পাগলের ভালোবাসা | লেখকঃ সিয়াম হোসেন
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিছি এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো । হাতে নিয়ে দেখি ছোট বোন ফোন দিছে তাইফোনটা ধরার সাথে
:-ভাইয়া আমাকে কলেজ ছুটির পর বাসায় নিয়ে যাবি । (বোন)
:-হুমম নিয়ে আসবো তা তোর কলেজ ছুটি হবে কখন । (আমি)
:-আর ১ ঘন্টা পর । (বোন)
:-আচ্ছা তুই কলেজ ছুটির পর আমাকে ফোন দিবি । (আমি)
:-আচ্ছা (এই বলে অপর পাশ থেকে ফোনটা কেটে দিলো)
আচ্ছা ততক্ষনে আপনাদের পরিচয়টা দিয়ে দেেই । আমি সিয়াম পড়ালেখা শেষ করে বেকার বসে আছি । আর এতক্ষন যার সাথে কথা বললাম বুজতেই পারছেন যে আমার বোন হয় । ও ওর নামটাই তো বলা হলো না ওর নাম মাইসা এইবার ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ে । আর আজকে তার কলেজের প্রথম দিন । সকালে ওকে দিয়ে এসেছিলাম কলেজে এখন আবার বাড়ি নিয়ে যেতে হবে তাই ফোন দিয়েছে ।
যাই হোক ফোন রেখে আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম । কিছুক্ষন পর আবার ফোনটা বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখি মাইসা ফোন দিছে । নিশ্চয় কলেজ ছুটি হয়ে গিয়েছে ।
:-হ্যালো ভাইয়া কোথায় তুই । (মাইসা)
:-এই তো চলে এসেছি আর ৫ মিনিট তুই কলেজের গেটের সামনে দাড়া । (আমি)
:-ঠিক আছে । (মাইসা)
ফোনটা পকেটে রেখে তাড়াতাড়ি ওর কলেজের দিকে রওনা দিলাম ।
.....
:-চল । (আমি)
:-এতোক্ষন লাগে ৫ মিনিটের কথা বলে ১৫ মিনিট লাগিয়ে দিলি। (মাইসা)
:-সরি আর হবে না । (আমি)
:-ঠিক আছে আমাকে আগে চকলেট কিনে দে। (মাইসা)
:-তুই এখনও ছোট নাকি যে চকলেট খাবি । (আমি)
:-তুই দিবি কিনা বল । (মাইসা)
:-ঠিক আছে চল । (আমি)
:-ভাইয়া আমাকে কলেজ ছুটির পর বাসায় নিয়ে যাবি । (বোন)
:-হুমম নিয়ে আসবো তা তোর কলেজ ছুটি হবে কখন । (আমি)
:-আর ১ ঘন্টা পর । (বোন)
:-আচ্ছা তুই কলেজ ছুটির পর আমাকে ফোন দিবি । (আমি)
:-আচ্ছা (এই বলে অপর পাশ থেকে ফোনটা কেটে দিলো)
আচ্ছা ততক্ষনে আপনাদের পরিচয়টা দিয়ে দেেই । আমি সিয়াম পড়ালেখা শেষ করে বেকার বসে আছি । আর এতক্ষন যার সাথে কথা বললাম বুজতেই পারছেন যে আমার বোন হয় । ও ওর নামটাই তো বলা হলো না ওর নাম মাইসা এইবার ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ে । আর আজকে তার কলেজের প্রথম দিন । সকালে ওকে দিয়ে এসেছিলাম কলেজে এখন আবার বাড়ি নিয়ে যেতে হবে তাই ফোন দিয়েছে ।
যাই হোক ফোন রেখে আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম । কিছুক্ষন পর আবার ফোনটা বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখি মাইসা ফোন দিছে । নিশ্চয় কলেজ ছুটি হয়ে গিয়েছে ।
:-হ্যালো ভাইয়া কোথায় তুই । (মাইসা)
:-এই তো চলে এসেছি আর ৫ মিনিট তুই কলেজের গেটের সামনে দাড়া । (আমি)
:-ঠিক আছে । (মাইসা)
ফোনটা পকেটে রেখে তাড়াতাড়ি ওর কলেজের দিকে রওনা দিলাম ।
.....
:-চল । (আমি)
:-এতোক্ষন লাগে ৫ মিনিটের কথা বলে ১৫ মিনিট লাগিয়ে দিলি। (মাইসা)
:-সরি আর হবে না । (আমি)
:-ঠিক আছে আমাকে আগে চকলেট কিনে দে। (মাইসা)
:-তুই এখনও ছোট নাকি যে চকলেট খাবি । (আমি)
:-তুই দিবি কিনা বল । (মাইসা)
:-ঠিক আছে চল । (আমি)
কি আর আর চকলেট কিনে দিতে হলো । বোনটা খুবই জেদি । তবে ওর এই জেদ গুলো আমার ভালো লাগে ।
চকলেট গুলো কিনে দিয়ে দুজনেই রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম ।
হঠাৎ কোথা থেকে যেনো একটা পাগল এসে আমার বোনের হাতটা ধরে বলতে লাগলো আমার বুবলি আমার বুবলি ।
এটা দেখে তো আমার অনেক রাগ হলো । তাই পাগলটার হাত থেকে মাইসাকে ছাড়িয়ে যেই ওকে একটা থাপ্পর মারতে যাবো তখনই পিছন থেকে একটা লোক আমার হাতটা ধরে ফেললো ।
:-ওকে মেরো না ও এমনি । (একটা লোক)
:-ওও আমার বোনের গায়ে হাত দিছে । (আমি)
:-আসলে ওর বুবলি মারা যাবার পর থেকে ও এমন হয়েছে । (লোকটা)
:-মানে আপনি কি একে চিনেন । (আমি)
:-আমার ছেলে হয় (কথাটা বলেই লোকটা কেঁদে দিলো )
:-কাদবেন না প্লিজ আমি দুঃখিত । (আমি)
:- না ঠিক আছে আর পাগল তো তাই বুজতে পারেনি । (লোকটা)
কথাটা শুনেই নিজেকে অনেক অপরাধী মনে হলো । পাগল বলেই কি সে মানুষ না তাকে কি মারা ঠিক হচ্ছে । সেও তো আমাদের মতো একটা মানুষ ।
:-আচ্ছা আংকেল ওর এই অবস্থা কেনো একটু বলবেন । (আমি)
:-ঠিক আছে তাহলে শোনো । (লোকটা)
......
......
চকলেট গুলো কিনে দিয়ে দুজনেই রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম ।
হঠাৎ কোথা থেকে যেনো একটা পাগল এসে আমার বোনের হাতটা ধরে বলতে লাগলো আমার বুবলি আমার বুবলি ।
এটা দেখে তো আমার অনেক রাগ হলো । তাই পাগলটার হাত থেকে মাইসাকে ছাড়িয়ে যেই ওকে একটা থাপ্পর মারতে যাবো তখনই পিছন থেকে একটা লোক আমার হাতটা ধরে ফেললো ।
:-ওকে মেরো না ও এমনি । (একটা লোক)
:-ওও আমার বোনের গায়ে হাত দিছে । (আমি)
:-আসলে ওর বুবলি মারা যাবার পর থেকে ও এমন হয়েছে । (লোকটা)
:-মানে আপনি কি একে চিনেন । (আমি)
:-আমার ছেলে হয় (কথাটা বলেই লোকটা কেঁদে দিলো )
:-কাদবেন না প্লিজ আমি দুঃখিত । (আমি)
:- না ঠিক আছে আর পাগল তো তাই বুজতে পারেনি । (লোকটা)
কথাটা শুনেই নিজেকে অনেক অপরাধী মনে হলো । পাগল বলেই কি সে মানুষ না তাকে কি মারা ঠিক হচ্ছে । সেও তো আমাদের মতো একটা মানুষ ।
:-আচ্ছা আংকেল ওর এই অবস্থা কেনো একটু বলবেন । (আমি)
:-ঠিক আছে তাহলে শোনো । (লোকটা)
......
......
:-এই বুবলি দাড়া । (রানা কথাটি বলেই ওর পিছু দৌড়াচ্ছে)
:-ওই তোকে দাড়াতে বলছি না । (রানা বুবলির সামনে গিয়ে)
:-আমার সামনে থেকে সর । (বুবলি)
:-কেনো । আমি কি করছি । (রানা)
:-কি করিস নি মানে তুই আমাকে আবার ওই কথা বললি কেনো । (বুবলি)
:-কোন কথা । (রানা)
:-এহ্ এমন ডং করছে যেনো কিছুই জানে না । বল বললি কেনো । (বুবলি)
:-তুই কি বলছিস আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । (রানা)
:-তুই আমাকে ভালোবাসার কথা বললি কেনো । (বুবলি)
:-যা সত্যি তাই তো বলছি । (রানা)
:-দেখ আমার সামনে আর এই ভালোবাসার কথা বলবি না । (বুবলি)
:-তুই কি আমাকে একটুও বুঝিস না সেই ৪ বছর ধরে তোকে বলছি । (রানা)
:-দেখ আমরা শুধুই বন্ধু এর বেশি কিছু না । (বুবলি)
:-ঠিক আছে আমি যখন থাকবো না তখন বুঝতে পারবি আমি তোর কে ছিলাম । (রানা)
কথাটা বলেই রানা ওখান থেকে চলে গেলো । বুবলি আর রানার বন্ধু সেই কলেজ জীবন থেকে এখন দুজনেই ভার্সিটিতে একই সাথে পড়ে ২ বর্ষে । বুবলি যে রানাকে ভালোবাসে না তা ঠিক নয় । ও রানাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু ওকে বুঝতে দেই না । সে চায় রানাকে আর একটু তার পিছনে ঘুড়িয়ে সত্যি টা বলে দিবে । এদিকে রানা রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেটে বাসায় যাচ্ছে । সে ভাবছে বুবলি শুধু আমাকে বন্ধুই ভাবে । ঠিক আছে আমি আর ওর সামনে কখনও ভালোবাসার কথা বলতে যাবো না । রানা বাসায় এসে চুপচাপ নিজের রুমে চলে যায় । সে ভাবলো আগামী কিছুদিন ও বুবলির সামনে যাবে না । তাই সে নিজের ফোন বন্ধ করেদিলো যাতে বুবলি আর ফোন না দিতে পারে ।
এদিকে বুবলিতো সারা ভার্সিটিতে রানাকে খুজেই যাচ্ছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না ফোনটাও বন্ধ যে তার সাথে যোগাযোগ করবে । বুবলি প্রায় রানাকে না দেখতে পেরে অস্থির হয়ে যাচ্ছে ।
......
রানা প্রায় ১৫ দিন পরে ভার্সিটিতে এসেছে । তবে ওর এই কয়দিন যে কেমন ভাবে কেটেছে সেটা বলে বোঝানো যাবেন ।রানা গেট দিয়ে ডুকতেই অনুভব করলো পিছন থেকে কেউ একজন ওকে জড়িয়ে ধরেছে । রানা তার হাতটা ধরে সামনে এনে দেখে যে ওটা আর জেউ না বুবলি নিজেই । তবে বুবলি আর আগের মতো নেই অনেকটা শুকিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়েগেছে । রানা ভাবছে যাক বুদ্ধিটা কাজে লেগেছে ।
:-ওইই কিইই করছিস ছার । (রানা)
:-না ছারবো না আগে বল এতদিন আসিস নি কেনো । যানিস তোকে কত মিস করছি ।আবার তোর ফোনও বন্ধ ছিলো আমি তো ভেবেছিলাম তোর কিছু হয়েছে কিনা। (বুবলি)
:- কেনো তুই আমাকে নিয়ে ভাববি কেনো তুই তো আমাকে ভালোই বাসিস না । (রানা)
:-কে বলছে । (বুবলি)
:-তুই তো বলছিলি । (রানা)
:-ভয় হয় সেই জন্য বলিনি । (বুবলি)
:-কিসের ভয় । (রানা)
:-যদি কখনও হারিয়ে যাস । (বুবলি)
:-এই তোর হাত ধরলাম মরণের আগ পর্যন্ত এই হাতটা ধরে রাখবো । (রানা)
:-সত্যি তো । (বুবলি)
:-হুমম সত্যি সত্যি সত্যি (রানা)
....
এরপর থেকে দুজনের মধ্য অন্য একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে । ভালোই যাচ্ছে ওদের দিন কাল । হাসি মজা দুষ্টমি আবার অভিমান সবই আছে । কিন্তু হঠাৎ করেই বুবলির বাবা ওর বিয়ে ঠিক করে ফেলে । বুবলি কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না । তাই আর কোনো কিছু না ভেবে রানাকে ফোন দিলো ।
:-হুমম জান বল(রানা)
:-রানা বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে । (বুবলি)
:-মানে কি বলছিস তুই । (রানা)
:-হ্যা ঠিক বলছি বাবা হঠাৎ করেই আমার বিয়েটা ঠিক করে ফেলেছে আর কালকে আমার বিয়ে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না । আমার খুব ভয় করছে । (বুবলি)
:-আচ্ছা ঠিক আছে ভয় পাস না । আমি যা বলছি তুই তাই কর । (রানা)
:-ওকে বল । (বুবলি)
:-........................
:-হবে তো আমার না খুব ভয় করছে । (বুবলি)
:-তুই আমাকে ভালোবাসিস না । (রানা)
:-নিজের জীবনের থেকেও বেশি । (বুবলি)
:-তাহলে ভয় পাচ্ছিস কেনো । দেখবি হয়ে যাবে । (রানা)
:-আচ্ছা এখন রাখি । (বুবলি)
:-ওই তোকে দাড়াতে বলছি না । (রানা বুবলির সামনে গিয়ে)
:-আমার সামনে থেকে সর । (বুবলি)
:-কেনো । আমি কি করছি । (রানা)
:-কি করিস নি মানে তুই আমাকে আবার ওই কথা বললি কেনো । (বুবলি)
:-কোন কথা । (রানা)
:-এহ্ এমন ডং করছে যেনো কিছুই জানে না । বল বললি কেনো । (বুবলি)
:-তুই কি বলছিস আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । (রানা)
:-তুই আমাকে ভালোবাসার কথা বললি কেনো । (বুবলি)
:-যা সত্যি তাই তো বলছি । (রানা)
:-দেখ আমার সামনে আর এই ভালোবাসার কথা বলবি না । (বুবলি)
:-তুই কি আমাকে একটুও বুঝিস না সেই ৪ বছর ধরে তোকে বলছি । (রানা)
:-দেখ আমরা শুধুই বন্ধু এর বেশি কিছু না । (বুবলি)
:-ঠিক আছে আমি যখন থাকবো না তখন বুঝতে পারবি আমি তোর কে ছিলাম । (রানা)
কথাটা বলেই রানা ওখান থেকে চলে গেলো । বুবলি আর রানার বন্ধু সেই কলেজ জীবন থেকে এখন দুজনেই ভার্সিটিতে একই সাথে পড়ে ২ বর্ষে । বুবলি যে রানাকে ভালোবাসে না তা ঠিক নয় । ও রানাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু ওকে বুঝতে দেই না । সে চায় রানাকে আর একটু তার পিছনে ঘুড়িয়ে সত্যি টা বলে দিবে । এদিকে রানা রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেটে বাসায় যাচ্ছে । সে ভাবছে বুবলি শুধু আমাকে বন্ধুই ভাবে । ঠিক আছে আমি আর ওর সামনে কখনও ভালোবাসার কথা বলতে যাবো না । রানা বাসায় এসে চুপচাপ নিজের রুমে চলে যায় । সে ভাবলো আগামী কিছুদিন ও বুবলির সামনে যাবে না । তাই সে নিজের ফোন বন্ধ করেদিলো যাতে বুবলি আর ফোন না দিতে পারে ।
এদিকে বুবলিতো সারা ভার্সিটিতে রানাকে খুজেই যাচ্ছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না ফোনটাও বন্ধ যে তার সাথে যোগাযোগ করবে । বুবলি প্রায় রানাকে না দেখতে পেরে অস্থির হয়ে যাচ্ছে ।
......
রানা প্রায় ১৫ দিন পরে ভার্সিটিতে এসেছে । তবে ওর এই কয়দিন যে কেমন ভাবে কেটেছে সেটা বলে বোঝানো যাবেন ।রানা গেট দিয়ে ডুকতেই অনুভব করলো পিছন থেকে কেউ একজন ওকে জড়িয়ে ধরেছে । রানা তার হাতটা ধরে সামনে এনে দেখে যে ওটা আর জেউ না বুবলি নিজেই । তবে বুবলি আর আগের মতো নেই অনেকটা শুকিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়েগেছে । রানা ভাবছে যাক বুদ্ধিটা কাজে লেগেছে ।
:-ওইই কিইই করছিস ছার । (রানা)
:-না ছারবো না আগে বল এতদিন আসিস নি কেনো । যানিস তোকে কত মিস করছি ।আবার তোর ফোনও বন্ধ ছিলো আমি তো ভেবেছিলাম তোর কিছু হয়েছে কিনা। (বুবলি)
:- কেনো তুই আমাকে নিয়ে ভাববি কেনো তুই তো আমাকে ভালোই বাসিস না । (রানা)
:-কে বলছে । (বুবলি)
:-তুই তো বলছিলি । (রানা)
:-ভয় হয় সেই জন্য বলিনি । (বুবলি)
:-কিসের ভয় । (রানা)
:-যদি কখনও হারিয়ে যাস । (বুবলি)
:-এই তোর হাত ধরলাম মরণের আগ পর্যন্ত এই হাতটা ধরে রাখবো । (রানা)
:-সত্যি তো । (বুবলি)
:-হুমম সত্যি সত্যি সত্যি (রানা)
....
এরপর থেকে দুজনের মধ্য অন্য একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে । ভালোই যাচ্ছে ওদের দিন কাল । হাসি মজা দুষ্টমি আবার অভিমান সবই আছে । কিন্তু হঠাৎ করেই বুবলির বাবা ওর বিয়ে ঠিক করে ফেলে । বুবলি কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না । তাই আর কোনো কিছু না ভেবে রানাকে ফোন দিলো ।
:-হুমম জান বল(রানা)
:-রানা বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে । (বুবলি)
:-মানে কি বলছিস তুই । (রানা)
:-হ্যা ঠিক বলছি বাবা হঠাৎ করেই আমার বিয়েটা ঠিক করে ফেলেছে আর কালকে আমার বিয়ে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না । আমার খুব ভয় করছে । (বুবলি)
:-আচ্ছা ঠিক আছে ভয় পাস না । আমি যা বলছি তুই তাই কর । (রানা)
:-ওকে বল । (বুবলি)
:-........................
:-হবে তো আমার না খুব ভয় করছে । (বুবলি)
:-তুই আমাকে ভালোবাসিস না । (রানা)
:-নিজের জীবনের থেকেও বেশি । (বুবলি)
:-তাহলে ভয় পাচ্ছিস কেনো । দেখবি হয়ে যাবে । (রানা)
:-আচ্ছা এখন রাখি । (বুবলি)
বুবলি ফোনটা রেখেই অনেক টেনশনে পরে গেলো ও কি পারবে ।
আজকে বুবলির বিয়ে সকলেই ওকে নিয়ে ব্যস্ত । বর এসেগেছে তাই এখন সবাই বরকে দেখার জন্য ব্যস্ত । বুবলি নিজের ঘরে এখন একা ।
আজকে বুবলির বিয়ে সকলেই ওকে নিয়ে ব্যস্ত । বর এসেগেছে তাই এখন সবাই বরকে দেখার জন্য ব্যস্ত । বুবলি নিজের ঘরে এখন একা ।
:-হ্যালো রানা কোথায় তুই । (বুবলি)
:-এই তো বাসার পিছনে দাড়িয়ে আছে । (রানা)
:-ঠিক আছে তুই দাড়া আমি আসছি । (বুবলি)
:-সাবধানে আসিস কেউ যেনো দেখতে না পারে । (রানা)
বুবলি বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলো । আররানা ওর জন্য দাড়িয়ে রয়েছে কখন আসবে কিছুক্ষন পর বুবলি এলে রানা ওকে নিয়ে সোজা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয় । এখন রানা আর বুবলি দুজনেই রানার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে । রানা দরজায় বেল বাজাতে ভয় পাচ্ছে কারণ সে জানে তার বাবা যে বদ মেজাজি মানুষ ওদের এই বিয়ে কখনই মেনে নিবে না । তাও বুকে সাহস নিয়ে দরজায় বেল বাজালো ।
দরজা খুলতেই দেখে তার বাবা দাড়িয়ে আছে ।
:-কিরে এতো রাত করলি কেনো আর তোর সাথে এই মেয়েটা কে তাও আবার এমন পোশাকে । (রানার বাবা)
:-বাবা আমরা বিয়ে করেছি । (রানা)
:-কিইইইইই । কি বললি তুই আমাদের না জানিয়েই বিয়ে করে ফেললি । মানসম্মান কিছুই রাখলি না আমাদের ।(বাবা)
:-বাবা ...(রানা)
:-চুপ আর একটা কথাও বলবি না যা আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা তোর এই বাড়িতে কোনো জায়গা নেই । (বাবা)
:-বাবা ।
:-চুপ আর একটা কথাও বলবি না । (কথাটা বলেই দরজাটা বন্ধ করে দিলো ।)
রানা আর বুবলি দাড়িয়ে আছে কোথায় যাবে এতো রাতে হাতে টাকাও নেই যে একটা হোটেলে থাকবে । তাই আর কোনো কিছু না ভেবে তারা হাটতে থাকে । হাটতে হাটতে দুজনেই অনেক দূর চলে যায় যেই জায়গায় এর আগে ওরা কখনই আসে নি । একটা বড় গাছ দেখতে পেয়ে দুজনেই সেই গাছটার নিচে বসে বাকি রাতটা পার করে দেয় । পরের দিন সকালে ।
:-রানা আমার না খুব ক্ষিদে পেয়েছে । (বুবলি)
:-ঠিক আছে তুই এখানে দাড়া আমি দেখছি কিছু নিয়ে আসি । কোথায় যাবি না কিন্তু । (রানা)
:-আচ্ছা । (বুবলি)
:-এই তো বাসার পিছনে দাড়িয়ে আছে । (রানা)
:-ঠিক আছে তুই দাড়া আমি আসছি । (বুবলি)
:-সাবধানে আসিস কেউ যেনো দেখতে না পারে । (রানা)
বুবলি বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলো । আররানা ওর জন্য দাড়িয়ে রয়েছে কখন আসবে কিছুক্ষন পর বুবলি এলে রানা ওকে নিয়ে সোজা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয় । এখন রানা আর বুবলি দুজনেই রানার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে । রানা দরজায় বেল বাজাতে ভয় পাচ্ছে কারণ সে জানে তার বাবা যে বদ মেজাজি মানুষ ওদের এই বিয়ে কখনই মেনে নিবে না । তাও বুকে সাহস নিয়ে দরজায় বেল বাজালো ।
দরজা খুলতেই দেখে তার বাবা দাড়িয়ে আছে ।
:-কিরে এতো রাত করলি কেনো আর তোর সাথে এই মেয়েটা কে তাও আবার এমন পোশাকে । (রানার বাবা)
:-বাবা আমরা বিয়ে করেছি । (রানা)
:-কিইইইইই । কি বললি তুই আমাদের না জানিয়েই বিয়ে করে ফেললি । মানসম্মান কিছুই রাখলি না আমাদের ।(বাবা)
:-বাবা ...(রানা)
:-চুপ আর একটা কথাও বলবি না যা আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা তোর এই বাড়িতে কোনো জায়গা নেই । (বাবা)
:-বাবা ।
:-চুপ আর একটা কথাও বলবি না । (কথাটা বলেই দরজাটা বন্ধ করে দিলো ।)
রানা আর বুবলি দাড়িয়ে আছে কোথায় যাবে এতো রাতে হাতে টাকাও নেই যে একটা হোটেলে থাকবে । তাই আর কোনো কিছু না ভেবে তারা হাটতে থাকে । হাটতে হাটতে দুজনেই অনেক দূর চলে যায় যেই জায়গায় এর আগে ওরা কখনই আসে নি । একটা বড় গাছ দেখতে পেয়ে দুজনেই সেই গাছটার নিচে বসে বাকি রাতটা পার করে দেয় । পরের দিন সকালে ।
:-রানা আমার না খুব ক্ষিদে পেয়েছে । (বুবলি)
:-ঠিক আছে তুই এখানে দাড়া আমি দেখছি কিছু নিয়ে আসি । কোথায় যাবি না কিন্তু । (রানা)
:-আচ্ছা । (বুবলি)
রানা চলে যায় কিছু খাবার আনার জন্য কিন্তু হাতে কোনো টাকা নেই তাই সে নিজের ঘড়িটা বিক্রি করে দিয়ে কিছু খাবার নিয়ে আসতেছে ।
এদিকে রানা আসতে দেড়ি হচ্ছে দেখে বুবলি সামনে এগিয়ে যায় রানাকে খুজতে। কিন্তু বুবলি যখনই রাস্তা পার হতে যাবে তখনি কোথা থেকে যেনি দুইটা ট্রাক একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে আসছিলো । আর বুবলি কোনো মতে একটার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও পরেরটার থেকে আর নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি । ট্রাকটা বুবলির গায়ের উপর দিয়ে তাকে ক্ষত বিক্ষত করে চলে যায় । সাথে সাথে সেখানে লোক জড় হয়ে যায় ঘটনাটা দেখার জন্য ।
আর রানা তো খাবার নিয়ে আপন মনে আসছে । সে অনেক খুশি কারণ সে তার ভালোবাসার মানুষটাকে বিয়ে করতে পেরেছে বলে । রানা দেখে যে কিছুলোক রাস্তার মাঝখানে জড় হয়ে দাড়িয়ে আছে । তাই সে ঘটনাটা দেখার জন্য সেখানে এগিয়ে যায় ।
:-আংকেল এখানে এতো ভিড় কেনো । (রানা)
:-আর বলোনা দুইটা ট্রাক একে অপরের সাথে পাল্লাদিয়ে আসছিলো তখন একটা মেয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকটার নিচে পরে যায় । (লোকটা)
রানা মেয়েটাকে দেখার জন্য ভিড়কে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় । কিন্তু সে যা দেখে তার জন্য মোটেও সে প্রস্তুত ছিলো না । কেননা সেতো আর কেউ না রানার ভালোবাসার মানুষটি বুবলি । বুবলির রক্তে রাস্তাটা লাল হয়ে গেছে । রানা এটা দেখতে না পেরে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পরে যায় ।...........
:-আংকেল এখানে এতো ভিড় কেনো । (রানা)
:-আর বলোনা দুইটা ট্রাক একে অপরের সাথে পাল্লাদিয়ে আসছিলো তখন একটা মেয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকটার নিচে পরে যায় । (লোকটা)
রানা মেয়েটাকে দেখার জন্য ভিড়কে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় । কিন্তু সে যা দেখে তার জন্য মোটেও সে প্রস্তুত ছিলো না । কেননা সেতো আর কেউ না রানার ভালোবাসার মানুষটি বুবলি । বুবলির রক্তে রাস্তাটা লাল হয়ে গেছে । রানা এটা দেখতে না পেরে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পরে যায় ।...........
লোকটার কথা শুনে চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে পাশে তাকিয়ে দেখি আমার বোনের চোখেও পানি ।
:-তারপর...(আমি)
:-তারপর আরকি রানা চলে যাওয়ার পর আমরা ওকে অনেক জায়গায় খুজেছি কিন্তু কোথায় পায়নি । পরে যখন পেলাম তখন ওর এই অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো । এখন ও যে মেয়েকেই দেখে মনে করে এটাই ওর বুবলি । ওর এই পরিস্থির জন্য আমি দায়ী । সেদিন যদি ওর ভালোবাসাটা বুঝতাম তাহলে আজকে ওর এমন হতো না । (কথা গুলো বলেই লোকটা চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলো)
সমাপ্তি.....
সমাপ্তি.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com