Breaking News

গল্পঃ প্রতিদান | পর্ব- ২য় । লিখাঃ পাগল লেখক

আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে যায় ছেলেটা ।
রাকিবের নাম শুনে কিছুটা অবাক হয় সাদিয়া । আবার রাগও
হয় । ভাবে এতদিন খোজ না নিয়ে এখন ডাইরি পাঠিয়ে
ভাব দেখানো হচ্ছে । অকৃতজ্ঞ কোথাকার …
– ডাইরি হাতে নিয়ে পরতে শুরু করে সাদিয়া । আর বাকিরা
নিশ্চুপ ভাবে শুনতে থাকে । ডাইরির প্রথমে বড়
করে একটা শিরোনাম আছে ” কাগজে মোরানো
ভালোবাসা

আজ ভার্সিটির প্রথম দিন । স্যারের পরিচয় পর্বটা
ভালো লাগলো । মজার ব্যাপার হলো ” স” দিয়ে
একটা মেয়ের নাম আছে ” সাদিয়া ” । মজার ব্যাপার বলছি
কারন ” স” অক্ষরটি আমার খুব পছন্দ ।মেয়েটাকে
আরচোখে একবার দেখলাম । কও কিউট ।তই ভাবলাম
একবার রাগিয়ে দেই । প্রথম পরিচয়ে তুই করে
বলাতে মেয়েটা যা ঘাবরে গেছে । এরপর যখন
পেত্নী বললাম মেয়েটার সেকি রাগ ।

মেয়েটা আমাকে দেখলেই এত রাগ করে
কেন ? বন্ধুর সাথে কেউ এমন ব্যাবহার করে ?
ভুলে নাহয় একবার পেত্নী বলে ফেলেছি ।
তুর্য , নিলা , সামিম আর রাফি সবার সাথেই আজকে
বন্ধুত্ব করে ফেললাম । সুধু সাদিয়ার সাথেই বন্ধুত্বটা
হলো না । আজকে সাদিয়াকে রিকসা করে বাড়িতে পৌছে
দিলাম । যদিও আমার বাড়ি ওই রাস্তায় নয় । বন্ধুকে সাহায্য
করার জন্য এতটুকু করাই যায় ।
আমি আজকে অনেক খুসি । কারন সাদিয়া আমার
সাথে ফ্রেন্ডশিফ করেছে ।

ডাইরির পাতা উল্টাতে থাকে সাদিয়া । হঠাৎ একটা লেখায়
চোখ আটকে যায় সাদিয়ার ।
কালকে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা আর পেত্নীটার
টাইফয়েড হয়েছে । সবাই সান্তনা দিতে ব্যাস্ত আর
আমি আমার প্লান নিয়ে । যে করেই হোক
পরীক্ষাটা আটকাতে হবে ।
উফফ ..যা ধকল গেছে গতরাতে । প্রাচীর
টপকে পরীক্ষার জিনিস পএে আগুন দেওয়া তো
আার চারটেখানি কথা নয় । তার পরেও ভালো লাগছে
এটা ভেবে যে পরীক্ষাটা পিছিয়েছে । সাদিয়ার
বছরটা আর লস হলো না ।
আরও কয়েকটা পেজ পরলো সাদিয়া । আর অন্যরা
অবাক হয়ে শুনে যাচ্ছে । এবার একটু বেশীই
অবাক হয় সাদিয়া ।

আমি মনেহয় সাদিয়াকে ভালোবেসে
ফেলেছি । কিন্তু কথাটা বলব কিভাবে ।
কাল যেভাবেই হোক সাদিয়াকে ভালোবাসার কথা
বলতে হবে ।
সাদিয়াকে প্রপোজ করাটা আর হলোনা রাফিও নাকি
সাদিয়াকে ভালোবাসে । আরে ব্যাপার না রাফিওতো
আমারই বন্ধু । সাদিয়ার সাথে ভালই লাগবে ওকে । আমি
নাহয় দুর থেকে ভালোবেসে যাবো ।
মামাটা আজকে মারা গেলেন । আচ্ছা হার্ট অ্যাটাক
হলেই কি মরতে হবে । সবাই এত স্বার্থপর কেন ।
আমিযে একা হয়ে গেলাম ।

৫ দিন পর ভার্সিটি আসলাম । কিন্তু ক্লাস করিনি । বৃষ্টির
মধ্যে সাদিয়াকে দেখলাম ছাতা ছারা হাটতে । ছাতা
নিয়েই দৌর দিলাম । ভালোবাসার মানুষটাকে ভিজতে
দেই কিভাবে । যদি ওসুখ হয়ে যায় ..
সবার থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি এখন ।
যখন মায়া বারিয়ে লাভ নেই তখন মায়া কাটাতে শিখতে হয় ।
সাদিয়া যতই পরছে ততই অবাক হচ্ছে আর অবাক
হচ্ছে বাকি সবাই । কিন্তু রাকিব এখন কোথায় …?
আজকে মনটা খুব খারাপ । সাদিয়ার এক্সিডেন্ট
হয়েছে । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেই রাফিকে
ফোন দিলাম যাতে সাদিয়া ভাবে রাফি সাদিয়াকে
হাসপাতালে নিয়ে গেছে ।

রাফি আর সাদিয়ার ভালোবাসাটা হয়ে গেল
অবশেষে । আজ আমি অনেক খুসি । আমি সাদিয়াকে
ভালোবাসতে না পারলাম তাতে কি হয়েছে আমার
বন্ধুতো পেরেছে । অনেক সময় নিজের
ইচ্ছাটাকে ছোটকরে দেখে বন্ধুর ইচ্ছাটাকে
বড়করে দেখতে হয় । তাহলেই তো প্রকৃত
বন্ধুত্ব প্রকাশ পায় । বন্ধুর জন্য যদি ত্যাগ স্বীকার না
করতে পারি তাহলে কিসের বন্ধুত্ব ।
একটু দম নিয়ে আবার পেজ উল্টায় সাদিয়া ….
একটা প্রশ্নের উওর দিবি সাদিয়া । তুই কি কখনো
কোনদিন আমার মন বুঝিস নি ? উওর টা তোর কাছেই
রেখে দিস …যদিও উওরটা তুই দিতে পারবি না ।রিদয়
দিয়ে লেখা প্রশ্নের উওর রিদয় দিয়েই দিতে হয় ।
বুদ্ধি দিয়ে নয় …

চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com