Breaking News

অপমানের পর ভালোবাসা | ৪র্থ পর্ব

অবনির অবস্থা খুব খারাপ বাবা তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে 
অবনির অবস্থা খুব খারাপ বাবা তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে আসো
এ কথা শোনার পর মেঘ ধপাস করে বসে পরলো
মেঘ এর বস এসে বললো কি হয়েছে মেঘ সাহেব???
মেঘ বললো স্যার অব---অবনি--
বসঃকি অবনি এর কি হয়েছে???
মেঘঃস্যার অবনি নাকি এক্সিডেন্ট করেছে???(কান্না করতে করতে))
বসঃতার শাস্তি সে পেয়েছে আপনাকে এভাবে অপমান করার শাস্তি সে পেলো...
আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কেনো
মেঘঃআমি তো তাকে শাস্তি দিতে চাইনি।।।
অবনিকে আমি অনেক ভালোবাসি।।।
আমি অবনিকে ছাড়া থাকতে পারবো না।।
আমি অর অপমান এর মধ্যে থেকে ভালোবাসা খুজে পাই স্যার আমি অবনিকে
 অনেক অনেক ভালোবাসি((( বসকে জড়িয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বললো মেঘ)))
স্যার আপনার গাড়ির ড্রাইভার কে প্লিজ একটু বলুন না আমাকে 
জেনো হাসপাতাল এ দিয়ে আসে।।।
বস বললো আচ্ছা আমি বলে দিচ্ছি,,,তুমি কোনো চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।
।।আর হ্যা অবনি যে ক দিন পুরোপুরি সুস্থ না হচ্ছে ততদিন তোমার ছুটি।।।
মেঘ বসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বস এর গাড়ি নিয়ে হাসপাতাল এ চলে গেলো।।
দেখলো অবনি এর বাবা বসে বসে কান্না করছে।।।
মেঘ ছুটে গিয়ে বললো
 
 
বাবা অবনি এর কি খবর
অবনির বাবাঃঅবস্থা ভালোনা যে কোনো সময় কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।।
মেঘ কান্না করতে করতে বললো বাবা অবনি ঠিক হয়ে যাবে তো অবনির কিছু হবে না তো
অবনি আমার সাথে থাকবে তো।।
আসলে মেঘ অবনিকে এতোটাই ভালোবেসে ফেলেছে
সব অপমান ভুলে যায় সাথে সাথে।।।
অবনির বাবাঃনিজেকে একটু সামলে নিয়ে বলল আরে বোকা ছেলে আমার কিছু হবে না অবনির তুমি কান্না থামাও কিন্তু মেঘ এর কান্না যেনো কিছুতেই থামছে না
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বললো অবনির জ্ঞান ফিরেছে তবে পা আর এক হাত ভেঙে গেছে
আর মাথায় কিছুটা আঘাত পেয়েছে।।
তবে ভয় পাবার মত কিছু হয়নী খুব তাড়াতাড়ি অবনি সুস্থ হয়ে যাবে
তখন মেঘ বললো আমরা কি এখন রোগী
এর সাথে দেখা করতে পারি।।
ডাক্তার বললো হ্যা কোনো প্রব্লেম নেই।।
আপনারা ভেতরে যেতে পারেন।।
এরপর মেঘ ও অবনির বাবা অবনির কাছে গেলো।।দেখলো অবনি ঘুমাচ্ছে
মেঘ সাথে সাথে গিয়ে অবনির পাশে বসলো
অবনির বাবা এটা দেখে একটু খুশি হলেন কারন তিনি তার মেয়ের জন্য একটা উপর্যুক্ত বর পেয়েছেন।।।
অনেক রাত হয়ে গেছে
 
 
তাই মেঘ অবনির বাবাকে বললো আপনি বাসায় চলে যান আব্বু।।
আমি অবনি এর পাশে আছি।।
কিন্তু বাবা তুমি একা সব সামলাতে পারবে তো।।
হ্যা আব্বু পারবো
আপনি চিন্তা করবেন না
আর আপনার বয়স হয়ে গেছে আপনি বাসায় চলে যান
অবনির আব্বু আর কিছু বলতে পারলো না কারন সে যানে মেঘ এর থেকে বেশি 
অবনির খেয়াল কেও রাখতে পারবে না তাই সে মেঘকে অবনির সাথে রেখে বাসায় চলে গেলেন
আর মেঘ অবনির কাছে রইলো
ভোর হতে চলেছে ঠিক তখন অবনির ঘুম ভেঙে গেলো।।
মেঘ ছিলো তার মাথার কাছে মাথা দিয়ে শুয়ে এটা দেখে অবনি রেগে গিয়ে
 চড় মারতে যাবে ঠিক তখনি হাত এ ব্যাথা অনুভব করলো
অবনির মনে পরলো সে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে ছিলো
সে রাগ করে অনে দূত গারি ড্রাইভ করছিলো ঠিক তখনি সে গাড়ি এর নিয়ন্ত্রণ 
হায়ার তারপর আর কিছু মনে নাই
অবনি অবাক হলো যে মেঘকে সে অপমান করে এসেছিলো সে সারা রাত তাহলে 
তার পাশে বসে ছিলো।।।
এই ভেবে অবনি মেঘকে ডাক দিলো না হয়তো সারা রাত জেগেছে ঘুমাচ্ছে ঘুমোক
কিছুক্ষন পর মেঘ উঠে দেখে যে অবনি জেগে গেছে
তাই মেঘ হুরমুর করে উঠে অবনিকে জিজ্ঞাস করলো এখন কেমন লাগছে
অবনিঃভালো,,তা তুমি কি সারা রাত ছিলে আব্বু কই???
 
 
আসলে আব্বুর বয়স হয়ে গেছে তাই তার রাত জাগা ঠিক হতো না
তাই আমি তাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ছি।।
অবনিঃঅহহহ কিছু খেয়েছিলে কাল রাত এ???
মেঘ অবনি কাছ থেকে এই রকম কথা আশা করেনী
মেঘ অনেক খুশি হলো অবনি এর কাছ থেকে এই রকম কথা শুনে তাই মেঘ বললো আসলে তোমার এই রকম অবস্থায়
আমি খাওয়ার কথা ভুলেই গেছিলাম।।।
অবনি বললো আমাকে ফুচকা খাওয়াবে আমার না খেতে খুব ইচ্চা করছে
মেঘ বললো এখন তো অনেক সকাল আর এতো সকালে ফুচকা পাবো কোথায়???
একটু বেলা বারুক আমক ফুচকা নিয়ে আসবো।।।
মেঘ বললো তুমিও তো কাল রাত থেকে কিছু খাওনি ক্ষিদে পেয়েছে।।।
অবনিঃহ্যা
মেঘ আচ্ছা আমি হালকা কিছু নিয়ে আসছি।।
তারপর মেঘ হাসপাতাল এর বাহিরে এসে কিছু রুটি আর কলা কিনে অবনি এর কাছে গেলো
বললো এই নাও খাও।।
 
 
অবনি বললো কিভাবে খাবো আমার হাত তো বাধা।।।
মেঘ তখন নিজের হাত এ অবনিকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
যদিও অবনি এর অসহ্য লাগছিলো কিন্তু তাও পেটের ক্ষিদে মিটাতে হবে
এই জন্য কিছু বলে না
কিছুদিন পর অবনিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হলো।।।
অবনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়
সে হাটতে পারে না কারন তার পা ভেঙে গেছে।।।
আর নিজের হাত এ খেতেও পারে না।।
মেঘ প্রতিদিন অবনিকে নিজের হাত এ খায়ছে দেয় প্রথম প্রথম অবনি এর অসহ্য লাগলে
আস্তেআস্তে তা অভ্যাস এ পরিণত হয়েছে।।
আর মেঘের অনেক ভালো লাগে তার প্রিয় মানুষকে নিহের হাতে খাওয়াতে পারে বলে
অবনি এখন মেঘ এর সাথে তেমন খারাপ ব্যাবহার করে না।।।
কিন্তু অবনি এর কাছে যাবারা অনুমতি এখনো পায়নি মেঘ।।।
মানে এখনো অবনি মেঘকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারে নাই।।।
অনেক দিন হলো অবনি বাসায় থেকে থেকে বোরিং হচ্ছে সেটা মেঘ বুঝতে পারছে তাই মেঘ বললো
বাহিরে যাবে চলো একটু ঘুরে আসি।।
অবনি প্রথমে মেঘ এর সাথে যাবার জন্য রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে যায়।।
তারপর তারা ঘুরতে বের হয়।।
অবনি এখন একটু একটু হাটতে পারে তবে সেটা অন্য কারো সাহায্য নিয়ে
অবনি হাটতে পারছে না বলে মেঘ বললো কি কোনো সমস্যা???
অবনিঃহ্যা না মানে কষ্ট হচ্ছে হাটতে।।
মেঘঃকি বলো আমাকে আগে বলবে তো
এই বলে মেঘ অবনিকে কোলে তুলে নিলো।।
 
 
অবনির তো ইচ্চা করছিলো মেঘকে
কষে একটা চড় মারবে।।
কিন্তু না ছেলেটা অনেক করেছে তাকে পাবলিক প্লেস এ মারা ঠিক হবে না বাসায় গিয়ে এর প্রতিশোধ নিতে হবে।।
তারা অনেক যায়গা ঘুরে বেড়ালো
রাত করে মেঘ আর অবনি বাসায় ফিরলো।।
ফেরার পথে অবনি বললো ফুচকা নিয়ে চলো আমি বাসায় গিয়ে ফুচকা খাবো।।
মেঘ ফুচকা কিনে নিয়ে বাসায় চললো
বাসায় গিয়ে তারা যেই তাদের রুম এ প্রবেশ করেছে অবনি মেঘকে ঠাটিয়ে একটা চড় বসিয়ে দিলো
আর বললো এর তোমার সাহস হয় ক করে আমাকে কোলে নেবার???
মেঘঃতোমার হাটতে কষ্ট হচ্ছিলো তাই তো নিয়েছে আমি দোষ এর কি করেছি।।।
আবার একটা চড় মেরে বললো তোমাকে কে কি কেও আদিক্ষেতা দেখাতে বলেছে নাকি।।
জানো আমার কত লজ্জা করছিলো।।
মেঘ বললো লজ্জা পাবার কি আছে জামাই তো কোলে নিয়েছলো
মেঘ এর কথা শুনে অবনি হেসে দিলো
আর বললো আচ্ছা তোমাকে এত চড় দেই তাও তুমি এমন কেনো করো
মেঘঃতোমাকে আমি ভালোবাসি
আর তোমার সব কিছুকেই আমি ভালোবাসি।।
আগে ভালোবাসার কথা শুনলে অবনি রেগে আগুন হয়ে যেতো।।
কিন্তু এখন আর রাগ করে না
হেসে বললো যাও ফ্রেশ হয়ে আসো
 
 
খাবো চলো ফ্রেশ হয়ে দুজনই খেতে গেলো এখন অবনি নিজের হাতে খায় না মেঘ তাকে খাইয়ে দেয়।।
এভাবে চললো কিছুদিন
এখন তারা প্রায়ই ঘুরতে বের হয় অবনি যেহেতু ভালো করে হাটতে পারে না
তাই মেঘ এর কাধে ভর দিয়ে অবনি হাটে
এই সব রাস্তার মানুষ দেখে।।
এমন কিছু মানুষ আছে যারা প্রায়ই তাদের দেখে।।।
এক সময় অবনি পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেলো।।
ঠিক হবার পর মেঘ আবার অফিস জয়েন করলো
কিন্তু অবনির কেনো যানিনা আবার মেঘকে অসহ্য লাগতে শুরু করলো...
মেঘ এর কেয়ার গুলো অবনির কাছে অসহ্য মনে হতে লাগলো
এই তো সেদিন সকাল বেলা
অবনি শুনছো উঠো আর কত ঘুমাবে
এবার উঠে পড়ো অনেক বেলা হয়ে গেছে
অবনি আর একটু ঘুমাবো তুমি যাও তো বিরক্ত করো না
অনেক বেলা হয়ে গেছে তো
এই কথা বলতে দেড়ি মেঘ এর
গালে হাত পরতে দেড়ি নাই
বললো তুই কবে আমার পিছু ছাড়বি বলবি আমাকে

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com