বোবা ছেলের দুষ্ট এবং জেদি বউ | Writer: Rabiul islam Rabi
আমি রবিউল ইসলাম রবি বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। এবার আমি ইন্টার পাশ করে
।
রংপুর কারমাইকেল কলেজ এ অনার্স ফাষ্ট ইয়ার এ ভর্তি হইছি
।
আজ আমার কলেজ এর প্রথম দিন সকাল থেকেই ঝুম ঝুম করে
।
বৃষ্টি পড়তেছে বৃষ্টি এর মধ্যেই আমি একটা ছাতা নিয়ে বেড়িয়ে
।
পড়লাম কলেজ এর দিকে। বৃষ্টির মধ্যেই আমি কলেজ এর মধ্যে পৌছে গেলাম।
।
গাড়ি থেকে নেমে আমি কলেজ এ ডুকলাম। এই কলেজ এর আমি
।
তেমন টা কিছুই চিনি না। আর চিনবই বা কি ভাবে এর আগে তো
।
কোন দিন আসি নি। অন্য ছাত্র ছাত্রী কে আমার ডিপার্টমেন্ট এরকথা বলতে বলতে
।
আমি আমার ডিপার্টমেন্ট এর সামনে এসে পৌছেছি।
।
এখন ও ক্লাস খুলে নাই তাই অনেক গুলো ষ্টুডেন্ট রুমের সামনে দারিয়ে আছে
।
আমি ও এক কোনায় দারিয়ে রইলাম। দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবতেছি
।
আমি ও যদি সবার মত কথা বলতে পরতাম তাহলে কথই না মজা করতাম আজকে
।
এই কথা ভাবতেইছি হঠাত করে আমার গালে কে যেন একটা খুব জোরে থাপ্পর বসিয়ে দিলো
।
আমি চোখ তুলে তাকাতেই মেয়েটা বলা শুরু করলো
।
মেয়েটি: কি পেয়েছেন টা আপনি হ্যা কলেজ লাইফের প্রথম দিনেই এসে মেয়েদের টিচ করতেছেন
।
আমি: নিশ্চুপ
।
মেয়েটি: যতসব ফালতু ছেলে কলেজে ভর্তি হয়। কেন যেন কলেজ এ এসব ফালতু ছেলেকে ভর্তি করে নেয় আল্লায় যানে
।
আমি: নিশ্চুপ
।
মেয়েটি: টিচ করার সময় তো খুবেই মুখ দিয়ে বাজে কথা বলেন এখন কি মুখে পিটা ডুকছে নাকি
।
আমি: নিশ্চুপ
।
পাশ থেকে আর একটা মেয়ে বলে উঠলো
।
মেয়েটি: দোস্ত ছেলেটা বয়রা নাকি না বোবা। না আবার বোবা সাজার ভান করতেছে
।
আমি এই বোবা কথাটা এক বারেই শুনতে পারিনা
।
এই কথাটা কেউ আমাকে বললে আমার খুব কষ্ট হয় এবং অনেক কান্না পায়
।
আমার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরা দেখে মেয়েটি বললো
।
মেয়েটি: দোস্ত দেখ আবার ন্যাকামো করে কান্না ও করতে পারে
।
তখন আমি আমার ব্যাগ থেকে খাতা আর কলম বের করে ওদের সামনে খাতায় লিখলাম
।
আমি: আমি মুখে কোন কথা বলতে পারি না। আর আমি কাউকে বিরক্ত করি নাই প্লিজ কেউ আমাকে বোবা বলবেন না
।
মেয়েটি: চল দোস্ত এখন আবার বোবা সাজা হচ্ছে ফালতু ছেলে কোথাকার
।
বলেই মেয়ে গুলো চলে গেলো কিছুক্ষন পর সার ক্লাসে আসল
।
আমি আবার রংপুর জেলা ফাষ্ট হইছি তাই কলেজের অনেক সার এই আমাকে চিনে
।
সার ক্লাসে ডুকে একে একে সবার পরিচয় নিলো
।
আর হ্যা যে মেয়েটি আমাকে থাপ্পর মারছে সেই মেয়েটির নাম হলো মিম
।
সবার পরিচয় নেয়ার পর সার আমাকে সামনে ডাকলো। সার আমাকে অনেক আগ থেকেই চিনতো
।
আমি সামনে যেতেই সার বললেন
।
স্যার: অল ষ্টুডেন্ট এ হচ্ছে রবিউল ইসলাম রবি। এ বসরের মধ্যে রংপুর জেলা ফাষ্ট হয়েছে
।
এবং সরা বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় হয়েছে। তবে এর একটিই সমস্যা
।
আর সেটা হচ্ছে এ মুখে কথা বলতে পারে না এ প্রতিবন্ধি এক কথায় বোবা
।
স্যার এই কথা বলেই আমাকে আমার যায়গায় বস্তে বললো
।
আমি আমার যায়গায় বস্তেই পাশ থেকে শুনতে পেলাম মিম বললো
।
মিম: দোস্ত আমরা এটা কি করলাম রে ও তো সত্যি সত্যি বোবা।
।
মিমের আর এক ফ্রেন্ড জয়া ও বলতেছে
।
জয়া: আমি ক্লাস শেষ হলে ওর কাছে গিয়ে মাপ চাবো
।
মিম: কেন মাপ চাবি
।
জয়া: ভুল করছি তাই আর ছেলেটা দেখতে ও তো খারাপ না
।
মিম: ও তাই বুঝি তা মিস জয়া থাপ্পর টা কে মারছে
।
জয়া: তুই
।
মিম: তা হলপ ক্ষমা ও আমি চাবো তোকে ওর কাছে যাইতে হবে না
।
জয়া: কিরে প্রেমে পড়ে গেলি নাকি
।
মিম: ধ্যাত বাদ দিতো ও সব
।
তার আগে রিপা আজকে আসুখ ওর জন্য আজকে একটা নির দোষ ছেলেকে অপমান করলাম
।
তখনি আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে ওদের ভুল ধারনার কারনে ওরা আমাকে অপমান করছে।
।
তবে ওদের দুজনের কথা শুনে আমি মনে মনে হাসতেছি। যে আসলেই এদের দুজনের মনে হয় মাথায় সমস্যা আছে
।
এর পর যখনি আমি বাহিরের দিকে তাকেই তখনি দেখি মিম যেনো একটা অন্য চাহনি তে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
।
স্যার ক্লাস শেষ হওয়ার পর আমিএকটু বাহিরে গিয়েছিলাম
।
আর সেখান থেকে এসেই তো আমার চোখ কপালে উঠে গেলো
।
কারন ওই রিপা মানে যার কথা কিছুক্ষন আগে মিম বললো
।
যার কথা অনুযায়ি মিম আমাকে অপমান করলো
।
সে আর কেউ নয় সে হচ্ছে আমার ................................চলবে............
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com