Breaking News

গল্পঃ অভিমান । পর্ব- ২য়। লেখাঃ পাগল লেখক

– আমি হলাম আবির চৌধুরী । আমার বাবা শাখাওয়াত চৌধুরী । ঢাকা শহরের একজন বিশিষ্ট বিজনেস ম্যান । আর প্রথমে যে মেয়েটা আমাকে জরিয়ে ধরে কেদেছিলো সে আমার বোন মারিয়া চৌধুরী । ( আবির )
.
– সে নাহয় বুঝলাম । কিন্তু যে মেয়েটা হাত কাটলো সে । ( শাকিল )
.
– ওর নাম মেঘা । ওকে আমি নিজের থেমেও বেশি ভালোবাসতাম ।
.
– কিন্তু এখন বাসিস না তাইতো ।
.
– শুধু বাসিনা তা নয় । ওকে আমি রীতিমত ঘৃণা করি ।
.
– কিন্তু কেন …..? মেয়েটা তো মনে হয় তোকে অনেক ভালোবাসে । আজ তোর জন্য যা করলো এতে তো কোন সন্দেহ নেই ।
.
– এই সব ওর দেখানো ভালোবাসা । ও কোনদিন আমাকে ভালোবাসেনি । যদি ভালোবাসতো তাহলে সামান্য ব্যাপার নিয়ে আমাকে অবিশ্বাস করতে পারতো না । আরে ভালোবাসার ভিওিটাইতো হচ্ছে বিশ্বাস । যে তার ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস করতে পারে না । তার ভালোবাসা বা ভালোবাসা পাওয়ার কোন অধিকার নেই ।
.
– কিন্তু কি হয়েছিলো যে ও তোকে অবিশ্বাস করলো ।
.
– মেঘার বাবা আমার বাবার বিজনেস পার্টনার । তাছারা ওনারা দুজনেই স্কুল লাইফ থেকে বন্ধু । একদিন আমি বিকালে কলেজ থেকে বাসায় এসে দেখি বাবা মেঘার বাবা আর মেঘার মায়ের সাথে কথা বলছেন । আমি বাসায় ঢুকার সাথে সাথে ………
.
– বাবা আবির এদিকে একটু আয় তো ( আবিরের বাবা )
.
– জ্বী আব্বু ….
.
– তোকে বলেছিলাম না আমার বন্ধু মিজান এর কথা এই হচ্ছে আমার বন্ধু আর উনি হচ্ছে তোমার আন্টি ।
.
– আসসালামুআলাইকুম আ‌ংকেল ।
.
– ওয়ালাইকুমুচ্ছালাম ..তুমি ভালো আছো বাবা ।
.
– জ্বী ভালো আছি ।
.
– তারপর ওনাদের সাথে কিছু কথা বলে চলে রুমে চলে আসলাম । আসার সময় দেখলাম মারিয়ার রুমে কার সাথে যেন ও হেসে হেসে কথা বলছে । আ‌মি ওত গুরুত্ব না দিয়ে চলে আসলাম । এসে ফ্রেস হয়ে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যেই বিছানায় গা হেলিয়ে দিব সেই সময় মারিয়া আমার রুমে ঢুকলো ।
.
– কিরে কিছু বলবি …
.
– ভাইয়া একজন তোর সাথে দেখা করতে চায় ।
.
– কে ….?
.
– আজ আমাদের বাড়িতে নতুন অতিথি আসছে না সেই দেখা করতে চায় ।
.
– ও আংকেল , আন্টি …আমিতো ওনাদের সাথে দেখা করে আসলাম ।
.
– আরে ওনারা নয় । আরো একজন অাছে….।
.
– তাহলে ডাক …..
.
– মারিয়া বাইরে গিয়ে একটা ‌মেয়েকে নিয়ে আমার রুমে ঢুকলো । আমিতো দেখে অবাক । এত সুন্দর কেউ হতে পারে কি …?
.
– কিরে ভাইয়া কি দেখছিস ….?
.
– কই না না …কিছুনা । ইনিই তাহলে সে….
.
– হুমমম। তোরা কথা বল আমি একটু মায়ের কাছে যাই ….( মারিয়া )
.
– হাই …..আমি মেঘা । ( হাত বারিয়ে )
.
– আমি আবির ….।
.
– আমি জানি……। ( মেঘা )
.
– কিভাবে জানলেন … ?
.
– মারিয়ার কাছ থেকে শুনেছি …।
.
– ও…..তা আর কি কি জানলেন …..
.
– অনেক কিছু …..
.
– তার পর আ‌মাদের দুজনের মধ্যে অনেক কথা হয় । ওর কথা বলার ভঙ্গিমা ওর চোখ আর ওর কথা বলার সময় গালের পরা টোল টা যেন মেঘাকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছিলো ।
.
– কিরে ভাইয়া নতুন অতিথিকে আর কতক্ষন কথার জালে আটকিয়ে রাখবি । এবার তো ছার বাবা খাওয়ার জন্য ডাকছে । ( মারিয়া )
.
– কথাটা শুনে মেঘা লজ্জা পায় । যা ওকে আরো মোহনীয় করে তুলেছিলো ।
.
– তারপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে নেই ।
.
– তারপর কিছুক্ষন দেরি করে ওনারা চলে যায় । সাথে মেঘাও । যাওয়ার সময় আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো । ‌মেঘার ওই মাায়া ভরা চাহনী সেদিন আমাকে বধ করেছিলো ।
.
– রাতের বেলায় আমি আমার রুমে বসে মোবাইল চলাচ্ছিলাম সেই সময় মারিয়ে আমার রুমে আসে …..
.
– ভাইয়া তোর একট জিনিস না মেঘ আপুকে দিয়ে দিয়েছি …
.
– কি দিয়েছিস …..
.
– বলবোনা …..আগে বল তুই কাল আমায় স্কুলে রেখে আসবি তোর বাইকে করে ।
.
– আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে । এবার বল ….
.
– তোর ফোন নাম্বার টানা মেঘা আপুকে দিয়ে দিয়েছি …..।
.
– কি…..? ( আনেকটা অবাক হয়ে । আবার মনে মনে খুসিও হয়েছি )
.
– হুমম‌‌ম
.
– কেন দিয়েছিস ……
.
– চাইলো তাই দিলাম । কেন তুই খুসি হসনি …….
.
– এখনে খুসি হওয়ার কিছি নাই । যা গিয়ে পড়তে বস ।
.
– কাল তোকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আমি কলেজে যাবো ।
.
– পরের দিন সকালে…….
.
– কিরে মারিয়া হলো তোর । আর কতক্ষন দেরি করাবি আমার । এই জন্য তোকে আমি নিয়ে যেতে চাইনা …….
.
– আরে হয়েছতো…চল..।
.
– তারপর মারিয়া কে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে যেই চলে আসতে যাবো । সেই সময় মারিয়া বলল ।
.
– এ ভাইয়া একটু দাড়াবি…….
.
– কেন ….?
.
– তুই এখানে থাক আমি আসতেছি ……।
.
– কিছুক্ষন পর দেখলা‌ম মারিয়া একটা মেয়েকে নিয়ে আসতেছে । ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম আরে এতো মেঘা । তারমানে ও এখানেই পরে….।
.
– কেমন আছেন…..( মেঘা )
.
– ভালো আপনি…..
.
– ভাই তোরা কথা বল আমি গেলাম …..
.
– আমিও ভালো। তবে আমাকে তুমি করে বললে খুসি হতাম । আমি আপনার ছোট । ( মেঘা )
.
– তাহলে তোমাকেও তুমি করে বলতে হবে ।
.
– ঠিক আছে …..
.
– তুমিকি এখানেই পড় ……( আবির )
.
– হুমম‌ম…..এইবার ক্লাস টেনে ……..।
.
– ও….কাল নাম্বার নিয়া গেলে গেলে ফোন তো দিলা না ।
.
– আসলে সাহস হচ্ছিল না । তাই দেই নি ….
.
– ওকে । তোমার নাম্বার টা দাও । আমি কল দেব এখন ।
.
– তারপর আরো কিছুক্ষন কথা বলে মেঘার নাম্বার নিয়ে কলেজে চলে যাই ….।
.
– সেদিন আর কলেজে মন বসে নি । তাই তারাতারি বাসায় চলে আসি …..।
.
– সেদিন বিকালে……মারিয়া আ‌মার রুমে এসে .

.
– কিরে ভাইয়া মেঘা আপুর সাথে কি কথা বললি…..
.
– তোকে বললবো কেন ……?
.
– তো কাকে বলবি ….শোন আমি কিন্তু মেঘা আপুকে তোর কাছে ডেকে এনে দিয়েছি…..
.
– তো কি হয়েছে…..
.
-কিছু হয়নি তবে হবে….
.
– মানে…..
.
– কিছুনা তবে মেঘা আপু ভাবি হিসাবে পারফেক্ট……বলেই এক দৌড়…….,।
.
– আর আমি ওর কথা শুনে হাসতেছি….।
.
– রাতে ফোনের দিকে চোখ যাওয়ায় মনে হলো । একটা ফোন দেওয়া যাক …..
.
– চলবে……..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com