অপমানের পর ভালোবাসা | ২য় পর্ব
মেঘ ফ্লোরে শুয়ে ভাবছে
আমি কতটা ভুল ছিলাম
অবনি কখনো আমাকে ভালোবাসেনি আর সেটা অবনি নিজের মুখে স্বীকার করেছে।।।
কিন্তু অবনি তো এটা না করলেও পারতো শুধু শুধু কেনো মেঘকে এভাবে ঠকালো।।
এই সব ভাবতে ভাবতে মেঘ ঘুমিয়ে পরলো।।
তারপর দিন সকালে মেঘ এর ঘুম খুব সকাল সকাল ভেঙে গেলো।।।
তাই সে অবনিকে ডাকতে লাগলো।।।
এই অবনি,,, অবনি উঠো
অবনিঃউম্মম আর একটু ঘুমাবো প্লিজ।।
মেঘঃঅনেক তো বেলা হয়ে গেলো এবার উঠো নতুন বউ এর একটা দায়িত্ব আছে না।।
তখন অবনি রেগে গিয়ে মেঘকে আবার কষে একটা চড় মারলো,,আর বললো এই ফকির এর বাচ্চা তোর সমস্যা তা কি???
আমাকে কি একটু শান্তিতে ঘুমাতেও দিবি না নাকি???
মেঘ অবনি এর হাত এর চড় খেয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে
ছিলো তখন অবনি বললো আমার ঘুম নষ্ট করে দিয়ে
এখন বোবা এর মত দাঁড়িয়ে আসিস যে।।
মেঘঃনা মানে,,আজ তো আমাদের বিয়ের প্রথম দিন তাই তোমাকে একটু সকাল সকাল ডেকে দিলাম
তখন অবনি বললো হু বিয়ে তোর মত ফকিরকে বিয়ে করেছি শুধু মাত্র সেদিন এর চড় আর অপমান এর প্রতিশোধ নিতে
তা নাহলে কি যোগ্যতা আছে যে তুই আমাকে বিয়ে করতে আসসিস
যাকগে সেসব কথা পরে আজ বাসায় অনেক লোকজন আসবে সবার সামনে এমন ব্যাবহার করবি যাতে সবাই ভাবে আমারা একে অপরকে বিয়ে করে অনেক সুখি আছি ভালো আছি।।
মেঘ বললো আচ্চা ঠিক আছে।।
তারপর অবনি মেঘকে পাশ কাটিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো
অবনি অনেকক্ষণ ধরে ফ্রেশ হলো আর এসে দেখলো মেঘ এখনো সেই খানেই দাঁড়িয়ে তা দেখে অবনি এর খুব রাগ হলো তাই রেগে গিয়ে বললো তুই এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আশিস যে
যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে
মেঘ বললো আমি এখন ফ্রেশ হবো না
অবনি আবার মেঘকে চড় মারলো আর বললো তর সাহস হয় কি করে আমার কথার অবাধ্য হওয়ার
যা আমি যা বলছি তাই কর গিয়ে
মেঘ চুপচাপ চড় খাচ্ছে কারন সে অবনিকে ভালোবাসে
আর ভালোবাসারা মানুষ কে কখনো আঘাত করা যায় না তাই মেঘ সবসময় চুপ থাকে কারন মেঘ মনে মনে জানে অবনি একদিন তাকেই অনেক ভালোবাসবে কিন্তু সেই দিনটি কবে আসবে তার জন্য মেঘকে অপেক্ষা করতে হবে।।
তারপর মেঘ ফ্রেশ হতে চলে গেলো ফ্রেশ হয়ে এসে
মেঘ জামা কাপড় পড়ে অবনি এর সাথে গেলো।।
অবনি অথিতিদের সাথে মেঘ এর পরিচর করিয়ে দিতে লাগলো
সবার তাদের জুরি কে দেখে বিমোহিত হয়েছিলো
তারপর সাড়া দিন এর ব্যস্ততা কাটিয়ে
মেঘ তাদের রুম এ গিয়ে শুয়ে আছে।।তখন অবনি এসে বললো ফকির এর বাচ্চা তর সাহস হয় কি করে আমার বিছানায় তুই শুয়ে আসিস????
মেঘ বললো তুমি ছিলে না তাই শুয়ে ছিলাম
অনেক ক্লান্ত লাগছিলো তাই এসে শুয়ে ছিলাম।।
অবনি ক্ষেপে গিয়ে মেঘকে অনেক গুলো চড় বসিয়ে দিলো।।।
আর বললো এই ফকির আমি থাকি বা না থাকি তুই আর কক্ষনো আমার বিছানার ধারের কাছে আসবি না।।।
মেঘ আর কিছু বললো না
কিন্তু মেঘ ভাবছে একদিনের অপমানের জন্য প্রতিদিন এভাবে মারতে হয় নাকি???
আর এভাবে অপমান না করলেও পারতো।।
কেনোই বা এতো অপমান করে????
আমি তো অবনি এর তেমন কোনো ক্ষতি করি নাই
শুধু সেদিন অনেক মানুষ এর সামনে অবনিকে একটা চড় মেরেছিলা।।
যদি প্রতিশোধ নিতেই হতো
তাহলে অন্য ভাবেই নিতে পারতো শুধু শুধু আমাকে বিয়ে করে এভাবে অপমান করে ও কি লাভ পাচ্ছে
আমি তো এখন ওর স্বামী।।।
কিন্তু এই রকম কেনো করছে।।
আমার জীবন টা এভাবে নষ্ট কেনো করছে???
মেঘ এই সব ভাবছে
তখন অবনি বললো শুন তরে মারতে আমারো ভালো লাগে না।।।
তুই এমন কোনো কাজ করিস না যেনো
তকে বাধ্য হয়ে মারতে হয়।।।
যা এবার ফ্রেশ হয়ে আয়
খেতে যাবো।।
অবনি এর এরকম ব্যাবহারে
মেঘ অনেক খুশি হলো তাহলে কি অবনি এর মনে আমার জন্য যায়গা আছে।।।
মেঘ তো লুজ্ঞি ড্যান্স দিতে দিতে ফেশ হতে চলে গেলো।।।
ফেশ হয়ে এসে দেখলো অবনি একটা লাল শাড়ি পড়ে বসে আছে
মেঘকে দেখে অবনি বলে উঠলো চল এবার
নিচে চল খাবো।।
তখন মেঘ আর অবনি নিচে খেতে গেলো খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে মেঘ আর অবনি তাদের ঘর এর দরজা বন্ধ করে মেঘ ফ্লোরে আর অবনি খাটে শুয়ে পড়লো।
তখন অবনি হঠাৎ করেই বলে
আচ্ছা মেঘ তুমি কোনো দিন প্রেম করেছো।।।
একটা কথা বলা হয়নি অবনি এর মাথা
ঠান্ডা থাকে তখন মেঘ এর সাথে ভালো ব্যাবহার করে।।
মেঘ অবনি এর কথা শুনে বললো না জীবনে তেমন কোনো মেয়ের সাথে মিশি নাই
শুধু তোমার সাথেই মিশেছিলাম
আর ------
আর কি শুনি তুই আমাকে ভালোবাসি তাই তো
অই তুই কি করে ভাবলি তোর মতন একটা ফকিরকে আমি ভালোবাসবো।।
মেঘ আর কিছু না বলে চুপচাপ ছিলো।।।
অবনি রাগে গজগজ করতে লাগলো কিন্ত অবনি ভাবলো দোষ তো মেঘ এর না দোষ তো আমারই আমি তো মেঘকে আমার ভালোবাসার জাল এ ফাঁসিয়েছি।।।
তাই অবনি নিজের রাগ টাকে কমিয়ে নিলো।।
তারপর ঘুমালো।।
পরদিন সকাল বেলা মেঘ আর অবনিকে ডাকে নাই।।
অনেক বেলা হয়ে গেলো অবনি এর ঘুম ভাঙতে ভাঙতে
ঘুম থেকে অবনি উঠে দেখে অনেক বেলা হয়ে গেছে
তাই তার মেঘ এর এর উপর আবার রাগ হলো
সে মেঘকে ডাকতে লাগলো
কিন্তু মেঘ বাসায় নেই মেঘ অফিস চলে গেছে।।
দুপুর বেলায় মেঘ অবনিকে ফোন করলো অবনি কলটা রিছিভ করলো
মেঘঃকি করছো
অবনি ঃএই তো বসে আছি
মেঘঃখাইছো
অবনি রেগে গিয়ে বললো অই তুই এত কিছু আমাকে জিজ্ঞাস করসিস কেনো
শুনি
না মানে সকালে তো তোমায় ঘুম থেকে ডাকি নাই আর সকালে একসাথে খায়নী
তাই বললাম তুমি খেয়েছো কি না
অবনিঃবললো হ্যা খেয়েছি।।
কিন্তু অবনি একবার এর জন্য জিজ্ঞাস করলো না মেঘ কি করছে মেঘ সকালে বা দুপুরে খেয়েছে কিনা
কল টা কেটে দিলো অবনি
তখন মেঘ খেতে গেলো কারন অবনি না খেলে মেঘ খাবে না
অনেক ভালোবেসে ফেলেছে অবনিকে
কিন্তু অবনি সেটা বুঝতে চেষ্টা করে না
রাত করে বাসায় ফেরার সময় মেঘ অবনি এর জন্য ফুচকা নিয়ে আসলো.....
অবনি ফুচকা খুব পছন্দ করে....
বাসায় আসার পর মেঘ অবনি এর হাত এ ফুচকা গুলো ধরিয়ে দিলো।।
কিন্তু অবনি সেগুলো না নিয়ে মেঘকে কিছু কথা শুনিয়ে দিলো।।।
মেঘ এর মন খারাপ হয়ে গেলো
কারন মেঘ ভেবেছিলো অবনি ফুচকা গুলো পেলে কিছুটা খুশি হলেও হতে পারে।।
তাই মেঘ ফুচকা গুলো রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।।
ফ্রেশ হয়ে এসে মেঘ অবনিকে বললো রাতে খেয়েছো
অবনিঃহ্যা খেয়েছি।।
মেঘ আর কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে পরলো।।
মেঘ ঘুমিয়ে গেছে
কিন্তু অবনি ঘুমাই নি।।
কারন তার প্রিয় খাবার তার চোখের সামনে সেটা রেখে কি করে সে ঘুমাতে পারে।।
মেঘ এর সামনে খেলে অবনি এর খারাপ লাগতো কারন সে মেঘকে সারা দিন নানান ভাবে অপমান করে
আর এতো অপমান করার পর তার কাছ থেকে কিছু খেতে ইচ্ছা না করলেও প্রিয় খাবার বলে কথা
অবনি পা টিপে টিপে ফুচকা গুলোর কাছে গেলো।।
তারপত তাড়াতাড়ি খেয়ে আবার নিজের বিছানায় শুয়ে পরলো
পরদিন সকালে অবনি একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলো
মেঘ তখনো উঠেনি অবনিও মেঘকে ডাকে নাই
কিছুক্ষণ পরে মেঘ উঠলো উঠে।।
ঘুম থেকে উঠে মেঘ অবনি এর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হেসে দিলো।।
কেনো হাসলো তা অবনি জানে না
ফ্রেশ হয়ে মেঘ আর অবনি সাথে বাসার সবাই মিলে নাস্তা খেলো।
তারপর
মেঘ অফিসে চলে গেলো।।
দুপুরে আবার মেঘ অবনিকে ফোন দিলো
অবনি কল ধরে হ্যালো বলো
মেঘঃদুপুরে খেয়েছো
অবনিঃএই তোর আর কোনো কাজ নেই নাকি???
কুত্তা ফকিন্নি প্রতিদিন এক কথা জিজ্ঞাস করতে ফোন দেস
অসহ্য
এই বলে কল কেটে দিলো
মেঘ এর কাছে অবনির
বকা গুলো অনেক ভালো লাগে
সে এই সব এর মাঝা ভালোবাসা খুজে পায়।।
রাত এ মেঘ যথারীতি ফুচকা নিয়ে আসলো
অবনি আবার রাগ করলো
মেঘ ফুচকা গুলো রেখে খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো পরদিন সকাল বেলা মেঘ দেখলো আজকেও ফুচকা নেইই।।
মেঘ হাসলো।।
এভাবেই চললো।কিছুদিন
অবনি হাজার অপমান করার পরো মেঘ অবনি এর কেয়ার সময় মত নেয়
খেয়েছে কিনা
কি করছে??
রাত এ ফুচকা নিয়ে বাসায় ফেরা
এই সব
কিন্তু অবনি এর কাছে এই সব কিছু অসহ্য লাগে
নানান ভাবে মেঘকে অপমান করেছে কারনে অকারনে অনেক চড় মেরেছে কিন্তু মেঘ তাও অবনিকে দিনের পর দিন গভীর থেকে গভীর ভাবে ভালোবেসে ফেলছে
একদিন মেঘ ইচ্ছা করে ফুচকা না নিয়ে আইসক্রিম নিয়ে বাসায় আসলো।।
প্রতিদিন অবনি ফুচকা গুলো না নিলেও
মুখে একটা হাসি থাকে কিন্তু আইসক্রিম দেখে অবনি এর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো
আর বললো আজ ফুচনা না এনে আইসক্রিম এনেছো কেনো।( কিছুটা হতাশা নিয়ে)
মেঘ বললো এমনি এই না এটা তোমার
অবনি সেটা নিয়ে ছুরে ফেলে দিলো
কিন্তু কোনো দিন ফুচকা ফেলে দেই নাই।।
মেঘ হাসছে
মনের সুখে আইসক্রিম খাচ্ছে
আর বলছে দারুণ খেতে আহহ
কি কি মজা
এখন থেকে প্রতিদিন আইসক্রিম আনবো।।
অনেক মজা খেতে।।
প্রান টা জুড়িয়ে গেলো।।
অবনি এর সব কথা শুনে মেঘ এর হাত থেকে আইসক্রিম টা নিয়ে সেটাও ফেলে দিলো
চলবে
আমি কতটা ভুল ছিলাম
অবনি কখনো আমাকে ভালোবাসেনি আর সেটা অবনি নিজের মুখে স্বীকার করেছে।।।
কিন্তু অবনি তো এটা না করলেও পারতো শুধু শুধু কেনো মেঘকে এভাবে ঠকালো।।
এই সব ভাবতে ভাবতে মেঘ ঘুমিয়ে পরলো।।
তারপর দিন সকালে মেঘ এর ঘুম খুব সকাল সকাল ভেঙে গেলো।।।
তাই সে অবনিকে ডাকতে লাগলো।।।
এই অবনি,,, অবনি উঠো
অবনিঃউম্মম আর একটু ঘুমাবো প্লিজ।।
মেঘঃঅনেক তো বেলা হয়ে গেলো এবার উঠো নতুন বউ এর একটা দায়িত্ব আছে না।।
তখন অবনি রেগে গিয়ে মেঘকে আবার কষে একটা চড় মারলো,,আর বললো এই ফকির এর বাচ্চা তোর সমস্যা তা কি???
আমাকে কি একটু শান্তিতে ঘুমাতেও দিবি না নাকি???
মেঘ অবনি এর হাত এর চড় খেয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে
ছিলো তখন অবনি বললো আমার ঘুম নষ্ট করে দিয়ে
এখন বোবা এর মত দাঁড়িয়ে আসিস যে।।
মেঘঃনা মানে,,আজ তো আমাদের বিয়ের প্রথম দিন তাই তোমাকে একটু সকাল সকাল ডেকে দিলাম
তখন অবনি বললো হু বিয়ে তোর মত ফকিরকে বিয়ে করেছি শুধু মাত্র সেদিন এর চড় আর অপমান এর প্রতিশোধ নিতে
তা নাহলে কি যোগ্যতা আছে যে তুই আমাকে বিয়ে করতে আসসিস
যাকগে সেসব কথা পরে আজ বাসায় অনেক লোকজন আসবে সবার সামনে এমন ব্যাবহার করবি যাতে সবাই ভাবে আমারা একে অপরকে বিয়ে করে অনেক সুখি আছি ভালো আছি।।
মেঘ বললো আচ্চা ঠিক আছে।।
তারপর অবনি মেঘকে পাশ কাটিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো
অবনি অনেকক্ষণ ধরে ফ্রেশ হলো আর এসে দেখলো মেঘ এখনো সেই খানেই দাঁড়িয়ে তা দেখে অবনি এর খুব রাগ হলো তাই রেগে গিয়ে বললো তুই এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আশিস যে
যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে
মেঘ বললো আমি এখন ফ্রেশ হবো না
অবনি আবার মেঘকে চড় মারলো আর বললো তর সাহস হয় কি করে আমার কথার অবাধ্য হওয়ার
যা আমি যা বলছি তাই কর গিয়ে
মেঘ চুপচাপ চড় খাচ্ছে কারন সে অবনিকে ভালোবাসে
আর ভালোবাসারা মানুষ কে কখনো আঘাত করা যায় না তাই মেঘ সবসময় চুপ থাকে কারন মেঘ মনে মনে জানে অবনি একদিন তাকেই অনেক ভালোবাসবে কিন্তু সেই দিনটি কবে আসবে তার জন্য মেঘকে অপেক্ষা করতে হবে।।
তারপর মেঘ ফ্রেশ হতে চলে গেলো ফ্রেশ হয়ে এসে
মেঘ জামা কাপড় পড়ে অবনি এর সাথে গেলো।।
অবনি অথিতিদের সাথে মেঘ এর পরিচর করিয়ে দিতে লাগলো
সবার তাদের জুরি কে দেখে বিমোহিত হয়েছিলো
তারপর সাড়া দিন এর ব্যস্ততা কাটিয়ে
মেঘ তাদের রুম এ গিয়ে শুয়ে আছে।।তখন অবনি এসে বললো ফকির এর বাচ্চা তর সাহস হয় কি করে আমার বিছানায় তুই শুয়ে আসিস????
মেঘ বললো তুমি ছিলে না তাই শুয়ে ছিলাম
অনেক ক্লান্ত লাগছিলো তাই এসে শুয়ে ছিলাম।।
অবনি ক্ষেপে গিয়ে মেঘকে অনেক গুলো চড় বসিয়ে দিলো।।।
আর বললো এই ফকির আমি থাকি বা না থাকি তুই আর কক্ষনো আমার বিছানার ধারের কাছে আসবি না।।।
মেঘ আর কিছু বললো না
কিন্তু মেঘ ভাবছে একদিনের অপমানের জন্য প্রতিদিন এভাবে মারতে হয় নাকি???
আর এভাবে অপমান না করলেও পারতো।।
কেনোই বা এতো অপমান করে????
আমি তো অবনি এর তেমন কোনো ক্ষতি করি নাই
শুধু সেদিন অনেক মানুষ এর সামনে অবনিকে একটা চড় মেরেছিলা।।
যদি প্রতিশোধ নিতেই হতো
তাহলে অন্য ভাবেই নিতে পারতো শুধু শুধু আমাকে বিয়ে করে এভাবে অপমান করে ও কি লাভ পাচ্ছে
আমি তো এখন ওর স্বামী।।।
কিন্তু এই রকম কেনো করছে।।
আমার জীবন টা এভাবে নষ্ট কেনো করছে???
মেঘ এই সব ভাবছে
তখন অবনি বললো শুন তরে মারতে আমারো ভালো লাগে না।।।
তুই এমন কোনো কাজ করিস না যেনো
তকে বাধ্য হয়ে মারতে হয়।।।
যা এবার ফ্রেশ হয়ে আয়
খেতে যাবো।।
অবনি এর এরকম ব্যাবহারে
মেঘ অনেক খুশি হলো তাহলে কি অবনি এর মনে আমার জন্য যায়গা আছে।।।
মেঘ তো লুজ্ঞি ড্যান্স দিতে দিতে ফেশ হতে চলে গেলো।।।
ফেশ হয়ে এসে দেখলো অবনি একটা লাল শাড়ি পড়ে বসে আছে
মেঘকে দেখে অবনি বলে উঠলো চল এবার
নিচে চল খাবো।।
তখন মেঘ আর অবনি নিচে খেতে গেলো খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে মেঘ আর অবনি তাদের ঘর এর দরজা বন্ধ করে মেঘ ফ্লোরে আর অবনি খাটে শুয়ে পড়লো।
তখন অবনি হঠাৎ করেই বলে
আচ্ছা মেঘ তুমি কোনো দিন প্রেম করেছো।।।
একটা কথা বলা হয়নি অবনি এর মাথা
ঠান্ডা থাকে তখন মেঘ এর সাথে ভালো ব্যাবহার করে।।
মেঘ অবনি এর কথা শুনে বললো না জীবনে তেমন কোনো মেয়ের সাথে মিশি নাই
শুধু তোমার সাথেই মিশেছিলাম
আর ------
আর কি শুনি তুই আমাকে ভালোবাসি তাই তো
অই তুই কি করে ভাবলি তোর মতন একটা ফকিরকে আমি ভালোবাসবো।।
মেঘ আর কিছু না বলে চুপচাপ ছিলো।।।
অবনি রাগে গজগজ করতে লাগলো কিন্ত অবনি ভাবলো দোষ তো মেঘ এর না দোষ তো আমারই আমি তো মেঘকে আমার ভালোবাসার জাল এ ফাঁসিয়েছি।।।
তাই অবনি নিজের রাগ টাকে কমিয়ে নিলো।।
তারপর ঘুমালো।।
পরদিন সকাল বেলা মেঘ আর অবনিকে ডাকে নাই।।
অনেক বেলা হয়ে গেলো অবনি এর ঘুম ভাঙতে ভাঙতে
ঘুম থেকে অবনি উঠে দেখে অনেক বেলা হয়ে গেছে
তাই তার মেঘ এর এর উপর আবার রাগ হলো
সে মেঘকে ডাকতে লাগলো
কিন্তু মেঘ বাসায় নেই মেঘ অফিস চলে গেছে।।
দুপুর বেলায় মেঘ অবনিকে ফোন করলো অবনি কলটা রিছিভ করলো
মেঘঃকি করছো
অবনি ঃএই তো বসে আছি
মেঘঃখাইছো
অবনি রেগে গিয়ে বললো অই তুই এত কিছু আমাকে জিজ্ঞাস করসিস কেনো
শুনি
না মানে সকালে তো তোমায় ঘুম থেকে ডাকি নাই আর সকালে একসাথে খায়নী
তাই বললাম তুমি খেয়েছো কি না
অবনিঃবললো হ্যা খেয়েছি।।
কিন্তু অবনি একবার এর জন্য জিজ্ঞাস করলো না মেঘ কি করছে মেঘ সকালে বা দুপুরে খেয়েছে কিনা
কল টা কেটে দিলো অবনি
তখন মেঘ খেতে গেলো কারন অবনি না খেলে মেঘ খাবে না
অনেক ভালোবেসে ফেলেছে অবনিকে
কিন্তু অবনি সেটা বুঝতে চেষ্টা করে না
রাত করে বাসায় ফেরার সময় মেঘ অবনি এর জন্য ফুচকা নিয়ে আসলো.....
অবনি ফুচকা খুব পছন্দ করে....
বাসায় আসার পর মেঘ অবনি এর হাত এ ফুচকা গুলো ধরিয়ে দিলো।।
কিন্তু অবনি সেগুলো না নিয়ে মেঘকে কিছু কথা শুনিয়ে দিলো।।।
মেঘ এর মন খারাপ হয়ে গেলো
কারন মেঘ ভেবেছিলো অবনি ফুচকা গুলো পেলে কিছুটা খুশি হলেও হতে পারে।।
তাই মেঘ ফুচকা গুলো রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।।
ফ্রেশ হয়ে এসে মেঘ অবনিকে বললো রাতে খেয়েছো
অবনিঃহ্যা খেয়েছি।।
মেঘ আর কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে পরলো।।
মেঘ ঘুমিয়ে গেছে
কিন্তু অবনি ঘুমাই নি।।
কারন তার প্রিয় খাবার তার চোখের সামনে সেটা রেখে কি করে সে ঘুমাতে পারে।।
মেঘ এর সামনে খেলে অবনি এর খারাপ লাগতো কারন সে মেঘকে সারা দিন নানান ভাবে অপমান করে
আর এতো অপমান করার পর তার কাছ থেকে কিছু খেতে ইচ্ছা না করলেও প্রিয় খাবার বলে কথা
অবনি পা টিপে টিপে ফুচকা গুলোর কাছে গেলো।।
তারপত তাড়াতাড়ি খেয়ে আবার নিজের বিছানায় শুয়ে পরলো
পরদিন সকালে অবনি একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলো
মেঘ তখনো উঠেনি অবনিও মেঘকে ডাকে নাই
কিছুক্ষণ পরে মেঘ উঠলো উঠে।।
ঘুম থেকে উঠে মেঘ অবনি এর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হেসে দিলো।।
কেনো হাসলো তা অবনি জানে না
ফ্রেশ হয়ে মেঘ আর অবনি সাথে বাসার সবাই মিলে নাস্তা খেলো।
তারপর
মেঘ অফিসে চলে গেলো।।
দুপুরে আবার মেঘ অবনিকে ফোন দিলো
অবনি কল ধরে হ্যালো বলো
মেঘঃদুপুরে খেয়েছো
অবনিঃএই তোর আর কোনো কাজ নেই নাকি???
কুত্তা ফকিন্নি প্রতিদিন এক কথা জিজ্ঞাস করতে ফোন দেস
অসহ্য
এই বলে কল কেটে দিলো
মেঘ এর কাছে অবনির
বকা গুলো অনেক ভালো লাগে
সে এই সব এর মাঝা ভালোবাসা খুজে পায়।।
রাত এ মেঘ যথারীতি ফুচকা নিয়ে আসলো
অবনি আবার রাগ করলো
মেঘ ফুচকা গুলো রেখে খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো পরদিন সকাল বেলা মেঘ দেখলো আজকেও ফুচকা নেইই।।
মেঘ হাসলো।।
এভাবেই চললো।কিছুদিন
অবনি হাজার অপমান করার পরো মেঘ অবনি এর কেয়ার সময় মত নেয়
খেয়েছে কিনা
কি করছে??
রাত এ ফুচকা নিয়ে বাসায় ফেরা
এই সব
কিন্তু অবনি এর কাছে এই সব কিছু অসহ্য লাগে
নানান ভাবে মেঘকে অপমান করেছে কারনে অকারনে অনেক চড় মেরেছে কিন্তু মেঘ তাও অবনিকে দিনের পর দিন গভীর থেকে গভীর ভাবে ভালোবেসে ফেলছে
একদিন মেঘ ইচ্ছা করে ফুচকা না নিয়ে আইসক্রিম নিয়ে বাসায় আসলো।।
প্রতিদিন অবনি ফুচকা গুলো না নিলেও
মুখে একটা হাসি থাকে কিন্তু আইসক্রিম দেখে অবনি এর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো
আর বললো আজ ফুচনা না এনে আইসক্রিম এনেছো কেনো।( কিছুটা হতাশা নিয়ে)
মেঘ বললো এমনি এই না এটা তোমার
অবনি সেটা নিয়ে ছুরে ফেলে দিলো
কিন্তু কোনো দিন ফুচকা ফেলে দেই নাই।।
মেঘ হাসছে
মনের সুখে আইসক্রিম খাচ্ছে
আর বলছে দারুণ খেতে আহহ
কি কি মজা
এখন থেকে প্রতিদিন আইসক্রিম আনবো।।
অনেক মজা খেতে।।
প্রান টা জুড়িয়ে গেলো।।
অবনি এর সব কথা শুনে মেঘ এর হাত থেকে আইসক্রিম টা নিয়ে সেটাও ফেলে দিলো
চলবে
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com