Breaking News

রোমান্টিক অত্যাচারঃ ২ | পর্বঃ ৩ | লেখিকাঃ Israt Jahan

আলিশাঃ আশফি তুমি এতো টেনশন নিচ্ছো কেনো? বাসার ভেতোরেই আছে কোথাও হয়তো
আশফিঃবাসার ভেতোরে থাকলে আমি এতোবার ডাকছি তাহলে সাড়া দিচ্ছেনা কেনো?ও নিশ্চই বাইরে কোথাও গেছে।
সার্ভেন্ট মেইন গেটের গার্ডগুলোকে ডাকো।
সার্ভেন্টঃ ওকে স্যার।
গার্ডঃইয়েস স্যার।
আশফিঃ ম্যাম কখন বেরিয়েছে?কথা বলছোনা কেনো?কি হলো চুপ করে আছো কেনো? ম্যাম কি তোমাদের কথা বলতে নিষেধ করে গেছে?
গার্ডঃ নো স্যার।
আশফিঃতাহলে?উত্তর দিচ্ছোনা কেনো?আমি তোমাদের কি বলেছিলাম যে ও যদি কখনো কোথাও একা বের হতে চাই তাহলে তোমরা বেরোতে দিবেনা। তোমরা আটকাওনি কেনো ওকে?আনসার মি ড্যামিড।
গার্ডঃস্যার আমি চেষ্টা করেছিলাম আটকানোর। কিন্তু ম্যাম আমাদের কোনো কথা শুনেনি।
আশফিঃ ভেরি ফাইন।তাহলে তোমাদের আমার কাজে রেখে কি হবে?আটকাতে যখন পারোনি তখন তোমাদের ও এখানে থাকার প্রয়োজন নেই।যাও এখান থেকে। গেট লস্ট।গার্ডগুলোকে যখন তাড়িয়ে দিচ্ছিলাম তখন মাহি চলে এসেছে। ও আমার চোখ মুখ দেখে বুঝতে পেরেছে যে আমি কতটা ক্ষেপে আছি ওর উপর।
মাহিঃ হ্যালো গাইস।
actually আমি....
আশফিঃতোমার কাছে কেউ কোনো কৈফিয়ত চাইনি।আলিশা মিট মাই ওয়াইফ মাহি।
আলিশাঃআরে তোমাকে নাম ধরে চেনাতে হবেনা। আমি তো ওকে দেখেই চিনতে পেরেছি।How are you ashfi's queen?
মাহিঃঅবশ্যই অনেক ভালো তোমাকে দেখার পর আরো অনেক বেশি ভালো হয়ে গেছি।প্লিজ কাম একটা জাপ্পি হয়ে যাক।
আলিশাঃওহ শিওর। তো উডবি মাদার এই অবস্থায় কোথায় গিয়েছিলে শুনি? আশফির কলিজাটা তো মনে হয় টেনশনে শুকিয়ে যাচ্ছিলো।
মাহিঃ তোমার জন্য একটা গিফট আনতে গেছিলাম।
তুমি আজ আমাদের এখানে প্রথম এসেছো তোমাকে কিছু না দিয়ে বরণ করি কিভাবে?
আলিশাঃদেখেছো আশফি তোমার থেকেও অনেক বেশি যত্নবান ও।কি সুন্দর আমার জন্য একটা গিফট কিনে নিয়েসেছে।
মাহিঃ আরে আগে খুলে তো দেখো। তারপর বলো সুন্দর হয়েছে নাকি।
আলিশাঃ তুমি আমাকে যাই দাও সেটা আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর হবে।তুমি যে আমার জন্য এনেছো সেটাই অনেক বেশি।
আশফিঃআচ্ছা আলিশা তুমি আগে একটু রেস্ট নাও অনেক ক্লান্ত তুমি বিশ্রাম প্রয়োজন তোমার।তারপর একসাথে আড্ডা দেওয়া যাবে।
আলিশাঃ ওকে ডিয়ার। মাহি তুমি ও রেস্ট নাও ডার্লিং।
মাহিঃ হুম।সার্ভেন্টের দেখানো রুমে আলিশা চলে গেলে। এদিকে আশফির ভাবমূর্তি এখন কি হবে সেটাই ভাবছি।আমি তো ভেবেছিলাম ওরা আসার আগেই আমি চলে আসতে পারবো।কিন্তু এতো দেরি হয়ে যাবে কে জানে। আশফি আমার সাথে কোনো কথা বলছেনা।
আমার তো এখন ওর সামনে দাড়িয়ে থাকতেই ভয় করছে।ও শার্ট টা খুলে টি শার্ট টা পড়তে যাবে তখন আমি ওকে পেছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।
আশফিঃ মাহি আমাকে ছাড়ো।
মাহিঃ না।ছাড়বো না। আগে আদর করো আমাকে।
আশফিঃ মাহি আমাকে কনভেন্স করার চেষ্টা করোনা।তাতে ফল কিন্তু আরো বিপরীত হবে। আমাকে একা ছেড়ে দাও।
মাহিঃ আমি জানি তুমি অভিমান করে আছো।আর আমিই তোমার অভিমান ভাঙ্গাবো।একা থাকতে দিবোনা। কথাগুলো বলে আমি ওর পিঠে চুমু দিচ্ছিলাম।তখন ও আমার হাত ধরে পেছন থেকে সামনে এনে আমার দুইবাহু চেপে ধরলো।আমি তো ভয়ে ওর চোখের দিকে তাকাতে পারছিনা।
আশফিঃ How dare you?
তুমি কি মনে করেছো তোমাকে আমি খুব বেশি ভালোবাসি বলে তোমাকে যা খুশি করার স্বাধীনতা দিবো?তুমি কি কারণে আমার কথা অমান্য করলে?তুমি কি আমার খারাপ রূপ টা দেখতে চাও? তুমি কি ভুলে গেছো যে তুমি এখন একা নও তোমার মাঝে এখন আরো একজন বড় হচ্ছে আর সে তোমার আমার ভালোবাসার প্রথম ফসল।তোমার অসাবধানতার কারণে ওর যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায়?তখন পারবে তুমি আমার সামনে মুখ দেখাতে? বলো, চুপ করে আছো কেনো?তোমাকে আমি বলিনি তোমার এই অবস্থায় কখন কিভাবে থাকা উচিত?তাহলে তুমি কোন সাহসে বাইরে গিয়েছিলে তাও আবার নিজে ড্রাইভ করে? আমি ওকে ধরে এতো বকাছকা করছি আর ও আমার দিকে কেমন ভয়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চোখদুটোতে পানি চলে এসেছে ওর।বুঝতে পারলাম এই মুহূর্তে অনেক প্রেসার যাচ্ছে ওর উপর দিয়ে।তাই মেজাজ নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে ওর হাত ছেড়ে দিলাম। যথেষ্ট বকা হয়েছে ওকে। এর থেকে বেশি বলা ঠিক হবেনা। ওর হাত ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসতে গেলাম তখন পেছন থেকে ওর কয়েকটা কথা শুনে থেমে গেলাম।
মাহিঃআশফি আমি তোমার এই রূপটা দেখতে খুব ভয় পাই।
আশফিঃ ওর কথা গুলো শুনে ওর কাছে এগিয়ে ওর চোখের দিকে তাকালাম। আসলেই ওর চোখদুটোতে অনেক ভয় কাজ করছে। কথাগুলো বলেই ও চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে।চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ওর। আমি ওকে জড়িয়ে ধরার আগেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে মাথা রাখলো। মাহিঃ তুমি যখন খুব রেগে যাও তখন আমি এতোটাই ভয় পাই যতোটা বিয়ের প্রথমে তোমাকে ভয় পেতাম।তখন তোমার ভয়ে আমার মাঝে যে ফিলিংটা কাজ করতো এখনও ঠিক সেই ফিলিংটা কাজ করে যখন তুমি খুব বেশি রেগে যাও।
আশফিঃ আমি বুঝেছি ও কেনো এতোটা ভয় পেয়ে যায় যখন আমি রেগে যাই। কারণ আমি যখন ওর চোখের সামনে নির্দয়ালুভাবে একের পর এক খুন করেছি তখন আমার চোখে মুখে হিংস্রতা ভেসে উঠতো।আর আমার সেই হিংস্ররূপ ও নিজের চোখে দেখেছে।আর এখনো আমি রেগে গেলে সেই ভয়ানক রূপ ফুটে উঠে আর সেটা দেখেই ও এতো ভয়।
মাহি আমি চাইনা তুমি আমার এই ভয়ানক রাগি রূপটা দেখো।কারণ সবসময় রাগ নিজের আয়ত্তে রাখা সম্ভব নয়। আর আমি তোমাকে আর আমাদের বেবিকে নিয়ে খুবই কেয়ারফুল।সেখানে তুমি যদি কেয়ারলেসের মত কাজ করো যেটাতে তোমার আর আমাদের বেবিটার ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে তাহলে সেখানে তো আমার রাগ হওয়ার ই কথা।তুমি তো জানোই অনেক ভালোবাসার আর কাছের মানুষকে হারানোর কষ্টগুলো কতোটা কঠিন সেটা আমি বারবার অনুভব করতে চাইরা।আল্লাহ না করুক তোমার যদি এমন কোনো ক্ষতি হয়ে যায় তখন কি আমি বেঁচে থাকতে পারবো বলো?সেটা কি আমার পক্ষে সম্ভব?
মাহিঃ আশফি আমি জানি সেটা তোমার পক্ষে কেনো আমার পক্ষে ও সম্ভব নয়। কিন্তু মৃত্যু তো অনিবার্য। আজ না হয় কাল মরতে তো হবেই।তাই আমাদের উচিত এই কাছের মানুষকে হারানোর ভয় না পেয়ে মৃত্যু কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া।
আশফিঃ মাহি স্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নেওয়া সম্ভব।কিন্তু যাকে হারানোর কথা ছিলোনা সে যদি অস্বাভাবিক ভাবে আমার থেকে হারিয়ে যায় তাহলে সেটা আমি কিভাবে মেনে নিতে পারবো?এই পৃথিবীতে এক আল্লাহ ছাড়া আমাদের কেউ নেই।তাই তোমার সবকিছু আমাকেই খেয়াল করতে হবে আর আমার সবকিছু তোমাকেই খেয়াল করতে হবে।যতদিন পর্যন্ত ও এই পৃথিবীতে সুস্থভাবে না আসছে ততদিন তোমাকে অনেক ধৈর্যসহকারে খুবই সাবধানে থাকতে হবে।আমাদের দুজনের বেঁচে থাকার উৎস এখন শুধু আমরা দুজনই নই যে আসবে এখন সে ও আমাদের দুজনের বেঁচে থাকার উৎস হবে।
মাহিঃ চেষ্টা করবো ওর সবথেকে ভালো খেয়াল রাখার।
আশফিঃশুধু চেষ্টা করলেই হবেনা।তোমাকে পারতেই হবে। কারণ একজন মা তার সন্তানের ভালোর জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা পারেনা। Ok অনেক জ্ঞান নিয়েছো এখন তোমার গোসল করার সময় হয়ে গেছে।বাইরের জামা কাপড় ছেড়ে আসো যাও।আমি আসছি তারপর তুমি বাথরুমে যাবে।
মাহিঃমানে কি? তুমি এভাবে বাচ্চাদের মত করে টেক কেয়ার করো কেনো? আমি কি নিজে গোসল করতে পারবো না নাকি তোমার বাচ্চা ক্যারি করছি বলে একা গোসল করার স্বাধীনতা ও আমার নেই?
আশফিঃযেটা মনে করো। তোমাকে এই সময়গুলোতে এখন কোনোকিছুতেই ভরসা করতে পারছিনা।
তুমি চেন্জ হও আমি দেখে আসি আলিশা কি করছে?
মাহিঃ হুম যাও। আমি যখন চেন্জ হচ্ছিলাম তখন আমার পেটের দিকে নজর গেলো।কয়েকমাস আগের কথা মনে পড়ে গেলো........
মাহিঃ আশফি তুমি কি করছো বলো তো?সবসময় এতো দুষ্টুমি কেনো করো? ছাড়ো তো আমাকে।আমি কি সারাদিনই তোমার আদর নেওয়ার জন্য বসে থাকবো আর কোনো কাজ নেই?
আশফিঃওহ নিজের ইচ্ছাই আদর করি তো তাই দাম দিতে ইচ্ছা করেনা।
কিছুদিন পর যখন এইখানে(পেটে)আমারই অংশবিশেষ অবস্থান করবে আর তারপর যখন তোমার আমার মাঝে শুয়ে তোমার জায়গা দখল করে আমাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকবে তখন তো হাত পা ছুড়ে কাঁদলেও তো আমার আদর পাবেনা মানে দিতে পারবেনা।তাই যা নেওয়ার এখন সব নিয়ে নাও।
মাহিঃ এ্যাহ্ বললেই হলো। আমার বেবি কি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোবেনা?
আর ও তো মাঝে ঘুমোবেনা।মাঝে আমি থাকবো।আমি ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোবো আর তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোবে।
আশফিঃআচ্ছা?কিন্তু ওর সামনে তুমি আমার আদর নিবে কিভাবে?
মাহিঃ উমমমমমম...... তা তো জানিনা।
আশফিঃ এর জন্যই তো বলছি এখন যতপারো আমার কাছে থাকো।না হলে পরে আর সুযোগ পাবেনা।
মাহিঃহুহ।
আশফিঃহুহ কি? শুধু তো পারো মুখ ভেংচি দেওয়া।
মাহিঃ কেনো আর কিছু পারিনা?
আশফিঃহুম পারো তো।
আর পারো খালি আমার মুখে শরীরে দাগ বানিয়ে দেওয়া।
মাহিঃ কি?
আশফিঃ তো কি। যখনই আদর করতে আসো তখনই তার কিছু চিহ্ন রেখেই যাও।
মাহিঃ যাবোই তো।আমি যে তোমাকে আদর করেছি তার চিহ্ন রাখতে হবেনা?
আশফিঃ তাই বলে মুখে? শরীরে থাকলে সেটা ঢেকে রাখা যায়।কিন্তু মুখে থাকলে কিভাবে ঢাকা যায়? তোমার জন্য অফিসে একদিন কতোটা লজ্জাকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিলো আমায় জানো? কানের নিচে লাল দাগ দেখে সবাই মুখচিপে হাসছিলো।
মাহিঃহা হা হা। তারপর?
আশফিঃ তারপর আর কি আমার সেক্রেটারি আমাকে বললো। তখন তো আর জেনে ও কিছু করার নেই।
মাহিঃহিহিহিহি।বেশ হয়েছিলো।
আশফিঃহিহিহিহি বেশ হয়েছিলো তাইনা?তাহলে আমিও তোমার মুখে এখন দাগ বানিয়ে দিই?এসো আমার কাছে এসো।
মাহিঃ এই খবরদার একদম এটা করবেনা তাহলে আমি বাইরে সবার সামনে যাবো কি করে?
আশফিঃ এখন কেনো?তাহলে আমার কেমন লেগেছিলো সেটা বুঝো।আমি তো আজকে তোমার গালে দাগ করেই ছাড়বো।
মাহিঃ আশফি না প্লিজ একদম না।আশফি......
এসব ভাবছি আর হাসছি কখন যে রুমে আশফি চলে এসেছে আমি বুঝতে পারিনি।ও আমার পেটের উপর হাত রেখে পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার মাথার একপাশে চুমু দিলো।
আশফিঃ কি ভাবছো?আর এভাবে একা একা হাসছো কেনো?
মাহিঃ ভাবছিলাম আমার দুষ্টু মিষ্টি বরটার কথা আর আমাদের বেবিটার কথা।
আশফিঃআচ্ছা? কি ভাবছিলে? ও আমার মত দেখতে হবে নাকি এটা? এ বিষয় নিয়ে তুমি একদম নিশ্চিত থাকতে পারো যে ও ওর দাদিমায়ের মত দেখতে হবে।
মাহিঃ মানে জাপানিজদের মত?
আশফিঃ হ্যা।আরে আমিও তো ছোটোবেলাই সেরকমই দেখতে ছিলাম ছবিতে দেখোনি?তারপর বড় হয়ে যাওয়ার পর বাবার মত আরকি বাঙ্গালিদের মত আমার লুকটা হয়ে গেছে।অবশ্য সেটা পুরোপুরি না।
মাহিঃ হুম।তোমাকে তো এখনো অনেকটা জাপানিজদের মত দেখতে লাগে।
আশফিঃ হ্যা।তাই আমার বেবিটাও আমাদের মতই দেখতে হবে।বাচ্চারা বেশিরভাগ বাবার পরিবারের মত দেখতে হয়।
মাহিঃ তোমার মত দেখতে হলে তো অনেক সুন্দর হবে। কারণ আমার আশফি বাঙ্গালি আর জাপানাজ দুই জাতির মিশ্রণে দেখতে হয়েছে বলে এতো সুন্দর।
আশফিঃআচ্ছা বুঝলাম।এখন চলুন গোসলে যেতে হবে।
মাহিঃ আশফি প্লিজ আমি একা যাইনা?
আশফিঃ কেনো আমি থাকলে কি সমস্যা?
মাহিঃ আমার কেমন যেনো লজ্জা লাগে।
আশফিঃএটা একটু বেশিই বললেনা তুমি?তুমি এখনো আমার সামনে লজ্জা পাও সেটা তুমি বলবে আর আমি বিশ্বাস করবো?
মাহিঃ সত্যি বলছি।কিছু কিছু সময় সত্যি অনেক লজ্জা করে।
আশফিঃতাই নাকি?
তাহলে চলুন নতুন করে আজকে আপনার লজ্জা ভাঙ্গাই তাও আবার বাথরুমে নিয়ে গিয়ে।ওকে কোলে তুলে বাথরুমে নিয়ে দরজা আটকে দিলাম। তারপর........।
মাহিঃ আশফি না। তুমি এটা কি করলে?ছিঃ।
লজ্জাতে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললাম।ও আমার......
চলবে.....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com