গল্পঃ মামাতো বোন যখন বউ । লেখকঃ Rabiul islam Rabi । পার্ট :১৪
সন্ধার সময় মিম আমাকে ডাক দিলো।
।
মিম: রবি
।
আমি: কি
।
মিম: চলো আব্বুর রুম এ
।
আমি: কেন ওখানে যাবে
।
মিম: তুমি তো বললা আব্বু আম্মুকে ম্যানেজ করতে হবে তাই।
।
আমি: ও চলো
।
তাড়পড় আমরা দুজনে মিলে মামার রুম এ গেলাম। যাওয়ার পর মুম বললো
।
মিম: আব্বু
।
মামা: কি
।
মিম: একটা কথা বলতাম
।
মামা: বল এর জন্য আবার অনুমতি নেয়া লাগবে নাকি
।
মিম: রবি কে একটু কিছুদিন এর জন্য ঢাকা যাওয়া লাগতো
।
মামা: কেন
।
মিম: ওর নাকি কাজ আছে তাই।
।
মামা: ওকে তো আমি কখন বাহির এ একাই ছাড়ি নাই আগে।
।
মিম: তুমি যাইতে দিবে না তাই তো আমি আসছে বলতে। দেখ ও কিন্তু এখন ও ছোট নাই
।
মামা: মেয়ে ছেলেরা সব সময় বাবা মায়ের কাছে ছোট থাকে
।
মিম: জানি তাড়পড়ে ও। আচ্ছা ও কিন্তু আজকেই চলে যাবে
।
মামা: কি কাজে যাইতেছে সেটা তো আগে বলুক
।
মিম: বাদ দাও তো ওটা কথা এখন যাবে এটাই ফাইনাল
।
মামা: ওকে তুই যেহেতু বলতেছিস তাহলে যাক
।
মিম: থ্যাংক বাবা
।
মামা: তবে
।
মিম: কি বাবা
।
মামা: আচ্ছা তুই ও নাহলে ওর সাথে যা
।
মিম: না বাবা আমার যাওয়া লাগবে না
।
মামা: আচ্ছা রবি যাও গিয়ে রেডি হও তোমাকে নামিয়ে দিয়েআসি
।
মিম: না বাবা তোমাকে লাগবে না আমি ওকে স্টেশন এ দিয়ে আসতেছি
।
মামা: ওকে তাহলে তুই দিয়ে আয় । আর আমার একটা কাজ আছে আমি সেখান এ গেলাম
।
মিম: আচ্ছা যাও।
।
তাড়পড় আমরা দুজনে মামা মামির রুম থেকে চলে আসলাম।
।
আমি গেলাম রেডি হতে। মিম ও গেলো। আমাকে নেয়ার জন্য অফিস থেকে
।
গাড়ি পাঠাই দিছে আমি সেই গাড়িতেই অফিস এ যাবো
।
কিন্তু গাড়ি আমি বাসাতে আসতে দেই নি। কারন এখানে আসলে মামা মামি বুঝে ফেলতো তাই।
।
আমি আমার সহকারি কে বলছি সে যেন গাড়ি নিয়ে জেলা স্কুল মাঠে থাকে।
।
আর মিম সেখান পর্যন্ত আমাকে ড্রপ করে দিবে
।
আমি রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলাম কিন্তু মিম এর এখনো রেডি হওয়া হয় নি।
তাই তাকে ডাক দিয়ে বললাম যে
।
আমি: মিম এই মিম
।
মিম: কি
।
আমি: আরে তাড়াতাড়ি নাও দেরি হয়ে যাইতেছে তো
।
মিম: হয়েছে আর ৩ মিনিট দাড়াও
।
আমি: আরে আসো তো তাড়াতাড়ি।
।
বলেই আমি মামির রুম এ চলে গেলাম মামি কে বলে বের হলাম। বের হয়ে দেখি
।
মিম রেডি হয়ে বের হইছে মিম কে দেখ ঠিক নীল পড়ির মত লাগতেছে
।
আসলে ও তো এমনি তেই অনেক সুন্দর তার উপড় আবার সাজছে
।
আমি এক নজরে ওর দিকে দেখতেইছি। আমার নিজের প্রতি যেন আর
।
কোন কন্টল এ নাই। ও যে কখন থেকে এসে আমাকে ডাকতেছে আমি নুজেও জানি না
।
যখন আমি বুঝতে পারলাম কেউ আমার গা ধরে ঝোকাইতেছে তখনি
।
তাকাই তেই মিম বললো আমাকে
।
মিম: কি দেখ এভাবে
।
আমি: তোমাকে
।
মিম: কেন আগে দেখনি
।
আমি: দেখেছি
।
মিম: তাহলে যে এভাবে দেখতেছো
।
আমি: আগে এত সুন্দর লাগে নাই তো তাই
।
মিম: আজ বুঝি অনেক সুন্দর লাগতেছে
।
আমি: হুম
।
মিম: কেন তাহলে আগে বুঝি খারাপ লাগত
।
আমি: আগে ও ভাল লাগতো। তবে আজকের চেয়ে ভাল না
।
মিম: হয়েছে হয়েছে চলো এখন না হলে দেরি হয়ে যাবে
।
আমি: ও হ্যা চলো
।
তাড়পড় আমরা দুজনে বাড়ি থেকে বের হলাম
।
আমাদের বাড়ি থেকে জেলা স্কুল মাঠ ৫০ মিনিট এর রাস্তা
।
রাস্তার মাঝ পথে গাড়ি ড্রাইভ করার সময় আমি মিমকে বললাম।
।
আমি: আচ্ছা বলো তোমার জন্য কি নিয়ে আসবো
।
মিম: হঠাত করে এই প্রশ্ন কেন
।
আমি: না মানে আমার জন্য এতকিছু করলে তাই আর কি
।
মিম: ও না তেমন কিছু লাগবে না।
।
আমি: না তাড়পড়ে ও বলো
।
মিম: যেটা চাইবো সেটাই দিবে তো
।
আমি: হুম দিব বলো কি আনতে হবে
।
মিম: তুমি শুধু তোমাকে নিয়ে আসবে
।
আমি: মানে
।
মিম: যেভাবে যাইতেছ আমি চাই সে ভাবেই ফিরে আসো
।
আমি: শুধু এত টুকুই
।
মিম: আমার কাছে এটাই অনেক বড়
।
আমি: ওকে দিলাম কথা নিয়ে আসবো আমাকে
।
মিম: একটা কথা বলি
।
আমি: বলো
।
মিম: এখন ও কি আমাকে ভুল বুঝ তুমি
।
আমি: নিশ্চুপ
।
মিম: বলো না
।
আমি: স্যরি
।
মিম: কেন
।
আমি: গতকাল তোমাকে ওভাবে কষ্ট দেয়ার জন্য
।
মিম: জান কাল কে অনেক কষ্ট পাইছিলাম আমি তোমার কথা গুলতে
।
আমি: স্যরি আসলে আমি বুঝতে পারি নাই আমি কি হয়েছিল আমার
।
মিম: ক্ষমা করছো আমায়
।
আমি: হুম না করলে কি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে আসতাম
।
আমরা দুজনে গল্প করতে করতে চলে এসেছি আমি গাড়ি থেকে
।
নেমে আসলাম। আমার গাড়ি থেকে নামা দেকে আমার ড্রাইভার
।
(মানে যে আমাকে নিতে আসছে সে)
।
এসে আমার ব্যাগটা এবং আমার সমস্থ জিনিস উনি গাড়িতে তুললো
।
এখন আমার যাওয়ার সময় তাই মিমকে বললাম
।
আমি: যাই তাহলে মিম
।
মিম: যাবে তাহলে
।
আমি: যেতে তো মন চায় না তবুও যে যেতে হয়
।
মিম: ওকে ভাল ভাবে যেও আর গিয়ে ফোন করি ও
।
আমি: ওকে বাই
।
মিম: বাই
।
তাড়পড় আমি ঘুড়ে চলে আসতেছি আমার গাড়ির কাছে এমন সময় মিম ডাক দিলো পিছন থেকে
।
মিম: রবিই রবিই রবই
।
আমি হাটা বাদ দিয়ে থমকে দাড়ালাম। যে মিম এভাবে ডাকতেছে কেন
।
কি হলো আবার ওর এসব ভাবতে ভাবতে যখনি সামন থেকে
।
মিমের দিকে ঘুরে তাকাবো এমনি মিম এসে খুব জোর করে আমাকে জড়িয়ে
।
ধরে কান্না করতেছে কান্না করতে করতে আমার শার্ট টায় ভিজে দিয়েছে।
।
মিমের এই অবস্থা দেখে আমি মিমকে বললাম
।
আমি: এই পাগলি এই কি হয়েছে কাদতেছো কেন
।
মিম: না আমি তোমাকে যেতে দিব না। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না
।
আমি: ওই আমি কি একে বারেই চলে যাইতেছি নাকি আমি তো আবার ও আসবো
।
মিম: তাড়পড়ে ও
।
আমি: ওকে বাবা এখন তো কান্নাটা থামায়। আর মুখটা একটু উপড়ে উঠাও তো
।
মিম: কান্না করতে করতে বললো কেন
।
আমি: দেখবো তুমি কান্না করলে তোমায় কেমন দেখাই তাই
।
মিম: আমার কষ্ট হচ্ছে আর তুমি মজা নিতেছো তাই না
।
আমি: আরে না তোমার কষ্ট হলে তো আমার ও কষ্ট হয়
।
মিম: কষ্ট হলে তো আর এই কথা বলতা না
।
আমি: স্যরি গো। এখন একটু কান্নাটা থামিয়ে তোমার মুখটা উপড়ে তুলা তো
।
মিম: হুম তুললাম বলো কি বলবে।
।
মিম যখনি এই কথাটা বললো তখনি আমি ওর কপালে একটা ছোট
।
করে ভালবাসার স্পর্শ একে দেলাম। আর ও আমার এই স্পর্শ পেয়ে।
।
মিম ওর চোখ দুটি বন্ধ করে ফেললো মনে হলো ওর ভিতর দিয়ে কারেন্ট বয়ে গেল
।
মিম আমার মাথাটা ধরে ওর কপাল থেকে নামিয়ে…………………………………..
চলবে………………………………
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com