গল্প: বাল্য কালের বউ | পর্ব:- (৩)
তসিবার কপালে আলতু করে একটা চুমু খেলাম,
ভয়ে ভয়ে তসিবার দিকে তাকালাম দেখি তসিবা একটু
সরে আমাকে ছেরে অন্য দিকে গেছে তখনি
আমি শুয়া থেকে ওঠে গেছি তবে আমার হাতটা
তসিবা তার পেটে এখনো ধরে রাখছে। এখন কি
করি তসিবার পেট থেকে আমি হাত সরাবো কি
করে, মনে মনে এই প্লান করতে লাগলাম। হঠাত
করে মাথায় একটা বুদ্ধি উদয় হলো হ্যা এইটা করতে
হবে। আমি তসিবাকে ছোট ছোট করে ডাক
দিতেছি তসিবা মেম ওঠেন আন্টি আপনাকে
ডাকছেন।(আমি)
তসিবা:- (ঘুমের মাঝে বলতে লাগলো আরেকটু
ঘুমাতে দাও আমি পরে ওঠবো) তখনি হঠাত করে
চোখ মেলে বলে,, এই তুমি এখানে কেন আর
তুমি কি করছো?
আমি:- কিছুনা আপনার পেটে একটা মসা বসেছে
তাই মারতে গেছিলাম কিন্তু আপনি আমার হাত ধরে
রাখছেন।
তসিবা:- আমাকে বোকা পাইছো তাইনা আমাদের
রুমে কোন মস নেয় সত্যি করে বলো তুমি
এখানে কি করতে এসেছো?
আমি:- আন্টি বলছে আপনাকে নিচে যেতেন
ফ্রেস হয়ে, আমাকে বলছে আপনাকে
ঢেকে দিতে তাই ডাক দিতে এসেছি।
তসিবা:- আম্মু তোমাকে পাঠিয়েছে আমাকে ডাক
দিতে দ্বাড়াও আমি এখুনি ডাকতেছি আম্মুকে।
আমি:- আপনাকে কষ্ট করে ডাকতে হবেনা আমি
নিজেই পাঠিয়ে দিতেছি। আচ্ছা এখন আমি যাই
কেমন আমার কলেজে যেতে হবে।
তসিবা:- এই শোন?
আমি:- এত মুধুর কন্ঠে ডাকছেন কেন মেম?
তসিবা:- মাই ফুট, এখন বল যদি তোমাকে আম্মু
আমাকে ডাক দিতে বলে তাহলে রুমের দরজাটা
লক করা ছিলো তুমি ভীতরে আসলে কি করে?
আমি:- দরজাটা খোলা ছিলো যখন আমি ভীতরে
আসি সত্যি বলছি খোলা ছিলো।
তসিবা:- তাহলে আবার লক করা কেন আমাকে
বোকা বানাতে চাচ্ছ?
আমি:- কারন আপনার আব্বু যদি দেখে ফেলে তাই
আমি লক করে রাখছি আর আপনার ঘুমের যা অবস্থা
সব কিছু তো এলো মেলো থাকে।
তসিবা:- একদম ভালো হবেনা কিন্তু কোন ওল্টা
পাল্টা বললে। এখন যাও তুমি আমার রুম থেকে আর
কোন দিন আসবেনা আমার রুমে যদি আসো
তাহলে সেই দিনটা হবে তোমার এই বাড়ীর
শেষ দিন।
আমি:- ঠিক আছে মনে থাকবে আর একটা কথা
অনেক দিন পর এই বাড়ীতে এসে মনের সূখে
কোল বালিশটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়ছি।
তসিবা:- তোমার লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই নাকি
কি যাতা বলছো যাবে এখান থেকে নাকি আব্বুকে
ডাক দিব।
আমি:- এখসি যেতেছি বলে দরজাটা খুলে বাহিরে
এসেছি তখনি,,,
তুমি সাড়া রাত এই রুমে ছিলে ভাইয়া? (তিশা)
আমি:- না তো একটু আগে এসে তোমার আপুর
ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছি।
তিশা:- আমাকে রোজ চকলেট এনে দিতে হবে
তানা হলে আমি আব্বুকে বলে দিব তুমি আপুর
সাথে সাড়া রাত এক রুমে ছিলে।
আমি:- আরে এইটা তো আরো পাকনা বুড়ি, তিশার
মুখ চেপে ধরে বলছি হ্যা তোমাকে রোজ
চকলেট এনে দিব তুমি কাওকে কিছু বলোনা।
তিশাকে বুঝিয়ে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিচে
নামছি সবাই নাস্তা করতেছে আমাকে দেখেই,,
চাচি:- আল এসো নাস্তা করবে।
আমি:- হ্যা আসতেছি।
তসিবা:- এখন এই ছোট লোকটার সাথে বসে
নাস্তা করতে হবে আমি নাস্তা করবো না।
চাচি:- তসিবা কি বলছিস এসব কাল আল না থাকলে
তোর কি অবস্থা হতো তুই জানিস?
চাচা:- কি হয়ছে গতকাল?
চাচি:- শোনেন তারপর চাচি চাচাকে আর তসিবাকে
সব কিছু খুলে বলছে সব কিছু শোনে তসিবা
আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছে মনে হচ্ছে
আজকে আমাকে খেয়ে ফেলবে।
চাচা:- বাবা আল তুমি আমার সম্মান বাচিয়েছো
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আচ্ছা তসিবার যত দিন না
বিয়ে হচ্ছে ততদিন তুমি তসিবার সাথে সাথে
থাকবে প্লিজ বাবা না করোনা।
আমি:- আপনি যেহেতু এত করে বলছেন না করি কি
করে?
তসিবা:- আব্বু আপনি ওকে আমার সাথে সাথে
থাকতে বলছেন?
চাচা:- তসিবা আমি তোমার সব আবদার রেখেছি তুমি
আমার এই আবদার টুকু রাখো আর সোহেল
তোমাকে এখন সময় দিতে পারবেনা ওর নিজের
ব্যবসা আর বিয়ের কেনা কাটা সব নিজেকে
করতে হবে।
তসিবা:- তাই বলে গরিব ছোট লোকের বাচ্ছা একটা
ছেলে আমার সাথে সব যায়গায় যাবে?
চাচা:- হ্যা যাবে যদি কাল তোমার কিছু হয়ে যেত তুমি
ড্রিংক্স কেন করতে গেলে?
আমি:- আঙ্কেল এখন ঐ কথা বাদ দেন তখনি তসিবা
এসে আমার গালে ঠাসস করে একটা থাপ্পর দিয়ে
বলে,,
তসিবা:- তোর কাছ থেকে শিখতে হবে
কোনটা বলবে আর কোনটা বাদ দিবে।
আমি:- সরি আমার ভূল হয়ে গেছে।
তসিবা:- ঠিক কথাটা মনে থাকে যেন, আব্বু আমি
আপনার কথায় রাজি আছি আমি ওকে আমার সাথে
সাথে রাখতে চাই।
চাচা:- ঠিক আছে তাহলে আল তোমার এই কিছু দিন
কলেজে না গেলে কোন সমস্যা হবেনা না
তো?
আমি:- না আমার তেমন কোন সমস্যা হবেনা,
( আমি তো এমনিতে কলেজে যেতে
পারবোনা কারন আব্বুকে বলে আসছি এক মাস
পিকনিকে যাবো) আচ্ছা তাহলে আমি একটু রুমে
যাই বলে রুমে চলে এসেছি আর নিজের রাগ
কন্ট্রোল করতে শিখতেছি না তসিবাকে এখন কিছু
বলবোনা আগে বিয়েটা ভেঙে নেয় এরপর
বুঝাবো আমাকে থাপ্পর দেওয়ার পরিনাম কত
প্রকার ও কি কি? রুমে বসে বসে প্লান করতেছি
তখনি,,
তসিবা:- এই চলো আমি বান্ধবীর সাথে দেখা
করতে যাবো তুমিও আমার সাথে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে চলেন তসিবার সাথে আমি ওর
বান্ধবীদের কাছে এসেছি রাস্তায় কোন খারাপ
ব্যবহার করেনি তবে বান্ধবীদের সামনে শুরু
করেছে।
তসিবা:- তুমি ঐ খানে দাঁড়িয়ে থাকো আমি ওদের
সাথে আড্ডা মেরে আসতেছি।
আমি:- ঠিক আছে তসিবা একটা রেস্টুরেন্ট
ঢোকছে আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি অনেক্ষন
হয়ে গেলো তসিবার আসার নাম নেয় আমি একটু
ভীতরে ঢুকে দেখি তসিবা সোহেল আরো
কিছু ছেলে মেয়ে সবাই বসে আড্ডা
মারতেছে আমাকে দেখেই তসিবা ডাক
দিয়েছে,,
তসিবা:- এই ছোট ছেলে এদিকে আয় তুকে না
বলছি আমি না আসা অব্দি বাহিরে অপেক্ষা করতে
তাহলে ভীতরে আসলি কেন?
আমি:- না এমনি দুপুর গড়িয়ে বিকাল শেষ হতে
চলছে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো তাই
ভীতরে এসে দেখছি আপনি আছেন নাকি চলে
গেছেন।
সোহেল:- এই মুখ সামলিয়ে কথা বল তানা হলে
মুখ সেলাই করে দিব বলে দিলাম।
আমি:- সরি স্যার ভূল হয়ে গেছে, তখনি সবাই হাসা
হাসি শুরু করেছে আমি এখন কাওকে কিছু বলতেছিনা
কারন সময়টা আমার পক্ষে নয় তাই। যখন সময় আমার
পক্ষে থাকবে তখন বুঝাবো আমি কি জিনিস।
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে
আছি অনেক্ষন ধরে তাও তসিবার বের হবার কোন
নাম নেয় দুর থাকুক আমার কি আমি চলে যাই তখনি
তসিবা সোহেল সবাই বাহিরে এসেছে।
তসিবা:- আমরা নাইট ক্লাবে যাবো তুমি যাবে
আমাদের সাথে নাকি বাসায় চলে যাবে?
আমি:- হ্যা আপনাদের সাথে যাবো।
সোহেল:- নাইট ক্লাব কিছু বুঝতে পারছো নাকি
জীবনে মনে হয় তুমি চোখে দেখনি তাই
আজকে দেখতে মন চাইছে তাইনা।
আমি:- হ্যা জীবনে এই প্রথম দেখবো, তসিবা
সহ সবাই রওনা দিলাম ভুতরে নাইট ক্লাবে সবাই
ঢুকেছি ভীতরে। সবাই গিয়ে একটু বসে যার যার
মত নাচা নাচি করতে শুরু করেছে আমি বসে বসে
দেখতেছি। ইচ্ছে করছে তসিবাকে কানের
নিচে দুইটা দিয়ে এখান থেকে নিয়ে যাই কিন্তু
পারতেছিনা।
হ্যালো মিস্টার আপনি কি একা, চেয়ে দেখি একটা
ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে।
আমি:- না সাথে আরো কিছু মানুষ আছে ঐ সবাই
নাচতেছে, কিন্তু ভাই একা হলে কি করবো?
ছেলে:- আমাদের কাছে কিছু স্টোক মেয়ে
আছে যারা এখানে একা আসে তাদের সাথে নাচ
করতে যদি লাগে তাহলে বলবেন কেমন?
আমি:- ঠিক আছে আমার লাগবেনা তখনি চেয়ে
দেখি সোহেল ড্রিংক্স আনতে গেছে আর
তসিবার সাথে কিছু ছেলে খারাপ ব্যবহার করতেছে
আমি দেখেও না দেখার বান করে অন্য দিকে
তাকিয়ে আছি কারন দেখি সোহেল এসে কি
বলে ছেলে গুলাকে।
তসিবা:- সোহেল দেখনা এই ছেলে গুলা আমার
সাথে কি সব ব্যবহার করতেছে?
সোহেল:- কামান তসিবা এইটা ক্লাব এখানে যেই
মেয়েকে একা পাবে তার সাথে ছেলেরা নাচা নাচি
করতে আসবে। এতে করে তোমার মন খারাপ
করার কোন কারন নেয়।
তসিবা:- কিন্তু ওরা আমার ওরনা নিয়ে গেছে।
সোহেল:- নিয়ে যাক আমি তোমাকে এর
চেয়ে দাম দিয়ে দশটা ওরনা কিনে দিব। তখনি আমি
একটু কাছে গিয়ে,,
আমি:- ও তাই তাহলে সোহেল যা বলছে একদম
ঠিক আছে, আচ্ছা সোহেল ঐ খানে একটা
মেয়ে একা দাঁড়িয়ে আছে আপনি গিয়ে ওর সাথে
একটু ডান্স করে আসেন।
সোহেল:- তসিবা তুমি থাকতে আমি অন্য
মেয়ের সাথে ডান্স করবো তা কি করে হয়, আর
তোমার কাছে তো খারাপ লাগবে তাইনা তসিবা তুমি
এই ছোট লোকের বাচ্ছাকে বলো এইটা?
আমি:- মেম প্লিজ আপনি দশ মিনিটের জন্য
সোহেলকে সময় দিন প্লিজ।
তসিবা:- ঠিক আছে সোহেল আল ইসলামের কথাই
রইলো আমি তোমাকে দশ মিনিটের জন ঐ
মেয়েটার সাথে ডান্স করতে অনুমতি দিলাম।
আমি:- এই হইনা বাত, ঠিক আছে আমি মেমকে
দেখে রাখছি আপনি যান ওনার সাথে ডান্স করে
আসেন। আমি তসিবাকে আমার সাট খুলে দিয়েছি
কিন্তু নিতে চাইছেনা পরে কি মনে করে সাটটা
পরেছে। সোহেল ঐ মেয়েটার কাছে গিয়ে
মেয়েটার হাত ধরে একটা টান দিয়ে ডান্স করতে
চাইছে তখনি,,, মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড এসে আচ্ছা
মত ধুলাই দিয়েছে।
তসিবা:- আরে সোহেলকে ছেলেটা
মারতেছে যাও ওকে বাচাও।
আমি:- ছেলেটা সোহেলকে মারবেনা তো
আমাকে মারবে অন্যের গ্রালফ্রেন্ডের সাথে
খারাপ ব্যবহার করবে আর তার বয়ফ্রেন্ড চুপ করে
থাকবে তা কি করে হয়। তখনি সোহেল
এসেছে চোখ ফুলে গেছে আর সাট ছিরে
গেছে।
সোহেল:- ছেলেটা কত খারাপ দেখছো তসিবা
আমাকে চালাকি করে মাইর গুলা খায়িছে। এই তোর
জন্য আমি মাইর খাইছি এখন তোর একদিন কি আমার
একদিন।
আমি:- আমার কি দোষ আপনি তো বলছেন এইটা
ক্লাব এখানে কোন মেয়ে একা থাকলে তার
সাথে ছেলেরা খারাপ ব্যবহার করবে। ঐ মেয়ে
কিন্ত একা দাঁড়িয়ে ছিলো তাহলে ওর সাথে ডান্স
করতে গেছেন কিন্তু ওর বয়ফ্রেন্ড এসে
দেখছে আপনি ওকে ডিসট্রাব করছেন তাই মাইর
দিছে। আপনার উচিত ছিলো তসিবার ওরনাটা ফিরেয়ে
আনার।
তসিবা:- আচ্ছা আল তোমার কি উচিত ছিলোনা আমার
ওরনাটা ফিরিয়ে আনার তুমিও তো দেখছো
ছেলে গুলা আমার ওরনাটা নিয়ে গেছে।
আমি:- হ্যা তাতে কি হয়ছে আমি তোমার জন্য এত
গুলা ছেলের সাথে ঝগড়া করতে যাবো কেন
আর তুমি আমার কে?
তসিবা:- আব্বু তোমাকে বলছে আমার সাথে
থেকে আমাকে দেখে রাখতে আর তুমি রাঝি
হয়ছো কিন্ত।
আমি:- এখন আপনার সাথে সোহেল ছিলো
তাহলে আমি যাবো কেন? আচ্ছা অনেক হয়ছে
এখন বাসায় চলেন তখনি তসিবা আমাকে একটা ঠাসস
করে থাপ্পর দিয়ে বলে,,
তসিবা:- তোমার মত কাপুরুষ আমার জীবনেও
দেখিনি তুমি চলে যাও আমি নিজে নিজে যেতে
পারবো, এই সোহেল চলো তোমাকে নিয়ে
ডাক্তারের কাছে যাই।
আমি:- হ্যা যান তাতে আমার কি আমিও তসিবার কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে ঐ ছেলে গুলোকে
খুঝতে গেলাম। কিছুক্ষন খুঝার পর চেয়ে দেখি
একটা ছেলে গলাই পেছিয়ে রাখছেে ওরনাটা
আমি কাছে গিয়ে ওরনাটা ধরে এক টান ওর সাথে যারা
ছিলো সব মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে সব
কয়টাকে একটা করে লাথি দিয়ে ওরনাটা নিয়ে
সোজা বাসায় এসে গেছি। বাসায় এসে দেখি তসিবা
অনেক আগেই চলে এসেছে।
চাচি:- আল এতক্ষন কোথায় ছিলে?
আমি:- একটু কাজ ছিলো তাই দেরি হয়ছে, চাচির কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে রুমে এসে ওরনাটা নিজের
কাছে রেখে দিয়েছি। খাঠের উপর শুয়ে
আমাদের # বাল্য_কালের_ছবি বিয়ের ছবিটা
দেখতেছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে
নেয় সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে
নাস্তা করতে গেছি। তখনি মনে হয়ছে আমার
#বাল্য_কালের_ছবি বিয়ের ছবিটা তো খাঠের
উপরে তারা তারি করে রুমে এসে তো আমি
থমকে গেলাম ছবিটা ওর হাতে কাম সারছে।
চলবে,,,,,
next part পেতে হলে সাথেই থাকুন....!!!
ভয়ে ভয়ে তসিবার দিকে তাকালাম দেখি তসিবা একটু
সরে আমাকে ছেরে অন্য দিকে গেছে তখনি
আমি শুয়া থেকে ওঠে গেছি তবে আমার হাতটা
তসিবা তার পেটে এখনো ধরে রাখছে। এখন কি
করি তসিবার পেট থেকে আমি হাত সরাবো কি
করে, মনে মনে এই প্লান করতে লাগলাম। হঠাত
করে মাথায় একটা বুদ্ধি উদয় হলো হ্যা এইটা করতে
হবে। আমি তসিবাকে ছোট ছোট করে ডাক
দিতেছি তসিবা মেম ওঠেন আন্টি আপনাকে
ডাকছেন।(আমি)
তসিবা:- (ঘুমের মাঝে বলতে লাগলো আরেকটু
ঘুমাতে দাও আমি পরে ওঠবো) তখনি হঠাত করে
চোখ মেলে বলে,, এই তুমি এখানে কেন আর
তুমি কি করছো?
আমি:- কিছুনা আপনার পেটে একটা মসা বসেছে
তাই মারতে গেছিলাম কিন্তু আপনি আমার হাত ধরে
রাখছেন।
তসিবা:- আমাকে বোকা পাইছো তাইনা আমাদের
রুমে কোন মস নেয় সত্যি করে বলো তুমি
এখানে কি করতে এসেছো?
আমি:- আন্টি বলছে আপনাকে নিচে যেতেন
ফ্রেস হয়ে, আমাকে বলছে আপনাকে
ঢেকে দিতে তাই ডাক দিতে এসেছি।
তসিবা:- আম্মু তোমাকে পাঠিয়েছে আমাকে ডাক
দিতে দ্বাড়াও আমি এখুনি ডাকতেছি আম্মুকে।
আমি:- আপনাকে কষ্ট করে ডাকতে হবেনা আমি
নিজেই পাঠিয়ে দিতেছি। আচ্ছা এখন আমি যাই
কেমন আমার কলেজে যেতে হবে।
তসিবা:- এই শোন?
আমি:- এত মুধুর কন্ঠে ডাকছেন কেন মেম?
তসিবা:- মাই ফুট, এখন বল যদি তোমাকে আম্মু
আমাকে ডাক দিতে বলে তাহলে রুমের দরজাটা
লক করা ছিলো তুমি ভীতরে আসলে কি করে?
আমি:- দরজাটা খোলা ছিলো যখন আমি ভীতরে
আসি সত্যি বলছি খোলা ছিলো।
তসিবা:- তাহলে আবার লক করা কেন আমাকে
বোকা বানাতে চাচ্ছ?
আমি:- কারন আপনার আব্বু যদি দেখে ফেলে তাই
আমি লক করে রাখছি আর আপনার ঘুমের যা অবস্থা
সব কিছু তো এলো মেলো থাকে।
তসিবা:- একদম ভালো হবেনা কিন্তু কোন ওল্টা
পাল্টা বললে। এখন যাও তুমি আমার রুম থেকে আর
কোন দিন আসবেনা আমার রুমে যদি আসো
তাহলে সেই দিনটা হবে তোমার এই বাড়ীর
শেষ দিন।
আমি:- ঠিক আছে মনে থাকবে আর একটা কথা
অনেক দিন পর এই বাড়ীতে এসে মনের সূখে
কোল বালিশটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়ছি।
তসিবা:- তোমার লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই নাকি
কি যাতা বলছো যাবে এখান থেকে নাকি আব্বুকে
ডাক দিব।
আমি:- এখসি যেতেছি বলে দরজাটা খুলে বাহিরে
এসেছি তখনি,,,
তুমি সাড়া রাত এই রুমে ছিলে ভাইয়া? (তিশা)
আমি:- না তো একটু আগে এসে তোমার আপুর
ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছি।
তিশা:- আমাকে রোজ চকলেট এনে দিতে হবে
তানা হলে আমি আব্বুকে বলে দিব তুমি আপুর
সাথে সাড়া রাত এক রুমে ছিলে।
আমি:- আরে এইটা তো আরো পাকনা বুড়ি, তিশার
মুখ চেপে ধরে বলছি হ্যা তোমাকে রোজ
চকলেট এনে দিব তুমি কাওকে কিছু বলোনা।
তিশাকে বুঝিয়ে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিচে
নামছি সবাই নাস্তা করতেছে আমাকে দেখেই,,
চাচি:- আল এসো নাস্তা করবে।
আমি:- হ্যা আসতেছি।
তসিবা:- এখন এই ছোট লোকটার সাথে বসে
নাস্তা করতে হবে আমি নাস্তা করবো না।
চাচি:- তসিবা কি বলছিস এসব কাল আল না থাকলে
তোর কি অবস্থা হতো তুই জানিস?
চাচা:- কি হয়ছে গতকাল?
চাচি:- শোনেন তারপর চাচি চাচাকে আর তসিবাকে
সব কিছু খুলে বলছে সব কিছু শোনে তসিবা
আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছে মনে হচ্ছে
আজকে আমাকে খেয়ে ফেলবে।
চাচা:- বাবা আল তুমি আমার সম্মান বাচিয়েছো
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আচ্ছা তসিবার যত দিন না
বিয়ে হচ্ছে ততদিন তুমি তসিবার সাথে সাথে
থাকবে প্লিজ বাবা না করোনা।
আমি:- আপনি যেহেতু এত করে বলছেন না করি কি
করে?
তসিবা:- আব্বু আপনি ওকে আমার সাথে সাথে
থাকতে বলছেন?
চাচা:- তসিবা আমি তোমার সব আবদার রেখেছি তুমি
আমার এই আবদার টুকু রাখো আর সোহেল
তোমাকে এখন সময় দিতে পারবেনা ওর নিজের
ব্যবসা আর বিয়ের কেনা কাটা সব নিজেকে
করতে হবে।
তসিবা:- তাই বলে গরিব ছোট লোকের বাচ্ছা একটা
ছেলে আমার সাথে সব যায়গায় যাবে?
চাচা:- হ্যা যাবে যদি কাল তোমার কিছু হয়ে যেত তুমি
ড্রিংক্স কেন করতে গেলে?
আমি:- আঙ্কেল এখন ঐ কথা বাদ দেন তখনি তসিবা
এসে আমার গালে ঠাসস করে একটা থাপ্পর দিয়ে
বলে,,
তসিবা:- তোর কাছ থেকে শিখতে হবে
কোনটা বলবে আর কোনটা বাদ দিবে।
আমি:- সরি আমার ভূল হয়ে গেছে।
তসিবা:- ঠিক কথাটা মনে থাকে যেন, আব্বু আমি
আপনার কথায় রাজি আছি আমি ওকে আমার সাথে
সাথে রাখতে চাই।
চাচা:- ঠিক আছে তাহলে আল তোমার এই কিছু দিন
কলেজে না গেলে কোন সমস্যা হবেনা না
তো?
আমি:- না আমার তেমন কোন সমস্যা হবেনা,
( আমি তো এমনিতে কলেজে যেতে
পারবোনা কারন আব্বুকে বলে আসছি এক মাস
পিকনিকে যাবো) আচ্ছা তাহলে আমি একটু রুমে
যাই বলে রুমে চলে এসেছি আর নিজের রাগ
কন্ট্রোল করতে শিখতেছি না তসিবাকে এখন কিছু
বলবোনা আগে বিয়েটা ভেঙে নেয় এরপর
বুঝাবো আমাকে থাপ্পর দেওয়ার পরিনাম কত
প্রকার ও কি কি? রুমে বসে বসে প্লান করতেছি
তখনি,,
তসিবা:- এই চলো আমি বান্ধবীর সাথে দেখা
করতে যাবো তুমিও আমার সাথে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে চলেন তসিবার সাথে আমি ওর
বান্ধবীদের কাছে এসেছি রাস্তায় কোন খারাপ
ব্যবহার করেনি তবে বান্ধবীদের সামনে শুরু
করেছে।
তসিবা:- তুমি ঐ খানে দাঁড়িয়ে থাকো আমি ওদের
সাথে আড্ডা মেরে আসতেছি।
আমি:- ঠিক আছে তসিবা একটা রেস্টুরেন্ট
ঢোকছে আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি অনেক্ষন
হয়ে গেলো তসিবার আসার নাম নেয় আমি একটু
ভীতরে ঢুকে দেখি তসিবা সোহেল আরো
কিছু ছেলে মেয়ে সবাই বসে আড্ডা
মারতেছে আমাকে দেখেই তসিবা ডাক
দিয়েছে,,
তসিবা:- এই ছোট ছেলে এদিকে আয় তুকে না
বলছি আমি না আসা অব্দি বাহিরে অপেক্ষা করতে
তাহলে ভীতরে আসলি কেন?
আমি:- না এমনি দুপুর গড়িয়ে বিকাল শেষ হতে
চলছে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো তাই
ভীতরে এসে দেখছি আপনি আছেন নাকি চলে
গেছেন।
সোহেল:- এই মুখ সামলিয়ে কথা বল তানা হলে
মুখ সেলাই করে দিব বলে দিলাম।
আমি:- সরি স্যার ভূল হয়ে গেছে, তখনি সবাই হাসা
হাসি শুরু করেছে আমি এখন কাওকে কিছু বলতেছিনা
কারন সময়টা আমার পক্ষে নয় তাই। যখন সময় আমার
পক্ষে থাকবে তখন বুঝাবো আমি কি জিনিস।
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে
আছি অনেক্ষন ধরে তাও তসিবার বের হবার কোন
নাম নেয় দুর থাকুক আমার কি আমি চলে যাই তখনি
তসিবা সোহেল সবাই বাহিরে এসেছে।
তসিবা:- আমরা নাইট ক্লাবে যাবো তুমি যাবে
আমাদের সাথে নাকি বাসায় চলে যাবে?
আমি:- হ্যা আপনাদের সাথে যাবো।
সোহেল:- নাইট ক্লাব কিছু বুঝতে পারছো নাকি
জীবনে মনে হয় তুমি চোখে দেখনি তাই
আজকে দেখতে মন চাইছে তাইনা।
আমি:- হ্যা জীবনে এই প্রথম দেখবো, তসিবা
সহ সবাই রওনা দিলাম ভুতরে নাইট ক্লাবে সবাই
ঢুকেছি ভীতরে। সবাই গিয়ে একটু বসে যার যার
মত নাচা নাচি করতে শুরু করেছে আমি বসে বসে
দেখতেছি। ইচ্ছে করছে তসিবাকে কানের
নিচে দুইটা দিয়ে এখান থেকে নিয়ে যাই কিন্তু
পারতেছিনা।
হ্যালো মিস্টার আপনি কি একা, চেয়ে দেখি একটা
ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে।
আমি:- না সাথে আরো কিছু মানুষ আছে ঐ সবাই
নাচতেছে, কিন্তু ভাই একা হলে কি করবো?
ছেলে:- আমাদের কাছে কিছু স্টোক মেয়ে
আছে যারা এখানে একা আসে তাদের সাথে নাচ
করতে যদি লাগে তাহলে বলবেন কেমন?
আমি:- ঠিক আছে আমার লাগবেনা তখনি চেয়ে
দেখি সোহেল ড্রিংক্স আনতে গেছে আর
তসিবার সাথে কিছু ছেলে খারাপ ব্যবহার করতেছে
আমি দেখেও না দেখার বান করে অন্য দিকে
তাকিয়ে আছি কারন দেখি সোহেল এসে কি
বলে ছেলে গুলাকে।
তসিবা:- সোহেল দেখনা এই ছেলে গুলা আমার
সাথে কি সব ব্যবহার করতেছে?
সোহেল:- কামান তসিবা এইটা ক্লাব এখানে যেই
মেয়েকে একা পাবে তার সাথে ছেলেরা নাচা নাচি
করতে আসবে। এতে করে তোমার মন খারাপ
করার কোন কারন নেয়।
তসিবা:- কিন্তু ওরা আমার ওরনা নিয়ে গেছে।
সোহেল:- নিয়ে যাক আমি তোমাকে এর
চেয়ে দাম দিয়ে দশটা ওরনা কিনে দিব। তখনি আমি
একটু কাছে গিয়ে,,
আমি:- ও তাই তাহলে সোহেল যা বলছে একদম
ঠিক আছে, আচ্ছা সোহেল ঐ খানে একটা
মেয়ে একা দাঁড়িয়ে আছে আপনি গিয়ে ওর সাথে
একটু ডান্স করে আসেন।
সোহেল:- তসিবা তুমি থাকতে আমি অন্য
মেয়ের সাথে ডান্স করবো তা কি করে হয়, আর
তোমার কাছে তো খারাপ লাগবে তাইনা তসিবা তুমি
এই ছোট লোকের বাচ্ছাকে বলো এইটা?
আমি:- মেম প্লিজ আপনি দশ মিনিটের জন্য
সোহেলকে সময় দিন প্লিজ।
তসিবা:- ঠিক আছে সোহেল আল ইসলামের কথাই
রইলো আমি তোমাকে দশ মিনিটের জন ঐ
মেয়েটার সাথে ডান্স করতে অনুমতি দিলাম।
আমি:- এই হইনা বাত, ঠিক আছে আমি মেমকে
দেখে রাখছি আপনি যান ওনার সাথে ডান্স করে
আসেন। আমি তসিবাকে আমার সাট খুলে দিয়েছি
কিন্তু নিতে চাইছেনা পরে কি মনে করে সাটটা
পরেছে। সোহেল ঐ মেয়েটার কাছে গিয়ে
মেয়েটার হাত ধরে একটা টান দিয়ে ডান্স করতে
চাইছে তখনি,,, মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড এসে আচ্ছা
মত ধুলাই দিয়েছে।
তসিবা:- আরে সোহেলকে ছেলেটা
মারতেছে যাও ওকে বাচাও।
আমি:- ছেলেটা সোহেলকে মারবেনা তো
আমাকে মারবে অন্যের গ্রালফ্রেন্ডের সাথে
খারাপ ব্যবহার করবে আর তার বয়ফ্রেন্ড চুপ করে
থাকবে তা কি করে হয়। তখনি সোহেল
এসেছে চোখ ফুলে গেছে আর সাট ছিরে
গেছে।
সোহেল:- ছেলেটা কত খারাপ দেখছো তসিবা
আমাকে চালাকি করে মাইর গুলা খায়িছে। এই তোর
জন্য আমি মাইর খাইছি এখন তোর একদিন কি আমার
একদিন।
আমি:- আমার কি দোষ আপনি তো বলছেন এইটা
ক্লাব এখানে কোন মেয়ে একা থাকলে তার
সাথে ছেলেরা খারাপ ব্যবহার করবে। ঐ মেয়ে
কিন্ত একা দাঁড়িয়ে ছিলো তাহলে ওর সাথে ডান্স
করতে গেছেন কিন্তু ওর বয়ফ্রেন্ড এসে
দেখছে আপনি ওকে ডিসট্রাব করছেন তাই মাইর
দিছে। আপনার উচিত ছিলো তসিবার ওরনাটা ফিরেয়ে
আনার।
তসিবা:- আচ্ছা আল তোমার কি উচিত ছিলোনা আমার
ওরনাটা ফিরিয়ে আনার তুমিও তো দেখছো
ছেলে গুলা আমার ওরনাটা নিয়ে গেছে।
আমি:- হ্যা তাতে কি হয়ছে আমি তোমার জন্য এত
গুলা ছেলের সাথে ঝগড়া করতে যাবো কেন
আর তুমি আমার কে?
তসিবা:- আব্বু তোমাকে বলছে আমার সাথে
থেকে আমাকে দেখে রাখতে আর তুমি রাঝি
হয়ছো কিন্ত।
আমি:- এখন আপনার সাথে সোহেল ছিলো
তাহলে আমি যাবো কেন? আচ্ছা অনেক হয়ছে
এখন বাসায় চলেন তখনি তসিবা আমাকে একটা ঠাসস
করে থাপ্পর দিয়ে বলে,,
তসিবা:- তোমার মত কাপুরুষ আমার জীবনেও
দেখিনি তুমি চলে যাও আমি নিজে নিজে যেতে
পারবো, এই সোহেল চলো তোমাকে নিয়ে
ডাক্তারের কাছে যাই।
আমি:- হ্যা যান তাতে আমার কি আমিও তসিবার কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে ঐ ছেলে গুলোকে
খুঝতে গেলাম। কিছুক্ষন খুঝার পর চেয়ে দেখি
একটা ছেলে গলাই পেছিয়ে রাখছেে ওরনাটা
আমি কাছে গিয়ে ওরনাটা ধরে এক টান ওর সাথে যারা
ছিলো সব মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে সব
কয়টাকে একটা করে লাথি দিয়ে ওরনাটা নিয়ে
সোজা বাসায় এসে গেছি। বাসায় এসে দেখি তসিবা
অনেক আগেই চলে এসেছে।
চাচি:- আল এতক্ষন কোথায় ছিলে?
আমি:- একটু কাজ ছিলো তাই দেরি হয়ছে, চাচির কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে রুমে এসে ওরনাটা নিজের
কাছে রেখে দিয়েছি। খাঠের উপর শুয়ে
আমাদের # বাল্য_কালের_ছবি বিয়ের ছবিটা
দেখতেছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে
নেয় সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে
নাস্তা করতে গেছি। তখনি মনে হয়ছে আমার
#বাল্য_কালের_ছবি বিয়ের ছবিটা তো খাঠের
উপরে তারা তারি করে রুমে এসে তো আমি
থমকে গেলাম ছবিটা ওর হাতে কাম সারছে।
চলবে,,,,,
next part পেতে হলে সাথেই থাকুন....!!!
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com