিয়ে দি। তাই আজকেই এলাম কাগচ খানা দিতে।
রবিন আমার হাতে এক টুকরা কাগচ দিয়ে চলে গেল। কাগচ
এর ভাজ খুলে চিঠি খানা পড়তে লাগলাম……
প্রিয় পুস্প……
প্রথমে আমার বুকভরা ভালবাসা নিও।
কেমন আছ তুমি সেটা আমি জানিনা তবে আমি ভাল
নেই। ডক্টর বলেছে আমি টেনশন করার কারনে আমার বড়
ধরনের সমস্যা হয়ে গেছে।
জানিনা বাঁচব কিনা যদি বেচে যায় তবে একদিন না হয়
একদিন আমি তোমার কাছে ফিরে আসব আর যদি মরে
যায় তবে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমার জীবনের প্রথম
প্রেম প্রথম পুরুষ তুমি আমি তোমাকে খুব বেশি
ভালবেসেছিলাম কিন্তু আল্লাহ আমাদের ভালবাসা
কবুল করবে কিনা জানিনা তবে আমি তোমাকে মন প্রান
দিয়েই ভাল বেসেছিলাম। আমার দুলাভাই আমার আপুকে
ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সেইদিন থেকে খাওয়া
দাওয়া করিনা ভাল মত, আর সেই দিন থেকেই আমি অসুস্থ
অনুভব করছি। আজ আমি মেডিকেলের বেডে সুয়ে মৃত্যুর
দিন গুনছি আমার অবস্থা খুব খারাপ।
সেই মাটির পুতুল টা পড়ে ভেংগে গেছিল এটাই বুঝি
আমাদের প্রেম সার্থক হবেনা তার একটি সিগন্যাল ছিল।
এই মুহুর্তে তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছা হচ্ছে কিন্তু আর
বুঝি দেখা হল না।
এই জনমে যদি তোমাকে না পাই তবে পরো জনমে আমি
তোমার জন্য অপেক্ষা করব।
ইতি…..
তোমার কলিজার টুকরা ইভা।।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com