Breaking News

রোমান্টিক অত্যাচার | পর্বঃ ৪


মাহিঃ ও আমার……না থাক এতো কিছু বলা যাবেনা।লজ্জা লাগে।
আশফিঃ ওকে গোসল করিয়ে দিয়ে ওর চুল গুলো মুছে দিচ্ছি। 
আর ও ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে আমার দিকে তাকিয়ে মুখটা গোমড়া করে আছে। 
কি হয়েছে ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
আজকের পর তোমার আর আমার সামনে গোসল করতে লজ্জা থাকবেনা আশা করি।
মাহিঃ হুম।তুমি যা করলে তার পর থেকে লজ্জা কেনো রাগ হচ্ছে আমার।
হয়েছে তোমার চুল মোছা?তখন থেকে মুছেই যাচ্ছে মুছেই যাচ্ছে।
আশফিঃচুলটা ভালো করে মুছতে দাও।না হলে তো ঠান্ডা লেগে যাবে।
আর তুমি যেভাবে চুল মুছো তাতে তো দেখি চুলের আগা থেকে টপ টপ করে পানি পড়তেই থাকে।চুলগুলো ও তো ঠিকভাবে মুছতে জানোনা।
আলিশাঃopps sorry….
একদম ভুল হয়ে গেছে। 
আমি আসলে বুঝতে পারিনি তোমাদের দিনে দুপুরে রোমান্স চলে।
এক্ষনি বেরিয়ে যাচ্ছি।
মাহিঃ বেরিয়ে যাবে কেনো?এসোনা।
এই তুমি সরো তো।তখন থেকে ঘাড়ের কাছে দাড়িয়ে আছে।
আশফিঃ কি বললে?
আলিশাঃ হাহাহাহা।

আশফিঃ এইজন্যই না যেচে কারো ভালো করতে নেই।
মাহিঃ লাগবেনা এতো ভালো আমার।সবসময় খালি আদেশ উপদেশ।
নিজের মত করে এখন কিছু করতে ও পারিনা।
আশফিঃ করতাম না এতো আদেশ উপদেশ যদি না আমার চান্দু টা আপনার কাছে থাকতো।
একবার আমার চান্দু আমার কোলে চলে আসুক তারপর আপনার ছুটি দিয়ে দিবো। 
 তখন আপনি ভলিবল ফুটবল যা খুশি খেলে বেরিয়েন।
আলিশাঃএই আশফি এটা কেমন ধরনের কথা?ছুটি দিয়ে দিবে মানে কি?
তুমি কি ওকে ছুটি দেওয়ার জন্য বিয়ে করেছো নাকি?আর একটা কথা এই চান্দুটা কে?
মাহিঃ ওনার ছেলে?তাকে উনি চান্দু বলে ডাকবেন।
আলিশাঃচান্দু!!!এটা আবার কেমন নাম।এটা কোনো নাম হলো?
আর যদি মেয়ে হয় তাহলে কি বলে ডাকবে?
আশফিঃতোমাদের কাউকে ডাকতে হবেনা।
আমি একাই ডাকবো।আর মেয়ে হবেনা তো।আমাদের একটা ছেলেই হবে।
আলিশাঃউহুম।আমার মনে হচ্ছেনা কিন্তু।
কারণ তোমার বৌ আগের থেকেও আরো বেশি সুন্দর হয়ে গেছে।
আমার মনে হচ্ছে তোমাদের কোলে একটা স্নো হোয়াইট আসবে।
কারণ মাহি তো তোমার হোয়াইট এঞ্জেল।
তাই ওর কোলে স্নো হোয়াইটের মতই সুন্দর একটা অস্পরী আসবে।
মাহিঃWhite angel না ছাই।

আশফিঃহুম আপনার কাছে তো শুধু ছাই।তাহলে আজ থেকে আপনি আমার চুরেল বৌ।
ঠিক আছে না?
মাহিঃ ধুর।
আলিশাঃ হাহাহাহা।
আশফিঃআচ্ছা চলো lunch করে আসা যাক।
তারপর একসাথে বসে তিনজন আড্ডা দিবো।
দুপুরের খাবার শেষ করে তিনজন বসলাম একসাথে গল্প করার জন্য।
তো আলিশা এখন তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি বলো।
ওখানেই সেটেল হয়ে যাবে নাকি একদম বরাবরের মত দেশে ব্যাক করছো।
আলিশাঃযদি বলি দুটোর এক জায়গাতে ও থাকার ইচ্ছা নেই।
মাহিঃ মানে?তো কোথায় থাকার ইচ্ছা?কোনো বয়ফ্রেন্ড ঘটিত ব্যাপার আছে নাকি?
আলিশাঃঠিক বয়ফ্রেন্ড বলা চলে না আবার তার থেকে কম কিছু ও না।
আশফিঃতুমি কিন্তু রহস্য করে রাখছো বিষয়টা।
আলিশাঃকিছু কিছু বিষয় রহস্য হয়ে থাকাই ভালো।
আশফিঃতাই নাকি।ঠিক আছে তাহলে রহস্য হয়ে থাক।
মাহিঃ আমি কিন্তু রহস্য উদঘাটনে এক্সপার্ট।আলিশাঃআচ্ছা।
তাহলে তো দেখছি আমাকে খুব সাবধানে থাকতে হবে।
মাহিঃ আরে না মজা করলাম।

তো তুমি আমাদের কাছে এখোনি সবকিছু বলতে চাইছোনা তাইতো?
আলিশাঃসারপ্রাইজ দিবো বলে।
আশফিঃ ওয়াও।সারপ্রাইজ জিনিসটা আমি সত্যি খুব পছন্দ করি।
আলিশাঃ কি? নিতে পছন্দ করো?
আশফিঃ নিতে ও পছন্দ করি আর দিতেও পছন্দ করি।
মাহিঃ হুমমমম।
সারপ্রাইজে সারপ্রাইজে আমার জীবনটা মুখোরিত।
আশফিঃহাহাহা।ভাগ্য করে পেয়েছো আমাকে বুঝলে!!
আলিশাঃআশফি ঠিকই বলেছে মাহি।
অনেক ভাগ্য করেই এমন ছেলেকে বর হিসেবে পাওয়া যায়।
এই কিন্তু তোমার বরের দিকে নজর দিচ্ছিনা।
মাহিঃ নজর দিলেও সমস্যা নেই। নজর কাটিয়ে দিবো।
আলিশাঃহাহাহা।
দারুণ বলো তোমরা দুজনে।আমার না খুব দেখার ইচ্ছা কিভাবে নজর কাটা হয়।
মাহিঃ হুম।দেখাবো সমস্যা নেই।
অনেক্ষণ একসাথে বসে আড্ডা দিয়েছি।
এখন আমার অতি কেয়ারিং বর আমাকে নিয়ে বাগানে হাঁটতে বেরিয়েছে।
ছেলেটা এতো খেয়াল কিভাবে রাখে আমার বুঝিনা। আশফি?
আশফিঃবলে ফেলুন।

মাহিঃ আমি না থাকলে……না থাক কিছুনা।
কথাটা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম 
কারণ কথাটি পুরোপুরি বলার আগে ও আমার মুখের দিকে অগ্নিময় দৃষ্টিতে তাকালো।
আমি ভয়ে চুপ হয়ে আছি।
আশফিঃআমি বুঝিনা তুমি এই কয়টা বছরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুধু এই প্রশ্নটাই কেনো করো?
তোমার এইসব ব্যবহার গুলোর জন্য আমি মাঝেমাঝে বোরিং হয়ে যায়।
মাহিঃ এতো বেশি ভালোবাসো মাঝেমাঝে ভয় হয়।
কারণ সুখের সময়টা সারাজীবন থাকেনা।
আর তোমার থেকে কোনো আঘাত পেলে আমি সেদিন মরেই যাবো।
আশফিঃতোমার কেনো এমন মনে হয় যে আমি তোমাকে আঘাত দিতে পারি?
আর সুখের সময় থাকবেনা কেনো?

আমি বেঁচে থাকতে আমার সাধ্যের ভেতোর কখনোই তোমাকে কষ্ট পেতে দেবোনা।আচ্ছা
তুমি কি বিয়ের আগের ঘটনাগুলো এখনো ভাবো?
যদি তাই ভেবে এই কথাগুলো বলো তাহলে আমি বলছি সেগুলো করেছিলাম
তোমাকে অর্জন করার জন্য।আর বিয়ের পরে যে কাজগুলো করেছিলাম 
তা তোমার ভালোবাসা অর্জন করার জন্য।কিন্তু এখন আমি তোমাকে সহ তোমার ভালোবাসা অর্জন করে ফেলেছি।তাই এখন তোমাকে আঘাত দেওয়ার কোনো কথায় আসেনা।
তবে হ্যা যদি কখনো আমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করো তাহলে তো অনেক বড় সমস্যা আছে।
তোমাকে কি করবো তা আমি নিজেও জানিনা।
কারণ তোমাকে পেতে আমার অর্ধক জীবন প্রায় চলেই গেছিলো।
আর সেই তুমি এখন আমার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলে……
যাই হোক আমি জানি এই কাজটা তুমি কখনোই করবেনা।
কারণ তুমি আমাকে আমার থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসো।
আর সবথেকে বড় বিষয় আশফির জীবনে মাহি ছাড়া অন্য কোনো নারীর ছায়াও পড়বেনা কোনোদিন।বুঝেছো?
মাহিঃ হুম।

আশফিঃহুম কি?কথা বলো।
মাহিঃ কি বলবো?
আশফিঃগল্প করো আমার সাথে।
মাহিঃ তুমি বলো আমি শুনছি।
আশফিঃহ্যা আমি শুধু বলি আর আপনি শুধু শুনেন।
আচ্ছা আমি যখন কথা বলি তুমি তখন আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকো কেনো?
মনে হয় যেনো নতুন করে দেখো আমাকে।
মাহিঃ তোমার কথা বলা দেখি।
কথা বলার সময় তোমার মুখের ভঙ্গি হাত নাড়িয়ে কথা বলা এগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই।আচ্ছা আমরা কি প্রেম করতে পারি?
আশফিঃহাহাহা।প্রেম করার শখ হলো কেনো?
মাহিঃআমি তো কোনোদিন প্রেম করিনি। শুধু সবার প্রেমের গল্পই শুনেছি।
বয়ফ্রেন্ড খুব রোমান্টিক হয় রোমান্টিক রোমান্টিক কথা বলে।
ডেটে যায় অনেক গিফট দেই গার্লফ্রেন্ডদের।
আশফিঃতারপর?
মাহিঃ তারপর বিয়ের আগেই কেমন বরের মত করে টেককেয়ার করে শাসন করে।
সেগুলো তখন শুনলে মনে হতো সব মিথ্যাকথা আর সব ওদের নাটক।
কিন্তু এখন…..

আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে গিয়ে থেমে গেলাম।(লজ্জাতে)
আশফিঃকিন্তু এখন কি? কি হলো বলো?লজ্জা পাচ্ছো নাকি বলতে?
মাহিঃ হুম।
আশফিঃহাহাহা তোমার মাঝে মাঝে হঠাৎ করে এই লজ্জা পাওয়ার বিষয়টা কিন্তু আমার দারুণ লাগে।
তো কি এমন বিষয় যা আমাকে বলতে তোমার লজ্জা করছে?
এতো লজ্জা না করে বলে ফেলো।
মাহিঃ এখন মনে হয় ওরা যা বলতো সব সত্যি।সবাই এক না।
আর আমার এই ধারণাটা বদলে গেছে তোমার ভালোবাসা পেয়ে।
আশফিঃতাই?কিভাবে শুনি?
মাহিঃ এইযে তুমি বিয়ের পর থেকে আমাকে যেভাবে ভালোবাসো।
যেমন তুমি বাইরে থাকলে সবসময় আমার সাথে কথা বলো আমাকে দেখো।
ফ্রি টাইমে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হও লং ড্রাইভে যাও।
আশফিঃশুধু এইটুকুই?আর কিছু করিনা?
বাসায় থাকলে কি কি করি?
মাহিঃহুম আরো অনেক কিছু করো তো।
বাসায় থাকলে সবসময় আমার……
আশফিঃকি? বলো?বাসায় থাকলে কি?
মাহিঃ ভুলে গেছি।

আশফিঃ পাঁজি মেয়ে।ভুলে গেছো?বলো না হলে কিন্তু প্রেম করবোনা।
মাহিঃ আচ্ছা বলবো আগে আমার সাথে প্রেম করো।
প্রেম করার সময় যা যা করবে তাই তাই তোমার কাছে গল্প করবো।
বলবো আমার বয়ফ্রেন্ড+হাজবেন্ড আমার সাথে এভাবে এভাবে প্রেম করে।
আশফিঃবয়ফ্রেন্ড+হাজবেন্ড মানে?
মাহিঃশুধু বয়ফ্রেন্ডের মত করে প্রেম করলে হবেনা তো।
বয়ফ্রেন্ড+হাজবেন্ডদের মত করে প্রেম করতে হবে।
আশফিঃসেটা আবার কিভাবে?আমি তো শুধু বয়ফ্রেন্ডদের মত করেই প্রেম করেছি।
এই যাহ্ কি বলে ফেললাম।
ও তো আমার এ কথাগুলো শুনেই ৪৪০ ভোল্টে চলে গেছে মনে হয়।
ওর দিকে তাকালাম এখন ও কি রিয়্যাক্ট দিবে সেটাই ভাবছি।
মাহিঃ ছেলে মানুষ এত্তো চাপাবাজ হতে পারে জানতামনা।
ঐ তুমি বিয়ের পর আমাকে কি বলেছিলে?
আশফিঃ কি বলেছিলাম???
মাহিঃ ইয়ারকি হচ্ছে?তুমি বলেছিলে যে তুমি সারাদিন শুধু আমাকেই দেখতে।
আশফিঃতো সেটা কি মিথ্যে বলেছি।
তোমাকেই তো সারাদিন দেখতাম তোমার আইডলটাকে।
ঘুম থেকে উঠেও তোমাকে দেখতাম ঘুমোতে যাওয়ার আগেও তোমাকে দেখতাম।
মাহিঃচুপ করো ফ্রড কোথাকার।

তুমি আরো বলেছিলে আমাকে ছাড়া তুমি কোনোদিনও কোনো মেয়েকে টাচ্ করোনি।
আশফিঃহ্যা!!?এই কথাও বলেছিলাম নাকি?এটা একটু বেশিই বলেছিলাম মনে হয়।
মাহিঃ কি?তার মানে তুমি আমার আগে অন্য মেয়েদের সাথেও…….(কান্না করে দিলো)তুমি অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করেছো ওদের সাথে ডেটে গিয়েছো। 
ওদেরকে টাচ্ করেছো?তার মানে ওদের সাথে তোমার কিস?? 
এই তুমি ওদের সাথে আর কি কি করেছো বলো।
আর কি কি হয়েছে ওদের সাথে তোমার?
কতগুলোর সাথে করেছো বলোওওওও…
ওর পলো শার্টের কলার চেপে ধরে বলছিলাম।
আশফিঃনা জাদু তুমি ভুল বুঝছো আমি প্রেম করেছি কতগুলো তা ঠিক মনে নেই তবে ওদেরকে আমি কখনোই টাচ্ করিনি।
মাহিঃ আবার মিথ্যে বলছো?এক্ষনি তুমি নিজে স্বীকার করেছো তুমি ওদের টাচ্ করেছো।
আশফিঃও তাই স্বীকার করে ফেলেছি তাইনা।কি মুসিবতে পরলাম।
মাহিঃ একদম পালানোর চেষ্টা করবেনা।
তুমি ঘরে আমার আইডল রেখে বাইরে অন্য মেয়েদের ছোঁয়া নিয়েছো?
বেঈমান,বিশ্বাসঘাতক।

আশফিঃএই না তুমি কিন্তু এখন বেশি বেশিই বলছো।
উহহহ মাহি কলারটা ছাড়োনা দম আটকে আসছে আমার। 
আমি এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাইনা।আমার চান্দুকে কোলে নিতে চাই।
মাহিঃ চুপ একদম কোনো কথা বলবেনা।
আমাকে বলো ওদের সাথে তুমি কি কি করেছো?
আমাকে এভাবে তুমি ঠঁকালে???।কেনো ঠঁকালে আমাকে বলো?
আশফিঃওহ মাহি থামো বলছি। আমি ওদের সাথে তেমন কিছুই করিনি।মাহি ছাড়ো প্লিজ।
হে আল্লাহ আমাকে রক্ষা করো আমি এ কি বিপদে পড়লাম।
মেযেটা পুরো চোটে গেছে। মাহিইই…..আমার কথা শুনো।কথাটা ঝাড়ি দিয়েই বললাম ওকে।
না হলে তো আমার কলার ছাড়ছিলোনা।
মাহিঃ এতো বড় অপরাধ করে এখন আমাকেই ঝাড়ি দেওয়া হচ্ছে।
আশফিঃআমি ওর হাতদুটো আমার কাঁধের দুপাশে রেখে ওর কোমড় জড়িয়ে ধরলাম
যাতে রাগ করে ছুটে চলে না যায়। 

আচ্ছা আমি তোমাকে সব সত্যি কথা বলছি।
হ্যা আমি অন্যসব মেয়েদের সাথে প্রেম করেছি 
কিন্তু ওদের সাথে আমার রিলেশনটা বেশি ডিপলি যাইনি।
আর আমি কখনোই কোনো মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসাইনি।
ওরা নিজেরা যেচে এসেছে আর আমার ইচ্ছাতে ওরা চলে গিয়েছে। 
কিন্তু ওদের সাথে আমার কখনো অন্তরঙ্গতা হয়নি। 
আমি যাইনি।বাইরে চলাফেরা করতে গেলে অনেক সময় অনেক কিছুতে জড়িয়ে গেছি 
কিন্তু তার মানে এটা না যে আমি ওদের আমার শয্যাসঙ্গী করেছি।
বিশ্বাস করো তুমি। 
আমি সবসময় এটা ভেবে এসেছি ওদের সাথে যাই করি 
 কিন্তু আমার কাছে তোমার জায়গাটা যেখানে সেটা ওদের কখনোই দেবোনা।
আমি আমার মনের গহীনে তোমাকে রেখেছি।
যখন আমি তোমার আইডলটার সামনে থাকতাম তখন কোনো মেয়ের সাথে আমি ফোনে পর্যন্ত কথা বলতামনা।কারণ আমার মাথায় অন্য কোনো মেয়ের চিন্তাই আসতোনা। 
তোমার মুখটা দেখতে দেখতেই আমার 

সময় কেটে যেতো।
মাহিঃ তুমি সব বানিয়ে বলছো।
তুমি এখানকার মেয়েদের সাথে প্রেম করেছো 
আর তাদের সাথে তোমার কোনো টাচ্ কিস এসব কিচ্ছু হয়নি সেটা তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে বলছো?
আমার এখন চোখের সামনে ভাসছে যে তুমি ওদের সাথে……
আমার সহ্য হচ্ছেনা।মনে হচ্ছে সত্যি তোমাকে খুন করে ফেলি।
আশফিঃআমি তোমাকে কিভাবে বিশ্বাস করাবো বলো?কি করলে তুমি বিশ্বাস করবে যে ওদের সাথে আমার কিচ্ছু হয়নি।
মাহিঃ kiss ও করোনি?
আশফিঃহায় আল্লাহ(কপালে হাত রেখে)।নো ডিয়ার কিস ও হয়নি।সত্যি বলছি।তবে…. না কিছুনা।
মাহিঃ তবে কি হ্যা বলো?থেমে গেলে কেনো?
আশফিঃনা ঐ বিষয় নিয়ে ওকে তো কিছু বলাই যাবেনা। 
না হলে আজকে কেনো আগামী এক মাসের ভেতোর ওর কাছে থাকতে পারবো কিনা সন্দেহ। 
তবে হচ্ছে তোমার সন্দেহ দূর করার জন্য আমি তোমাকে এখন অনেক গুলো পাপ্পি দিবো।
ওর কোমড় টেনে আরো কাছে এনে আমার বুকের সাথে মিশিয়ে 

ওর ঠোঁটে জোড় করে পাপ্পি দিতে শুরু করেছি 
আর ও আমার মুখ সরিয়ে আমার ঠোঁট চেপে ধরে রাখলো।
তারপর যা বললো তা শুনে আমি আমার বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
মাহিঃ একদম আমাকে কিস করবেনা।
এই ঠোঁটে অন্য মেয়েদের ঠোঁটের ছোঁয়া লেগে আছে।ছাড়ো আমাকে।
আশফিঃআমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ও হনহন করে হেঁটে চলে যেতে লাগলো
আর আমি ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ওর বলা কথা গুলো ভাবছি।
এই তিন চারটা বছর ধরে যার ঠোঁটের স্পর্শ নিলাম 
সে কিনা বলে আমার ঠোঁটে অন্য মেয়েদের ঠোঁটের ছোঁয়া?
এই কারণেই মেয়ে মানুষের কাছে কিছু বিষয় সারাজীবন গোপন রেখে যেতে হয়।
কারণ এদের প্রথম রোগ হলো সন্দেহ করা আর যেটা সন্দেহ করে সেটা যদি নাও করে থাকি 
তবুও জোড় করে স্বীকার করাতে চাই যে আমি ঐটাই করেছি।
ঢের শিক্ষা হয়ে গেছে আমার। 
মাহিইইই….. ও মাই হড ওর কিছু হয়ে গেলোনা তো?আমি দৌড়ে ওর কাছে ছুটে গেলাম।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com