Breaking News

অশরীরী বউ | পর্ব -২য় |লেখাঃ_হাছিব_রহমান

রাজ্যের সব ঘুম এসে ভর করল আমার চোখে। ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে নিচে থেকে কারো চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। রাতের আর ভোরের কথা মনে হতেই গা- কাটা দিয়ে উঠল। তখনি আম্মুর গলার আওয়াজ শুনলাম। আম্মু আমাকেই ডাকছে। আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে গেলাম। না হয় আম্মু তোলকালাম বাধিয়ে দিবে। নিচে গেলাম, যাকে দেখলাম তাতে তো আমি হা হয়ে গেলাম। এটাতো নিনেন। খুব সুন্দর লাগছে বটেই। শাড়ি পড়েছে, সেজেছে, হাতে চুড়ি। মনে হচ্ছে বিবাহিতা। হুর পরীর মতো লাগছে (কাল্পনিক)। আম্মু আমার দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমি তো ভয়ে কাছুমাছু খেয়ে দাঁড়িয়ে আছি।আমি অবাক হয়ে বললাম,
আমিঃ - নিনেন। তুমি এখানে। পাশ থেকে আব্বু বলে উঠল,
আব্বুঃ - কে নিনেন? আর জয়, এই মেয়েটাতে যা বলছে তা কি সত্যি?
আমিঃ - কি বলেছে? (ভ্রু কুচকে)।
আব্বুঃ - বলছে মেয়েটি নাকি তোমার স্ত্রী । আর গত ১ বছর ধরে তোমরা বিবাহিতা।
আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। বলে কি মেয়েটা? কালই প্রথম দেখলাম। তার মাঝেই বিয়ে।
আমিঃ - থতমত খেয়ে বললাম, কি বলছো কি আআব্বু?
আম্মুঃ - তোমার আব্বু ঠিক বলেছে?
আমিঃ - ঠিক বলছে মানে, আমি নিনেন কে কালই প্রথম দেখেছি।
আম্মুঃ - নিনেন কে?
আমিঃ - কেনো ঐতো ঐ মেয়েটা নিনেন। যিনি আমাকে তার স্বামী হিসেবে প্রমান করতে চাইছে।
আম্মুঃ - ভ্রু কুচকালো, ওর নাম তো তন্নি রহমান। আমি অবাক হয়ে নিনেনের দিকে তাকালাম।
আমিঃ - মানে! ! নিনেন মুখ খুলল,
নিনেনঃ - আসলে আম্মু ওও আমাকে একটু রহস্যময়ীভাবে তাই আমাকে এই অদ্ভুদ নিনেন নামে ডাকে। আমি তো অবাক কি বলছে এসব নিনেন? আর আমার ফেভারিট নাম ওর নাম হল কি করে? কালই না বলল তার নাম নিনেন।
আমিঃ - কি বলছেন কি নিনেন? আমি আপনাকে নিনেন বলে ডাকি মানে। আমি তো আপনাকে চিনিই না। কালই তো প্রথম দেখলাম আপনাকে।
আম্মুঃ - তুমি চুপ করো। আর এটা বলো যে,মেয়েটাকে বিয়ে করেছো আমাদের জানাওনি কেনো? আর ওকে এখন মেনেই বা নিচ্ছো না কেনো?
আমিঃ - আম্মু তুমি বিশ্বাস করো। আমি উনাকে চিনি না। কাল রাস্তায় প্রথম দেখেছিলাম।
নিনেনঃ - মিথ্যে কথা বলছো কেনো জয়?
আমিঃ - মানে! !
নিনেনঃ - মানে, কাল আমি তোমার সাথে ফাজলামো করেছিলাম বলে তুমি আমাকে রেখে চলে এলে। তার উপর বলছো তুমি আমাকে চিনোই না।
আমিঃ - আপনাকে ফেলে এসেছি? কখন? কোথায়?
আম্মুঃ - চুপ! ! অভিনয় করছো। তুমি যদি মেয়েটাকে চিনই না তাহলে এই বিয়ের রেজিস্টার ডকুমেন্ট আসল কোথা থেকে? আম্মু একটা দলিলের মতো কিছু আমার দিকে এগিয়ে দিল। আমি যা দেখলাম অবাক না হয়ে পারলাম না। এটাতো আমার আর তন্নি রহমান নামের কারো বিয়ের রেজিস্টার ডকুমেন্ট। সাইনটাও আমার।আমি চোখ তুলে তাকালাম নিনেনের দিকে। উনার মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে না যে, উনি অভিনয় করছেন।
আমিঃ - আম্মু, এগুলো ভুয়া। আমি তোমাদের না বলে বিয়ে করবো। এইটা আমি কখনো করতে পারব না।
আম্মুঃ - রাগে কটমট হয়ে বলল, তাহলে সাইনটা কার?
আমিঃ - সাইনটা আমার কিন্তু এটা এখানে এলো কি করে?
নিনেনঃ - আচ্ছা, জয় কি এমন ভুল করেছি? যার জন্য তুমি আমাকে চিনতে পারছো না।
আমিঃ - কি বলছেন আপনি?
নিনেনঃ - এখন আমি আপনি হয়ে গেলাম। জয় তুমি এমন করছো কেনো? ( ফুফিয়ে ফুফিয়ে বলল)। আমি ভ্রু কুচকালাম। এখানে কান্না করার কি? আর মিথ্যেই বা বলছেন কেনো উনি।
আমিঃ - দেখুন, আপনাকে আমি কালও আপনি ডেকেছি। এখনো আপনি ডাকছি তাহলে এখন তুমি করে ডাকবো কেনো? সাথে সাথে আম্মু ঠাস করে চড় মারল,
আম্মুঃ - অনেক বড় হয়ে গেছো তাই না। একা একা বিয়ে করে নিলে তার উপর এখন মেয়েটাকে মেনে নিচ্ছো না।
আমিঃ - কাঁদো কাঁদো হয়ে,আম্মুউ। আম্মু আমাকে থামতে বলল,
আম্মুঃ - তোমার আর কোনো কথা শুনতে চাই না আমি।
আমিঃ - কিন্তু, আম্মু আমি তো নিনেনকে বিয়ে করিনি।
আম্মুঃ - তাহলে এই বিয়ের রেজিস্টার খাতায় তোমার সাইন এলো কি করে? আর তুমি একদিন না বলেছিলে তোমার ফেভারিট নাম তন্নি আর এই মেয়েটার নামও তন্নি।
আমিঃ - কিন্তু, আম্মু।
আম্মুঃ - চুপপ! !
আম্মুর ধমকানিতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। সাধারণত আম্মু আমাকে চড় মারাতো দূরের কথা ধমকায়ও না। আব্বু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। আম্মু নিনেনের কাছে গেলো,
আম্মুঃ - কি সুন্দর একটা মেয়ে? পরীর মতো। আমার এই গাধার কপালে এরকম একটা পরী মেয়ে জুটল। নিনেন ( তন্নি) লজ্জা পেলো। আব্বুও মেয়েটার প্রশংসা করলো,
আম্মুঃ - তা, মা তোমার বাবা-মা তারা কোথায় থাকেন? নিনেন কেঁদে দিলো,
নিনেনঃ - জানি না। আম্মু নিনেনের দিকে মায়াময় দৃষ্টিতে থাকাল। আম্মু বুঝতে পারল নিনেন অনাথ। আমিও জানলাম।
আব্বুঃ - সমস্যা নেই তুমি আজ থেকে আমাদের মেয়ে।
আম্মুঃ - তাহলে বিয়ের আয়োজন করো। আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। আম্মু বলে কি? বিয়ে মানে। আমি তো এই মেয়েকে চিনিই না।
আম্মুঃ - আচ্ছা, মামনি তুমি জয়ের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ো না। আর তোমরা যা করেছো ভুল করেছো। এখন তোমাদের বিয়ে আমরা অনুষ্টান করে দিবো। নিনেন হাসল। এমা নিনেনের একটা দাত বাকা। মানে গেজ দাত। এতো সুন্দর হাসি। আমি নিনেনের মায়ায় পড়ে যাচ্ছিচ।এতো সুন্দর মানুষ হয় নাকি? কিন্তু নিনেন এসব মিথ্যে প্রমান করছে কেনো? আমি তো ওকে চিনি না। একি আমি নিনেনকে তুমি করে বলছি। দূর।
আম্মুঃ - তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? যাও নিজের রুমে যাও। আমি আম্মুর ডাকে স্বম্ভিত ফিরলাম। আমি কিছু না বলে রুমে গেলাম।
.
.
রুমে বসে বসে রাতের কথা ভাবছি। ভয় হচ্ছে। নিচ থেকে লোকজনের হৈ-হুল্লোড় আর চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ আসছে। রুম থেকে বেরিয়ে নিচের দিকে তাকালাম। এমা!! এতো লোকজন এলো কোথা থেকে। সবাইই তো আমার পরিচিত। মামা,খাল,খালু সব আত্বীয়-স্বজন। তার মানে আম্মু বিয়ে ফাইনাল করে দিয়েছে। আমার তো মাথায় হাত কি করি? কিছুক্ষণ পর বন্ধুরা আমার রুমে আসল। সব-কয়টি ফ্রেন্ডসদের দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।
আমিঃ - কিরে তোরা এখানে কি করে?
আরিফঃ - কি করে আর বিয়ে করে নিলি এক বছর হলো। অথচ জানালিই না।
আমিঃ - তোরা বিশ্বাস কর। আমি এই মেয়েকে চিনিই না।
নীলঃ - মামা, এসব বললে হবে না। এখন চলো রুমে। সব ফ্রেন্ডসগুলা আমাকে টেনে রুমে নিয়ে গেলো।
আমিঃ - তোরা অন্ততপক্ষে বিশ্বাস কর।
আবিরঃ - আর যাই হোক মামা। এই মেয়েকে ছাড়িস না।একদম পরীর মতো। গোলাপি ঠোঁট। একদম বাচ্চাদের মতো। আমি আবিরের মাথায় ঠাস করে একটা থাপ্পর মারলাম,
আমিঃ - ঐ কি বলছিস এসব? ফাজলামো করছিস।
নীলঃ - বাব্বাহ। এখন তো দেখছি গায়ে লাগছে। বাই দ্যা ওয়ে। কাল সন্ধ্যায় এখানের সবচেয়ে বড় রেষ্টুরেন্ঠে ট্রিট চাই। আমি আর কথা বললাম না। আবিরের বলা কথা গুলো ভাবছি। এই মেয়েকে ছাড়িস না। হ্যা, সত্যি এই মেয়েকে আমি ছাড়বো না। নিনেন কে আমার খুব পরিচির মনে হয়। মনে হয় অনেক আগে থেকে ঘনিষ্টভাবে পরিচয় ছিলো নিনেনের সাথে। নাহ, আমি নিনেন কে ছাড়বো না। ভাবনা থেকে ফিরতেই দেখলাম সব কয়টি হারামি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,
আমিঃ -কিরে তোদের এখন আবার কি হলো? ( বিরক্ত হয়ে বললাম) সবগুলো আমার দিকে আর না তাকিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বসে থাকল,
আরিফঃ - এখন উঠ তকে বর সাজাতে হবে।
আমিঃ - মানে ! !
নীলঃ - এখানে মানের কি হলো? বিয়ে করবি বর সাজবি না।
আমিঃ - তার মানে, এখনই বিয়ে করতে হবে।
আবিরঃ - হ্যা। অতঃপর আমাকে বর সাজানো হলো।নিচে নিয়ে নামলো সবাই। বিয়ের বেশ ভালো আয়োজন করা হয়েছে। নিচে নামতেই পিচ্চি ভাই- বোনেরা শুরু করলো জ্বালাতন। এতো তাড়াতাড়ি বিয়ের পিড়তে বসবো ভাবিনি। আমাকে বরের জন্য যে ষ্টেজ সাজানো হয়েছিলো সেখানে নিয়ে বসানো হল। সামনে আরেকটা ষ্টেজ। ষ্টেজগুলো তৈরি করা হয়েছে আমাদের বাসার উঠোনে। একটু বড় পরিসরে গেটের ভিতর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
.
কিছুক্ষণপর সামনের ষ্টেজে নিনেনকে নিয়ে আসা হলো। নিনেনের চেহারা ঠিকমতো দেখতে পারছি না। সবাই আড়াল করে রেখেছে। এখন দেখা যাচ্ছে। এই প্রথম কোনো মেয়েকে দেখে আমার কেমন যেন লাগছে? নিনেনের অতিরিক্ত সৌন্দর্য আর তার উপর কড়া সাজ। লাল বেনারসি। কেমন লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না? মেয়েটি এমনিতেই সাদা। আর সাজার কারনে আরো সাদা দেখাচ্ছে। নিনেনকে দেখে আমার মানুষ মনে হচ্ছে না। এরকম সাদা ফ্যাকাসে মানুষ হয় নাকি। আমি এক ধ্যানে নিনেনের দিকে তাকিয়ে আছে। নিনেনের চোখে ডুবে যাচ্ছি। যেনো আমি ওর বশে চলে গেছি। কোনো শব্দ শুনতে পারছি না।শুধু নিনেনের চোখগুলোই দেখতে পারছি। নিনেনও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চোখ,আমাকে বশ করে নিচ্ছে। অন্যদিকে চোখ ফিরাতে পারছি না।
কিছুক্ষণ পর বিয়ের কার্য শুরু হলো। নিনেনকে আমার পাশে আনা হলো। বিয়ের শেষ কার্য অর্থাৎ কবুল বলার পালা। কাজী সাহেব বললেন, কবুল বলো মা। নিনেন কিছু সময় নিয়ে কবুল বলে নিলো। আমাকে বললেন কবুল বলতে। আমি বলতে চাইলাম না। নিনেনের চোখের দিকে তাকাতেই আবার সেই মাদকতা আমাকে ঘ্রাস করে ধরল। আমার না চাওয়া সত্ত্বেও মুখ দিয়ে কবুল বেরিয়ে এলো। বিয়ের কার্য সম্পাদন হয়ে গেলো। সবার খাওয়ার পর্ব ও শেষ। এখন আমি আরিফ,নীল,আবির একটা রুমের বারান্দায় চেয়ারে বসে আছি।
আরিফঃ - দোস্ত তোর বাসর ঘরটা সাজিয়েছি হেব্বি। আমি কথা বলছি না।
আবিরঃ - তুই এতো তাড়াতাড়ি বউয়ের আদর পেয়ে গেলি। আর আমরা হতচ্ছাড়া।
আমিঃ - দূর শালা! ! তদের বিয়েই হবে না।
নীলঃ - তোর বিয়ে হয়ে গেছে বলে আমাদেরকে নিয়ে মজা করছিস।
আমিঃ - করবারইতো কথা। ফ্রেন্ডদের সাথে ফাইজলামি করলাম বেশ কিছুক্ষণ। রাত ১২ঃ০০ টা বেজে গেছে। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে। বন্ধুদের ঠেলেঠেলির জ্বালায় বাসর ঘরে ডুকলাম। খুব সুন্দর করে স্বাজানো। লাল-লাল ফুলে বিছানা ভরা। আমি দরজা লাগিয়ে নিলাম। নিনেনের সাথে কথা বলার ইচ্ছে নেই আমার। এরকম কেউ করে নাকি? নিনেন এসে আমার পা ছুয়ে সালাম করলো।
আমিঃ - আচ্ছা,এটা করার কোনো মানে হলো? আপনি এরকম করলেন কেনো? সত্যি কথা বলতে তো আপনাকে আমি চিনিই না। কালই প্রথম দেখলাম।
নিনেনঃ - তুমি করে বলো।
আমিঃ -না,আপনাকে আমি তুমি করে বলবো না।
নিনেনঃ - বলতে হবে।
আমিঃ - বলবো না বললাম তো। নিনেন আমার মুখ টিপে ধরল,
নিনেনঃ - বলতে হবে, বলতে হবে ব্যাস। আমার গালে ব্যাথা করছে তাই নিনেনের হাত ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করলাম। কিন্তু, আমি আমার চেষ্টায় বৃথা, নিনেনের হাতের জোর অনেক। বাসর ঘরেও কোনো মেয়ে তার বরকে এমন করে আগে জানতাম না বাবা। আমি আবার নিনেনের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম। নিনেন বুঝতে পারল আমি কষ্ট পাচ্ছি তাই ছেড়ে দিলো। আমি হাপাতে লাগলাম,
নিনেনঃ - সরি। আমি হাপাতে হাপাতে বললাম,
আমিঃ - না, ঠিক আছি। নিনেন আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল আমি পিছন দিক দিয়ে সরে যেতে লাগলাম। এই মেয়েকে বিশ্বাস করা যায় না কখোন কি করে? নিনেন আমার শার্টের কলারে ধরে ঠান মেরে তার বুকের সাথে আমাকে সেটে দিলো। আমি ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছি। নিনেনের ঠোঁট গুলো থর থর করে কাঁপছে। আমার মুখের দিকে এগিয়ে আনল।আমি চোখ বুঝে নিলাম। নিনেন আমার কপালে ছোট্র একটা চুমু একেঁ দিলো। কাঁদতে কাঁদতে বুকে ঝাপিয়ে পড়ল। আমি অবাক হচ্ছি নিনেনের কাজে। হঠাৎ কান্না করছে কেনো আবার?
আমিঃ - নিনেন, তুমি কান্না করছো কেনো? নিনেন আমার বুক থেকে তার মুখ তুলে আমার দিকে তাকাল,
নিনেনঃ - তোমার পছন্দের নামে আমাকে ডাকা যায় না।
আমিঃ - হুম। আচ্ছা, বলো তুমি কাঁদছ কেনো?
তন্নিঃ - নাহ, এমনি।
আমিঃ - বলবে না।
তন্নিঃ - এমনি বললাম তো। চলো। বলে আমাকে বিছানায় নিয়ে গেলো।
আমিঃ - ফ্রেশ হয়ে আসি।
নিনেনঃ - আচ্ছা, যাও। আমি ফেশ হয়ে এসে রুমে ডুকলাম। বারান্দার দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম সাদা কাপড় পড়া লম্বা কেউ। বিছানার দিকে তাকালাম তন্নি বিছানায় নেই।
আমিঃ - তন্নি। ( কোনো রকমের বললাম)। তন্নি বারান্দা থেকে বলে উঠল,
তন্নিঃ - কি? আমি খেয়াল করে দেখলাম, তন্নি আগের অবস্থাতে নেই। মানে আগে যে, সাদা কাপড়ে দেখেছিলাম। ওরকম না। লাল বেনারসি পড়া। আমি ভাবলাম ভুল দেখেছি। তন্নি রুমে ডুকল। আমার কলারে ধরে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিলো। তন্নি আমার বুকের উপর শুয়ে পড়ল। আমি তন্নিতে মেতে উঠলাম।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com