দ্বিতীয় বিয়ে | লেখকঃ Samadder Chayon
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা তৈরি করছিলাম..তখন বেড রুম থেকে আমার পিচ্চি মামনির আওয়াজ ভেসে আসলো....
.
:-বাবাই..ও বাবাই কোথায় তুমি?
.
:-এইতো মামনি আমি নাস্তা তৈরি করছি।তুমি বিছানা থেকে উঠে দাত ব্রাশ করো
.
:-আমি পারবনা..তুমি দাত ব্রাশ করিয়ে দাও
.
:-তাহলে মামনি তুমি ফোন নিয়ে গেইম খেলতে থাকো আমি আসছি।
.
:-আচ্ছা বাবাই..
মিথি আমার একমাত্র মেয়ে..এবার ২য় শ্রেনীতে পড়ে।অনেক মেধাবি..মিথিকে জন্ম দিতে গিয়েই তৃনার মৃত্য হয়।তৃনা হলো আমার স্ত্রী।পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয়েছিলো..বিয়ের ২বছর পরই মিথিকে আমার কাছে রেখে তৃনা না ফেরার দেশে চলে গেছে..তাই এখন মিথিকে নিয়েই আমি আছি।আমার মা বাবা গ্রামে থাকে।আমি চাকরির কারনে মিথিকে নিয়ে শহরে থাকি..
নাস্তা বানিয়ে টেবিলে রেখে..রুমে আসলাম।
:-মামনি ফোন রেখে আসো..
.
:-আর একটু গেইম খেলবো..
.
:-আগে ব্রাশ করে নাস্তা করো তারপর আবার গেইম খেলবা।
.
:-আচ্ছা..
অতঃপর মিথিকে ব্রাশ করিয়ে দিয়ে..খাবার টেবিলে এনে বসালাম..মিথি বসে গেইম খেলছে আর আমি ওকে খাইয়ে দিচ্ছি..
.
অতঃপর বাপ বেটি খাওয়া শেষ করলাম..তারপর আমি অফিসের জন্য রেডি হলাম এবং মিথিকে বললাম...
.
:-মামনি স্কুল ড্রেস নিয়ে আসো..তোমাকে রেডি করে দিই..
.
:-বাবা আমি স্কুল যাবনা।আজ স্কুলে যেতে ইচ্ছে করছেনা..
.
:-তাহলে কোথাই যেতে ইচ্ছে করছে?
.
:-আজকে তোমার সাথে অফিসে যেতে ইচ্ছে করছে..
.
:-আচ্ছা..চলো
.
:-উম্মাআআআ
অতঃপর মিথিকে রেডি করে অফিসে নিয়ে গেলাম।ওহ বলাই হয়নি অফিসটা আমার নিজেরই..আমি মিথিকে আমার রুমের সোফাতে বসিয়ে দিলাম।ও মোবাইল নিয়ে গেইম খেলতে লাগলো..
বিকালে অফিস শেষে বাড়ি ফেরার জন্য মিথিকে নিয়ে বের হলাম..
.
:-ওহ শিট বাবাই আমিতো ভুলেই গেছি
.
:-কি ভুলে গেছো মামনি?
.
:-আজ এক আন্টির সাথে তোমার দেখা করানোর কথা ছিলো..এক্ষুনি চলো নদীর পাড়ে
.
:-এক্ষুনি যেতে হবে?
.
:-হ্যা
.
:-আচ্ছা চলো তবে..
মিথিকে নিয়ে সোজা নদীর পাড়ে চলে আসলাম..এখানে অনেক বাতাস।অনেক মানুষ এসে বসে আছে..মিথি আমার হাত ধরে একটা মেয়ের কাছে নিয়ে আসলো।দেখে যতদুর মনে হচ্ছে ২০-২২ বছর বয়স হবে..দেখতেও মোটমুটি সুন্দর..
.
:-সরি আন্টি একটু দেরি হয়ে গেলো..
.
:-ঠিক আছে পিচ্চু..
.
:-আন্টি এই যে আমার বাবাই(আমাকে দেখিয়ে)..আর বাবাই আন্টি হলো মিতুর(মিথির বান্ধবী) দিদি।বাবাই আন্টিকে নাম বলো..
.
:-হাই আমি চয়ন..
.
:-হাই আমি সেতু।মিথির কাছে আপনার অনেক কথা শুনেছি।তাই আপনাকে দেখার ইচ্ছা ছিলো..এজন্যই মিথিকে বলেছিলাম আপনার সাথে মিট করাতে
.
:-ওহ..
টুকটাক কিছু কথা বলার পর আমি মিথিকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসলাম..তারপর ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে এসে শুলাম।মিথি এসে আমার বুকে মাথা দিয়ে শুড়ে পড়লো..
:-মামনি তুমি সেতু আন্টির কাছে আমার নামে কি বলেছো?
.
:-এই যে তুমি আমাকে কত আদর করো..কত সুন্দর রান্না করে খাওয়াও..
.
:-তাই?তুমি আন্টিকে কিভাবে চিনো?
.
:-আন্টি প্রতিদিন মিতু স্কুল থেকে নিয়ে যাই..আর আমাকে বাড়িতে পৌছে দেয়..আর জানো বাবাই আন্টি প্রতিদিন আমার টিফিন থেকে খাবার শেয়ার করে..
.
:-আচ্ছা অনেক গল্প করলাম..মামনি এখন ঘুমাও।শুভরাত্রি
.
:-শুভরাত্রি বাবাই
অতঃপর বাবা মেয়ে দুজনে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম..
প্রতিদিন নিয়মমাফিক রুটিন চলতেই থাকলো।তবে একটা বিষয় যোগ হয়েছে।সেটা হলো মিথি মাঝে মাঝে আমাকে নদীর পাড়ে নিয়ে যাই সেতুর সাথে কথা বলার জন্য...
মিথি কেনো এমন করে সেটা জানিনা..জিজ্ঞাস করলেও কিছু বলেনা..
ইদানিং সেতু আমাকে তুমি করে বলছে..আবার গাড়ে পড়ে কথা বলছে..বিষয়টা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছিলো না..তাই আজ আর নদীর পাড়ে যাইনি সোজা বাসাতে চলে এসেছি..
পরেরদিন সকালে সবেমাত্র ফ্রেশ হয়ে এসেছি তখন কলিংবেল বেজে উঠলো..দরজার দিকে এগোচ্ছি আর ভাবছি এত সকাল সকাল কে আসতে পারে?
দরজা খুলেই দেখি সেতু দাড়িয়ে আছে..
.
:-কি ব্যাপার এত সকলে?
.
:-কাল নদীর পাড়ে যাওনি কেনো?
.
:-এইটা জানার জন্য এত সকাল এখানে এসেছো?
.
:-জ্বি না।আমি আমার পিচ্চুটাকে দেখতে এসেছি।পিচ্চুটা কোথাই?
.
:-ঘুমাচ্ছে..
.
:-দরজার সামনে থেকে সরো..আমি পিচ্চুটার কাছে যাবো..
.
:-আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।আমি তোমাকে ভেতরে ঢুকতে দিতে পারবনা..
.
:-কেনো?
.
:-কারন আমি একা একটা ছেলে থাকি।আর তুমি একজন অবিবাহিত মেয়ে।এত সকালে যদি তোমাকে যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে..তোমাকে কলঙ্ক দেবে আর আমারো সামস্যা হবে..
.
:-আমাকে কলঙ্গ দিলেও সমস্যা নাই..সামনে থেকে সরো..
.
:-দুঃখিত তোমার সমস্যা না থাকলেও আমার আছে..
.
:-দুর রাখো তোমার সমস্যা..
বলেই সেতু আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো...
.
To Be Continue.........
.
:-বাবাই..ও বাবাই কোথায় তুমি?
.
:-এইতো মামনি আমি নাস্তা তৈরি করছি।তুমি বিছানা থেকে উঠে দাত ব্রাশ করো
.
:-আমি পারবনা..তুমি দাত ব্রাশ করিয়ে দাও
.
:-তাহলে মামনি তুমি ফোন নিয়ে গেইম খেলতে থাকো আমি আসছি।
.
:-আচ্ছা বাবাই..
মিথি আমার একমাত্র মেয়ে..এবার ২য় শ্রেনীতে পড়ে।অনেক মেধাবি..মিথিকে জন্ম দিতে গিয়েই তৃনার মৃত্য হয়।তৃনা হলো আমার স্ত্রী।পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয়েছিলো..বিয়ের ২বছর পরই মিথিকে আমার কাছে রেখে তৃনা না ফেরার দেশে চলে গেছে..তাই এখন মিথিকে নিয়েই আমি আছি।আমার মা বাবা গ্রামে থাকে।আমি চাকরির কারনে মিথিকে নিয়ে শহরে থাকি..
নাস্তা বানিয়ে টেবিলে রেখে..রুমে আসলাম।
:-মামনি ফোন রেখে আসো..
.
:-আর একটু গেইম খেলবো..
.
:-আগে ব্রাশ করে নাস্তা করো তারপর আবার গেইম খেলবা।
.
:-আচ্ছা..
অতঃপর মিথিকে ব্রাশ করিয়ে দিয়ে..খাবার টেবিলে এনে বসালাম..মিথি বসে গেইম খেলছে আর আমি ওকে খাইয়ে দিচ্ছি..
.
অতঃপর বাপ বেটি খাওয়া শেষ করলাম..তারপর আমি অফিসের জন্য রেডি হলাম এবং মিথিকে বললাম...
.
:-মামনি স্কুল ড্রেস নিয়ে আসো..তোমাকে রেডি করে দিই..
.
:-বাবা আমি স্কুল যাবনা।আজ স্কুলে যেতে ইচ্ছে করছেনা..
.
:-তাহলে কোথাই যেতে ইচ্ছে করছে?
.
:-আজকে তোমার সাথে অফিসে যেতে ইচ্ছে করছে..
.
:-আচ্ছা..চলো
.
:-উম্মাআআআ
অতঃপর মিথিকে রেডি করে অফিসে নিয়ে গেলাম।ওহ বলাই হয়নি অফিসটা আমার নিজেরই..আমি মিথিকে আমার রুমের সোফাতে বসিয়ে দিলাম।ও মোবাইল নিয়ে গেইম খেলতে লাগলো..
বিকালে অফিস শেষে বাড়ি ফেরার জন্য মিথিকে নিয়ে বের হলাম..
.
:-ওহ শিট বাবাই আমিতো ভুলেই গেছি
.
:-কি ভুলে গেছো মামনি?
.
:-আজ এক আন্টির সাথে তোমার দেখা করানোর কথা ছিলো..এক্ষুনি চলো নদীর পাড়ে
.
:-এক্ষুনি যেতে হবে?
.
:-হ্যা
.
:-আচ্ছা চলো তবে..
মিথিকে নিয়ে সোজা নদীর পাড়ে চলে আসলাম..এখানে অনেক বাতাস।অনেক মানুষ এসে বসে আছে..মিথি আমার হাত ধরে একটা মেয়ের কাছে নিয়ে আসলো।দেখে যতদুর মনে হচ্ছে ২০-২২ বছর বয়স হবে..দেখতেও মোটমুটি সুন্দর..
.
:-সরি আন্টি একটু দেরি হয়ে গেলো..
.
:-ঠিক আছে পিচ্চু..
.
:-আন্টি এই যে আমার বাবাই(আমাকে দেখিয়ে)..আর বাবাই আন্টি হলো মিতুর(মিথির বান্ধবী) দিদি।বাবাই আন্টিকে নাম বলো..
.
:-হাই আমি চয়ন..
.
:-হাই আমি সেতু।মিথির কাছে আপনার অনেক কথা শুনেছি।তাই আপনাকে দেখার ইচ্ছা ছিলো..এজন্যই মিথিকে বলেছিলাম আপনার সাথে মিট করাতে
.
:-ওহ..
টুকটাক কিছু কথা বলার পর আমি মিথিকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসলাম..তারপর ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে এসে শুলাম।মিথি এসে আমার বুকে মাথা দিয়ে শুড়ে পড়লো..
:-মামনি তুমি সেতু আন্টির কাছে আমার নামে কি বলেছো?
.
:-এই যে তুমি আমাকে কত আদর করো..কত সুন্দর রান্না করে খাওয়াও..
.
:-তাই?তুমি আন্টিকে কিভাবে চিনো?
.
:-আন্টি প্রতিদিন মিতু স্কুল থেকে নিয়ে যাই..আর আমাকে বাড়িতে পৌছে দেয়..আর জানো বাবাই আন্টি প্রতিদিন আমার টিফিন থেকে খাবার শেয়ার করে..
.
:-আচ্ছা অনেক গল্প করলাম..মামনি এখন ঘুমাও।শুভরাত্রি
.
:-শুভরাত্রি বাবাই
অতঃপর বাবা মেয়ে দুজনে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম..
প্রতিদিন নিয়মমাফিক রুটিন চলতেই থাকলো।তবে একটা বিষয় যোগ হয়েছে।সেটা হলো মিথি মাঝে মাঝে আমাকে নদীর পাড়ে নিয়ে যাই সেতুর সাথে কথা বলার জন্য...
মিথি কেনো এমন করে সেটা জানিনা..জিজ্ঞাস করলেও কিছু বলেনা..
ইদানিং সেতু আমাকে তুমি করে বলছে..আবার গাড়ে পড়ে কথা বলছে..বিষয়টা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছিলো না..তাই আজ আর নদীর পাড়ে যাইনি সোজা বাসাতে চলে এসেছি..
পরেরদিন সকালে সবেমাত্র ফ্রেশ হয়ে এসেছি তখন কলিংবেল বেজে উঠলো..দরজার দিকে এগোচ্ছি আর ভাবছি এত সকাল সকাল কে আসতে পারে?
দরজা খুলেই দেখি সেতু দাড়িয়ে আছে..
.
:-কি ব্যাপার এত সকলে?
.
:-কাল নদীর পাড়ে যাওনি কেনো?
.
:-এইটা জানার জন্য এত সকাল এখানে এসেছো?
.
:-জ্বি না।আমি আমার পিচ্চুটাকে দেখতে এসেছি।পিচ্চুটা কোথাই?
.
:-ঘুমাচ্ছে..
.
:-দরজার সামনে থেকে সরো..আমি পিচ্চুটার কাছে যাবো..
.
:-আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।আমি তোমাকে ভেতরে ঢুকতে দিতে পারবনা..
.
:-কেনো?
.
:-কারন আমি একা একটা ছেলে থাকি।আর তুমি একজন অবিবাহিত মেয়ে।এত সকালে যদি তোমাকে যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে..তোমাকে কলঙ্ক দেবে আর আমারো সামস্যা হবে..
.
:-আমাকে কলঙ্গ দিলেও সমস্যা নাই..সামনে থেকে সরো..
.
:-দুঃখিত তোমার সমস্যা না থাকলেও আমার আছে..
.
:-দুর রাখো তোমার সমস্যা..
বলেই সেতু আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো...
.
To Be Continue.........
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com