গল্পের নাম: ৫০০ টাকার নোট | আকাশ
আশিকের হাতে একটা ৫০০ টাকার নোট।
তাতে একটা মোবাইল নাম্বার লেখা নীল
কালিতে। তার নিচে লেখা যদি
ভালোবাসা চাও তবে ফোন করো।
আশিক ভাবলো এটা কেমন ফাইজলামি! এর
কোন মানে হয়! তারপর আবার ভাবলো
আচ্ছা এই নাম্বারটা কি বায়োমেট্রিক
পাশ করতে পেরেছে? ভাবতে ভাবতেই তার
অত্যান্ত দামী ৬ হাজার টাকা দামের
ফোনে নাম্বারটা তুলে ফেললো জটপট করে।
তারপর কল দিলো। খুবই মিস্টি কন্ঠের
একজন অপর প্রান্তে বলে উঠলো ….
-হ্যালো! কে?
– জ্বী….. আপনি কি মেয়ে মানুষ?
-হ্যাঁ। কেন বলুন তো? কন্ঠ শুনে কি ছেলে
মনে হয়?
– না না! বিষয় তা না আসলে। আচ্ছা একটা
প্রশ্ন ছিলো।
– কি প্রশ্ন? বলুন…
-আপনি টাকার মধ্যে কেন লিখেছেন
ভালোবাসার জন্য ফোন দাও….!!
-ও ঐ টাকাটা আমার বয়ফ্রেন্ডের শ্যাষ
স্মৃতি ছিলো।
-শ্যাষ স্মৃতি! কি হয়েছিলো উনার? মারা
গেছেন কিভাবে?
-মারা যাবে কেন!!! আমাদের তো বিয়ে
হয়ে গেছে। এখন তো ও আমার স্বামী।
বয়ফ্রেন্ড নাহ্!
আশিকের মেজাজ ৪২০ ডিগ্রি গরম হয়ে
গেল। বিবাহিত একজন মহিলা এমন লুতুপুতু
করে কথা বলে কি করে!নিজের রাগ
কন্ট্রোল করে বললো…
– আসলেই! সুন্দর কথা বলছেন। বিয়ের পর তো
স্বামীই হয়।
– হুম। ধন্যবাদ।
– এইবার বলুন ঐটা লেখার কারন কি?
– আসলে আমার বিয়ের একমাস আগে ওর
সাথে একটু ঝামেলা হইছিলো। তখন আমি
হাসানের সাথে রিলেশন করি। কিন্তু
হাসান অনেক কিপ্টা ছিলো। আমাকে কিছু
খাওয়াইতো না। একদিন খায়াবে বলে
মানিব্যাগ বাসায় রেখে চলে আসে পরে
আমাকেই বিল দিতে হয়। আপনি যে টাকা
পেয়েছেন ঐটা সেই টাকাটা। দয়া করে
ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমি
আপনাকে ২ হাজার টাকা বকশিশ দিবো।
– মশকরা করেন?
– ছিঃ ছিঃ! একদম মশকরা করছি না। আচ্ছা
আপনি কোথায় আছেন বলেন আমি নিয়ে
যাবো।
– আচ্ছা! থাক। আপনি বলুন আপনি কোথায়
আছেন?
– আমি ঢাকার মোঃপুর থাকি।
– আরেএ! আমিও তো সেখানে থাকি!
মোঃপুর কোথায়?
– চাঁদমেয়া হাউজিং। আপনি?
– আরে! আমিও তো সেখানে! আপনি কোন
গল্লি? কত নং বাসা?
– ২ নং গল্লি। ৫ নং বাসা।
– আরে আমিও তো সেখানেই থাকি!
– আপনি কোন তলায় থাকেন ভাইয়া?
– পাঁচ তলায়। আপনি?
– আমিও তো সেখানে। আপনি তাহলে
দক্ষিনের বাসায় থাকেন।
– আমি উত্তরের বাসায় থাকি।
– তা কি করে হয়! ঐখানে তো আমি থাকি
আর আমার হ্যাজবেন্ড থাকে।
– আপনার হাজবেন্ডর নাম কি?
– আশিক….!
– কি…!! তুমি…! আনিকা তুমি কি মানুষ
হইবা নাহ্! আমার এত গুলা টেকা শ্যাষ
করাইলা ক্যান! আর তোমার যে আলগা
পিরিতি ছিলো ঐটা তো আমি জানতাম
নাহ্। খাড়াও বাসায় আইসা লই। তোমার
খবর আছে।
– আশিক তুমি! লুইচ্ছা বেডা! নাম্বার
পাইলেই ফোন দিতে হবে! বাসায় আসো!
রান্না বান্না সব বন্ধ।
তাতে একটা মোবাইল নাম্বার লেখা নীল
কালিতে। তার নিচে লেখা যদি
ভালোবাসা চাও তবে ফোন করো।
আশিক ভাবলো এটা কেমন ফাইজলামি! এর
কোন মানে হয়! তারপর আবার ভাবলো
আচ্ছা এই নাম্বারটা কি বায়োমেট্রিক
পাশ করতে পেরেছে? ভাবতে ভাবতেই তার
অত্যান্ত দামী ৬ হাজার টাকা দামের
ফোনে নাম্বারটা তুলে ফেললো জটপট করে।
তারপর কল দিলো। খুবই মিস্টি কন্ঠের
একজন অপর প্রান্তে বলে উঠলো ….
-হ্যালো! কে?
– জ্বী….. আপনি কি মেয়ে মানুষ?
-হ্যাঁ। কেন বলুন তো? কন্ঠ শুনে কি ছেলে
মনে হয়?
– না না! বিষয় তা না আসলে। আচ্ছা একটা
প্রশ্ন ছিলো।
– কি প্রশ্ন? বলুন…
-আপনি টাকার মধ্যে কেন লিখেছেন
ভালোবাসার জন্য ফোন দাও….!!
-ও ঐ টাকাটা আমার বয়ফ্রেন্ডের শ্যাষ
স্মৃতি ছিলো।
-শ্যাষ স্মৃতি! কি হয়েছিলো উনার? মারা
গেছেন কিভাবে?
-মারা যাবে কেন!!! আমাদের তো বিয়ে
হয়ে গেছে। এখন তো ও আমার স্বামী।
বয়ফ্রেন্ড নাহ্!
আশিকের মেজাজ ৪২০ ডিগ্রি গরম হয়ে
গেল। বিবাহিত একজন মহিলা এমন লুতুপুতু
করে কথা বলে কি করে!নিজের রাগ
কন্ট্রোল করে বললো…
– আসলেই! সুন্দর কথা বলছেন। বিয়ের পর তো
স্বামীই হয়।
– হুম। ধন্যবাদ।
– এইবার বলুন ঐটা লেখার কারন কি?
– আসলে আমার বিয়ের একমাস আগে ওর
সাথে একটু ঝামেলা হইছিলো। তখন আমি
হাসানের সাথে রিলেশন করি। কিন্তু
হাসান অনেক কিপ্টা ছিলো। আমাকে কিছু
খাওয়াইতো না। একদিন খায়াবে বলে
মানিব্যাগ বাসায় রেখে চলে আসে পরে
আমাকেই বিল দিতে হয়। আপনি যে টাকা
পেয়েছেন ঐটা সেই টাকাটা। দয়া করে
ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমি
আপনাকে ২ হাজার টাকা বকশিশ দিবো।
– মশকরা করেন?
– ছিঃ ছিঃ! একদম মশকরা করছি না। আচ্ছা
আপনি কোথায় আছেন বলেন আমি নিয়ে
যাবো।
– আচ্ছা! থাক। আপনি বলুন আপনি কোথায়
আছেন?
– আমি ঢাকার মোঃপুর থাকি।
– আরেএ! আমিও তো সেখানে থাকি!
মোঃপুর কোথায়?
– চাঁদমেয়া হাউজিং। আপনি?
– আরে! আমিও তো সেখানে! আপনি কোন
গল্লি? কত নং বাসা?
– ২ নং গল্লি। ৫ নং বাসা।
– আরে আমিও তো সেখানেই থাকি!
– আপনি কোন তলায় থাকেন ভাইয়া?
– পাঁচ তলায়। আপনি?
– আমিও তো সেখানে। আপনি তাহলে
দক্ষিনের বাসায় থাকেন।
– আমি উত্তরের বাসায় থাকি।
– তা কি করে হয়! ঐখানে তো আমি থাকি
আর আমার হ্যাজবেন্ড থাকে।
– আপনার হাজবেন্ডর নাম কি?
– আশিক….!
– কি…!! তুমি…! আনিকা তুমি কি মানুষ
হইবা নাহ্! আমার এত গুলা টেকা শ্যাষ
করাইলা ক্যান! আর তোমার যে আলগা
পিরিতি ছিলো ঐটা তো আমি জানতাম
নাহ্। খাড়াও বাসায় আইসা লই। তোমার
খবর আছে।
– আশিক তুমি! লুইচ্ছা বেডা! নাম্বার
পাইলেই ফোন দিতে হবে! বাসায় আসো!
রান্না বান্না সব বন্ধ।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com