Breaking News

ভালোবাসার উপহার | পার্ট- 2 | লিখা - গোলাম মোস্তফা

সে মনে মনে ভাবলো ফারিহা মেয়েটাকে সে দেখে নেবে, মানে সারা জীবনের জন্য নিজের করে নেবে। কারন ফারিহা কে যখন দেখেছিলো নিজের চোখ সরাতে পারেনি সিহাব।কিন্তু তখন কাউকে বুঝতে দেয়নি সিহাব। যাইহোক ফারিহা খুব লজ্জা পেলো নিজের ভুলের জন্য, সে সিহাবের সামনে যেতে পারছে না।তবুও ফারিহা গিয়ে মাথা নিচু করে বল্লো প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আমি আমার কাজের জন্য সত্যি লজ্জিতো। তখন সিহাব বল্লো আপনাকে তো এত সহজে মাফ করা যাবে না, কারন আপনি আমার কলেজের প্রথমদিন নষ্ট করে দেছেন আর সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছেন। ও আপনি ওই কলেজে ১ম বর্ষে আমিও আপনার সাথে পড়ি, প্লিজ আমরা ক্লাসমেট, তো এবার না হয় ক্ষমা করে দিন, ওকে দিতে পারি তবে একটা শর্ত আছে। বলেন কি শর্ত আমি সব শর্তে রাজি, আপনাকে আমার বন্ধু হতে হবে, ফারিহা ,ও এই এই কথা আমি রাজি। আমি ফারিহা নাম তো এত সময় জেনে ফেলেছেন, আর আমি সিহাব তবে কোনো আপনি বলা চলবে না, শুধু তুমি।

ঠিক আছে সিহাব তুমি করে বলবো আর তো আমার উপর রাগ নেই তোমার, আরে না কি যে বলো তুমি তোমার উপর রাগ করে থাকা যায়, ফারিহা বল্লো মানে ,আরে তুমি আমার বন্ধু তো তাই। আচ্ছা সিহাব আজ তাহলে আসি কাল কলেজে দেখা হবে, অনেক দেরি হয়ে গেছে ।সিহাব বল্লো আচ্ছা বাই, এই বলে তারা দুজনে চলে গেলো। এদিকে সিহাব বাড়ি আসার সাথে সাথে তার মা তাকে বল্লো কি রে কলেজের প্রথম দিন কেমন হলো তোর, সিহাব তার মার কাছে একদম বন্ধুর মত, সব কিছু শেয়ার করলো। মা বল্লো তা মেয়েটি কে রে আর দেখতে কেমন,মায়ের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলে যে মা মেয়েটি একদম পরির মত দেখতে ,খুব সুন্দর এটা শুনে তার মায়ের আনন্দ আর ধরলো না ,সাথে সাথে সিহাবের বাবা মানে আনিচ সাহেব কে ডেকে বল্লেন কই গো শুনে যাও তোমার গুনোধর ছেলের কান্ড। আনিচ সাহেব শুনে তো বল্লো তা মেয়েটিকে এক দিন বাসায় নিয়ে আসিস ।সিহাব মাথা নাড়ালো, আসলে সিহাব আর তার মা বাবা ৩জনের খুব সুখের সংসার। সিহাবের বাবা মা তাদের এক মাত্র ছেলের কোনো অভাব অপুর্ন রাখে না ।সিহাবের মা বল্লো যা বাবা হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে খেতে আয়। সিহাব দুপুরে খেয়ে শুধু ফারিহার কথা মনে পড়লো ।সে ভাবছে, না মেয়েটাকে যদি একটু দেখতে পারতাম কিন্তু কি করে ফারিহা সম্পর্কে তো কিছুই জানা হয়নি কোথায় থাকে তাও জানে না। ভাবাক্রান্ত মন নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ,সিহাবের বন্ধু হলো তপু, তারেক আর অভি এই তিনি জনের সাথে সব সময় আড্ডা দেয় ,সিহাব কে দেখে তপু বল্লো কি রে দোস্ত তোর মন টা খারাপ না কি, আর এতো দেরি করে এলি কেনো ,পাশ থেকে অভি বল্লো কি বন্ধু প্রেম টেমে পড়েছো না কি ।সিহাব তাদের কাছে কিছু লুকালো না আসলে তাদের ৩ জনের মধ্যো যা কিছু হয় সব কিছু শেয়ার করে ।সিহাব তাদের কে বল্লো আর বলিস না মেয়েটা আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তারেক বল্লো দেখ কাল কি হয়। সিহাব তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে চলে গেলো ।
রাতে খেয়ে ঘুমোতে যাবে কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না তার শুধু ফারিহার মুখ টা চোখের সামনে ভেসে উঠছে ,অনেক কষ্টে ঘুম পড়লো। সকালে তার মায়ের ডাকে ঘুম ভাংলো ,কি রে ওঠ আর কত ঘুমাবি সকাল ৯টা বাজে কলেজে কখন যাবি, সিহাব চোখ মুছতে মুছতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি ৯টা বাজে।সিহাবের মা বল্লো তাড়াতাড়ি ওঠে নাস্তা করতে আয়,এদিকে সিহাব ভাবলো নাস্তা করতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে ,তাই সে নাস্তা না করে রেডি হয়ে মাকে বলে বেরিয়ে গেলো ।কলেজে গিয়েই ফারিহার সাথে দেখা ,তারা নিজেদের ভিতর কুশল বিনিময় করে এক সাথে ক্লাস রুমে গেলে। কলেজের সবাই তো অবাক নতুন এসে মেয়ে বন্ধু জুটিয়ে নিলো ,সিহাব আর ফারিহা এক সাথে বসে ক্লাস করছে কিন্তু সিহাবের চোখ ফারিহার দিকে ।স্যার সেটা দেখে সিহাব কে বের করে দিলেন ক্লাস থেকে ।ক্লাস শেষে ফারিহা সিহাবের কাছে চলে এলো ওই তোমাকে স্যার বের করে দিলো কেনো ,সিহাব উত্তর দিলো তুমি বুুঝবে না, এখন আমার সাথে চলো কিছু খেয়ে আসি পেটে ছুচো দৌড়াচ্ছে ।সারা দিন এক সাথে ঘুরলো খুব ভালই কাটলো তাদের দুজনের ।যে যার মত মোবাইল নাম্বার নিলো
বাকি অংশ পরবর্তী তে দেওয়া হবে

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com