ভয়ংকর বাসররাত | Writter- Adila Sultana
আজকে আমার বিয়ের প্রথমদিন মানে রাত মানে বাসর রাত আসলেই লজ্জা হচ্ছে আবার একটা আআত্মহারা আনন্দ হচ্ছে।কেনই বা হব না ছোটবেলা থেকে আমি তাইফকে ভালবাসি।ও কি বাসে কি না জানি না।কিন্তু মন বলে ও আমাকে ভালবাসে তাই তো বাবা বিয়ের প্রস্তাব দিতেই ও রাজি হয়েছে।
কত বাসর ঘর দেখেছি কিন্তু আজকে আমার বাসর ঘর যেটা কম ফুল দিয়ে সাজানো সেটাই বেশি ভালো লাগছে।
গোলাপ ফুলের পাপড়ির এলোমেলোভাবে আমার বিছানায় পড়ে থাকা যেন মনে হচ্ছে আমাকেই স্বাগতম করছে বলছে আমাদের লাল রং তোমার গালের লজ্জার আগে কোন রং ই নয়। বিছানার পাশের টেবিলে একটি ফুলদানিতে কিছু রজনীগন্ধার ফুল যেন সারা ঘরে তার সুগন্ধের ছোয়ার ভরিয়ে বলছে আমার এই সুঘ্রাণ যেনো কোন ঘ্রাণই নয় তোমার নববধুর সুঘ্রানের কাছে।জানালার গ্রিল বেয়ে যেনো চাদের আলো ঘরিয়ে বলছে এই রাত তোমার আর তোমার ভালোবাসার মানুষের তাই তো এত আলোকিত। ছোট ননদ আমাকে এই ঘরে রেখে গেছে প্রায় ১ঘন্টা হতে আসল। কিন্তু তাইফ এখোনো আসে নেই।বরং আমার গায়ের এত ভারি গহনা আর শাড়িতে আমি হাফিয়ে উঠেছি। কিন্তু নিজে খুলতে চাচ্ছি না।আমি চাই সিনেমার মত যখন ভালোবাসার মানুষ পেয়েছি তাহলে সিনেমার মত চাই ও আমার গহনা খুলুক ভাবতেই লজ্জা লাগছে। তখনি পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম মে বি তাইফ আসছে। জলদি নিজেত ঘোমটা আবার পড়ে নিলাম। ওর পায়ের শব্দের সাথে যেন বুকের ধুকধুকানি বেড়েই চলেছে।যেই ও রুমে ঢুকল আমি ঘোমটার নিচেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তখনি তাইফের কন্ঠ
- হুমায়াশা,,,
-জি
-বালিশ নাও আর বিছানার চাঁদর নাও
আমি চোখ খুললাম আরেকটু অবাক হলাম
-জ্বি
-যা বলেছি সেটা কর
আমি চটজলদি বালিশ আর চাঁদর নিয়ে ওর সামনে গেলাম তখনো ঘোমটা পড়েছিলাম।
-যাও ব্যাল্কুনিতে। ১টা বাজার আগে।
আমি কিছুই ভাবতে পারছি না ও কি বলছে।
-জ্বি কি বলছ??তাইফ বুঝছি না
-আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি।
তাইফ এই কথা বলে আমার ঘোমটা উঠিয়ে দিল।
-কান খুলে শুন এই বিয়ে আমার অমতে হয়েছে। তোমাকে আমি পছন্দ করি না তাই আমি তোমার সাথে এক ঘরে থাকতে পারব না। বালিশ আর চাঁদর নিয়ে ব্যাল্কুনিতেই ঘুমাও।
ওর কথাগুলো শোনার পর চোখের কাজল যেন অশ্রু হয়ে পড়ছে। কি ভেবেছিলাম কি হয়েছে??!!!তাও সাহস করে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম
-কেন তাইফ??অ,,,,অন্য কাউকে পছন্দ কর??তাইফ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল
-এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছ??বেহাইয়া মেয়ে।
এই কথা বলে তাইফ আমার হাত শক্ত করে ধরে ব্যাল্কুনিতে নিয়ে যাচ্ছে।আমি ওর দিকে উত্তরহীন পথিকের মত ওর দিকে তাকিয়ে আছি। হাতে অনেক কাচের চুরি পড়েছি।ও ছোটবেলায় আমাকে বলত আমার হাতে নাকি কাচের চুড়ি ভালো লাগে।ও এই রকম শক্ত করে ধরেছে যে চুরিগুলো হাত থেকে ভেঙে যাচ্ছে।আর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।কিন্তু তাইফের সেই দিকে কোন নজর নেই।ও আমাকে ব্যাল্কুনিতে রেখে দিয়ে ব্যাল্কুনির দরজা বন্ধ করে দিল।
-এখানেই ঘুমাও।এখন হতে এখানেই ঘুমাবে।
দরজা বন্ধ করে দেয়ার পর আমি মাটিতে বসে পড়লাম।১মিনিটে সব আশা শেষ কত সপ্ন ছিল ওকে আমার মনের কথা বলব সব শেষ।আমার চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে হচ্ছিল কিন্তু তাও পারি নেই। ব্যাল্কুনির জানালা দিয়ে দেখছি তাইফ বিছানার পাশে পানি খাচ্ছে।হঠাৎ লাইট অফ হয়ে গেল।আমি একটু অবাক হলাম কারন লাইটের সুইচ দরজার পাশে। তাই ও কিভাবে করল।মনে হয় লোড শেডিং হয়েছে। কিন্তু আমি কি করব?? আমার এই কষ্ট কাকে বলব।যেই চাদকে ভেবেছিলাম আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আজ তার আলো এই ব্যাল্কুনিতে আমার গায়ে পড়ার পর মনে হচ্ছে ও হাসছে আমাকে দেখে।হাত অনেক কেটে গেছে কিন্তু তাও তাইফের মনে একটু মায়া হল না। মানুষ পশুপাখির এই অবস্থা দেখে একটু হলেও মায়া করে কিন্তু তাইফের কি এক্টুও আমার জন্য মায়া হয় নেই।এইসব ভাবছি আর চোখের জলে কাজল ধুয়ে যাচ্ছে এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
হঠাৎ মনে হল কেউ আমার শরীর অবশ করে আমার কানে কানে বলছে
-তাইফ আমার ওকে কেড়ে নেওয়ায় তোর শাস্তি হল মৃত্যু।আমার গলা চেপে ধরেছে
আমি সাহস করে চোখ খুলতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারছিলাম না। তাও সাহস জুটিয়ে চিৎকার করলাম
-তাইফ বাচাও আমাকে।
এরপর কিছু মনে নেই।
সকালে ঘুম,থেকে উঠে দেখলাম আমি বিছানায় তাইফ পাশে শুয়ে নেই।তাইফ বাথরুম থেকে বের হয়ে বলল
-এখন সবাই আসবে তাই এখানে নিয়ে এসেছি আশা করি এতটুকু বুদ্ধি আছে যে কাউকে কিছু বলবে না
আমি মাথা নাড়িয়ে -
-হুম
-যাও ফ্রেশ হয়ে নাও
-আচ্ছা
যেই বাথরুম এ ঢুকলাম দেখি আমার গলায় কালো দাগ হয়ে গেছে যেনো কেউ আমাকে সত্যি গলা চেপেছে তার মানে কি??কালকে ওইটা সপ্ন ছিল না
এই ভেবেই যেই বেসিনে মুখ ধুতে গেলাম দেখি বেসিনের আয়নায় এক বিকৃতি আকার চেহারা আমি ভয়ে
চেচিয়ে উঠলাম
-মা,,,, গো,,,,,,
কত বাসর ঘর দেখেছি কিন্তু আজকে আমার বাসর ঘর যেটা কম ফুল দিয়ে সাজানো সেটাই বেশি ভালো লাগছে।
গোলাপ ফুলের পাপড়ির এলোমেলোভাবে আমার বিছানায় পড়ে থাকা যেন মনে হচ্ছে আমাকেই স্বাগতম করছে বলছে আমাদের লাল রং তোমার গালের লজ্জার আগে কোন রং ই নয়। বিছানার পাশের টেবিলে একটি ফুলদানিতে কিছু রজনীগন্ধার ফুল যেন সারা ঘরে তার সুগন্ধের ছোয়ার ভরিয়ে বলছে আমার এই সুঘ্রাণ যেনো কোন ঘ্রাণই নয় তোমার নববধুর সুঘ্রানের কাছে।জানালার গ্রিল বেয়ে যেনো চাদের আলো ঘরিয়ে বলছে এই রাত তোমার আর তোমার ভালোবাসার মানুষের তাই তো এত আলোকিত। ছোট ননদ আমাকে এই ঘরে রেখে গেছে প্রায় ১ঘন্টা হতে আসল। কিন্তু তাইফ এখোনো আসে নেই।বরং আমার গায়ের এত ভারি গহনা আর শাড়িতে আমি হাফিয়ে উঠেছি। কিন্তু নিজে খুলতে চাচ্ছি না।আমি চাই সিনেমার মত যখন ভালোবাসার মানুষ পেয়েছি তাহলে সিনেমার মত চাই ও আমার গহনা খুলুক ভাবতেই লজ্জা লাগছে। তখনি পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম মে বি তাইফ আসছে। জলদি নিজেত ঘোমটা আবার পড়ে নিলাম। ওর পায়ের শব্দের সাথে যেন বুকের ধুকধুকানি বেড়েই চলেছে।যেই ও রুমে ঢুকল আমি ঘোমটার নিচেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তখনি তাইফের কন্ঠ
- হুমায়াশা,,,
-জি
-বালিশ নাও আর বিছানার চাঁদর নাও
আমি চোখ খুললাম আরেকটু অবাক হলাম
-জ্বি
-যা বলেছি সেটা কর
আমি চটজলদি বালিশ আর চাঁদর নিয়ে ওর সামনে গেলাম তখনো ঘোমটা পড়েছিলাম।
-যাও ব্যাল্কুনিতে। ১টা বাজার আগে।
আমি কিছুই ভাবতে পারছি না ও কি বলছে।
-জ্বি কি বলছ??তাইফ বুঝছি না
-আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি।
তাইফ এই কথা বলে আমার ঘোমটা উঠিয়ে দিল।
-কান খুলে শুন এই বিয়ে আমার অমতে হয়েছে। তোমাকে আমি পছন্দ করি না তাই আমি তোমার সাথে এক ঘরে থাকতে পারব না। বালিশ আর চাঁদর নিয়ে ব্যাল্কুনিতেই ঘুমাও।
ওর কথাগুলো শোনার পর চোখের কাজল যেন অশ্রু হয়ে পড়ছে। কি ভেবেছিলাম কি হয়েছে??!!!তাও সাহস করে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম
-কেন তাইফ??অ,,,,অন্য কাউকে পছন্দ কর??তাইফ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল
-এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছ??বেহাইয়া মেয়ে।
এই কথা বলে তাইফ আমার হাত শক্ত করে ধরে ব্যাল্কুনিতে নিয়ে যাচ্ছে।আমি ওর দিকে উত্তরহীন পথিকের মত ওর দিকে তাকিয়ে আছি। হাতে অনেক কাচের চুরি পড়েছি।ও ছোটবেলায় আমাকে বলত আমার হাতে নাকি কাচের চুড়ি ভালো লাগে।ও এই রকম শক্ত করে ধরেছে যে চুরিগুলো হাত থেকে ভেঙে যাচ্ছে।আর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।কিন্তু তাইফের সেই দিকে কোন নজর নেই।ও আমাকে ব্যাল্কুনিতে রেখে দিয়ে ব্যাল্কুনির দরজা বন্ধ করে দিল।
-এখানেই ঘুমাও।এখন হতে এখানেই ঘুমাবে।
দরজা বন্ধ করে দেয়ার পর আমি মাটিতে বসে পড়লাম।১মিনিটে সব আশা শেষ কত সপ্ন ছিল ওকে আমার মনের কথা বলব সব শেষ।আমার চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে হচ্ছিল কিন্তু তাও পারি নেই। ব্যাল্কুনির জানালা দিয়ে দেখছি তাইফ বিছানার পাশে পানি খাচ্ছে।হঠাৎ লাইট অফ হয়ে গেল।আমি একটু অবাক হলাম কারন লাইটের সুইচ দরজার পাশে। তাই ও কিভাবে করল।মনে হয় লোড শেডিং হয়েছে। কিন্তু আমি কি করব?? আমার এই কষ্ট কাকে বলব।যেই চাদকে ভেবেছিলাম আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আজ তার আলো এই ব্যাল্কুনিতে আমার গায়ে পড়ার পর মনে হচ্ছে ও হাসছে আমাকে দেখে।হাত অনেক কেটে গেছে কিন্তু তাও তাইফের মনে একটু মায়া হল না। মানুষ পশুপাখির এই অবস্থা দেখে একটু হলেও মায়া করে কিন্তু তাইফের কি এক্টুও আমার জন্য মায়া হয় নেই।এইসব ভাবছি আর চোখের জলে কাজল ধুয়ে যাচ্ছে এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
হঠাৎ মনে হল কেউ আমার শরীর অবশ করে আমার কানে কানে বলছে
-তাইফ আমার ওকে কেড়ে নেওয়ায় তোর শাস্তি হল মৃত্যু।আমার গলা চেপে ধরেছে
আমি সাহস করে চোখ খুলতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারছিলাম না। তাও সাহস জুটিয়ে চিৎকার করলাম
-তাইফ বাচাও আমাকে।
এরপর কিছু মনে নেই।
সকালে ঘুম,থেকে উঠে দেখলাম আমি বিছানায় তাইফ পাশে শুয়ে নেই।তাইফ বাথরুম থেকে বের হয়ে বলল
-এখন সবাই আসবে তাই এখানে নিয়ে এসেছি আশা করি এতটুকু বুদ্ধি আছে যে কাউকে কিছু বলবে না
আমি মাথা নাড়িয়ে -
-হুম
-যাও ফ্রেশ হয়ে নাও
-আচ্ছা
যেই বাথরুম এ ঢুকলাম দেখি আমার গলায় কালো দাগ হয়ে গেছে যেনো কেউ আমাকে সত্যি গলা চেপেছে তার মানে কি??কালকে ওইটা সপ্ন ছিল না
এই ভেবেই যেই বেসিনে মুখ ধুতে গেলাম দেখি বেসিনের আয়নায় এক বিকৃতি আকার চেহারা আমি ভয়ে
চেচিয়ে উঠলাম
-মা,,,, গো,,,,,,
চলবে...........
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com