গল্পঃ প্রতিদান । লিখাঃ পাগল লেখক
আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারী ..আর কালকে ভালবাসা দিবস ।
এই দিনটা নিয়ে ছেলে মেয়েদের মাঝে
নানা রকম পরিকল্পনা থাকে । বিশেষ করে
প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য এটা একটা
প্রতিক্ষিত দিন । তারা সারা বছরের
পরিকল্পনা যেন এই একটা দিনেই ব্যাক্ত করে
তেমনি রাফি ও সাদিয়া । তারা খুব ভাল বন্ধু।
হয়তোবা তার থেকেও বেশী কিছু ।
তাদের পরিকল্পনা কালকে তারা একসাথে সারাদিন ঘুরবে ।
আর তাই সময় নষ্ট না করে বাসায় চলে আসে ।
রাতে সাদিয়ার ফোনে অপরিচিত একটা
নাম্বার থেকে মেসেজ আসে দরজাটা খুলবি
মেঘা মনে করে ভুলকরে ওর কাছে মেসেজটা এসেছে ।
তাই সে খুব একটা গুরুত্ব দিলো না ।
আবার ওল নাম্বার থেকে একটা মেসেজ আসে
ভয় পাসনা দরজাটা খোল এবার সাদিয়া বিরক্ত হয়ে দরজাটা খুলল।
আর দেখতে পেল একটা চিরকুট ।
সেখানে লেখা একটু ছাদে আসবি এবার সাদিয়া একটু কৌতুহল হয়ে ছাদে গেল ।
ছাদে গিয়েই তো সে থ মেরে দাড়িয়ে গেল।
ছাদে অনেকগুলো চিরকুট আার সব গুলোতেই লেখা ভালোবাসি ।
সাদিয়া ছাদে এসে এতবড় সারপ্রাইজ পাবে তা ভাবতে পারে নি।
আর মনে মনে ভাবে কি দরকার ছিলো এতকষ্ট করে এসব করার ।
পাগল একটা। এমন সময় আবার সেই নাম্বার থেকে
আর একড়া মেসেজ আসে সেখানেও লেখা ” ভালোবাসি ”
সাদিয়া হাসতে হাসতে ছাদ থেকে রুমে চলে যায় ।
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি
আজ সাদিয়া একটু তারাতারি ঘুম থেকে
উঠেছে । অন্য সবার মতো আজ তাকেও একটু
অন্যরকম লাগছে । আাজ সাদিয়া একটু
ভালোভাবে সেজেছে । সাদিয়া রাফির জন্য
অপেক্ষা করে আছে কিন্তু তার কোন খবর নেই
এমন সময় সাদিয়ার ফোনে একটা কল আসে ।
আপনি কি সাদিয়া
হুমমম
এখনোই হাসপাতালে আসুন
আজকে রাফি সাদিয়াকে নিতে আসার সময়
ওর বাইক এক্সিডেন্ট হয় । তাই সাদিয়াকে
ফোন করা হয়েছিলো ।
সাদিয়া এখন হাসপাতালে । রাফিকে টেষ্ট
করার জন্য পাঠানো হয়েছে । রাফির বাবা মা
তুর্য , নিলা , সামিম সবার চোখেই পানি ।
ডাক্টার আমার ছেলে ঠিক হয়ে যাবে তো
( রাফির বাবা )
দেখুন ওর এক্সিডেন্টটা খুবই গুরুতর । রিপোর্ট
না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না ।
সাদিয়াও কাদতেছে । আজ তাদের কতো
প্লান ছিলো । কিন্তু সব মাটি হয়ে গেলো ।
স্যার এইযে রিপোর্ট ( নার্স )
কি হয়েছে ডাক্টার ।
দেখুন ওর এক্সিডেন্টটা খুব মারাত্বক একটা
একসিডেন্ট হয়েছে । এক্সিডেন্ট এর ফলে ওর
চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে ও ব্লাডিং
হয়েছে তাই চোখ নষ্ট হতে পারে । তার
থেকেও বেশী সমস্যা হচ্ছে ওর ওদরের সাইডে
যেখানে কিডনি থাকে সেখানে মারার্বক
আঘাত পেয়েছে । তাই চার ঘন্টার মধ্যেই ওর
কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে । নাহলে ওকে
বাচানো সম্ভব না ।এক্সিডেন্ট এর ফলে কিডনি নষ্ট হওয়া একটি
রোয়ার ঘটনা । হয়তো ভাগ্য সেদিন রাফির পক্ষে ছিলো না ।
এদিকে তো রাফির মা অজ্ঞান হয়ে পরে আছে ।
তুর্য , নিলা ,সামিম এরা সব জায়গায় খোজ
নিচ্ছে কিডনি পাওয়া যায় কিনা । কিন্তু দুটো
তো দুরের থাক একটি কিডনিও খুজে পাওয়া গেল না ।
এদিকে রাফির বাবাও অনেকটা ভেঙ্গে
পরেছে । নিজের ছেলের এভাবে চলে যাওয়া
কোন ভাবেই তিনি মানতে পারছেন না ।
এমন সময় খবর এলো রাফির জন্য দুটো কিডনি
ও দুটো চোখ দেওয়ার জন্য লোক পাওয়া গেছে
সবার মুখেই হাসি ফুটে ওঠে । সবাই আল্লাহর
কাছে শুকুর করতে থাকে ।
কে এই লোক । আমি তাকে দেখবো । আমাকে
একবার নিয়ে চলুন । ( রাফির মা)
না উনি কারও সাথে দেখা করতে চায় না ।
( ডাক্টার )হয়তো অনেকেরই মাঝে প্রশ্ন জাগতে পারে
যে এসব সুধু সিনেমাতেই হয়ে থাকে । বাস্তবে
কখনোই সম্ভভ না । কেউ নিজের জীবন বাজি
রেখে অন্যর জীবন বাচাতে আসবে না । কিন্তু
অনেক সময় বাস্তবেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা
সিনেমাতেও ভাবার বিষয় হয়ে ওঠে । বাস্তব
কে ঘিরেই কিন্তু সিনেমা তৈরি হয় । কিন্তু
এমন কিছু বাস্তব আসে যা বিরল ঘটনার সৃষ্টি করে ।
১০ দিন পর …
সাদিয়া , তুর্য , নিলা , আরো বন্ধুরা বসে
আছে ক্যাম্পাসে । কিন্তু রাকিব কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না ।
রাফির এতবর একটা এক্সিডেন্ট হয়ে গেল । আর
সে একটি বারের জন্যও দেখা করতে আসলো না ।
রাকিবের উপর সাদিয়ার খুব রাগ রাগ হয় ।
এমনিতেই সব সময় আমার পাশে পাশে ঘুরে আর
দশ দিন হয়ে গেল তার কোন খবর নেই ।
রাকিবের উপর রাগ করে সাদিয়া ওকে ফোনো
দেয়নি । একবার দেখা হোক পরে দেখা যাবে
যাইহোক রাফি এখন অনেকটা সুস্থ ।
এখানে সাদিয়া আপু কে ? ( একটা ছেলে )
আমি । কেন ?
এইনিন ( একটা ডাইরি )
এটা আমাকে দিচ্ছ কেন ?
এটা রাকিব ভাইয়া আপনাকে দিতে বলেছে ।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com