Breaking News

রোমান্টিক অত্যাচারঃ | পর্বঃ ৫ | লেখিকাঃ Israt Jahan

আলিশাঃআরে আস্তে।
এক্ষণি তো পড়ে যেতে। এতো দ্রুত হাঁটছিলে কেনো?
আশফিঃ মাহি? তুমি ঠিক আছো? দেখি
কোথাও লাগেনি তো?
মাহিঃ আরে ঠিক আছি আমি। সমস্যা নেই।এতো ব্যাস্ত হতে হবেনা।
আশফিঃ তোমার তো কোনো কিছুতেই সমস্যা নেই।সব সমস্যা তো আমার। তুমি কি কারণে এতো কেয়ারলেস বলো তো। তোমাকে আমি কতবার বলেছি যে একটু সাবধানে চলাফেরা করবে। তুমি তো দেখছি কোনো কথায় শুনছোনা আমার। সমস্যা কি তোমার?
আলিশাঃআচ্ছা ঠিক আছে। এতো বকছো কেনো? ও খেয়াল করেনি। ও যতুটুকু ব্যাথা না পেয়েছে তোমার বকুনি খেয়ে তার থেকে বেশি ব্যাথা পাচ্ছে বেচারি। সবসময় এতো কেয়ারফুলি থাকা যায় না।
আশফিঃকেনো থাকা যাবে না?আমি তো দেখছি ও সবকিছুতেই কেয়ারলেস। এখনো এতো কেয়ারলেস কি করে হয় ও?
-আমার কথাগুলো শুনে আমার দিকে চোখ বড়বড় করে একবার তাকিয়ে রাগ করে ভেতোরে চলে গেলো। এই মেয়েটা দেখছি যতটা বোকা ততোটাই অবুঝ।
মাহিঃ আমার সাথে এতো বড় মিথ্যাচার করে এখন আবার আমাকেই মেজাজ দেখাচ্ছে।ধার ধারিনা তোমার মেজাজের। হুহ।
আশফিঃ সত্যিই ধার ধারোনা?
মাহিঃতুমি আমার রুমে আসবেনা। তোমার সাথে কোনো কথা বলবোনা আমি।
আশফিঃপ্রথম তো এটা আমারও রুম।আর দ্বিতীয়ত আপনি কথা না বললেও আমি কথা বলবো। ও রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। আমি দ্রুত গিয়ে দরজা টা আটকে দিলাম।বেশি আদর দেখানোর কারণে এই অবস্থা। এখন থেকে বেশি রাগ দেখালে তাহলে মেয়েটা কথা শুনবে।তাই আপাতত এখন মেজাজের ওপরেই রাখতে হবে ওকে। যাতে আমার সব কথা শুনে চলে।
-কোথায় যাচ্ছো? এক পা ও ঘরের বাইরে রাখবেনা।
মাহিঃ কি? আমি কি ঘরবন্দি হয়ে থাকবো নাকি।আমার যখন ইচ্ছা হবে আমি তখনই বাইরে যাবো। সরে দাড়াও।
-ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে যেতে গেছি তখন ও আমার হাত ধরলো।
আশফিঃ এই মেয়ে তোমাকে একবার বলেছিনা যে ঘরের বাইরে পা রাখবে না।দ্বিতীয়বার আর বলবোনা যাও বিছানায় গিয়ে বসো। এতো বড় সাহস আমার কথা অমান্য করো?
-আমার দিকে অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর বিছানায় গিয়ে বসে পড়লো। অবাক তো হয়েছেই আবার কষ্ট ও পেয়েছে একটু।
মাহিঃ রাক্ষস একটা। দিন দিন ওর ব্যবহারটা শুধু রুড ই হচ্ছে।
আশফিঃ ওদিকে সরে বসো।
মাহিঃ পারবোনা।
আশফিঃ সরে বসবেনা আমি জানি।তাই কোলে তুলে ওকে বিছানার মাঝে বসিয়ে দিলাম।
মাহিঃএই কি করছো।ছাড়ো আমাকে। এভাবে কোলে তোলার মানে কি?এতো রোমান্স আসে কোথা থেকে হ্যা?
আশফিঃওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়েছি।
-কোথা থেকে আসে জানোনা?তোমাকে তো সরে বসতে বলেছিলাম তুমি তো সরলেনা তাই আমাকেই সরানোর দায়িত্ব নিতে হলো। এই একদম উঠবেনা।আমার মাথা যদি বিছানায় রাখো তাহলে আজকে তোমার কপালে দুঃখ আছে।
মাহিঃএটা কি হচ্ছে হ্যা? কি পেয়েছো তুমি আমাকে? যখন খুশি তখন যা খুশি তাই করবে আমার সাথে? এতো বড় মিথ্যা বলে এসেছো এতোদিন আমার সাথে এতোদিন।এখন সোহাগ দেখানো হচ্ছে তাইনা?
আশফিঃওহহ মেয়েটা আমার মাথা শেষ করে দিলো।আমি ওর কোলের উপর মাথা তুলে উঠে বসলাম।
-তোমার সাথে আগে এই বিষয়টা ক্লিয়ার করি। বলো কি সমস্যা? আমি না তখন তোমাকে বললাম যে আমি কাউকে কখনো আমার স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় নিজে থেকে জড়িয়ে ও ধরিনি।
মাহিঃ কি বললে স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় করোনি।অস্বাভাবিক অবস্থায় করেছো? তুমি আমার থেকে কিছু লুকোচ্ছো।সেটা তোমার কথার মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।
আশফিঃআচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে। বলেই দিচ্ছি।একটা বিষয় তোমার থেকে হাইড করেছি।
মাহিঃ কি বিষয়?বলো।
আশফিঃ একদিন ক্লাবে কিছু ফ্রেন্ডদের সাথে বসে মজা করছিলাম।সেদিন আমাদের সকলেরই ড্রিংকস করার পরিমাণটা বেশি হয়ে গেছিলো। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি কোনো হোটেলের রুমে শুয়ে আছি।
মাহিঃ রুমে মানে? আর সকাল হয়ে গেলো কিভাবে?মাঝখানের রাতটুকু কোথায় গেলো?
আশফিঃআমার কথা তো শেষ করতে দেবে। কিছুক্ষণ পর একজন মাঝ বয়সী মহিলা রুমে আসলো।আমাকে গুড মর্নিং বললো।তার উত্তরে আমি কিছু না বলে ওনাকে দেখছিলাম।আমার দিকে তাকিয়ে সে মৃদু একটা হাসি দিলো।ওনাকে দেখে তো আমার মাথায় বাজ পড়লো।তারপর তো আমি উঠে গিয়ে কিছু বলার আগেই উনি আমার ওয়ালেট আর ফোন আমার হাতে ধরিয়ে দিলো।আমি ওনাকে ঐ মুহূর্তে অনেক কিছু বলতে চাইলাম কিন্তু কিছুই যেনো বলতে পারলামনা।বিছানায় উপর বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলাম।উনি আমার…….কথাগুলো বলছিলাম এর মাঝে মাহির দিকে চোখ পড়লো।চোখে ইতিমধ্যে পানি টলমল করছে ওর।আমি ওকে কিছু বলতে যাবো ও আমাকে ধমক(কান্নার সুরে)দিয়ে থামিয়ে দিলো।
মাহিঃকোনো কথা না। যেটা বলছিলে সেটা শেষ করো।আর একটাও বাড়তি কথা না।
আশফিঃওকে ওকে।তারপর আমি তো মাথায় দিয়ে বসে ছিলাম।কারণ গতরাতের কোনোকিছুই আমার মনে পড়ছিলোনা আমি কি করে ওনার রুমে এলাম।উনি আমার পাশে বসে আমার কাঁধে হাত রেখে বললো,
– Anata no yōna monode wa arimasen(তুমি যেমন ভাবছো তেমন কিছুই নয়।আমি শুধু তোমাকে নিরাপত্তা দিয়েছি)
আশফিঃ আমি তখন ওনার কাছে জানতে চাইলাম। এটা কি সত্যি?উনি আমার গালটা টিপে দিয়ে হেসে বললো, তুমি এখন আসতে পারো।আমার বয়ফ্রেন্ড চলে আসবে।ব্যাস এটাই ছিলো আমার লাইফের একটা বিশ্রি ঘটনা।এছাড়া আর কিচ্ছু হয়নি আমার সাথে।
আমি পুরোটাই ভার্জিন আছি তুমি বিশ্বাস করো।
মাহিঃকি?এখনো ভার্জিন আছো?
আশফিঃআই মিন বিয়ের আগে তোমাকে স্পর্শ করার আগে পর্যন্ত ছিলাম। এখনো মুখটা ফুলিয়ে রাখবে? তুমি কি এখনো বিশ্বাস করতে পারছোনা??
মাহিঃকোনো কিছু গোপন করোনি তো?(কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)
আশফিঃ তুমি যদি এখন সত্যি সিঙ্গেল থাকতেনা তোমার যে কি হাল করতাম। আমি তোমাকে আমার লাইফের গোপন সত্য বলে দিলাম এরপরেও তোমার ডাউট থেকেই যাচ্ছে।এখন তোমাকে আমার কি করা উচিত???
মাহিঃ তার মানে তুমি ফার্স্ট আমাকেই কিস করেছিলে?
আশফিঃ কথাটা শুনে আমার যা পরিমাণ রাগ হলো।এতো বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার পরও বিশ্বাস করতে চাইছেনা।আমি ওর মুখের দিকে রেগে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম।তারপর ওর দুগাল চেপে ধরে ওর ঠোঁটে অনেক্ষণ চুমু দিয়ে বললাম, আপনার ঠোঁটেই ফার্স্ট করেছিলাম আর এখনো করেই যাচ্ছি। কথাগুলো বলে রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। মেয়ে মানুষের মন এতো সন্দেহ প্রবণ কেনো? সবসময় খালি মেজাজ দেখায়।আজকে উল্টোটা হবে। রাতে আমরা একত্রে ডিনার শেষ করে আমি রুমে চলে এলাম।ও তখন আলিশার সাথে বসে গল্প করছিলো। আমি লাইট অফ করে শুয়ে পড়েছি। আসলে যতটা রাগ দেখাবো এতোটা রাগ নেই আমার মাঝে। তবুও দেখাবো একটু এ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য। সবসময় খালি মেজাজ আর রাগ দেখানো তাইনা?
মাহিঃ একি এতো তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লে যে লাইট অফ করে?কাজ নেই বুঝি আজকে?
আশফিঃ( নিশ্চুপ)?
মাহিঃ আরে কি হলো কথা বলছি শুনতে পাচ্ছোনা নাকি ঘুমিয়ে পড়লে? অদ্ভুত এইতো এলো।এতো শিঘ্রই ঘুমিয়ে পড়লো?আমি আর কোনো কথা না বলে ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ওর গায়ে চাদরটা টেনে দিলাম। এটা কি হলো? আমি চাদরটা টেনে দিলাম আর ও গা থেকে সেটা ফেলে দিলো। এই তুমি ঘুমোওনি? কি হয়েছে গরম লাগছে খুব?
আশফিঃ??(নিশ্চুপ)
মাহিঃ কি ব্যাপার কথা বলছোনা কেনো?আমি এতক্ষণে কতগুলো কথা বললাম আর তুমি একটা কথার উত্তর দিচ্ছোনা? কেনো? আরে সেই তখন থেকে চুপ করে আছে কোনো কথার উত্তর দিচ্ছেনা।
আশফিঃচুপ করে আছি তাও কি বুঝতে পারছেনা আমি রেগে আছি? মাথামোটা মেয়ে একটা।
মাহিঃ এই তুমি আমার সাথে কথা বলছোনা কেনো?তুমি কি রেগে আছো আমার উপর?
আশফিঃ না তো রেগে থাকবো কেনো?(ঢং বুঝতেও পারছেনা)।
মাহিঃ কথাগুলো কিরকম যেনো শুনালো। মনে হচ্ছে কথার মাঝে রাগ রাগ ভাব। ও আচ্ছা তাহলে বিকালে আমার ঐ ব্যবহারের কারণে উনি আমার উপর গোসা করে আছেন। তাহলে তো সেটা ভাঙ্গানোর প্রয়োজন। এই শুনছো একটা জরুরি কথা ছিলো।
আশফিঃহুম।
মাহিঃ বলছি হাতুড়ি আনবো নাকি পাথর আনবো? কথাগুলো বলে আমি মুখচিপে হাসছিলাম। আমার কথার মানে ও প্রথম দিকে বুঝতে পারেনি পরে আমার দিকে তাকিয়ে আমার হাসি দেখে বুঝতে পেরেছে যে হাতুড়ি দিয়ে ওর রাগ ভাঙ্গতে চেয়েছি। তাতে জনাব যে আরো রেগে গেলেন।রেগে গিয়ে বিছানা থেকে উঠে ঘরের বাইরে চলে গেলেন।
আশফিঃ পাঁজি বদমাইশ মেয়ে বলে কিনা হাতুড়ি দিয়ে রাগ ভাঙ্গাবে?আমি বুঝি ওনার হাতুড়ি দিয়ে রাগ ভাঙ্গাতাম।আজকে যাবোনা ঘরে।দেখি কি করে থাকে। যতক্ষণ না আমাকে সেধে ডাকতে আসবে আদর করে ঘরে ডেকে নিয়ে না যাবে ততক্ষণ আমি আজ বাইরেই থাকবো।
মাহিঃ নাহ্।এভাবে হবেনা। ওনাকে জাদুসোনা লক্ষীসোনা বলে আদর করে তারপর ঘরে নিয়ে আসতে হবে।না হলে তো রাগ করে সারারাত বাইরেই বসে থাকবে।আমি উঠে ওর কাছে গেলাম।দেখলাম ফ্রিজ খুলে ড্রিংকসের বোতল বের করছে।
আশফিঃ ওর আসার শব্দ শুনে আমি ফ্রিজের কাছে গিয়ে ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে ড্রিংকসের বোতল বের করছি।আমি জানি এটা দেখলে ও এখন আমাকে আটকানোর জন্য আমার মান ভাঙ্গানোর জন্য ওর সমস্ত অনুভূতি আদর সোহাগ যা কিছু আছে সবকিছু আমার উপর এপ্লাই করবে। আর আমিও তো সেটাই চাইছি।
মাহিঃ ডিয়ার নো। তুমি এটা কি করছো?তুমি না চান্দুর বাবা হবে? তোমার তো এখন থেকে এগুলো এভোয়েড করতে হবে।তার বদলে তুমি এটা ট্রাই করছো? তুমি কি চান্দুর মেইন্টালিটির কথা একবারও চিন্তা করবেনা?
আশফিঃ হুহ কতো ভাবওয়ালা কথা বলবে এখন?চলতে থাক দেখতে অবশ্য ভালোই লাগে ওর এই এটেনশন। ওভার এ্যাটেনশন।?
মাহিঃ আমি ওর কাছে গিয়ে বোতল টা নিয়ে নেওয়ার ট্রাই করলাম কিন্তু পারলামনা।এখন তো দেখছি ওভার কেয়ার না দেখালেই হচ্ছেনা।ও বোতল আর গ্লাসটা নিয়ে সোফায় না বসে ফ্লোরে গিয়ে বসলো।গ্লাসে ড্রিংক ঢালার আগেই ঠাস করে ওর কোলের উপর গিয়ে বসে পড়লাম।আমার পেছন ওর বুকের সাথে লাগিয়ে বসে আছি।
আশফিঃ আমি কোনো কথা বলছিনা।শুধু ওর কাহিনী দেখে যাচ্ছি।দেখি আর কি কি করতে পারে। ওকে ওভার করে গ্লাসটা নেওয়া সম্ভব ছিলোনা। তাই বোতলে মুখ বাঁধিয়ে খেতে শুরু করলাম।যদিও এ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি ছিলোনা।তবুও বেশি খেলে একটু নেশা হয়েই যায়।ও আমার কোলে চেপে বসেই আছে।পেছন থেকে সামনে ঘুরে আমার বোতলটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাহিঃ উহহু আশফি এটা কি হচ্ছে বোতলটা দিচ্ছোনা কেনো?ঘরে যাবেনা?
আশফিঃনা।
মাহিঃ ঠিক হচ্ছেনা কিন্তু। আমি একা কি করে ঘুমোবো?
আশফিঃলাইট জালিয়ে ঘুমোও।
মাহিঃ আচ্ছা। তুমি কি করবে?
আশফিঃ(নিশ্চুপ)
মাহিঃ বুঝেছি।এখন আমাকে কি করতে হবে? আমি ওর কাঁধ জড়িয়ে ধরে ওকে চুমু দিতে গেলাম ও মুখটা ডানে সরিয়ে নিলো।
আবার দিতে গেলাম আবারো মুখটা বামে সরিয়ে নিলো।ওর চোখের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলাম। চোখদুটোর ভাষা বোঝার চেষ্টা করছি।অনেক আবেগ দেখতে পাচ্ছি ওর চোখে।আশফিও আমার চোখের দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে।আমিও চোখের পলক সরাচ্ছিনা বলে ও নিজেই পলক সরিয়ে নিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রইলো। বোতলে চুমুক দিতে যাবে তখন আমি ওর ঠোঁটে আমার হাত দিয়ে চেপে ধরলাম আর বোতলটা আমি নিয়ে নিলাম।তারপর আমি ওর কোলের উপর পিছু ঘুরে বসে আমার চুলগুলো ঘাড়ের উপর থেকে সরিয়ে একপাশে নিয়ে রেখেছি।আর ওর হাতদুটো আমার পেটের উপর ধরে রাখলাম।
আশফিঃ কি হয়েছে??
মাহিঃ ওর প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলামনা।আমি ওর বুকের সাথে হেলান দিয়ে ওর হাতদুটোর উপর আমার হাত রেখে একদম ওর সাথে মিশে রয়েছি।
আশফিঃ আমার হাতের উপর ওর হাতদুটো রেখে আমার বাহুডোরে নিজেকে আটকে রাখলো। আমি বুঝতে পেরেছি ও আমাকে কি বোঝাতে চেয়েছে।
মাহিঃ কি হলো? তুমি কি বুঝতে পারছোনা আমি কি চাইছি?
আশফিঃ হাসি পাচ্ছে ওর এসব কান্ডকারখানা দেখে।যদিও আমার মনের ভেতোরে ও অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে ওর কাছে যাওয়ার জন্য।আর কিছু বললামনা তাতে আবার অনুভূতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।ও চুলগুলো ঘাড়ের একপাশে সরিয়ে রেখেছে।আমি ওর ঘাড়ে আর কানে আদর করছিলাম বেশ কিছুক্ষণ।ও চোখ দুটো বন্ধ করে আছে। আমি থেমে গেলাম নিজেকে সামলে।ও তখন চোখ দুটো খুলে তাকালো আমার দিকে।ওকে কোলের উপর থেকে নামিয়ে আমি উঠে রুমে চলে যেতে লাগলাম।কিন্তু মহারাণী তো দেখি রাগ করে নিচে বসে থাকলো।আমি ভেবেছি আমি উঠে আসলে ও নিজেও উঠে চলে আসবে। আমি ওর কাছে এগিয়ে আমার হাতটা বাড়িয়ে দিলাম আমার হাত ধরে উঠার জন্য।সে রাগ করে মুখটা ঘুরিয়ে রাখলো।বুঝেছি কোলে তুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উনি এখান থেকে উঠবেন না।
চলবে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com