দুই দিদির দুই ননদ | পর্বঃ -২
:-আমি আজ এখানে আসবো তুমি কিভাবে জানলে?
:-সকালে দাদার(আমার জিজু)ফোন করেছিলাম..তখন দাদা বললো…
:-ওহ..
:-কতদিন থাকবা এখানে?
:-কালকেই চলে যাবো…
:-এহহ বললেই হলো?এবার আর ফুড়ুৎ করে যেতে দিবোনা..
:-না থাকলে কি জোর করে আটকে রাখবে?
:-দরকার হলে তাই করবো..
:-দেখা যাবে..
:-মামা আইসা পড়ছি….(রিক্সাওয়ালা)
:-ওহ..হুম
রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার জন্য মানিব্যাগ বের করছিলাম..আমার আগেই মিম রিক্সা ভাড়া দিয়ে দিলো…
:-চলো..(মিম)
:-হুম..আমার ভাড়া তুমি দিলা কেনো?
:-ইচ্ছে হইছে তাই
:-তুমিও যেমন তোমার ইচ্ছাগুলোও তেমন
:-হুম খুব সুন্দর তাইনা?
:-সুন্দর না ছাই(আস্তে বললাম)
:-কি বললে?
:-হ্যা খুব সুন্দর..
অতঃপর বড়দির বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম..বড়দি আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো..অনেকদিন পর দেখা হলো তাই..
:-বাহ!বৌদি ভাই পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে?ভাইকে খুব আদর হচ্ছে?আমি কত কাজ করে দিই..আমাকে তো আদর করোনা..
:-কে বলেছে এইতো লক্ষি ননদকে কত আদর করি…[বড়দি আমাকে ছেড়ে মিমকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে চুমু খেলো]
:-মিমি অনেক আদর করে দিয়েছি…আমার ভাইকে নিয়ে রুমে যা..
:-আচ্ছা বৌদি..
মিমি আমাকে রুমে নিয়ে আসলো..বড়দির এখানে যতবার এসেছি ততবারই এইরুমে থেকেছি…হঠাৎ মনে পড়লে মধুমিতার সাথে একবারও কথা বল হয়নি এতক্ষন..তাই পকেট থেকে ফোন বের করলাম..এত্তগুলা মিসকল সাথে কয়েকটা এস এম এস…আমি একটা ছোট্ট এস এম এস দিলাম…”জানপাখি একটু অপেক্ষা করো কল দিচ্ছি”
অপেক্ষা করতে বললাম..কারন আপদ বিদায় করতে হবে..মানে মিমিকে..
:-মিমি তুমি রুমে গিয়ে রেষ্ট নাও আমাকেও রেষ্ট নিতে দাও..
:-দাড়াও ঘরটা গুছিয়ে দিই
:-বললাম না যাও..
:-যাচ্ছি যাচ্ছি..শরবত এনে দিচ্ছি খেয়ে রেষ্ট নাও
:-কিছু আনতে হবেনা যাও..
:-আচ্ছা..অল্প রেষ্ট নিবা বিকালে ঘুরতে যাবো
:-আচ্ছা..যাওতো এখন
:-হু যাচ্ছি(মুখ ভেঙ্চিয়ে)
তারপর মিমি ঘর থেকে চলে গেলো..এবার মধুমিতাকে কল দিবো..
:-হ্যালো..
:-হুম লক্ষিটি কি করছো?
:-বলবনা..আমি কল দিল ধরনাই কেনো?
:-সোনা ফোন পকেটে ছিলো বুঝতে পারিনি
:-এতক্ষন ফোন পকেটে কি করছিলো?
:-তোমাকে বলা হয়নি…আমি বড়দির বাড়ি এসেছি..
:-হ্যা ওখানেই যাও..ওখানে তোমার মিম আছেতো..আমি কতকরে আসতে বললাম তুমি আসলেনা…
:-শুধু শুধু রাগ করছো..আমিতো মিমকে সহ্য করতে পারিনা..বড়দির বাড়ি অনেকদিন আসিনা তাই আসলাম..এখানে থেকে সোজা তোমাদের ওখানে
:-সত্যিতো?
:-হুম..এখন কি করো?
:-বান্ধবিদের সাথে ঘুরতে এসেছি..
:-ওহ..আচ্ছা ঘুরো তাহলে..পরে কথা বলবো
:-আচ্ছা বাই
:-বাই…
মধুমিতার সাথে কথা বলা শেষে বড়দি খেতে ডাকলো..তাই খাওয়া দাওয়া করে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম…
বেশ কিছুক্ষন পর দরজা ধাক্কানোর শব্দ পেলাম..তাই দ্রুত গিয়ে দরজা খুলে দিলাম..দেখি আপদ বেশ সেজেগুড়ে দাড়িয়ে আছে..তাই বললাম
:-কি হইছে?
:-রেডি হও..ঘুরতে যাবো
:-আমি খুব ক্লান্ত এখন ঘুমাবো..
:-না এখন ঘুরতে যাবে..শিঘ্র রেড়ি হও
:-বললাম না যাবোনা..
:-ও বৌদি…বৌদি?
:-কি হয়েছে মিম?(বড়দি)
:-দেখোনা তোমার ভাইকে একটু ঘুরতে যেতে বলছি..যাবেনা বলছে
:-ভাই মিমের সাথে ঘুরে আয়..দেখবি ভালো লাগবে..
:-যাচ্ছি…
অতঃপর রেডি হলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য..
:-চলো..কোথাই যাবে?
:-তুমি বাইক চালাতে পারো?
:-হুম..
:-তাহলে চলো..দাদার বাইকটা স্টার্ট করো
:-ওটা তোমার দাদার বাইক না গালফ্রেন্ড..ওইটাতে হাত দিলেও তোমার দাদা রেগে যাবে..
:-কিচ্ছু বলবেনা চলতো..
:-চাবি নাহলে স্টার্ট দিবো কিভাবে?
:-দাড়াও আনছি..
মিমি বাইকের চাবি আনতে গেলো..জিজুকে এই বাইকটা গিফ্ট করেছিলো বড়দি..বিয়ের আগে টিউশনি,কোচিং করে বড়দি টাকা জমিয়ে ছিলো..বাড়দির ইচ্ছা ছিলো ওর যার সাথে বিয়ে হবে তাকে নিজের টাকায় বাইক কিনে দিবে..
তাই জিছু বাইকটাকে অনেক যত্নে রাখে..
:-এই নাও চাবি..
:-চুরি করে আনলে নাকি জিজু নিজের ইচ্ছায় দিলো?
:-চুরি করে আনতে হবে কেনো?দাদা নিজের ইচ্ছাতেই দিয়েছে…
:-আচ্ছা চলো..
অতঃপর মিমিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম..কোথাও যাবো যানিনা..সোজা রাস্তা ধরে এগোচ্ছি..কিছুদূর আসার পর..
:-এই থামো..থামো
:-কেনো?
:-ঐ দেখো গাছে পাকা আম..
:-তো?
:-আম খাবো..
:-পরের গাছের আম চুরি করে গেছে তোমার সাথে আমাকেও ক্যালানি দিবে বুঝেছো?
:-পরের গাছে কে বলেছে?ওটা আমাদের গাছ
:-ওহ…
অতঃপর মিমি বাইক থেকে নেমে দুইটা আম পাড়লো..লাঠি দিয়ে।তারপর আবার আমার কাছে আসলো…
:-এই নাও একটা আমার একটা তোমার
:-আমি খাবোনা..তুমিই খাও
:-আরে খেয়ে দেখো..একটা খেলে আরেকটা খেতে ইচ্ছা করবে..
:-আচ্ছা দাও..
মিমির কথা শুনে আমটা খেলাম..সত্যিই ভিষন টেষ্টি আম..গরমকালে আমের চেয়ে ভালো ফল আর হয়না..খাওয়া শেষে আবার মিম বাইকে চেপে বসলো…
:-চলো..বাইক স্টার্ট করো
:-আবার কোথাই যাবো?
:-এইতো সামনে..
একটুপরে একটা জায়গায় এসে পৌছালাম…জায়গাটা অনেক সুন্দর..অনেক পার্কের মতো..প্রাকৃতিক সুন্দর্যে ভরপুর..বাইকটা একপাশে রেখে..মিমির পিছে পিছে আসলাম..সামনে দাড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটা মেয়ে মিমিকে দেখে চিল্লায় উঠলো..তারপর একটা মেয়ে বললো..
:-কিরে মিমি ইনি কে সে?
:-হুম..
:-অনেক সুন্দর লাগছে তোদের..
মিমিদের কথাবার্তা কিছুই বুঝতে পারছিলামনা..তাই জিজ্ঞাস করলাম……
.
:-সকালে দাদার(আমার জিজু)ফোন করেছিলাম..তখন দাদা বললো…
:-ওহ..
:-কতদিন থাকবা এখানে?
:-কালকেই চলে যাবো…
:-এহহ বললেই হলো?এবার আর ফুড়ুৎ করে যেতে দিবোনা..
:-না থাকলে কি জোর করে আটকে রাখবে?
:-দরকার হলে তাই করবো..
:-দেখা যাবে..
:-মামা আইসা পড়ছি….(রিক্সাওয়ালা)
:-ওহ..হুম
রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার জন্য মানিব্যাগ বের করছিলাম..আমার আগেই মিম রিক্সা ভাড়া দিয়ে দিলো…
:-চলো..(মিম)
:-হুম..আমার ভাড়া তুমি দিলা কেনো?
:-ইচ্ছে হইছে তাই
:-তুমিও যেমন তোমার ইচ্ছাগুলোও তেমন
:-হুম খুব সুন্দর তাইনা?
:-সুন্দর না ছাই(আস্তে বললাম)
:-কি বললে?
:-হ্যা খুব সুন্দর..
অতঃপর বড়দির বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম..বড়দি আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো..অনেকদিন পর দেখা হলো তাই..
:-বাহ!বৌদি ভাই পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে?ভাইকে খুব আদর হচ্ছে?আমি কত কাজ করে দিই..আমাকে তো আদর করোনা..
:-কে বলেছে এইতো লক্ষি ননদকে কত আদর করি…[বড়দি আমাকে ছেড়ে মিমকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে চুমু খেলো]
:-মিমি অনেক আদর করে দিয়েছি…আমার ভাইকে নিয়ে রুমে যা..
:-আচ্ছা বৌদি..
মিমি আমাকে রুমে নিয়ে আসলো..বড়দির এখানে যতবার এসেছি ততবারই এইরুমে থেকেছি…হঠাৎ মনে পড়লে মধুমিতার সাথে একবারও কথা বল হয়নি এতক্ষন..তাই পকেট থেকে ফোন বের করলাম..এত্তগুলা মিসকল সাথে কয়েকটা এস এম এস…আমি একটা ছোট্ট এস এম এস দিলাম…”জানপাখি একটু অপেক্ষা করো কল দিচ্ছি”
অপেক্ষা করতে বললাম..কারন আপদ বিদায় করতে হবে..মানে মিমিকে..
:-মিমি তুমি রুমে গিয়ে রেষ্ট নাও আমাকেও রেষ্ট নিতে দাও..
:-দাড়াও ঘরটা গুছিয়ে দিই
:-বললাম না যাও..
:-যাচ্ছি যাচ্ছি..শরবত এনে দিচ্ছি খেয়ে রেষ্ট নাও
:-কিছু আনতে হবেনা যাও..
:-আচ্ছা..অল্প রেষ্ট নিবা বিকালে ঘুরতে যাবো
:-আচ্ছা..যাওতো এখন
:-হু যাচ্ছি(মুখ ভেঙ্চিয়ে)
তারপর মিমি ঘর থেকে চলে গেলো..এবার মধুমিতাকে কল দিবো..
:-হ্যালো..
:-হুম লক্ষিটি কি করছো?
:-বলবনা..আমি কল দিল ধরনাই কেনো?
:-সোনা ফোন পকেটে ছিলো বুঝতে পারিনি
:-এতক্ষন ফোন পকেটে কি করছিলো?
:-তোমাকে বলা হয়নি…আমি বড়দির বাড়ি এসেছি..
:-হ্যা ওখানেই যাও..ওখানে তোমার মিম আছেতো..আমি কতকরে আসতে বললাম তুমি আসলেনা…
:-শুধু শুধু রাগ করছো..আমিতো মিমকে সহ্য করতে পারিনা..বড়দির বাড়ি অনেকদিন আসিনা তাই আসলাম..এখানে থেকে সোজা তোমাদের ওখানে
:-সত্যিতো?
:-হুম..এখন কি করো?
:-বান্ধবিদের সাথে ঘুরতে এসেছি..
:-ওহ..আচ্ছা ঘুরো তাহলে..পরে কথা বলবো
:-আচ্ছা বাই
:-বাই…
মধুমিতার সাথে কথা বলা শেষে বড়দি খেতে ডাকলো..তাই খাওয়া দাওয়া করে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম…
বেশ কিছুক্ষন পর দরজা ধাক্কানোর শব্দ পেলাম..তাই দ্রুত গিয়ে দরজা খুলে দিলাম..দেখি আপদ বেশ সেজেগুড়ে দাড়িয়ে আছে..তাই বললাম
:-কি হইছে?
:-রেডি হও..ঘুরতে যাবো
:-আমি খুব ক্লান্ত এখন ঘুমাবো..
:-না এখন ঘুরতে যাবে..শিঘ্র রেড়ি হও
:-বললাম না যাবোনা..
:-ও বৌদি…বৌদি?
:-কি হয়েছে মিম?(বড়দি)
:-দেখোনা তোমার ভাইকে একটু ঘুরতে যেতে বলছি..যাবেনা বলছে
:-ভাই মিমের সাথে ঘুরে আয়..দেখবি ভালো লাগবে..
:-যাচ্ছি…
অতঃপর রেডি হলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য..
:-চলো..কোথাই যাবে?
:-তুমি বাইক চালাতে পারো?
:-হুম..
:-তাহলে চলো..দাদার বাইকটা স্টার্ট করো
:-ওটা তোমার দাদার বাইক না গালফ্রেন্ড..ওইটাতে হাত দিলেও তোমার দাদা রেগে যাবে..
:-কিচ্ছু বলবেনা চলতো..
:-চাবি নাহলে স্টার্ট দিবো কিভাবে?
:-দাড়াও আনছি..
মিমি বাইকের চাবি আনতে গেলো..জিজুকে এই বাইকটা গিফ্ট করেছিলো বড়দি..বিয়ের আগে টিউশনি,কোচিং করে বড়দি টাকা জমিয়ে ছিলো..বাড়দির ইচ্ছা ছিলো ওর যার সাথে বিয়ে হবে তাকে নিজের টাকায় বাইক কিনে দিবে..
তাই জিছু বাইকটাকে অনেক যত্নে রাখে..
:-এই নাও চাবি..
:-চুরি করে আনলে নাকি জিজু নিজের ইচ্ছায় দিলো?
:-চুরি করে আনতে হবে কেনো?দাদা নিজের ইচ্ছাতেই দিয়েছে…
:-আচ্ছা চলো..
অতঃপর মিমিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম..কোথাও যাবো যানিনা..সোজা রাস্তা ধরে এগোচ্ছি..কিছুদূর আসার পর..
:-এই থামো..থামো
:-কেনো?
:-ঐ দেখো গাছে পাকা আম..
:-তো?
:-আম খাবো..
:-পরের গাছের আম চুরি করে গেছে তোমার সাথে আমাকেও ক্যালানি দিবে বুঝেছো?
:-পরের গাছে কে বলেছে?ওটা আমাদের গাছ
:-ওহ…
অতঃপর মিমি বাইক থেকে নেমে দুইটা আম পাড়লো..লাঠি দিয়ে।তারপর আবার আমার কাছে আসলো…
:-এই নাও একটা আমার একটা তোমার
:-আমি খাবোনা..তুমিই খাও
:-আরে খেয়ে দেখো..একটা খেলে আরেকটা খেতে ইচ্ছা করবে..
:-আচ্ছা দাও..
মিমির কথা শুনে আমটা খেলাম..সত্যিই ভিষন টেষ্টি আম..গরমকালে আমের চেয়ে ভালো ফল আর হয়না..খাওয়া শেষে আবার মিম বাইকে চেপে বসলো…
:-চলো..বাইক স্টার্ট করো
:-আবার কোথাই যাবো?
:-এইতো সামনে..
একটুপরে একটা জায়গায় এসে পৌছালাম…জায়গাটা অনেক সুন্দর..অনেক পার্কের মতো..প্রাকৃতিক সুন্দর্যে ভরপুর..বাইকটা একপাশে রেখে..মিমির পিছে পিছে আসলাম..সামনে দাড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটা মেয়ে মিমিকে দেখে চিল্লায় উঠলো..তারপর একটা মেয়ে বললো..
:-কিরে মিমি ইনি কে সে?
:-হুম..
:-অনেক সুন্দর লাগছে তোদের..
মিমিদের কথাবার্তা কিছুই বুঝতে পারছিলামনা..তাই জিজ্ঞাস করলাম……
.
TO BE CONTINUE…..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com