দুই দিদির দুই ননদ | পর্বঃ শেষ পর্ব | লেখকঃ Samadder Chayon
মিম আর ওর বান্ধবীদের কথা উদ্দেশ্যটা আমার বোধগম্য হচ্ছিলোনা..তাই মিমিকে ডাক দিলাম
:-মিম এদিকে শুনো
:-হ্যা বলো
:-তোমরা ঠিক কি বিষয়ে কথা বলছো?একটু বলবে?
:-হুম..আমার বান্ধবীরা বলছে আমাদের দুজনকে খুব ভালো মানিয়েছে
:-মানে?
:-আমাদের জুটিটা খুব সুন্দর
:-মিম তুমি আবার শুরু করেছো এই পাগলামো?
:-পাগলামো কিসের?আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি
:-আর কতবার বলবো?আমি তোমাকে ভালোবাসিনা
:-আমি তোমাকে ভালোবাসি(চিৎকার করে)
মিমের চিৎকার শুনে..আশেপাশের সকলে আমাদের দিকে উৎসুক ভাবে তাকিয়ে আছে..তাই এখানে বাজে সিনক্রিয়েট করা যাবেনা..তাই মিমের হাতটা ধরে বাইকের কাছে আনলাম..তারপর বাইক স্টার্ট দিয়ে..মিমকে বললাম..
:-বাইকে উঠো
:-না উঠবোনা..আগে আমার উত্তর দাও
:-মিমি পাগলামি বন্ধ করো
:-না..করবোনা
:-প্লিজ উঠো..তোমার ভালাবাসার দোহাই লাগি
:-ঠিক আছে..উঠছি
অতঃপর মিম বাইকে উঠলো...আমি আর এক মূহুর্ত দেরি না করে সোজা বাড়ি চলে আসলাম..
তারপর রুমে এসে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলাম..
তা দেখে বড়দি দ্রুত রুমে আসলো..এবং আমাকে বললো..
:-কিরে ভাই ব্যাগ গোছাচ্ছিস কেনো?
:-এখানে আর থাকবোনা
:-কেনো...কি হইছে?
:-শুন...(বড়দিকে সবটা খুলে বললাম)
:-কি বলবো বল?আর কয়েকটা দিন থেকে গেলে ভালো হতো
:-থাকতে চাইছিলাম..কিন্তু এখন আর তা সম্ভব না..এখানে থাকলে মিম কি করে বসে তার ঠিক নাই
:-হুম..আচ্ছা বাড়ি যেয়ে ফোন করিস
:-বাড়ি যাচ্ছিনাতো
:-তাহলে কোথায় যাবি?
:-ছোটদির ওখানে
:-তন্নিকে জানিয়েছিস?
:-না..সারপ্রাইজ দিবো
:-আচ্ছা
অতঃপর বড়দির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম..গন্তব্য এখন ছোটদির বাড়ি..আমি চলে এসেছি তা মিম টের পাইনি...
বাস থেকে নামলাম..ছোটদির বাড়ি গ্রামের ভেতর তাই একটু হেটে যেতে হবে..
ভাবলাম মধুমিতাকে একটু সারপ্রাইজ দিই..তাই ফোন দিলাম...
:-হ্যালো লক্ষিটি
:-হুম মহারাজ..এতক্ষনে মনে পড়েছে আমাকে?
:-হুম..তুমিতো সবসময় আমার মনেই থাকো
:-আহা!ঢং দেখে বাচিনা..দুর থেকেই দরদ দেখাই
:-তাই..তাহলে কাছে আসবো?
:-হুম আসো
:-সত্যি আসবো?
:-হুম
:-একটু জড়িয়ে ধরি?
:-কিভাবে?জড়িয়ে ধরবে শুনি?
:-সে যেভাই ধরি..তুমি শুধু বলো জড়িয়ে ধরবো কিনা?
:-আচ্ছা ধরো....
এতক্ষন মধুমিতার থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম..
তাই ওর সম্মতি পাওয়ার সাথে সাথেই পেছনে থেকে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম..হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরার কারনে চিৎকার করে দুরে সরে গেলো..
:-তু..তুমি।এখানে?
:-হ্যা এখানে..কেমন দিলাম সারপ্রাইজ?
:-আমিতো ভয় পেয়ে গেছিলাম
:-কিরে মধু চিৎকার দিলি কেনো?আরে ভাই তুই(ছোটদি)
:-হুম..আমি
:-হঠাৎ কিছু না জানিয়ে চলে আসলি?
:-আগেতো বলেছিলাম আসবো
:-হুম..
:-খুব ক্ষিদা লেগেছে কিছু খেতে দিবি?
:-হুম ভিতরে আয়
অতঃপর খাওয়া দাওয়া করে গল্প করছিলাম মধুমিতার সাথে...তখন হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো...আননোন নাম্বার তাই ফোন রিসিব করছিলাম না..কিন্তু হঠাৎ করেই মধুমিতা কলটা রিসিভ করলো..
:-ওই তুমি আমাকে না বলে চলে আসলে কেনো?আর সরি..তখন ওভাবে চিৎকার করা ঠিক হয়নি..তাই বলে চলে গেলে?(ওপাশ থেকে)
:-কে বলছেন?কাকে চাই?(মধুমিতা)
:-আপনি কে?আর চয়নের ফোন আপনার কাছে কেনো?
:-তার আগে তুমি বলো..তুমি কে?
:-আমি মিম..চয়নের ছোটদির ননদ।আমি চয়নকে ভালোবাসি
:-চয়ন তোমাকে ভালোবাসে?
:-না এখনো বাসে তবে ভালোবাসবে?কিন্তু আপনি কে?
:-আমি চয়নের ছোটদির ননদ মধুমিতা..
:-ওহ..আপনিও চয়নের পেছনে লাইন দিয়েছেন?
:-জ্বি না..আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি..নেক্সট টাইম এই নাম্বারে ফোন দিবেনা..
বলেই মধুমিতা ফোন কেটে দিলো..
আর আমাকে বললো...
:-এই মিমের নাম্বার ব্লকলিষ্টে রাখো
:-আচ্ছা
আজ দুইদিন হলো ছোটদির বাড়িতে আছি..সময়টা বেশ ভালোই কাটছে মধুমিতার সাথে..সারাদিন আড্ডা,দুষ্টুমিতে ভালোই ছিলাম..
তৃতীয় দিনের দিন সকালে বাড়ি থেকে বাবার ফোন আসলো...
:-হ্যালো বাবা..
:-হুম..কোথাই তুই?
:-ছোটদির বাসাই..
:-এক্ষুনি বাড়িতে চলে আয়
:-কেনো?কি সমস্যা?
:-সেটা এসেই জেনে নিও
:-আচ্ছা..
অতঃপর ছোটদি আর মধুমিতাকে বলে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম..
বাড়িতে এসে দেখি..বড়দি,বড় জিজু..আর মিম বসে আছে..সাথে মা আর বাবা..
কিন্তু অবাক করার বিষয়..তিনদিন আগে যে মিমকে দেখেছিলাম আর আজকে যেই মিমকে দেখছি তার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত..মিমের মুখটা আজ কেমন ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে..
:-চয়ন এখানে এসে বস..(বাবা)
:-হুম..
:-শোন আমরা তোর বিয়ে ঠিক করেছি..
:-বিয়ে?কার সাথে?
:-এই যে মেয়েটা দেখছো ওর সাথে..
:-আমি পারবোনা মিমকে বিয়ে করতে..
:-সমস্যা কোথায়?এই মেয়েটা আজ দুইদিন ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করা ছেড়ে দিয়েছে..কারন তুমি তার ভালোবাসা গ্রহন করোনি তাই..মেয়েটা তোকে অনেক ভালোবাসে..
:-কিন্তু আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি..
:-অন্য কাউকে?কাকে?
:-ছোটদির ননদ মধুমিতাকে
:-কি বাজে বকছিস..মধুমিতা তোর থেকে বড়
:-তো কি হইছে?আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি..আর বিয়ে করলে ওকেই করবো
:-আর এই মেয়েটা কি করবে?তোর জন্য কষ্ট পেয়ে মরবে?
:-আমি কি জানি?
বলে রুমে এসেই ঘুম দিলাম..কখন ঘুমিয়েছি খেয়াল নেই...
সন্ধার দিকে ঘুম থেকে উঠে রুম থেকে উঠে বাইরে আসলাম..এবার একটু অবাক হলাম..বাড়দিরা আছে আর তার সাথে ছোটদি,ছোটদির শ্বশুর..আর মধুমিতা..বুঝতে পারলাম না সবাই এখানে কেনো?একটু এগিয়ে গেলাম ব্যাপরটা কি জানার জন্য..তখন বাবা ডাক দিলেন..
আর বললেন..তারা সবাই সিন্ধান্ত নিয়েছেন মধুমিতা এবং মিম দুজনকেই আমার সাথে বিয়ে দেওয়া হবে এটাই ফাইনাল..
.
অতঃপর কয়েকদিন পর..আজ আমাদের বিয়ে হলো..দুই বৌকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছি..একটা প্রাইভেট কারের ভেতর শেষের সিটে মাঝখানে আমি আর দুই পাশে দুই বৌ দুই কাধে মাধে দিয়ে আমার বুকের পরে এক হাত দিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছে..
এবার আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো..আমি কাধটা সরিয়ে নিতেই..দুজনে মাথায় ঠুল খেয়ে..চেচিয়ে উঠলো..আউউউউ
তারপর রেগে বললো বাড়ি চলো তোমাকে দেখে নিবো..
অতঃপর বাড়ি এসে সব নিয়ম কানুন শেষে বাসর ঘরে ঢুকলাম..সাথে সাথে দুজন এসে কলার ধরে বিছানার উপর ফেলে চেপে ধরলো..
.
শুনেছি সবাই এক বৌয়ের নির্যাতন সহ্য করতে পারেনা..আর আমাকে দুই বৌয়ের নিযাতন সহ্য করতে হবে
.
>>THE END<<
:-মিম এদিকে শুনো
:-হ্যা বলো
:-তোমরা ঠিক কি বিষয়ে কথা বলছো?একটু বলবে?
:-হুম..আমার বান্ধবীরা বলছে আমাদের দুজনকে খুব ভালো মানিয়েছে
:-মানে?
:-আমাদের জুটিটা খুব সুন্দর
:-মিম তুমি আবার শুরু করেছো এই পাগলামো?
:-পাগলামো কিসের?আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি
:-আর কতবার বলবো?আমি তোমাকে ভালোবাসিনা
:-আমি তোমাকে ভালোবাসি(চিৎকার করে)
মিমের চিৎকার শুনে..আশেপাশের সকলে আমাদের দিকে উৎসুক ভাবে তাকিয়ে আছে..তাই এখানে বাজে সিনক্রিয়েট করা যাবেনা..তাই মিমের হাতটা ধরে বাইকের কাছে আনলাম..তারপর বাইক স্টার্ট দিয়ে..মিমকে বললাম..
:-বাইকে উঠো
:-না উঠবোনা..আগে আমার উত্তর দাও
:-মিমি পাগলামি বন্ধ করো
:-না..করবোনা
:-প্লিজ উঠো..তোমার ভালাবাসার দোহাই লাগি
:-ঠিক আছে..উঠছি
অতঃপর মিম বাইকে উঠলো...আমি আর এক মূহুর্ত দেরি না করে সোজা বাড়ি চলে আসলাম..
তারপর রুমে এসে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলাম..
তা দেখে বড়দি দ্রুত রুমে আসলো..এবং আমাকে বললো..
:-কিরে ভাই ব্যাগ গোছাচ্ছিস কেনো?
:-এখানে আর থাকবোনা
:-কেনো...কি হইছে?
:-শুন...(বড়দিকে সবটা খুলে বললাম)
:-কি বলবো বল?আর কয়েকটা দিন থেকে গেলে ভালো হতো
:-থাকতে চাইছিলাম..কিন্তু এখন আর তা সম্ভব না..এখানে থাকলে মিম কি করে বসে তার ঠিক নাই
:-হুম..আচ্ছা বাড়ি যেয়ে ফোন করিস
:-বাড়ি যাচ্ছিনাতো
:-তাহলে কোথায় যাবি?
:-ছোটদির ওখানে
:-তন্নিকে জানিয়েছিস?
:-না..সারপ্রাইজ দিবো
:-আচ্ছা
অতঃপর বড়দির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম..গন্তব্য এখন ছোটদির বাড়ি..আমি চলে এসেছি তা মিম টের পাইনি...
বাস থেকে নামলাম..ছোটদির বাড়ি গ্রামের ভেতর তাই একটু হেটে যেতে হবে..
ভাবলাম মধুমিতাকে একটু সারপ্রাইজ দিই..তাই ফোন দিলাম...
:-হ্যালো লক্ষিটি
:-হুম মহারাজ..এতক্ষনে মনে পড়েছে আমাকে?
:-হুম..তুমিতো সবসময় আমার মনেই থাকো
:-আহা!ঢং দেখে বাচিনা..দুর থেকেই দরদ দেখাই
:-তাই..তাহলে কাছে আসবো?
:-হুম আসো
:-সত্যি আসবো?
:-হুম
:-একটু জড়িয়ে ধরি?
:-কিভাবে?জড়িয়ে ধরবে শুনি?
:-সে যেভাই ধরি..তুমি শুধু বলো জড়িয়ে ধরবো কিনা?
:-আচ্ছা ধরো....
এতক্ষন মধুমিতার থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম..
তাই ওর সম্মতি পাওয়ার সাথে সাথেই পেছনে থেকে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম..হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরার কারনে চিৎকার করে দুরে সরে গেলো..
:-তু..তুমি।এখানে?
:-হ্যা এখানে..কেমন দিলাম সারপ্রাইজ?
:-আমিতো ভয় পেয়ে গেছিলাম
:-কিরে মধু চিৎকার দিলি কেনো?আরে ভাই তুই(ছোটদি)
:-হুম..আমি
:-হঠাৎ কিছু না জানিয়ে চলে আসলি?
:-আগেতো বলেছিলাম আসবো
:-হুম..
:-খুব ক্ষিদা লেগেছে কিছু খেতে দিবি?
:-হুম ভিতরে আয়
অতঃপর খাওয়া দাওয়া করে গল্প করছিলাম মধুমিতার সাথে...তখন হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো...আননোন নাম্বার তাই ফোন রিসিব করছিলাম না..কিন্তু হঠাৎ করেই মধুমিতা কলটা রিসিভ করলো..
:-ওই তুমি আমাকে না বলে চলে আসলে কেনো?আর সরি..তখন ওভাবে চিৎকার করা ঠিক হয়নি..তাই বলে চলে গেলে?(ওপাশ থেকে)
:-কে বলছেন?কাকে চাই?(মধুমিতা)
:-আপনি কে?আর চয়নের ফোন আপনার কাছে কেনো?
:-তার আগে তুমি বলো..তুমি কে?
:-আমি মিম..চয়নের ছোটদির ননদ।আমি চয়নকে ভালোবাসি
:-চয়ন তোমাকে ভালোবাসে?
:-না এখনো বাসে তবে ভালোবাসবে?কিন্তু আপনি কে?
:-আমি চয়নের ছোটদির ননদ মধুমিতা..
:-ওহ..আপনিও চয়নের পেছনে লাইন দিয়েছেন?
:-জ্বি না..আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি..নেক্সট টাইম এই নাম্বারে ফোন দিবেনা..
বলেই মধুমিতা ফোন কেটে দিলো..
আর আমাকে বললো...
:-এই মিমের নাম্বার ব্লকলিষ্টে রাখো
:-আচ্ছা
আজ দুইদিন হলো ছোটদির বাড়িতে আছি..সময়টা বেশ ভালোই কাটছে মধুমিতার সাথে..সারাদিন আড্ডা,দুষ্টুমিতে ভালোই ছিলাম..
তৃতীয় দিনের দিন সকালে বাড়ি থেকে বাবার ফোন আসলো...
:-হ্যালো বাবা..
:-হুম..কোথাই তুই?
:-ছোটদির বাসাই..
:-এক্ষুনি বাড়িতে চলে আয়
:-কেনো?কি সমস্যা?
:-সেটা এসেই জেনে নিও
:-আচ্ছা..
অতঃপর ছোটদি আর মধুমিতাকে বলে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম..
বাড়িতে এসে দেখি..বড়দি,বড় জিজু..আর মিম বসে আছে..সাথে মা আর বাবা..
কিন্তু অবাক করার বিষয়..তিনদিন আগে যে মিমকে দেখেছিলাম আর আজকে যেই মিমকে দেখছি তার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত..মিমের মুখটা আজ কেমন ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে..
:-চয়ন এখানে এসে বস..(বাবা)
:-হুম..
:-শোন আমরা তোর বিয়ে ঠিক করেছি..
:-বিয়ে?কার সাথে?
:-এই যে মেয়েটা দেখছো ওর সাথে..
:-আমি পারবোনা মিমকে বিয়ে করতে..
:-সমস্যা কোথায়?এই মেয়েটা আজ দুইদিন ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করা ছেড়ে দিয়েছে..কারন তুমি তার ভালোবাসা গ্রহন করোনি তাই..মেয়েটা তোকে অনেক ভালোবাসে..
:-কিন্তু আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি..
:-অন্য কাউকে?কাকে?
:-ছোটদির ননদ মধুমিতাকে
:-কি বাজে বকছিস..মধুমিতা তোর থেকে বড়
:-তো কি হইছে?আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি..আর বিয়ে করলে ওকেই করবো
:-আর এই মেয়েটা কি করবে?তোর জন্য কষ্ট পেয়ে মরবে?
:-আমি কি জানি?
বলে রুমে এসেই ঘুম দিলাম..কখন ঘুমিয়েছি খেয়াল নেই...
সন্ধার দিকে ঘুম থেকে উঠে রুম থেকে উঠে বাইরে আসলাম..এবার একটু অবাক হলাম..বাড়দিরা আছে আর তার সাথে ছোটদি,ছোটদির শ্বশুর..আর মধুমিতা..বুঝতে পারলাম না সবাই এখানে কেনো?একটু এগিয়ে গেলাম ব্যাপরটা কি জানার জন্য..তখন বাবা ডাক দিলেন..
আর বললেন..তারা সবাই সিন্ধান্ত নিয়েছেন মধুমিতা এবং মিম দুজনকেই আমার সাথে বিয়ে দেওয়া হবে এটাই ফাইনাল..
.
অতঃপর কয়েকদিন পর..আজ আমাদের বিয়ে হলো..দুই বৌকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছি..একটা প্রাইভেট কারের ভেতর শেষের সিটে মাঝখানে আমি আর দুই পাশে দুই বৌ দুই কাধে মাধে দিয়ে আমার বুকের পরে এক হাত দিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছে..
এবার আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো..আমি কাধটা সরিয়ে নিতেই..দুজনে মাথায় ঠুল খেয়ে..চেচিয়ে উঠলো..আউউউউ
তারপর রেগে বললো বাড়ি চলো তোমাকে দেখে নিবো..
অতঃপর বাড়ি এসে সব নিয়ম কানুন শেষে বাসর ঘরে ঢুকলাম..সাথে সাথে দুজন এসে কলার ধরে বিছানার উপর ফেলে চেপে ধরলো..
.
শুনেছি সবাই এক বৌয়ের নির্যাতন সহ্য করতে পারেনা..আর আমাকে দুই বৌয়ের নিযাতন সহ্য করতে হবে
.
>>THE END<<
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com